July 2018

মানুষ যেখানে হৃদয়হীন

গত ২৪শে জুলাই৷ সন্ধ্যাবেলা৷ স্থান রাণীনগর (জলপাইগুড়ি) ষ্টেশন৷ ষ্টেশন থেকে বঙ্গাইগাঁও-এন জে পি ট্রেনটি পাস করে গেলেই দেখা যায় ট্রেন থেকে পড়ে যাওয়ায় একজনকার ট্রেনের চাকায় হাত ও দুই পা কাটা গেছে৷ এই ভাবে রক্তাক্ত অবস্থায় সে কাতরাচ্ছে৷ এই বিভৎস দৃশ্য দেখেও কেউ কিন্তু তাদে তুলে হাসপাতালে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করছে না৷ সবাই ভীড় করে দেখছে৷ অনেকে ছবি ও ভি.ডি.ও  তূলতে ব্যস্ত৷ এমনি করে দেড় ঘণ্টা মানুষটি যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল৷ অথচ তাকে সাহায্যের জন্যে কেউ এগিয়ে আসেনি৷ প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এসে তাকে হাসপাতালে তুলে নিয়ে যায়৷ সেখানেই তার মৃত্যু হয়৷ হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান---দীর্ঘক্ষণ

মানুষ যেখানে লাঙল টানে

টাকা নেই, গোরু বা মহিষ  কিনবেন কি করে?  অথচ এক টুকরো জমিতে ভাগচাষ  করেই কোনোরকমে দিন গুজরান করতে হয় এক ছোট্ট চাষী পরিবারকে৷ তাই নিরুপায় হয়ে  শুধু স্বামী স্ত্রীতে মিলে লাঙ্গল-চাষ শুরু করে দিলেন৷ গোরুর জায়গায় স্বামী সামনে গিয়ে লাঙল টানেন৷  আর পেছনে লাঙলের মুঠি ধরেন স্ত্রী৷ এমনিভাবেই চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করা ছাড়া তাঁদের গত্যন্তর নেই৷

গল্পের মতো শোণালেও  এই ঘটনাটি সত্য৷ দক্ষিণ ভারতের  কর্ণাটক রাজ্যের  কলারবুরগি গ্রামের এক চাষী ‘গুন্ডু’র এই হল জীবনালেখ্য৷

৩০শে জুলাই অসমের চূড়ান্ত খসড়া নাগরিকপঞ্জী - বাঙালীরা চরমভাবে আতঙ্কিত

অসমে আগামী ৩০শে জুলাই পূর্ণাঙ্গ নাগরিকপঞ্জীর খসড়া প্রকাশিত হতে চলেছে৷ গত ৩১শে ডিসেম্বর আংশিক নাগরিকপঞ্জীর খসড়া প্রকাশের পর দেখা যায় ১ কোটি ৩৯ লক্ষ বাঙালীর নাম নাগরিকপঞ্জী থেকে বাদ পড়েছে৷ নাগরিকপঞ্জী থেকে নাম বাদ দেওয়া মানেই সরকারীভাবে তাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করা৷

নখদন্তহীন লোকায়ুক্ত বিল!

প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ে  দুর্নীতি প্রতিরোধের  লক্ষ্যে লোকপাল ও  লোকায়ুক্ত বিলের জন্যে  আন্না হাজারে  আন্দোলন করেছিলেন৷ সেই আন্দোলনকে  তখন  সমস্ত  বিরোধী দল সমর্থন  জানিয়েছিলেন৷ ১৯১১ সালের  এপ্রিলে  আন্না হাজারে  যখন  এই দাবীতে  অনশন  করেছিলেন,  তখন কেন্দ্রে কংগ্রেস-জোটের  সরকার  ক্ষমতাসীন  ছিল৷

কিন্তু আজও নানান অজুহাতে সেই  লোকপাল  বিল পাশ  হল’না ৷  রাজ্যে লোকপাল  বিলের  অনুরূপ বিলের  নাম ‘লোকায়ুক্ত’ বিল৷  যাতে  মুখ্যমন্ত্রী সহ রাজ্য প্রশাসনের  উচ্চপদস্থ  যে কোনো মন্ত্রী ও সচিবের  বিরুদ্ধেও দুর্নীতির  অভিযোগের  তদন্তের  দায়িত্ব ‘লোকায়ুক্ত’ এর ওপর দেওয়ার  দাবী ছিল৷

ভাগাড়কান্ডে  পুলিশ ৯০ দিনেও চার্জশিট  দিল না

আমাদের দেশের আইন কত দুর্বল ---তার প্রকৃষ্ট  উদাহরণ হ’ল, ভাগাড় কাণ্ডের  অপরাধীদের   বিরুদ্ধে ৯০ দিনেও পুলিশ চার্জশিট দাখিল করতে পারল না৷ তার ফলে সহজেই ধৃতরা  জামিন পেয়ে যাবে৷ কেননা, আমাদের দেশের আইনেই বলা হয়েছে, ৯০ দিনের মধ্যে পুলিশ চার্জশিট দিতে না পারলে  অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যত বড় অপরাধের  অভিযোগ  থাকুক না কেন তারা সহজেই  জামিন পেয়ে যাবে৷ তারপর তো জামিনে  মুক্ত হয়ে তারা স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করতে পারবে৷ তারপর মামলা তো কোর্টে চলবে বছরের পর বছর ধরে৷ কবে ওই মামলার রায় বেরুবে তা অনিশ্চিত৷ তারপর তো টাকার  খেলা আছেই৷

