বিশ্বভারতীর নূতন উপাচার্য
এবার নূতন উপাচার্য মনোনীত হলেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞানের অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী৷
এবার নূতন উপাচার্য মনোনীত হলেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞানের অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী৷
আমার মনে হয়, প্রপত্তি সম্পর্কে আমার কিছু বলা দরকার৷ বোধ হয়, সেটা আমার সামাজিক ও আধ্যাত্মিক দায়িত্ব ও কর্ত্তব্যও৷ সংস্কৃতে প্র–পত্+ ক্তিন প্রত্যয় করে ‘প্রপত্তি’ শব্দটি নিষ্পন্ন৷ প্রপত্তির পেছনে মূল ভাবটা, মূল তাৎপর্যটা হচ্ছে এই যে আমাদের এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে যা কিছু ঘটে চলেছে সবই পরমপুরুষের ইচ্ছার অভিপ্রকাশ৷ তার আদেশ(order) বিনা আগ্ণেয়গিরির অগ্ণ্যুদগীরণও হবে না, এমনকি একটা ঘাসের পাতাও নড়বে না৷ তাই পরমপুরুষ আগে থেকেই যেমনটি বন্দোবস্ত করে রেখেছেন, যেমনটি পরিকল্পনা করে রেখেছেন ঠিক তেমনটিই ঘটে চলেছে৷
যে সিদ্ধান্ত প্রয়োগভূমি থেকে আত্মপ্রকাশ করে তাকে স্বল্পায়াসেই বাস্তবে রূপায়িত করা যায়৷ সে সিদ্ধান্ত অবশ্যই বাস্তাবায়িত হবে, তবে তা প্রচেষ্টা, সময় ও সংযোগের ওপর নির্ভরশীল৷ কিন্তু যখন প্রয়োগের দিকটা সিদ্ধান্ত তৈরী করার পরে আসে, তখন বাস্তবে রপায়িত হতেও পারে আবার নাও হতে পারে৷
এই ধরণের সৈদ্ধান্তিক তত্ত্বের ব্যর্থতার চারটি কারণ৷ কারণগুলি নিম্নে প্রদত্ত হ’ল ঃ
বর্ষার বিদায় ৷ শীত এখনও আসেনি৷ আকাশে শাদা মেঘের খেলা৷ নদীতীরে কাশের মেলা৷ বঙ্গ প্রকৃতির এমনি মনোরম পরিবেশ স্বাভাবিকভাবে উৎসবেরই পরিবেশ৷ তাই শারদোৎসব বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব৷ আর বাঙলায় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করেই শারদোৎসবের জোয়ার৷ পৌরাণিক কাহিনী আধারিত দুর্গাপূজা ধর্মীয় অনুষ্ঠান৷ তবে বর্তমানে ধর্মের মূল সুরের সঙ্গে এর সাদৃশ্যের চেয়ে বৈসাদৃশ্যই বেশি৷ দুর্গাপূজায় বর্তমানে মঞ্চ ও মূর্ত্তি গড়ার ব্যাপারে চরম প্রতিযোগিতা চলে৷ কে কত বড় ঠাকুর গড়েছে, কে কোন্ মন্দিরের আদলে মঞ্চ তৈরী করেছে, সেই নিয়েও জরবদস্ত প্রতিযোগিতা হয়৷ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা বা চলচ্চিত্রের নায়ক-নায়িকাদের এনে পূজা উদ্বোধন করারও প্রতিযোগি
প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মেই পৃথিবীর বুকে নেমে আসে স্নিগ্দ শরৎ৷ নির্মল সুনীল আকাশে শাদা মেঘের ছোপ, বাতাসে শিউলি, কেতকীর সৌরভ মানুষের মনে জাগায় খুশীর হিন্দোল৷ বঙ্গে শরৎ ঋতুর আগমন মানেই শারদোৎসবের প্রস্তুতি৷ পাড়ায় পাড়ায় সুদৃশ্য প্যাণ্ডেলে রংবাহারি কারুকার্যের বৈচিত্র্যে দক্ষ শিল্পীর নিপুণ শিল্পকর্মের নিদর্শন ফুটে ওঠে৷ দিন যত এগিয়ে আসে সকলের ব্যস্ততা ততই তুঙ্গে উঠতে থাকে৷ আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা মাতৃবন্দনা ও শক্তি আরাধনার আনন্দযজ্ঞে সামিল হয়৷ ঢাকের বাদ্যি, আলোর রোশনাই, ধূপের গন্ধ ও বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণে সকলের মনে খুশীর প্লাবন বয়ে চলে৷ নূতন জামাকাপড়ে সুসজ্জিত মানুষজন শারদোৎসবের দিনগুলিতে দৈনন্দিন দুঃখ-বেদ
