সম্পাদকীয়

সর্বাত্মক স্বাধীনতা

আচার্য সাত্যাশিবানন্দ অবধূত

১৯৪৭ সালের ১৫ই আগষ্ট ভারত তথাকথিত স্বাধীনতা লাভের  পর ৭৩ বছর অতিক্রান্ত হল । এখন আমরা সদ্য ৭৪ তম স্বাধীনতা উৎসব পালন করলাম কিন্তু আজও এই পূর্ণ স্বাধীনতার স্বাদ দেশে কত শতাংশ মানুষ পেয়েছে এখন এইটাই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ণ । কয়েকমাস আগে এক আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, দুনিয়ার ক্ষুধার সূচকে ১১৭টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১০২ নম্বরে । আমাদের ওপরে আছে বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান, ইরাক, কম্বোডিয়া প্রভৃতি দেশ অর্থাৎ ওইসব দেশের চেয়েও ভারতের ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যার হার কম, ভারতে প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্য সীমারেখার নীচে জীবনধারণের নূ্যনতম চাহিদা মেটানোর সামর্থ্য এদের নেই । কোটি কোটি মানুষ কর্মহী

শিক্ষা সংস্কারের নামে শিক্ষা সংকোচন

আচার্য সাত্যাশিবানন্দ অবধূত

গত ২৯শে জুলাই কেন্দ্রীয় সরকার নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় বৈঠকে পাশ করল এই বৈঠকে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের নাম পরিবর্তন করে করা হল শিক্ষামন্ত্রক যদিও এই নাম পরিবর্তনের কোনও আবশ্যকতাই  ছিল না।

বাঙালী জাতির প্রতি অসমের মন্ত্রীর অশালীন মন্তব্যের  প্রেক্ষীতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা

আচার্য সাত্যাশিবানন্দ অবধূত

অসমের রাজস্বমন্ত্রী ভবেশ কলিতার বাঙালী জাতি সম্পর্কে সাম্প্রতিক অশালীন মন্তব্য শুধু নিন্দনীয় নয়, ঘৃণার বিষয় অসমের বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে, অসমের রঙ্গিয়া এলাকায় বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বন্টন করতে গিয়ে অসমের মন্ত্রী ভবেশ কলিতা বলেছেন, বাঙালীরা খচ্চর জাতি।

মেঘালয়ে বাঙালী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সমস্ত বাঙালী ঐক্যবদ্ধ হোন

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

দেশজুড়ে করোনার সঙ্গে লড়াই চলছে, করোনার আক্রান্ত ও করোনাজনিত মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশঃ বেড়েই চলেছে৷ আর করোনার কারণে দেশজুড়ে লকডাউনের ফলে দেশের জনসাধারণের অর্থনৈতিক অবস্থাও অতীব সংকটজনক৷

এর মধ্যেই গোদের ওপর বিষফোঁড়া--- মেঘালয় থেকে প্রাপ্ত সংবাদ সেখানে বাঙালী নির্যাতন সমানে  চলেছে৷ গত ফেব্রুয়ারী মাসে মেঘালয়ে ইছামতী ও বলাগড় এলাকায় খাসী ষ্টুডেন্টস্ ইয়ূনিয়নের পক্ষ থেকে স্থানীয় বাঙালীদের ওপর আক্রমণ নেমে আসে বাঙালীদের দোকানপাট ঘরবাড়ী জ্বালিয়ে দেওয়া হয়৷ তার ওপর মেঘালয় সরকার প্রায় ৮০০ বাঙালী তরুণদের গ্রেফতার করে বাঙালীদের ওপর অত্যাচার অব্যাহত রাখে৷

পেট্রল ও ডিজেলের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি!

