সম্পাদকীয়

বাংলা ভাষার অবদমন বন্ধ হোক

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

মাতৃভাষায় মানুষ যত সহজে সাবলীল ভাবে ও স্বচ্ছন্দে ভাবপ্রকাশ করতে পারে, অন্য কোনো ভাষায় সে তা পারে না৷ অন্য ভাষায় মানুষ স্বচ্ছন্দে ভাব প্রকাশ করতে পারে না৷ প্রতি মুহূর্ত্তে কোনো জনগোষ্ঠীকে অন্য ভাষায় ভাব প্রকাশ করতে বাধ্য করা হলে, সব সময় তারা অস্বচ্ছন্দ বোধ করে, ফলে তাদের প্রাণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ এ অবস্থায় তাদের দু’ধরণের মানসিক সংকটের সম্মুখীন হতে হয়–(১) হীনম্মন্যতা বোধ৷ ওই হীনম্মন্যতা বোধ ওই জনগোষ্ঠীর মনকে ধীরে ধীরে দুর্বল করে দেয়৷ তাই তাদের ভাষায় অবদমিত, মাতৃভাষা ছাড়া অন্য ভাষাতে সবসময় কাজকর্ম করতে হয় তারা ধীরে ধীরে যেমন মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে, তারা তাদের নৈতিক উদ্যম ও প্রতিবাদ করার শ

দুর্নীতির করালগ্রাসে রাষ্ট্র

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

দুর্নীতির করালগ্রাসে দেশ৷ যদিও কেন্দ্রের শাসকদল বেছে বেছে বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধেই প্রশাসনকে সক্রিয় হতে নির্দেশ দিচ্ছে৷ এর অর্থ এই নয় যে শাসক দলের নেতা মন্ত্রীরা সব ধোয়া তুলসী পাতা৷ আসলে ভারত স্বাধীন হয়েছে মধ্যরাতের অন্ধকারে দুর্নীতির আঁতুড় ঘরে৷

শ্রাবণী পূর্ণিমা

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

মানব ইতিহাসে শ্রাবণী পূর্ণিমার একটা বিশেষ তাৎপর্য আছে, এই তাৎপর্যকে অন্তর দিয়ে উপলব্ধি করতে পারলে সমস্ত মানব সমাজের কল্যাণ৷

সরিবে দুর্নীতিরাজ

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

দুর্নীতির জালে জড়িত রাষ্ট্র৷ স্বাধীনতার জন্মলগ্ণের আগে থেকেই দুর্নীতির গুঞ্জন শুরু হয়েছিল ক্ষমতার অলিন্দে৷ শক্তি ও স্পর্ধার প্রভাবে রাজনৈতিক ব্যাভিচারের অভিযোগ উঠেছিল স্বাধীনতার আগেই৷  স্বয়ং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ নেহেরুকে এক পত্রে লিখেছিলেন---‘‘কংগ্রেসেরও অন্তঃসঞ্চিত ক্ষমতার তাপ হয় তো অস্বাস্থ্যের কারণ হয়ে উঠেছে বলে সন্দেহ করি৷’’ সেই ক্ষমতার তাপ আজ দুর্নীতির ভাইরাস হয়ে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে৷ আজ ভারতবর্ষে রাজনীতি ও দুর্নীতি একে অপরের পরিপূরক৷ অবশ্য দুর্নীতি বলতে শুধু আর্থিক কেলেঙ্কারিকেই বোঝায় না৷ রাষ্ট্রের পরিচালকরা আত্মস্বার্থ চরিতার্থ করতে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অব্যবহার করাটাই

পেট্রল ও ডিজেলের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি!

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

গত এক বছর ধরে  পেট্রোল ও ডিজেলের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি হয়ে চলেছে৷ পেট্রল ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি মানে অন্যান্য সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের  মূল্যবৃদ্ধি ৷ কারণ তেলের ওপর নির্ভরশীল ট্রাক, বাস প্রভৃতি পরিবহন৷ ভোগ্যপণ্যের পরিবহন খরচ বাড়লে স্বাভাবিকভাবে তার দাম বাড়বে৷ এমনিতে করোনা সংক্রমণ রোখার জন্যে দীর্ঘ লকডাউনের ফলে বহু কলকারখানা বন্ধ হয়ে গেছে৷

