November 2018

কোচবিহারে আমরা বাঙালীর জেলা সম্মেলন

গত ৭ই অক্টোবর কোচবিহার জেলার দিনহাটা মহকুমার অন্তর্গত পেটলা নবীবক্স উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আমরা বাঙালী জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ৷ ‘বাঙলা আমার দেশ বাঙলাকে ভালোবাসি’ এই গানটি গেয়ে সম্মেলনের শুভ সূচনা করা হয়৷ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন --- তারাপদ বিশ্বাস (কেন্দ্রীয় সদস্য), রাজু মান্না (আইন ও আন্দোলন সচিব), শ্রী খুশীরঞ্জন মন্ডল, দলেন্দ্রনাথ রায় ও সুবোধ বর্মন প্রমুখ৷ সম্মেলনে বিদায়ী জেলা সচিব শ্রী সন্তোষ কুমার মোদক, বিগত ৩ বছরের প্রতিবেদন ও আয়-ব্যয় পাঠ করে শোণান৷ এরপর নোতুন জেলা কমিটি গড়ে তোলা হয়৷ জেলা কমিটির নবনিযুক্ত জেলা-সচিব হন শ্রী প্রসন্নকুমার রায়৷

বাঙালী উদ্বাস্তু নেতা সুবোধ বিশ্বাস কলকাতায়

কলকাতা ১৩ই অক্টোবর ঃ প্রচণ্ড উচ্ছ্বাস ও গণ সম্বর্ধনায় ভেসে গেলেন সর্বভারতীয় বাঙালী উদ্বাস্তু নেতা সুবোধ বিশ্বাস৷ এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে অসমের শিলাপাথর কাণ্ডে মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত হয়ে প্রায় দেড় বছর তিনি ধেমাজি জেলে বন্দী ছিলেন৷ সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে তিনি জামিন পান৷ কয়েকদিন ধেমাজিতে থাকার পর তিনি গত সপ্তাহে আদালতের অনুমতি পান৷ আদালতের নির্দেশে তার বাড়ী নাগপুর যাওয়ার অনুমতি পান৷ শনিবার বেলা একটায় গৌহাটি বিমানবন্দর থেকে নাগপুর যাওয়ার পথে কলকাতায় আসেন উদ্বাস্তু নেতা সুবোধ বিশ্বাস৷ এইসময় তাঁকে দেখার জন্যে বিমানবন্দরের লাউঞ্জের বাইরে কয়েক হাজার উদ্বাস্তু মানুষ অপেক্ষা করছিলেন৷ বিমানবন

সায়েন্স-সিটি অডিটোরিয়ামে ‘রাওয়া’র অনুষ্ঠান

কলকাতা ঃ প্রভাত সঙ্গীতের ৩৬ বর্ষ পূর্ত্তি উপলক্ষ্যে গত ২৭ শে অক্টোবর কলকাতার সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে ‘রাওয়া’র উদ্যোগে প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে এক অপূর্ব মনোমুগ্ধকর সাংসৃকতিক অনুষ্ঠান হয় ও তার সঙ্গে সঙ্গে প্রভাত সঙ্গীতের স্রষ্টা শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তীির্ সর্বান্যুসূত দর্শনের ওপর আলোকপাত করেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক (ডিন) ডঃ রঘুনাথ ঘোষ ও মার্গের প্রবীণ সন্ন্যাসী আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত৷ এই অনুষ্ঠানে পরিবেশিত প্রভাত সঙ্গীত ও প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্য হলভর্তি দর্শকদের মোহিত করে দেয়৷

আর্জেন্টিনায় চিকিৎসক সম্মেলনে অবধূতিকা আনন্দমণিদীপা

সম্প্রতি আর্জেন্টিনা থেকে আনন্দমার্গের মহিলাবিভাগের প্রতিনিধি অবধূতিকা আনন্দমণিদীপা আচার্যা জানান, আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস্ এয়ারর্সে তাঁর অনলস প্রচেষ্টায় ও স্থানীয় আনন্দমার্গীদের আর্থিক সাহায্য ও সহযোগিতায় আনন্দমার্গের নিজস্ব ভবন ক্রয় করা হয়েছে৷ এখানে এখানকার আনন্দমার্গীরা প্রতি সপ্তাহে ধর্মচক্র করেন৷

