December 2018

মিলন

ত্রিগুণ

গাছের  সঙ্গে  লতা-পাতা

জলের সঙ্গে মাছ৷

পাখীর সঙ্গে  আকাশ বাতাস

বনের  মাঝে  গাছ৷

পশুর  জন্যে  বনজঙ্গল

ফুলবাগানে  ফুল৷

চাষীর সঙ্গে মাঠের  সম্পর্ক

বাঁচে জাতি কুল৷

ফলের সঙ্গে  পাখীর  সম্পর্ক

দিবানিশি  খায়৷

দিনের সঙ্গে  রাতের  সম্পর্ক

সবাই  ঘুমিয়ে  যায়৷

আকাশের  সঙ্গে  পাতালের সম্পর্ক

দিগন্তে রেখায়

হাওয়ার সঙ্গে  পাখীর  সম্পর্ক

তাই উড়ে বেড়ায়৷

পথের সঙ্গে  গাড়ীর সম্পর্ক

ঘুরে ঘুরে যায়৷

নদীর  সঙ্গে নৌকার  সম্পর্ক

মাঝি নৌকা বেয়ে  যায়৷

খোঁজ

রবীন্দ্রনাথ সেন

ওহে  বাঙলার  কবি

কোন গীতলেখো তুমি

আঁকো  কোন ছবি?

কোন কল্পলোকে  চোখের  পলকে

বাঁধো কাব্য  কথা

কোন্ হতাশার  কোন তমশার

শোণো মর্মকথা ?

 

কত  শরৎ-বসন্ত

কত কলরব  করি জীবন্ত

কত যে কবিতা  পড় সভাতলে

উথলি উঠে  হিয়া চোখের  জলে৷

দেখ  কবি  দেখো  আঁকিগুলি৷

অসহায় বাঙালীর নত মুখগুলি

বঞ্চিত  লাঞ্ছিত  পদানত পুষ্পকলি৷

হৃদয় লোকে  ঝলকে  ঝলকে

 ওঠে  ভাবরাশি

খাতায় পাতায়  সভায়  সভায়

ব্যঙ্গরসে  দাও প্রকাশি,

ওহে  কবি, আর  কিছু ভাব কি?

খেলার মজা

ছুটোছুটি খেলতে মজা

আয় তোরা আয় না

ঘরের কোণে বসে বসে

করিস শুধু বায়না

লুকোচুরি খেলার মাঠে

খঁুজে কেহ পায় না

ছোঁ মেরে ধরতে গিয়ে

ধরাই যেন যায় না৷

খ্যাপা বাউল মাতে গানে

দেখে নিজ আয়না

অরূপ রতন খঁুজি মনে

কিছু আর তো চায় না৷

বিরাট কোহালিকে আটকাতে অস্ট্রেলিয়ার হাতে নীল নক্সা

কোহালিকে আটকানোর চেষ্টাতো পৃথিবীর বিভিন্ন দল কিন্তু অষ্ট্রেলিয়া যে নতুন নক্সা তৈরী করছে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই৷ প্রাক্তন অষ্ট্রেলীয় অধিনায়ক রিকি পয়েন্টিং এই কার্যে খুবই মনোযোগ দিয়েছেন৷ তিনি পেয়েছেনও৷ তাই সহজ করে তিনি বলেছেন, আগে দেখতে হবে এর আগের ম্যাচগুলিতে বিরাটের পারফোম্যান্স কার বলিং ওভারে খুবই কম পরিমাণ হয়েছে ও তিনি একমাত্র আন্ডারসনকেই বেছে নিয়েছেন৷

হকিতে  আরও  এক ধাপ   এগিয়ে  দিলেন  সিমরানজিৎ কর

১৯২৮ সালে আমস্টারডাম অলিম্পিক্সে বেলজিয়ামের  বিরুদ্ধে   ভারত  জয় লাভ  করেছিল  হকিতে  ৯-০তে৷ যেটা সম্ভব হয়েছিল বর্তমান হকি দলের কোচের পিতা ধ্যানচাঁদ বাবুর দৌলতে৷ কিন্তু ১৯২৮ সালে যা ঘটেছিল    তা ২০১৮ সালে  ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে ঘটল না ২-২তে  ভারত বেলজিয়াম ম্যাচ ড্র হয়ে গেল  তবুও  ভারত কিন্তু পিছিয়ে পড়েনি বরঞ্চ  আর এক ধাপ এগিয়ে গেল৷  অর্থাৎ আগামী ৮ই ডিসেম্বরের কানাডার বিরুদ্ধে ম্যাচে ভারত যদি জেতে তাহলে সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে যাবে৷

তাই ভারতের কোচ হরেন্দ্র সিংহের একটাই লক্ষ্য  শেষ ম্যাচে  কানাডাকে  হারিয়ে  সরাসরি কোয়ার্টার  ফাইনালে  খেলা নিশ্চিত করা৷ 

