April 2022

নব্যমানবতাবাদীদের প্রতি

প্রভাত খাঁ

তোমার যা কিছু আছে সবই তো তাঁর

এটাও জেনো তিনি তো তোমার৷

এ ভব সংসারে চলে চল

একাত্ম হয়ে শ্রীচরণে তাঁর৷

 

মনে রেখো সদা সবাই

আপন পর কেহ নন,

আর সকলের যিনি সেই একই আপন

শুধু তিনি একৃৃা লীলা করে যান৷

 

তারকব্রহ্ম যখন আসেন

তাঁদেরই তিনি সঙ্গী করেন

যাঁরা মুক্তির তরে ব্যাকুল হয়ে

আহ্বান করেন প্রাণপনে তাঁরে৷

 

এই পরম চরম সত্য কথা

যাঁরা বোঝেন তাঁরাই ভক্ত হন৷

আর তাঁরই সাথে তাঁরা

চিরকালই রন৷

 

নীতিবাদী যাঁরা প্রাউটিষ্ট

পুষ্পকাননে

কৌশিক খাটুয়া

 পুষ্পকাননে ফুলের

 নিত্য গন্ধ বিতরন

 খবর পেয়ে মধুকরের

  খুশির গুঞ্জরন!

 

রঙিন ডাঙ্গায় প্রজাপতির

সাদর সম্ভাষণ

প্রাতঃকালে বাগান ভ্রমণ

অতিশয় মনোরম

 

রবীন্দ্রনাথের এপ্রিল ফুল

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

অক্ষয় চৌধুরী ছিলেন একাধারে এম.এ.বি.এল,অ্যাটর্নি ও কবি৷ তখনকার দিনে সে এক বিরাট ব্যাপার৷ তাঁর বিখ্যাত কাব্য---‘উদাসিনী’৷

কবি অক্ষয় চৌধুরির বাড়িতে বোম্বে থেকে বেড়াতে এলেন এক পারসী যুবক৷ সঙ্গে এলেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর৷ পারসী যুবকের মাথায় বিরাট পাগড়ী, গালে পেল্লাই দাড়ি৷ তবে যুবক অত্যন্ত কাব্যরসিক৷

অক্ষয় চৌধুরি মনের মত লোক পেয়ে তাঁর সঙ্গে  জুড়ে দিলেন কাব্যলোচনা৷ চুরুটে টান দিতে দিতে ডুবে  গেলেন বায়রন শেলির মধ্যে৷ পারসী যুবক কোন কিছুতেই কমতি নন৷

চড়ুই পাখী

শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার

‘গৃহচটক’ শব্দের অর্থ হল চড়ুই পাখী৷ চটক গ্গ চড গ্গ চডুই গ্গ চড়ুই৷ চটকী গ্গ চডইগ্গ চডুই গ্গ চড়ুই৷ বাঙলায় ‘চড়ুই’ ও ‘চড়ুই’ দুটি শব্দই চলে৷ আমাদের পশ্চিমরাঢ়ের গ্রামের মানুষ অনেকেই ‘চটই’বলে থাকে৷ ‘চটই’ শব্দটি ‘চটক’ শব্দ থেকে এসেছে৷ চড়ই কে বিহারের মগহী ভাষায় বলা হয় ‘গর্বৈয়া’৷ মৈথিলী ভাষায় ‘গর্বৈয়াও’ চলে ‘ফুদ্দিও’ চলে৷ ভোজপুরীতে বলা হয় ‘ফুরগুদ্দি’৷ অঙ্গিকা ভাষায় টিকটিকিকে বলে টিকটিকিয়া৷

চটক পাখী দুইভাগে বিভক্ত  যারা পাকা বাড়িতে কার্নিশে ঘর বানায় তারা হল ‘গৃহচটক’ বা ‘চড়ুই পাখী’৷চ চড়ুই পাখী পায়রার মতো খড়কুটো দিয়ে ভালো ঘর তৈরী করতে পারে না৷ কিন্তু অধিকাংশ পাখী পারে৷

সংখ্যা জগতের রহস্য পরিক্রমা

সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

জন্মলগ্ণ হতে জীবনের অন্তিম ক্ষণ পর্যন্ত মানুষ গণিতের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত আছে৷ আমরা যে জগতে বাস করি সেই জগতে গণিত তথা সংখ্যার গুরুত্ব অপরিসীম৷ এই অপরিসীম গুরুত্বের কথা ভেবেই বোধ হয় বলা হয়েছে–‘ত্ত্ত্রব্ধড়ন্দ্বপ্প্ত্রব্ ন্ব্দ ব্ধড়ন্দ্ব ত্বব্ভন্দ্বন্দ্বু প্সন্দ্র প্তপ্ত ব্দব্ভত্ব্ন্দন্দ্বন্তুব্ধ্’ গ্রীক দার্শনিক পীথাগোরাস বলেছিলেন–‘বিশ্বের আদি উপাদান হ’ল সংখ্যা’৷ দার্শনিক প্লেটো বলেছিলেন–ঈশ্বর একজন মহৎ জ্যামিতি বেত্তা৷’ এই জগৎটা মনে হয় যেন সংখ্যার একটি লীলাক্ষেত্র৷ গণিত হ’ল সভ্যতার মেরুদণ্ড৷ কিন্তু যে গণিত সভ্যতার মেরুদণ্ড স্বরূপ সেই গণিত শাস্ত্র যেন সাধারণ মানুষের কাছে সাহারা মরুভূমির বক্ষ

