সম্পাদকীয়

কেন্দ্রের কর্ষক স্বার্থবিরোধী কৃষি আইনের প্রতিবাদ

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

সংসদে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে কেন্দ্র পুঁজিপতিদের স্বার্থে কর্ষক (কৃষক) বিরোধী কৃষিবিল পাশ করিয়ে আইনে পরিণত করেছে৷ তার প্রতিবাদে সারা দেশ আন্দোলনে উত্তাল৷ হরিয়ানা, পঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশের চাষীরা দিল্লি অবরোধ করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে৷ ৮ই ডিসেম্বর কেন্দ্রের কৃষি আইনের প্রতিবাদে ভারত বন্ধ পালিত হ’ল

কিন্তু মোদি সরকার কর্ষকদের দাবী মানতে নারাজ৷ মোদিজী বলেই চলেছেন, তাঁরা চাষীদের শৃঙ্খলমুক্তির জন্যেই এই আইন পাশ  করিয়েছে৷ কী আছে এই আইনে? এই আইনের একটি দিক হ’ল---অত্যাবশ্যক পণ্য আইন সংশোধন৷

 ত্রিপুরায় বাঙালী নির্যাতনের বিরুদ্ধে চাই সমস্ত বাঙালীদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

উত্তর ত্রিপুরায় মিজোরাম থেকে আসা রিয়াং শরণার্থীদের উগ্রবাদীরা দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় বাঙালীদের ঘরবাড়ী ভাঙচুর  করছে, ধনসম্পদ লুঠ করছে ও নানাভাবে বাঙালীদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে৷ কিছুদিন আগে এক বাঙালী সরকারী কর্মী সুবল দে কর্মসংস্থান থেকে বাড়ী ফেরার পথে রিয়ান উগ্রবাদীদের হাতে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর আহত হয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে ‘আমরা বাঙালী’ সহ কয়েকটি বাঙালী গণসংঘটন কাঞ্চনপুর পানিসাগর মোড়ে রাজপথ অবরোধের ডাক দেয়৷ অবরোধ শুরু হওয়ার আগেই পুলিশ বাঙালী জনতার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ও গুলি চালায়, পুলিশেরগুলিতে ১জন নিহত ও অনেকে আহত  হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কসছে৷

সামঞ্জস্যপূর্ণ ত্রিস্তরীয় উন্নতিই প্রকৃত উন্নতি

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

মানুষের অস্তিত্ব ত্রিস্তরীয়---শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক৷ মানুষের উন্নতি মানে এই ত্রিস্তরীয় সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নতি৷ এই সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নতি যদি না থাকে তাহলে উন্নতির পরিবর্তে অবনতি হবে৷ বর্তমানে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির হাত ধরে বা আধুনিকতার ছাপ মেরে যে বিপুল উন্নতির বড়াই আমরা করি এই তথাকথিত উন্নতি যে অনেক জটিল প্রশ্ণের সম্মুখে আমাদের দাঁড় করিয়ে দিয়েছে, তা আজ কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না৷

মহিলাদের প্রতি পাশবিক অত্যাচারের বিজ্ঞানসম্মত সমীক্ষা

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

দেশে মহিলাদের ওপর পাশবিক অত্যাচার কেন বাড়ছে? কেন মেয়েদের ওপর বলাৎকার করে নৃশংস খুনের ঘটনা বেড়েই চলেছে?

হাথরস কাণ্ড সভ্যতার  কলঙ্ক ঃ সমস্যার সমাধান কোন্ পথে?

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

বিশ্বসৃষ্টির দুটি ধারা৷ প্রথম ধারা হ’ল ভূমাচৈতন্য থেকে জড়জগৎ সৃষ্টি---সূক্ষ্মতম সত্তা থেকে স্থূলতম জড় সৃষ্টি৷ এটাকে বলে সঞ্চরধারা৷ আর এর পরবর্তী ধারা হ’ল প্রতিসঞ্চর ধারা৷ এককোষী জীব থেকে চেতনার বিকাশ হতে হতে বিভিন্ন জীবজন্তু সৃষ্টির পর মানুষের যে সৃষ্টি ও পরে মানুষের বিকাশ--- এটাকেই বলা হয় প্রতিসঞ্চর ধারা৷ প্রতিসঞ্চর ধারায় বুদ্ধি-চিন্তা চেতনা তথা বিবেকের বিকাশ হয়৷ সৃষ্টির এটাকেই স্বাভাবিক বিকাশ বলা হয়৷ কিন্তু বর্তমানে কি ‘ঋণাত্মক অর্র্থৎ নেগেটিব প্রতিসঞ্চর ধারা বেয়ে মানবসভ্যতা এগিয়ে চলেছে৷ মানে---প্রগতির  উল্টো দিকে --- অধঃপতনের দিকে চলেছে? মানুষ থেকে পশু-জন্তু-জানোয়ারদের দিকে চলছে?