মানবাধিকার অস্বীকৃত ঃ এ্যামনেষ্টি ইনটারন্যাশন্যাল

এ্যামনেষ্টি ইনটারন্যাশন্যালের ইণ্ডিয়া শাখা অসমের ডিটেনসন ক্যাম্পগুলিতে সমীক্ষা চালিয়ে যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, তাতে অভিযোগ করা হয়েছে অসম সরকার জেলের মধ্যে ডিটেনসন সেন্টার তৈরী করে সেখানে বিদেশী বলে চিহ্ণিত করে যাদের রাখা হয়েছে, তাদের মাসের পর মাস বছরের পর বছর আটকে রাখা হয়েছে৷ তাদের জন্যে কোনো প্যারোলের সুযোগ নেই৷ পরিবার থেকে, বহির্বিশ্বে থেকে তাদের সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে৷

জনপ্রতিনিধির দাঁতের চিকিৎসায় সরকারী বরাদ্দ তিন লক্ষ টাকা

 সম্প্রতি অন্ধ্রপ্রদেশের অর্থমন্ত্রী ইয়ানামালা রামকৃষ্ণুডু-এর দাঁতের চিকিৎসায় সরকারী বরাদ্দ হয়েছে তিন লক্ষ টাকা৷ এই খবরে বিরোধীরা অভিযোগ করেন নয় কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক! ওই অর্থমন্ত্রী সিঙ্গাপুরে গিয়ে সেখানকার হাসপাতালে দাঁতের রুট ক্যানাল করিয়ে ২ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকার বিল জমা দেন৷ মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু জনগণের দেওয়া সরকারী তহবিল থেকে সেই টাকা মঞ্জুর করেছেন৷ চিকিৎসার ওই টাকা মেটানো হচ্ছে এন.টি.আর.

মন্দিরই এখন আগামী নির্বাচনে বিজেপি’র জেতার একমাত্র হাতিয়ার

আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসবে কিনা, তা ফাইন্যাল হবে৷ বর্তমানে ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন নিঃসন্দেহে সেমিফাইন্যাল৷ ছত্রিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, মিজোরাম, রাজস্থান ও তেলেঙ্গানা--- এই ৫টি রাজ্যের নির্বাচনী ফলাফলেই মোটামুটি বোঝা যাবে বিজেপির সম্ভাবনা কেমন? তবে বিজেপি’র যে অত্যন্ত খারাপ অবস্থা বিভিন্ন প্রাক্নির্বাচনী সমীক্ষা এই বার্র্তই দিচ্ছে৷ এই বিধানসভাগুলির নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ১২ নবেম্বর৷

আবার জঘন্য ভাগাড় কাণ্ড!

মানুষ কতটা নীচে নেমেছে ভাবা যায় না! কিছুদিন আগেই ধরা পড়ল ভাগাড়ের মৃত গোরু-ভেড়া -কুকুর-বিড়ালের মাংস কেমিক্যালস্ দিয়ে বিভিন্ন হোটেল রেস্তোযঁবায় পাঠানো হ’তো৷ তারপর পুলিশী ব্যবস্থা, জেল হাজত কত কি হল! চারিদিকে দারুণ নিন্দাবাদ! তারপর কিছুদিন চুপচাপ ৷ আবার সেই একই কান্ড৷ মানুষের নৈতিক মান কতটা নীচে নেমে গেলে মানুষ এমনি ঘৃণ্য কাজ করতে পারে--- সেইটাই ভাবার বিষয়!

প্রধানমন্ত্রীজি সত্যি কথাটা বলে ফেলুন

অমলেন্দু ভূষণ দাস

গত ২১শে অক্টোবর ২০১৮ আজাদ হিন্দ সরকারের ৭৫বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে লালকেল্লায় অনুষ্ঠিত জনসভায় পতাকা উত্তোলন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে ভাষণ দিয়েছিলেন তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমার প্রবন্ধ৷ ওই জনসভায় নেহেরু পরিবারকে কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘‘একটি পরিবারকে বড় করতে গিয়েই নেতাজীর মত ব্যক্তিত্বকে ছোট করা হয়েছে৷’ খুব সত্যি কথা৷ নেতাজী ছিলেন অখণ্ড ভারতের একনিষ্ঠ সেবক অন্যদিকে ইংরেজ সরকারের বশংবদ জহরলাল নেহেরু ভারত ভাগের প্রধান কারিগর৷ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, নেতাজীর অবদানকে ভোলানোর চেষ্টা করা হয়েছে তাঁর এই বক্তব্য অর্ধেকটা সত্য, বাকি অর্ধেকটা প্রধানমন্ত্রী নিজেও চেপে গেছেন৷ তিনি যদি জানেনই নেতা