জিম্বাবোয়েতে আনন্দমার্গের সেমিনার ও সেবাকার্য

গত ২১শে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী পাঞ্চভৌতিক শরীর ত্যাগকে স্মরণ করে এদিন এখানকার আনন্দমার্গীরা মিলিত হয়ে অখণ্ড কীর্ত্তন ও তৎপরে ধর্মচক্র করেন৷ এরপরে এক সদাব্রতের কর্মসূচী রাখেন৷ এই সদাব্রত অনুষ্ঠানে স্থানীয় ১০০টি দরিদ্র্য পরিবারের প্রত্যেককে ৫ কেজি করে খাদ্যদ্রব্যের (চাল-গম-ডাল প্রভৃতি) প্যাকেট দেওয়া হয়৷ এদিন এখানে মার্গগুরুদেবের আদর্শের ওপর সেমিনারেরও আয়োজন করা হয়৷ আচার্য লীলাধীশানন্দ অবধূত আনন্দমার্গের আদর্শের ওপর বক্তব্য রাখেন ৷ প্রতি সপ্তাহেই এখানে দরিদ্রদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করা হয়৷

মহাপ্রয়াণ দিবস পালন, অখণ্ড কীর্ত্তন, নারায়ণ সেবা, বস্ত্র বিতরণ ও আনন্দমার্গের বিভিন্ন অনুষ্ঠান

বীরভূম ঃ বীরভূম জেলার শিউড়ি শহরের আনন্দমার্গ স্কুলে গত ২১শে অক্টোবর তিনঘন্টার অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ সকাল ১০টা থেকে প্রভাত সঙ্গীত, কীর্ত্তন ও মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, স্বাধ্যায় করার পরে শিউড়ির ডিট্ এস্ আচার্য্য সৌম্য শুভানন্দ অবধূত ও বোলপুর শহরের শ্রী রামদাস বিশ্বাস বাবার মহাপ্রয়াণ সম্বন্ধে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন৷ অনুষ্ঠানে শতাধিক মার্গীভাই ও বোন উপস্থিত থেকে মিলিত আহারে যোগদান করেন৷

মার্গীয় মতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

বীরভূম জেলার লাভপুর শহরের প্রবীণ মার্গী প্রাণগোপাল চৌধুরী গত ১৭ই অক্টোবর ২০১৮ পরলোক গমন করেন৷ তার মৃত্যুতে বীরভূম জেলার মার্গীভাই ও বোনেরা খুবই শোকাহত ও মর্র্মহত, মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ৭৪ বছর৷ তিনি একজন নিষ্ঠাবান ভক্ত ও নির্ভীক সাহসী প্রকৃতির মানুষ ছিলেন৷ ১৯৬৬ সালে মার্গের আদর্শে দীক্ষিত হন৷ তাঁর পুত্র , দুই কন্যা ও পত্নী আছেন৷

ইটালির ভেরোনা শহরে প্রভাত সঙ্গীত দিবস পালন

আনন্দমার্গের সাংসৃকতিক প্রকোষ্ঠ ‘রাওয়া’র ইটালির শাখার পক্ষ থেকে গত ১৪ই সেপ্ঢেম্বর প্রভাত সঙ্গীতের ৩৬ বছর পূর্ত্তি উপলক্ষ্যে ইটালির ভেরোনা শহরে উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে এক মনোজ্ঞ আধ্যাত্মিক ও সাংসৃকতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷

স্থানীয় আনন্দমার্গী ‘টারসিসিও বেনেট্রো’ (সংসৃকতে প্রদত্ত নাম তপন কুমার) ‘ভজরে ইষ্ট নাম’ এই প্রভাত সঙ্গীতটি গেয়ে ও পরে ইটালী ভাষায় এটি অনুবাদ করে শুণিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন৷

গুড়–ছোলাভিজে–আদা–মুড়ি

কর্মে উৎসাহহীনতা দূর করতে আদা ঃ যাঁরা কোন কর্মে উৎসাহ পান না, যাঁরা দীর্ঘসূত্রী বা অলস, তাঁরা গুড়–ছোলাভিজে–আদা একসঙ্গে কিছুদিন খেলে কর্মোদ্যম ফিরে পাবেন৷ মুড়িতে যে পেট–ফাঁপার দোষ আছে, আদার সঙ্গে মুড়ি খেলে সে দোষটা থাকে না৷ তাই যেখানে জলখাবারে মুড়ির প্রচলন, সেখানে উচিত মুড়ির সঙ্গে দু’–চারটে আদা–কুচি খেয়ে নেওয়া৷

               ‘‘মুড়ির সঙ্গে নারকোল কুরো আর আদা কুচি

               গপাগপ খাবে দাদা ফেলে দিয়ে লুচি৷’’