May 2018

কী খাব? কোন্ পথে যাব?

অাচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

সম্প্রতি ভোজন রসিকদের মধ্যে হাহাকার শোণা যাচ্ছে৷ সবার মুখে প্রশ্ণ, ‘কী খাব?’ রা ভোজন রসিক, বিশেষ করে কলকাতার তথাকথিত অভিজাত বা পয়সাওয়ালা শ্রেণীর মানুষ যাঁরা প্রায় নিয়মিত নিউমার্কেটের বড় বড় হোটেল, রেস্তোঁরায় বা অন্যান্য নামী-দামী হোটেল রেস্তোঁরায় জমিয়ে মাংসের আইটেম খেতেন, তাঁদের চোখে-মুখে এখন আতঙ্ক৷ এতদিন আমরা ভাগারের মৃত পশুর মাংস বা পচা মুরগীর মাংস জমিয়ে খেতুম৷ এখন তো মাংসের প্রতি ঘেন্না ধরে যাচ্ছে৷ বলা বাহুল্য, বড়-ছোট সব হোটেল, রেস্তোঁরায় এতদিন ভাগারের এই পচা মাংস বা রাজাবাজারের হিমঘর থেকে পচা মুরগীর মাংসের সঙ্গে নানান কেমিকেল মিশিয়ে সুস্বাদু করে সরবরাহ করা হ’ত৷ স্বাভাবিকভাবে এইসব মাংষ ডে

‘‘নির্ভয়ে ছুটিতে হবে সত্যেরে করিয়া ধ্রুবতারা’’

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

প্রতি ২৫শে বৈশাখ আমরা মহাসমারোহে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন করি৷ কিন্তু কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের জীবনাদর্শকে বোঝবার চেষ্টা করি কি? মনে হয়, এ ব্যাপারে আমরা ততটা উৎসাহী নই৷ কিন্তু এই জীবনাদর্শই তো সবেলচয়ে বড় কথা এই জীবনাদর্শই তো তাঁকে সমস্ত কাজে প্রেরণা জুগিয়েছিল৷...... আসুন আজ তাঁর একটি কবিতার আলোচনার মাধ্যমে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের জীবনাদর্শকে বুঝতে চেষ্টা করি৷

আলোচ্য কবিতাটির নাম ‘এবার ফিরাও মোরে৷’ আমার মনে হয় এই কবিতার মধ্যে ফুটে উঠেছে রবীন্দ্রনাথের অন্তরসত্তা ও তার মর্মবাণী৷ রবীন্দ্রনাথের সমস্ত কাব্য–সাহিত্য কর্মধারার এইটাই মর্মকথা৷

অসমের নূতন নাগরিক পঞ্জী প্রায় দেড় কোটি বাঙালীকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিচ্ছে!

১৯৭১ সালের ২৪শে মার্চকে  ভিত্তি ধরে যে প্রক্রিয়ায় অসমে নাগরিক পঞ্জির কাজ চলছে, তাতে অসমে বসবাসকারী দেড় কোটি বাঙালীকে আত্মহত্যার  দিকে  ঠেলে দেওয়া হচ্ছে৷ ইতিমধ্যে অনেকেই  আত্মহত্যা করেছেন৷ বি,জে,পি  সরকার  যদিও ৭ই সেপ্ঢেম্বর  ২০১৫ সালে  আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে  আগত  ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ২০১৪ সালের ৩১শে ডিসেম্বর অবধি  নাগরিকত্বের  আবেদনের  সুযোগ  দিয়ে নোটিফিকেসন জারী করেছেন, কিন্তু  তা এখন  পর্যন্ত  কোন সুনির্দিষ্ট আইনে পরিণত  হয়নি৷ নাগরিকপঞ্জি নিয়ে  সারা অসম রাজ্য বাঙালীদের  মধ্যে ত্রাসের সৃষ্টি হয়েছে৷

ক্ষুদ্ধ জঙ্গলমহল, বিক্ষোভ রাঁচীতে, ভারতে রেশন ব্যবস্থার পক্ষে সাধারণ মানুষ

মিহির কুমার দত্ত

খাদ্য সাথী প্রকল্পে অত্যন্ত নিম্নমানের চাল  দেওয়া নিয়ে জঙ্গলমহল ক্ষুদ্ধ৷ সামনে পঞ্চায়েত ভোট থাকায় এই খবরে রাজ্যসরকার ভীষণ চিন্তায় আছে৷ মানুষ রেশন ডিলারদের  বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে৷ খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, খাদ্যসাথী প্রকল্পের চাল রাজ্যসরকার নিজের পয়সা দিয়ে কেনে৷ সুতরাং সেই চালের গুণগত মান নিয়ে কোনও প্রশ্ণ থাকার কথা নয়৷ কিন্তু রেশন ডিলাররা বলছে, তাদের কাছে সরকারের থেকেই নিম্নমানের চাল আসছে৷ ঝাড়গ্রাম, গোপীবল্লভপুরে রেশন দোকানের সামনে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে৷ নদীয়াতেও একই বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে৷ সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম  আন্দোলনের আগে  সেদিন নিজেরাই  মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে

অখণ্ড কীর্ত্তন ও চিকিৎসা শিবির

৯ই মে ঃ ওড়িশার অন্তর্গত ময়ূরভঞ্জ জেলার কুশমী ব্লকের নয়াগ্রামে আনন্দমার্গের ১২ ঘণ্টা ব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তন ও তৎসহ দাতব্য চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন করা হয়৷

