July 2018

জোট রাজনীতির বিকল্প

দীপক দেব

ক্ষমতাসীন প্রধান শাসক পক্ষকে কেবল ক্ষমতাচ্যুত  করার জন্য, সমস্ত বিরোধী দলের  একটা সাময়িক মিলিত জোট বানাবার  তোড়জোড় চলছে ৷  প্রত্যেক দলের একটা ভিন্ন মতাদর্শ আছে , তাই তাঁরা ভিন্ন দল৷  শুধু ক্ষমতা ভোগের বেলায় তাঁরাই চূড়ান্ত সত্য বাকীরা মিথ্যা৷ ক্ষমতা ভোগের বেলায় ‘আমরা’ ‘ওরা’র ভাগাভাগি মারামারি চলছেই৷ তখন একদল অপর দলকে সন্দেহের চোখে দেখে যাচ্ছে৷  সেই ভিন্ন ভিন্ন দলগুলি হঠাৎই  নিজেদের অস্তিত্ব ঠিক রাখতে  ‘আমরা সব ভিন্ন ভিন্ন দল তবুও এখন আমরা একজোট, নিজেদের অস্তিত্ব বিপন্ন হচ্ছে, এসো  সবাই মিলে জোট বাঁধি৷ এই হল জোট ভণ্ডামি৷ জোটের দলগুলি  তো কই  নিজেদের দল ভেঙ্গে দিয়ে একদল এক আদর্শ বানিয়ে নিচ্ছে

মনের বিস্তার--- নব্যমানবতাবাদ

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

মানুষ মন প্রধান জীব৷ আগে ভাবে, তারপর সেই অনুসারে  মানুষ কাজ করে৷  সেদিক থেকে দেখতে  মনটাই আসল কর্তা, শরীরটা হল কাজের হাতিয়ার৷ হাতিয়ারকে যেমন ভাবে ব্যবহার করা হবে, তেমনিভাব কাজ হবে৷

এখন মনের সংকীর্ণতা হল মানব সমাজের  অধিকাংশ সমস্যারই মূল কারণ৷ মন সংকীর্ণ হলে মানুষের সঙ্গে মানুষের  দেখা দেয় স্বার্থের লড়াই৷ আপনজনের  সঙ্গেও লড়াই াধে৷ মনের যতই বিস্তার হয়, ততই মনুষ্যত্বের বিকাশ হয়, সমাজে  ততই  দেখা দেয় সহমর্মিতা, সহযোগিতা  ও শান্তি৷

শ্যামনগর  আনন্দমার্গ  আশ্রমে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী  পদার্পণ দিবস পালন

গত ২০শে জুলাই শ্যামনগরের আনন্দমার্গ আশ্রমে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী শুভ পদার্পণ দিবস পালিত হয়৷  সকাল ৭-৩০ থেকে  দুপুর ১-৩০ পর্যন্ত  অখন্ড ‘‘বাবা নাম কেবলম্’’ সংকীর্ত্তন অনুষ্ঠিত  হয়৷  গুরুপূজা ও স্ব্যাধায়ের পর আনন্দমার্গীরা নগর কীর্ত্তন বের করেন  ও  শহরের বিভিন্ন রাস্তাতে কীর্ত্তন সহকারে  পরিক্রমা করেন৷ 

পরলোকে আচার্য কীর্ত্যেশানন্দ অবধূত

গত ২১শে জুলাই আনন্দমার্গের প্রবীণ সন্ন্যাসী আচার্য কীর্ত্যেশানন্দ অবধূত পরলোক গমন করেন৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ৭২ বছর৷ গত ৪০ বছর ধরে ভারতের বিভিন্ন স্থানে তিনি মার্গের বিভিন্ন দায়িত্বে কৃতিত্বের সঙ্গে কাজ করে পীড়িত মানবতার সেবা করেছেন৷ সর্বশেষে তিনি আনন্দনগরের  ভেটেরিনারী কলেজের প্রিন্সিপাল রূপে কর্মরত ছিলেন৷ বেশ কিছুদিন ধরে তিনি অসুস্থ অবস্থায় শয্যাশায়ী ও সর্বশেষে চেন্নাইয়ের এক নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন৷ এ অবস্থাতেই গত ২১শে জুলাই সকাল ১০টায়  তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন৷

রথযাত্রার প্রাক্পর্বে  মানব রথ

রথ যাত্রার প্রাকমুহুর্তে ---১৩ই জুলাই  সেরাম থ্যালাসেমিয়া প্রিভেনশন ফেডারেশনের  উদ্যোগে  শ্যামবাজার পাঁচমাথার সংযোগস্থলে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত  রোগীদের  ওষুধ প্রদান  ও আর্থিক  দিক থেকে পিছিয়ে  পড়া  ব্যষ্টিদের  ওষুধ, বস্ত্র, পুস্তক ও খাদ্য  বিতরণ  করা হয়৷