বিজেপির গোর্খা তোষণনীতি মায়ের বুকে ছুরিকাঘাতের সামিল

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে এক বিজ্ঞপ্তি জারী করা হয়, ৭ই অক্টোবর ‘গোর্খাল্যাণ্ড’ ইস্যু নিয়ে এক জরুরী বৈঠক হবে৷ ওই বৈঠকে পৌরোহিত্য করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহ্৷ তাতে বিশেষ করে ডাক পেয়েছেন গোর্খাজনমুক্তি মোর্র্চর প্রধান বিমল গুরুং, যিনি বর্তমানে ফেরার ও দেশদ্রোহিতার অভিযোগে অভিযুক্ত৷ এই বৈঠকের কথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়নি৷ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব, দার্জিলিং-এর জোলা শাসক ও জি.টি.এ-র প্রধান সচিবকে, জি.টি.এর অন্য কোনো পদাধিকারীদের ডাকা হয়নি৷ গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বর্তমান সভাপতি বিনয় তামাংকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি৷ পরিষ্কার বোঝা যায়, এর

একমাত্র সমবায়ই সমাধান

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

 সংসদে বাস্তবিক পক্ষে অগণতান্ত্রিকভাবে পাশ হওয়া কৃষি-বিল তিনটিতে রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ সই করার পর এগুলি আইনে পরিণত হল৷ এই আইন যে কর্ষকদের স্বার্থসিদ্ধি করবে না, বরং পুঁজিপতি হাঙ্গরদের মুখে  তাদের ঠেলে দেওয়া হ’ল তা এর আগের দিন সম্পাদকীয়তে বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছি৷ মোদিজী যুক্তি দেখাচ্ছেন, চাষীরা গ্রামের মধ্যস্বত্বভোগীদের দ্বারা শোষিত হচ্ছিল, এখন তারা এই শোষণ থেকে মুক্তির রাস্তা পেল৷ আশ্চর্যের ব্যাপার, যে চাষীরা গ্রামীণ ছোট-খাটো মধ্যস্বত্বভোগীদের সঙ্গে তাদের উৎপন্ন ফসলের দরকষাকষিতে পেরে উঠছিলেন না, তারা তাহলে  বড়ো বড়ো কর্র্পেরেট পুঁজিপতি হাঙ্গরদের সঙ্গে পেরে উঠবে কী করে?

কৃষিক্ষেত্রে পঁু জি পতিদের অবাধ মুনাফা লুণ্ঠনের সুযোগ

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

কৃষিবিল নিয়ে সংসদ তোলপাড়৷ বিজেপি সরকার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে বিরোধীদের সমবেত বিরোধিতা সত্ত্বেও সহজেই লোকসভায় এই বিল পাশ করে নেয়৷ রাজ্যসভায় কিন্তু এত সহজে এই বিল পাশ করা সম্ভব নয়৷ রাজ্যসভায় বিরোধীরা এই বিলের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে৷

এই পরিস্থিতিতে ৮জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু৷

এ লজ্জা রাখি কোথায়!

আচার্য সাত্যাশিবানন্দ অবধূত

রবীন্দ্রনাথ বলেছেন --- মানুষ  পিতামাতার মধ্য থেকে যে অমৃতের  ধারা লাভ করেছে সেইটিকে অনুসরণ করতে গিয়ে দেখেছে কোথাও  তার সীমা নেই পিতামাতার সঙ্গে সন্তানের যে অবিচ্ছেদ্য স্নেহের সম্পর্ক তা অন্তহীন, তা চিরন্তন তাই  পিতা মাতা যেমন তাঁদের অন্তরের সমস্ত স্নেহ ভালবাসা, সম্পদ দিয়ে সন্তানের প্রতি  দায়িত্ব পালন করেন, সন্তানকে উপযুক্ত করে গড়ে তোলেন, উপযুক্ত সন্তানও তেমনি পিতামাতার বয়সকালে তার দায়িত্ব পালন করে, পিতামাতার সব ভার সন্তানের ওপর বার্তায় আমাদের সমাজে এটাই ছিল সংসারের স্বাভাবিক ধর্ম এ নিয়ে কোন গোল ছিল না কিন্তু  আজ জড়বিজ্ঞানের নিত্যনূতন আবিষ্কার যেমন মানুষের অঞ্জলি ভরে  দিয়েছে, তেমনি হৃদয় নিঃস

শান্তিনিকেতনে অশান্তি

আচার্য সাত্যাশিবানন্দ অবধূত

প্রাচীন ভারতের তপোবনের অধ্যাত্ম-ভিত্তিক শিক্ষার সঙ্গে আধুনিক শিক্ষার যোগসাধনের উদ্দেশ্যে রবীন্দ্রনাথ বিশ্বভারতী স্থাপন করে ছিলেন শুরুতে তিনি এর নাম দিয়েছিলেন ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রাচীন ভারতের মুনীঋষিদের আদর্শকে তিনি এই শিক্ষার ভিতরূপে গ্রহণ করেছিলেন শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠার দিবসেই তিনি তাঁর আদর্শ পরিষ্কার ভাবে সুপরিস্ফুট করেছিলেন তিনি প্রাচীন ভারতের ঋষিদের আদর্শের মূল কথাকে তুলে ধরে বলেছিলেন,তাদের বেশভূষা বিলাসিতা কিছুই ছিল না অথচ বড়ো বড়ো রাজারা এসে তাঁদের কাছে মাথা নত করতেন আমরা টাকাকড়ি জুতোছাতা পাবার জন্যে  যেরকম  প্রাণপণ খেটে মরি, তাঁরা সত্যকে পাবার জন্যে তার চেয়ে অনেক বেশি