অখণ্ড কীর্ত্তন পরিচালনা করেন আচার্য ব্রতনিষ্ঠানন্দ অবধূত, সঙ্গে সহযোগিতা করেন যোগেশ্বর মাহাত৷ চিকিৎসা শিবিরে চিকিৎসা করেন ডঃ কৌশিক দত্ত ও যুধিষ্ঠির মাহাত৷ দেড় শতাধিক দুঃস্থ রোগী এই চিকিৎসা শিবিরের দ্বারা উপকৃত হন৷

কান্দীতে ‘আনন্দপূর্ণিমা’ উৎসব

কান্দী ঃ মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দী আনন্দমার্গ আশ্রমে  মহাসমারোহে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী জন্মতিথি উৎসব অখন্ড কীর্ত্তন, মিলিত সাধনায়, বাণী পাঠ, প্রভাত সঙ্গীত প্রভৃতির  মাধ্যমে  পালন করা হয়৷

এই উপলক্ষ্যে কান্দী সদর হাসপাতালে শতাধিক রোগীর মধ্যে ফল বিতরণ করা হয়৷

ঝাড়খন্ডের পাথর খাদানে বিস্ফোরণে বহু শ্রমিক হতাহত

১০ইমে রাত আনুমানিক ১০টায় বীরভূম জেলা সংলগ্ণ ঝাড়খন্ডের শিকারীপাড়ায় একাধিক পাথরখাদানে পর পর বিস্ফোরণে ম্যানেজারসহ ১৩জনের মৃত্যু হয়েছে৷ আহত একাধিক৷ ঘটনাস্থল থেকে এ পর্যন্ত ম্যানেজারসহ ৩টি মৃতদেহ  উদ্ধার করা হয়েছে৷ প্রাথমিক  তদন্তে জানা গেছে, যে মাটি কাটার  যন্ত্রে সর্টসার্কিট  থেকেই এই বিস্ফোরণ৷

পাথর খাদানে ডিটোনেটর ও জিলেটিন ষ্টিক  দিয়ে নিয়ন্ত্রিতভাবে বিস্ফোরন ঘটানো হয়৷ সে কারনে পাথর খাদানে প্রচুর পরিমানে  বিস্ফোরক মজুত ছিল৷ সটশার্কিটের ফলে ওই বিস্ফোরকে আগুন লেগে যায়৷ পর পর বিস্ফোরন হতে থাকে৷  এর রেশ গিয়ে পরে পাশের খাদানগুলিতে৷ বহু শ্রমিকও আহত হয়৷

রাহুলের পৈত্রিক সম্পত্তি

দিল্লির নেহেরু-গান্ধী পরিবারের সদস্যদের বদ্ধমূল ধারণা এই ভারত তথা ভারতের জাতীয় কংগ্রেস তাদের পরিবারের পৈত্রিক সম্পত্তি৷ অন্তত এদের কথাবার্তা থেকে তাই মনে হয়৷ আর মনে হবে না কেন? এ পর্যন্ত কংগ্রেসের ইতিহাসটাই তো তা-ই৷ আগেকার যুগে যেমন রাজতন্ত্র চলত, রাজার ছেলে রাজা---তার ছেলে রাজা৷ কংগ্রেসের ক্ষেত্রে তাই হয়েছে৷ দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতাও তার পরিবারের কুক্ষিগত৷ নেহেরু, তারপর মেয়ে ইন্দিরা, তারপর ছেলে রাজীব, তারপর ছেলের বউ সোনিয়া৷ তারপর কে?

শ্রীরামপুরে আনন্দমার্গের সেমিনার

শ্রীরামপুর ঃ গত ৬ই মে সারা দিন ব্যাপী স্থানীয় আনন্দমার্গ স্কুলে আনন্দমার্গ দর্শনের  ওপর একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়৷ সেমিনারের আলোচ্য বিষয় ছিল তারকব্রহ্ম, মনের ক্রমবর্ধমান  বিস্তার, প্রাউটের উৎপাদক সমবায় ও উপভোক্তা সমবায়, আর প্রভাত সঙ্গীতের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে নবজাগরণ৷

এই বিষয়গুলির ওপর আলোচনা করেন প্রবীণ আনন্দমার্গী শ্রী প্রভাত খাঁ৷ তিনি আধ্যাত্মিকতা সম্পর্কে আলোচনাকালে বলেন, আধ্যাত্মিক সাধকের  নিকট তারকব্রহ্ম তথা সদগুরুর ভূমিকা সর্র্বধিক৷  তিনি  বলেন সাধনার  দ্বারা নিরন্তর  বৃহতের  ভাাবনার  দ্বারা মনের ক্রমবিস্তার ঘটানো হয়৷ আর মনই মানুষের বন্ধন বা মুক্তির কারণ৷

প্রয়াত রমাকান্ত সরকারের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন

শ্রীরামপুর ঃ গত ১৮ই এপ্রিল  শ্রীরামপুর আনন্দমার্গ স্কুলের  প্রাক্তন শিক্ষক শ্রী রমাকান্ত সরকার  (৪৭) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পরলোক গমন করেন৷  তাঁর মৃত্যুতে  এই এলাকার আনন্দমার্গীদের  মধ্যে লোকের ছায়া নেমে আসে৷ গত ৬ইমে শ্রীরামপুর আনন্দমার্গ স্কুলে অনুষ্ঠিত সেমিনারে উপস্থিত সকলে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করে প্রয়াত রমাকান্ত সরকারের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন ও তাঁর বিদেহী আত্মার  মুক্তির জন্যে পরমাত্মার কাছে প্রার্থনা করেন৷