অনুষ্ঠানটি  শ্যামবাজার  পাঁচমাথার মোড় থেকে শুরু করে বাগবাজার, কুমারটুলি, উল্টোডাঙ্গা ও  কলেজষ্ট্রীটে ছড়িয়ে পড়ে৷

পোস্ত

পরিচয় ঃ ‘পপি’ নামে এক রকমের ছোট ফুলের গাছ ইয়ূরোপ থেকে এদেশে এসেছিল৷ এটি শীতকালের মরশুমী ফুল৷ ভারতে এখন শখের ফুল হিসেবে অনেকেই বাগানে চাষ করেন৷ ফুলের রঙ নানান ধরনের–লাল, শাদা, হলদে, বেগনে৷ এটি নির্দোষ বা নির্বিষ বর্গীয়৷ ফুল ঝরে যাবার পর এর গাছে যে বীজকোরক আসে সেটা ছোট ও লম্বাটে৷ তার গা চিরে দিলে যে রস বের হয় তা নির্দোষ৷ বীজকোরকে যে বীজ হয় তা কালচে রঙের৷ এই পপির যে প্রজাতিটি ওপিয়াম পপি নামে পরিচিত, তা কিন্তু ভারতে বিদেশ থেকে আসেনি৷ সেটা এদেশেরই ফুল৷ সাধারণ পপি ও ওপিয়াম–পপির মধ্যে তফাৎ হ’ল, সাধারণ পপির চেয়ে এর পাতা বড়, মোটা, পুষ্ট ও সতেজ ও একটু বেশী রকমের জোরালো সবুজ৷ সাধারণতঃ

কলার মোচার উপকারিতা

প্রাচীন বাংলায় ‘মোচা’ শব্দের অর্থ ছিল বড় আকারের ফুল, আর ‘মুচি’ ছিল ছোট আকারের ফুল৷ কলার ফুলকে বলা হয় মোচা আর কাঁটাল বা নারকোলের ফুলকে বলে মুচি৷

লিবার (যকৃত) ও প্লীহা রোগে ঃ প্রাচীন বাংলায় মোচাকে একটি সুখভোগ্য খাদ্য বলে মনে করা হত৷ ঈষৎ ক্ষারযুক্ত হওয়ায় মোচা লিবার ও প্লীহা এ দু’য়ের পক্ষেই ভাল ঙ্(তরকারী হিসেবে)৷

অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা

এই সমাজে পুরুষেরা বিশেষ সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে৷ পুরুষদের ওপর অর্থনৈতিক নির্ভরতার জন্যে পরিত্যক্তা নারীদের একাংশ পতিতাবৃত্তি গ্রহণ করতে ক্ষাধ্য হয়৷ যখন সমাজে নারীরা অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ও পুরুষের সমান মর্যাদা পাবে তখন এই ধরণের বৃত্তি ক্ষন্ধ হয়ে যাবে৷ যে সব নারী ওই জঘন্য বৃত্তি পরিত্যাগ করে নিজের চরিত্র শুধরে নেবেন, সেই সব নারীকে উপযুক্ত মর্যাদা সমাজকে দিতে হবে৷ পতিতাবৃত্তি সামাজিক–র্থনৈতিক ব্যবস্থার কুফল৷

সীমার মাঝে

স্বপন দে

সীমার মাঝে অসীম তুমি

কেমনে তোমায় পাই

অনলে অনিলে সাগরের তলে

খুঁজে ফিরি মরি তাই৷

পরমেশ্বর তোমার কথাই

মনে ভাবি বার বার

সবাকার লয়ে কি খেলায় আছ

হিসাব মিলেনা তার৷

বিশ্ব তোমার হাতের মুঠোয়

বিশ্বের তুমি প্রাণ

জগৎ মাঝারে তোমার কাননে

আমরা তোমার দান৷

তুমি চাও প্রভু সন্তান তব

আসুক তোমার কাছে

বরাভয় দানে হাসি মুখ খানি

মধুর বাঁশরী বাজে৷

সে বাঁশির টানে বল এস সবে

সুখের সাগরে ভাসো

দেবগুণে হও প্রতিষ্ঠিত

অসুরগণকে নাশো৷৷

বিশ্বরূপ

ব্রহ্মদেব

বর্ষাকালের সন্ধ্যাবেলায় ঝিঝির ডাকে ডাকে

ঝির–ঝিরি–ঝির বৃষ্টি পড়ার টাপুর টুপুর ফাঁকে

ঝিঝি দেখতে দেখতে গিয়ে দেখতে পেলেম যাকে

মন কি আমার সেই ক্ষণেতে খঁুজতে ছিল তাকে?

পরশ আমার গায় তখন শীতল করিয়া যাওয়া

কে সেই মাঝে বইয়েছিল সন্ধ্যাতারার হাওয়া

বৃষ্টি যখন ঝির–ঝিরি–ঝির পড়ছে ফাঁকে ফাঁকে

আমি তখন দেখছি যেন লুকিয়ে থাকা কাকে

তখন আমার বিশ্বরূপ দেখতে গিয়ে পাই

আমার মাঝে আমার আমি তখন যে আর নাই৷