অবসর নিতে পারেন ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের ক্যাপ্ঢেন মিতালিরাজ

বিশ্বকাপের পর ভারতীয় মহিলা দলের ক্যাপ্ঢেন মিতালি রাজ কি দল থেকে অবসর নেবেন, এটা নিয়ে ক্রিকেট মহলে চিন্তা বাড়ছে৷  আর কি তাঁকে ভারতের জার্সি গায়ে মাঠে দেখা যাবে না? গত রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে শেষ মুহূর্তে হেরে মহিলা বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে ভারত৷ তার পর থেকেই প্রশ্ণ উঠছে যে ভারতীয় দলের ক্যাপ্ঢেনকে নিয়ে৷ অনেকেই  মনে করছেন, দেশের জার্সিতে হয়তো শেষ ম্যাচ খেলে ফেললেন মিতালি৷ শুধু তাই নয়, ঝুলন গোস্বামীকেও নিয়েও একই প্রশ্ণ রয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে৷

বাঙলা থেকে আরও বেশি রেফারি নেওয়ার উদ্যোগ আই.এফ.এর

কলকাতা রেফারি সংস্থার  সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে নতুন অ্যাকাডেমি তৈরি করতে চলেছে তারা, যেখান থেকে আগামী দিনে তরুণ ও শিক্ষিত রেফারি, ম্যাচ কমিশনার ও ম্যাচ আধিকারিক তুলে আনার ভাবনা রয়েছে তাদের৷ স্থানীয় বিভিন্ন লিগ মিলিয়ে ভবিষ্যতে ম্যাচের সংখ্যা অনেকটাই বাড়তে চলেছে৷ এই ম্যাচগুলির জন্য যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে রেফারি ও আধিকারিক পাওয়া যায়, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷

শীর্ষে ভারত

ঃ পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যায় ভারত সবার উপরে৷ গত ৬ই এপ্রিল রাজ্য সভায় এক প্রশ্ণের জবাবে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহনমন্ত্রী নিতীন গড় করি এই তথ্য দেন৷ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড স্ট্যাটিসটিক্স প্রকাশিত তথ্য তুলে ধরে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী জানান পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে বিশ্বে ভারত সবার উপরে রয়েছে৷ জখম হওয়ার সংখ্যায় ভারত বিশ্বে তৃতীয় স্থানে আছে৷ ২০২০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতে দুর্ঘটনায় মৃতদের ৬৯ শতাংশের বয়স ১৮থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে৷ এই সময় দেশে দুর্ঘটনা ঘটে ৩ লক্ষ ৫৪ হাজার ৭৯৬ টি, এর মধ্যে মৃত্যু হয় ১ লক্ষ ৩৩ হাজার ২০১ জনের৷ এছাড়া জানা যায় দুর্ঘটনায় ৬০ শতাংশ কারণই লাগামছাড়া গতি৷ শুধু এই ক

রণে ভঙ্গ

আকাশ ছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি, বাজারে দ্বিগুন টাকা নিয়ে গিয়েও অর্ধেক থলি ভরে না৷ সংসদের অধিবেশন চলছে৷ এমন একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়াটাই সঙ্গত৷ কিন্তু সংসদে প্রধানমন্ত্রীর দেখা নেই৷ অস্বস্তিকর বিষয় নিয়ে তিনি নীরব থাকতেই পছন্দ করেন৷ তাই সংসদকে এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ অবশ্য বিরোধীদের অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী পালিয়ে বেড়াচ্ছেন জবাব দেওয়ার ভয়ে৷

জি.এস.টির সর্বনিম্ন হার বাড়ানোর প্রস্তাব মধ্যবিত্তের সংসারে আর্থিক দুর্র্যেগের আশঙ্কা

রুটিন মেনে নিত্য পেট্রপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি মধ্যবিত্তের সংসারে আকাল এনে দিয়েছে৷ এবার জি.এস.টির সর্বনিম্ন হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৮ শতাংশ করার প্রস্তাবে চরম আর্থিক দুর্র্যেগ ঘনিয়ে আসতে পারে মধ্যবিত্তের সংসারে৷ কারণ নিত্যপ্রয়োজনীয় অধিকাংশ পণ্যই ৫ শতাংশ জি.এস.টির আওতাভুক্ত৷ আবার  নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ব্যবহৃত বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ছিল জি এস টি মুক্ত৷ জি.এস.টি আওতার বাইরে থাকা বেশ কিছু পণ্য এবার জি.এস.টি ভুক্ত করার প্রস্তাবও আছে৷ পেট্রপণ্যের লাগাম ছাড়া মূল্যবৃদ্ধি,