৪ বছরের মোদিজীর বিদেশ সফরের ব্যয় ১,৪৮৪ কোটি টাকা

নরেন্দ্র মোদিজী প্রধানমন্ত্রীর  গদিতে  বসার পর ২০১৪-র ১৫ই জুন থেকে ২০১৮-র ১০ই জুন পর্যন্ত তাঁর  বিদেশ সফরে  সরকারের খরচ হয়েছে ১,৪৮৪ কোটি টাকা৷ গত ১৯শে জুলাই রাজ্যসভায় ভারতের  বিদেশ মন্ত্রকের  প্রতিমন্ত্রী ভি. কে.  সিং -এর দেওয়া রিপোর্ট থেকে এই সংবাদ জানা গেছে৷ তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী মোদিজী ২০১৪-১৫ তে  ১৩ টি দেশ সফর করেছেন, ২০১৫-১৬তে ২৪ টি দেশে সফর করেছেন, ২০১৬-১৭তে ১৮টি দেশে  সফর করেছেন আর ২০১৭-১৮ তে  ১৯টি দেশে সফর করেছেন৷

মানব-প্রগতি

এই পরিদৃশ্যমান বিশ্বে রয়েছে  তিনটি স্তর--- আধিভৌতিক, আধিদৈবিক ও আধ্যাত্মিক বা কারণ৷ এ ছাড়া রয়েছে  একটা মানসাতীত  স্তর৷  মানবীয়  অস্তিত্বেও তিনটি স্তর  রয়েছে --- স্থূল, সূক্ষ্ম ও কারণ৷ এ ছাড়া  এখানে  রয়েছে  এক প্রতিফলিত চৈতন্য৷  এই চৈতন্যের  স্তরে  বিকাশের  কোন প্রশ্ণ নেই৷ কারণ আত্মা গুণাতীত অতীন্দ্রিয় সত্তা৷  যেখানে  রয়েছে অপূর্ণতা  ও নশ্বরতা,  সেখানেই  রয়েছে  বিকাশের  সুযোগ৷ অপূর্ণতা থেকে পূর্ণতার  দিকে গতিই হ’ল প্রগতি৷ মানসাতীত  স্তরে  কোন প্রগতি নেই৷  কারণ তা পূর্ণ ও শাশ্বত৷ মানসিক স্তরে   এই প্রগতির পূর্ণ সুযোগ রয়েছে৷  স্থূল শরীর যে  পাঞ্চভৌতিক উপাদানে তৈরী সেই পাঞ্চভৌতিক  উপাদান ভূমামা

‘ক্যাশ সেল’ ও ‘ক্যাশলেস সেল’ প্রসঙ্গে

ভবেশ কুমার বসাক

আমাদের দেশে এখন ‘ক্যাশ সেল’ আর ‘ক্যাশলেস সেল’ নিয়ে নানান পর্যালোচনা চলছে৷ আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠছে৷ দুটো পদ্ধতিই কম-বেশী প্রয়োগ হচ্ছে৷ এখন প্রশ্ণ এই ‘ক্যাশ সেল’ বা ক্যাশলেস সেল’-এর সুবিধা-অসুবিধাগুলি কী কী? অর্থনীতিতে এদের ব্যবহারিক প্রয়োগে কি ধরণের প্রভাব পড়ছে ও তা দেশের পক্ষে কতখানি মঙ্গলজনক?

অখণ্ডতায় জাগো

জিজ্ঞাসু

এই আপেক্ষিক জগতে  মানুষ  অখণ্ড মানুষ হবার তাগিদে  পথ চলতে শুরু করেছে৷  হাজার হাজার বছর  কত সভ্যতা এল ও কত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলল,  ভয় অজ্ঞতা, কত যুদ্ধ কত হিংস্রতা  কত লোভ লালসা এল গেল আজকের বিজ্ঞানের এত গতি ও শক্তির পৃথিবীতেও মানুষের ভয় গেল না৷  ক্ষমতায় থাকা মানুষ  বিনম্রতাকে  দুর্বলতা ভাবল,  অহংকারে অটল  গ্রাণাইট পাথর হয়ে থাকাটাকেই একমাত্র সঠিক মত ভেবে নিল৷  যতদিন যাচ্ছে,  মানুষের মন ভয় ও সন্দেহের পাহাড়, বিচ্ছিন্নতার পাহাড় , অজ্ঞতার পাহাড়ে ঢেকে যাচ্ছে৷ বিদ্যা বিনম্রতা জিজ্ঞাসা কোথায়?