October 2018

অন্য আঙ্গিকে নন্দোৎসব

ডেঙ্গু,থ্যালাসেমিয়া ম্যালেরিয়া প্রভৃতি  মারণ রোগের  বিষয়ে  জনসচেতনতা  বাড়াতে  সেরাম থ্যালাসেমিয়া  প্রিভেনশন ফেডারেশনের  এক অভিনব  প্রচার চলে  গত ৩রা সেপ্টেম্বরে৷

শ্যামবাজার পাঁচ  মাথার  সংযোগস্থলে  এর প্রচার  অভিযান শুরু --- চলে  কাঁকুড়গাছি, লেকটাউন  বাগবাজার , কুমোরটুলিসহ অনেকস্থলে ৷

৩রা সেপ্টেম্বর  ছিল  জন্মাষ্টমীর  পরের দিন৷  দেশজুড়ে  নন্দোৎসব পালিত  হয়৷  অন্য আঙ্গিকে  এক নাটক ‘নন্দোৎসব’-এর মাধ্যমে  ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধ  কতটা  সহযোগী তা প্রচার  করা হয়৷

লুঠেরাদের  মিছিল

ইতোপূর্বে প্রায় সবার জানা হয়ে গেছে যে পুঁজিপতি বিজয় মালিয়া ৮ হাজার কোটি টাকা ব্যাঙ্ক ঋণ শোধ না করে বিদেশে পালিয়ে গেছেন৷ তারপর দুই হীরা ব্যবসায়ী মামা ও তার ভাগ্ণে যথাক্রমে নীরব মোদী ও মহুল চোকসী ১১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যাঙ্ক ঋণ নিয়ে ফাঁকি দিয়ে তারা বিদেশে পাড়ি দিয়েছে৷

ব্যাঙ্কে রাখা জনগণের গচ্ছিত টাকা এমনি করে লুঠরার দল লুট করে নিয়ে যাচ্ছে৷

সব শেষ খবর, নীতিন সন্দেশরা নামে আর এক পুঁজিপতি সেও ব্যাঙ্ক থেকে ৫ হাজার কোটি টাকা নিয়ে ফাঁকি দিয়ে পালিয়েছে৷ শোণা যাচ্ছে, এখন আছে নাইজেরিয়ায়৷ নাইজেরিয়ার সঙ্গে ভারতের কোনও প্রর্তপন চুক্তি নেই৷ তাই এই নীতিন সন্দেশরাকে ধরাও যাচ্ছে না৷

প্রাউটের শিল্পনীতি

 সত্যসন্ধ দেব

প্রাউটের পঞ্চমূলনীতিতে বলা হয়েছে, বিশ্বে যে সম্পদ আছে তা মুষ্টিমেয় পুঁজিপতিদের হাতে কুক্ষিগত হতে দেওয়া যাবে না৷ তাই প্রয়োজনাতিরিক্ত অবাধ সঞ্চয় প্রাউটে নিষিদ্ধ৷ তার ফলে সমাজ পুঁজিপতিদের দ্বারা তৈরী কৃত্রিম অভাবের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে৷ এবার, প্রকৃতির দেওয়া সম্পদের উৎকর্ষ সাধন করতে হবে৷ তাই আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে এ কাজে নিয়োজিত করবার সর্বাধিক প্রয়াস চাই৷ এইভাবে প্রাকৃতিক সম্পদকে মানুষের অভাব পূরণের উপযোগী করতে  হবে ও তার এমনভাবে সুষ্ঠু বন্টনের ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে সমাজের প্রতিটি মানুষের ন্যূনতম চাহিদা পূরণ হয় ও তাদের জীবনের মান উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায়৷ সমবণ্ঢন সম্ভব নয়৷ কিন্তু বন্টন

শিশুর ডেঙ্গু জ্বর

শিশুদের ডেঙ্গু জ্বরের প্রকাশ বয়স অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে৷ এমনকি এক শিশুরোগী থেকে অন্য শিশুতে উপসর্গের নানা অমিল লক্ষ্য করা যায়৷ ইনফ্যাণ্ঢ বা অল্পবয়সী শিশুতে এ রোগের চেহারা চিনতে পারা তত সহজ নয়৷ যেমন, এ অসুখে ভুগছে অথচ তার প্রকাশভঙ্গী অন্য রকম৷ এক থেকে পাঁচ দিনের জ্বর, গলায় প্রদাহের নমুনা, সর্দি ও সামান্য কাশি৷ মনে হবে হয়তো বা শিশুটি অন্যান্য ভাইরাসজনিত সর্দিজ্বর বা ইনফ্লুয়েঞ্জা ধরণের কোনো অসুখে অক্রান্ত৷ তবে বড় শিশুর ক্ষেত্রে এ রোগের প্রকাশভঙ্গীটি কিছু স্বচ্ছ যেমন হঠাৎ করে জ্বর এল৷ বেশী জ্বর ১০৩০ থেকে ১০৬০ ফারেনহাইটের মধ্যে৷ সঙ্গে সাধারণত মাথার সামনে ও চোখের গর্তে গর্তে খুব ব্যথা অনুভূ

শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য

দিনের পর দিন যদি শিশুর পায়খানা না হয় অথবা তার পায়খানা যদি অস্বাভাবিক শক্ত, শুষ্ক্ ও নিষ্কাশনে কষ্ট হয় তবে বুঝতে হবে শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হয়েছে৷ একেক জনের পায়খানার ধরণ একেক রকম৷ তবে সাধারণভাবে সপ্তাহে তিনবারের কম কষ্টদায়ক পায়খানা হলে সেটাকে কোষ্ঠাকাঠিন্য বলা চলে৷ কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ কী? শিশুদের ক্ষেত্রে অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া কঠিন৷ তবে বেশ কিছু বিষয়কে কোষ্ঠাকাঠিন্যের জন্যে দায়ী করা হয়৷

সঠিক কৌশলে না খাওয়া

শরীরের উপযোগী খাবার

ডাক্তারবাবু

কয়েক বছর ধরে যে কোন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডেই নারীদের একটি বিশেষ স্থান দেওয়ার চেষ্টা করা হয়৷ এমনকি খাদ্য সচেতনতার ক্ষেত্রেও এটি লক্ষ্য করা যায়৷ তাই দেখা যায় তথ্য সরবরাহ করা হয় নারীর প্রয়োজনীয় খাদ্য কি হবে এ ব্যাপারে৷ এসব তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আপনি হয়ত প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ পান করছেন, গর্ভকালীন অবস্থায় ‘ফলিক এসিড সাপ্লিমেণ্ঢ’ নিচ্ছেন–ও ভাবছেন শরীরের জন্যে প্রয়োজনীয় সব খাবারই খাওয়া হয়েছে৷ কিন্তু জানেন কি, এমন কিছু খাবার আছে, যার কার্যগুণ সম্পর্কে হয়ত আপনার কোন ধারণা নেই৷ যেমন ঃ কেবোল পাস্তা/ নুডুলস আপনার ক্লান্তি দূর করে আবার বাঁধাকপি আপনার ত্বকে উজ্জ্বলতা আনে৷

শপথ

শুভ্র ড্যানিয়েল

শপথ নেবার আজ সময় এসেছে ভাই

শপথ নাও গো আজ সবে৷

সংগ্রাম আমাদের থামবে না আর

এই দেহে প্রাণ যতদিন রবে৷৷

দিকে দিকে ওই শোন ওঠে হাহাকার

অশ্রু ঝরিছে দেখো কত শত মা’-র

তুমি ছাড়া আর কে-বা অশ্রু মোছাবে৷৷

জাগো জাগো মেলো আঁখি রাত হ’ল ভোর

ছিন্ন করহ যত বন্ধন-ডোর---

তুমি ছাড়া আর কেবা সূর্য ওঠাবে৷৷

মিলন তীর্থ

রামদাস বিশ্বাস

যদি পৃথিবীতে একটিই জাতি হ’ত

তার নাম মানুষ জাতি,

বল কার কত ক্ষতি হ’ত

দূর হলে রক্তের মাতামাতি৷

বাজতো না যুদ্ধের দামামা

অযথা অস্ত্রের ঝনৎকার,

কোট কোটি ডলার রুবেল টাকা

ব্যয় হ’ত না ভরা কোষাগার৷

অনাহারে রোগে ভুগে মরত না কেউ

অর্থের অভাবে রোগ-যাতনায়,

ভালবাসা কাঁটাতারে মরত না কেঁদে

প্রিয়-বিরহ-ভাবনায়৷

মানুষ পাখীর মতো উড়ে যেতো

বিদেশে বাঁধাহীন নির্বন্ধন,

স্বদেশ-বিদেশ ভেদ মুছে যেত

থাকতো না বিচ্ছেদ বেদনা ক্রন্দন৷

বর্ণবিদ্বেষ ধর্মান্ধতা ছেড়ে

হ’ত এক অভিন্ন মানব জাতি,

তোমাকে বন্দনা করি

সাধনা সরকার

নিখিল বিশ্ব বন্দনা করে

সূর্য-তারা-প্রণত

তোমাকে দেখি আলোকে পুষ্পে

আহা কী আনন্দ

তুমি এসেছো ভালবেসেছো

চরণ ধূলায় ধূসরিত আমাদের প্রাণ

তুমি আছো

তোমার বন্দনা বিশ্বভূবনে

এসো তুমি এসো কাছে

এ প্রাণ মন তোমার

সুবাতাস আজ ভবনে ভূবনে

তুমি আমার পরমতম

চির বিরাজ প্রাণপুরুষ

তোমাকে বন্দনা করি

সমর্পিত প্রাণমন....

ইটালিয়ান সেলুন

‘ব’  বলতে গিয়ে একটা ছোট্ট গল্প মনে পড়ল৷ তোমরা বাগবাজারের গঙ্গার ঘাটে গিয়ে দেখেছ নিশ্চয়, সারি সারি নাপিত বসে রয়েছে৷ যার দাড়ি কামাবার আছে সে উবু হয়ে বসে পড়ছে, আর নাপিত–ভায়া তার ‘ব’–কাজ করে দিয়ে যাচ্ছে৷ সময়ে সময়ে বন্ধুর দিকে তাকিয়ে বলছে–এই নিয়ে আঠাশটা দাড়ি হ’ল৷ আর দু’টো দাড়ি হলেই বাড়ী ফিরছি৷ রেস্তোরাঁয় যেমন শুণতে পাও, ‘ওই দিকে চারটে চা নিয়ে যা’৷ যাই হোক্, কোনো বনেদী লোক এসে পৌঁছুলে নাপিত–ভায়া তখন তাকে বসবার জন্যে ইট অফার করত৷ এই ইটে বসে দাড়ি কামানোকে বলা হত ইটালিয়ান সেলুন৷