সমাজ–সভ্যতা বাঁচাতে চাই আদর্শ শিক্ষা

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

জাতিগঠনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হ’ল শিক্ষা৷ আজ যে সারা দেশ জুড়ে অসংখ্য আর্থিক দুর্নীতি, নারী–লাঞ্ছনা, পারিবারিক হিংসা ও হত্যা সহ অজস্র অপরাধের ঘটনা ঘটছে এ সবের পেছনে অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে শিক্ষার ব্যবস্থার ত্রুটি৷ প্রতি বছর তো লক্ষ লক্ষ যুবক–যুবতী স্কুল কলেজের গণ্ডী পেরিয়ে কর্মক্ষেত্রে ঝাঁপিয়ে পড়ছে৷ এই স্কুল কলেজগুলিই প্রধানতঃ মানুষ তৈরীর কারখানা৷ মানুষের মধ্যে সদ্বৃত্তির মূল্যবোধের জাগরণের প্রাথমিক দায়িত্ব এই স্কুল–কলেজের৷ এই স্কুল কলেজের শিক্ষাব্যবস্থা বর্তমানে যে এই প্রাথমিক দায়িত্ব পালন করছে না–সে সম্পর্কে বোধহয় কেউই দ্বিমত হবেন না৷ মূল্যবোধভিত্তিক শিক্ষা বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা

ভাইরাস আক্রান্ত পৃথিবী

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

করোনার চতুর্থ ঢেউ আছড়ে পড়ছে৷ স্বাস্থ্য অধিকর্র্ত ও  ডাক্তারদের আশ্বাস আগের মতো ভয়ানক হবে না চতুর্থ ঢেউ৷ তবুও দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে৷

মানুষকে বিশ্বমানব হয়ে উঠতে হবে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

সম্প্রতি এক রাজনৈতিক নেত্রীর ধর্মীয় উস্কানিমূলক মন্তব্য দেশ ও দেশের বাইরে ভারত সরকারকে যথেষ্ট বিব্রত হতে হয়েছে৷ এমন নয়, এই নেতারা বেআক্কেলের মতো এমন মন্তব্য করেছে৷ তারা জেনে বুঝে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে ও কর্মীদের চাঙ্গা করতে কখনো ও কখনোও রাজনৈতিক নেতাদের এই ধরণের মন্তব্য করতে হয়৷ আদর্শহীন ও আত্মকেন্দ্রিক রাজনীতির এটাই ধারা৷

রাজনীতি ও বিভাজন নীতি

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিন ক্ষণ ঘোসণা হয়েছে. শাসক ও বিরোধী শিবিরেও শুরু হয়েছে বিভাজনের রাজনীতি৷ তিনি একসময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন--- গত বারে রামনাথ কোবিন্দকে রাষ্ট্রপতি পদের জন্যে মনোনীত করা হয়েছিল, কারণ তিনি দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ বলে৷ বাংলায় যাকে বলে ‘নীচু জাতে’র---সিডিউল কাষ্টের মানুষ৷ উদ্দেশ্য কী? আগামী লোকসভা নির্র্বচনে যাতে এই তথাকথিত ‘দলিত শ্রেণীর মানুষের সমর্থন পাওয়া যায়৷ বিজেপি’র নেতারা তাঁদের এই রণকৌশলের কথা প্রকাশ্যে বলেছিলেন৷

বিশ্ব পরিবেশ প্রসঙ্গে ভিন্ন চিন্তা

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

বিশ্ব পরিবেশ দিবস---কাজটা মহৎ, কিন্তু উদ্দেশ্য কতটা মহৎ, সেটাও ভেবে দেখার বিষয়৷ এত দিবস পালনের হুড়োহুড়ি--- পরিবেশ দিবস, মাতৃদিবস, পিতৃদিবস....দিবসের ছড়াছড়ি৷ কিন্তু লাভের লাভ হচ্ছেটা কি! সত্যি বলতে কি নানা দিবস পালনের উদ্দেশ্য ও মাহাত্ম্য বোঝাতে যে সব যুক্তির অবতারণা করা হয় তাকে তো অস্বীকার করার উপায় নেই৷ পৃথিবীর পরিবেশ দিন দিন মনুষ্য বাসের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ছে, একথা স্বীকার না করে উপায় নেই৷ বিজ্ঞান যেমন অঞ্জলি ভরে দিচ্ছে, তেমনি হৃদয় নিঙড়ে নিয়েও নিচ্ছে৷ কিন্তু মানুষকে সচেতন করতে একটি বিশেষ দিনে কয়েকটা গাছ লাগিয়েই কর্ম যজ্ঞ শেষ!