এদেশে কিছু হোক আর না হোক সংসদীয় গণতন্ত্রে ঢাক পেটাবার জন্য যখন যারা কি কেন্দ্রে আর কি রাজ্য শাসনে আসে তারা গদীতে বসেই নোতুন নোতুন উন্নয়নের ফিরিস্তি ছাড়ে যা দেখে এদেশের জনগণ বিশেষ করে যে দলের শাসন কায়েম হয় তারা সেই সব নিয়ে বাজার গরম করে৷ আর তারাই হয়ে যায় দেশের প্রথম শ্রেণীর নাগরিক অর্থাৎ শাসক দলের সমর্থক, কর্মী, বিশেষ করে ক্যাডার৷ দল তাদের ছেড়ে রেখেছে৷ জনসংযোগ তারাই করে৷ তাই তারাই হয় দণ্ডমুণ্ডের কর্র্ত্ত৷ শুধু তাই নয় পুলিশ প্রশাসন তো তাদের হাতে তাই তারাই সর্বদা তিলকে তাল করে আর তালকে তিল করে, যেটি দলীয় স্বার্থে প্রয়োজন তাই করেই চলে৷ যখন দল উল্টে যায় তখন তারা আর হালে পানি পায় না৷ তখনই মিথ্যার
গত ৭ই অক্টোবর কোচবিহার জেলার দিনহাটা মহকুমার অন্তর্গত পেটলা নবীবক্স উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আমরা বাঙালী জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ৷ ‘বাঙলা আমার দেশ বাঙলাকে ভালোবাসি’ এই গানটি গেয়ে সম্মেলনের শুভ সূচনা করা হয়৷ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন --- তারাপদ বিশ্বাস (কেন্দ্রীয় সদস্য), রাজু মান্না (আইন ও আন্দোলন সচিব), শ্রী খুশীরঞ্জন মন্ডল, দলেন্দ্রনাথ রায় ও সুবোধ বর্মন প্রমুখ৷ সম্মেলনে বিদায়ী জেলা সচিব শ্রী সন্তোষ কুমার মোদক, বিগত ৩ বছরের প্রতিবেদন ও আয়-ব্যয় পাঠ করে শোণান৷ এরপর নোতুন জেলা কমিটি গড়ে তোলা হয়৷ জেলা কমিটির নবনিযুক্ত জেলা-সচিব হন শ্রী প্রসন্নকুমার রায়৷
গত ২৫ ও ২৬শে সেপ্ঢেম্বর মেদিনীপুর শহরস্থিত দুর্গাদেবী লোধা স্মৃতিভবনে ‘আমরা বাঙালী’র দ্বাদশ ত্রৈবার্ষিক পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ ২৫ তারিখ সন্ধ্যায় স্বাধীন ভারতের নাগরিকত্ব আইন ও এন.আর.সির ওপর বিশেষ ক্লাস দেন আমরা বাঙালী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে রাজ্যগুলির কো-অর্ডিনেটর শ্রী তারাপদ বিশ্বাস মহাশয়৷ শ্রী বিশ্বাস ১৯৮৬ ও ২০০৩ সালে নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করার ফলে বাঙালীদের কিভাবে সর্বনাশ হচ্ছে তা বুঝিয়ে বলেন৷
গত ৭ই অক্টোবর, উত্তর দিনাজপুর জেলার করণ দীঘিতে সেবাদল মহিলা বিভাগের দ্বারা পরিচালিত যোগ প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়৷ উক্ত শিবিরে প্রায় শতাধিক মহিলা অংশগ্রহণ করেন৷ শিবিবের মুখ্য প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অবধূতিকা আনন্দ কর্মব্রতা আচার্যা৷ উনি মেয়েদের সমাজ সচেতন মূলক নানান বিষয়ের উপর উপদেশ দেন৷ মেয়েরা যাতে আগামীদিনে স্বনির্ভর, নিজেদের শরীর ও মন সুস্থ রাখতে পারে সে বিষয়ে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়৷
শিবির শেষে করণদীঘি বাজারে একটি শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটির দায়িত্বে ছিলেন অবধূতিকা আনন্দ রূপাতীতা আচার্যা৷
চন্দননগর, ৬ই অক্টোবর ঃ হুগলী জেলার সাংস্কৃতিক ও সংগ্রামী চেতনার ঐতিহ্যমণ্ডিত শহর চন্দননগরে গত শনিবার, ৬ই অক্টোবর বিকেল ৪ ঘটিকা থেকে তিন ঘণ্টা ব্যাপী ‘আমরা বাঙালী’ হুগলী জেলার পক্ষে অসমে এন৷আর.সি.