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

গত প্রায় ৩ সপ্তাহ ধরে (গত ৩০ জুনের খবর) এ নিয়ে ২২ বার পেট্রল ও ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি করা হ’ল৷ পেট্রল ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি মানে অন্যান্য সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের  মূল্যবৃদ্ধি ৷ কারণ তেলের ওপর নির্ভরশীল ট্রাক, বাস প্রভৃতি পরিবহন৷ ভোগ্যপণ্যের পরিবহন খরচ বাড়লে স্বাভাবিকভাবে তার দাম বাড়বে৷ এমনিতে করোনা সংক্রমণ রোখার জন্যে ৩ মাসের  বেশি লকডাউনের ফলে স্থানীয় কলকারখানা কার্যতঃ বন্ধ৷

সাম্রাজ্যবাদী চীনের আগ্রাসন রুখতে  হবে

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

আজকের সারা পৃথিবীর ভোগবাদী তথা পুঁজিবাদী ও জড়বাদী দুনিয়া একটা জীবন্ত আগ্ণেয়গিরির ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে৷ যে কোনো মুহূর্তে ভয়ঙ্কর বিষ্ফোরণ ঘটতে পারে৷ ধবংস হয়ে যেতে  পারে এই মদগর্বী সভ্যতা৷ সবাইকে মহান্ ভারতের আধ্যাত্মিক মানবতাবাদভিত্তিক তথা নব্যমানবতাদী আদর্শের কাছে নতজানু  হয়ে দীক্ষিত হতে হবে৷ এছাড়া বাঁচবার কোনো উপায় নেই৷ বিশ্বের তাবড় মনীষীরা  ভারতের এই সুমহান্ ঐতিহ্য সম্পর্কে সচেতন৷ সুপ্রাচীনকাল থেকেই কেবল আধ্যাত্মিকতার জন্যে নয় জ্ঞান-বিজ্ঞান সর্বক্ষেত্রেই এর ঔজ্বল্য বিশ্ববাসীকে আকৃষ্ট করেছে৷ তার সঙ্গে  সঙ্গে ঈশ্বরের কৃপায় এদেশের নানান্ সম্পদের প্রাচুর্যও ছিল বিশ্ববাসীর আকর্ষণের অন্যতম প্রধান ক

আবার ক্যা!!

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

সারা দেশে কোভিড্-১৯ সংক্রমণজনিত লক্ডাউন চলছে ৷ মানুষের জীবিকার রাস্তা বন্ধ৷ সাধারণ গরীব ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষ অর্দ্ধাহারে, অনাহারে দিন অতিবাহিত করছে৷ লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকের হাহাকারে আকাশ বাতাস বিদীর্ণ ৷ তার মধ্যেও কোথাও কোথাও প্রচণ্ড ঘূর্ণীঝড়ে ঘরবাড়ী ধূলিসাৎ ৷  হতভাগ্য মানুষের দল আশ্রয়ের জন্যে হাহাকার করছে ৷ সারা দেশ জুড়েই বিপর্যস্ত অবস্থা ৷ জীবন ও জীবিকা দুইই চরমভাবে বিপন্ন৷ এ অবস্থায় দেশের রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের উচিত দলমত নির্বিশেষে সম্মিলিতভাবে জনসাধারণের পাশে দাঁড়ানো ৷ জাত-পাত-সম্প্রদায় নির্বিশেষে সমস্ত মানুষের সর্বপ্রকার নিরাপত্তার জন্যে সচেষ্ট হওয়া ৷

মোদিজীর পুঁজিপতি প্রীতি!

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

বর্তমানে ভারতে যখন চরম অর্থনৈতিক সংকট ঘনীভূত হয়েছে, সে সময় এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্যে পুঁজিবাদের প্রধান একনিষ্ঠ-ভক্ত-প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশী-বিদেশী পুঁজিপতিদের দ্বারস্থ হয়েছেন এই সংকট থেকে দেশের ১৩৫ কোটি মানুষকে উদ্ধারের প্রার্থনা নিয়ে । শুধু প্রার্থনাই নয়, তাঁদের  হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে---কয়লাখনি, বিমানবন্দর ও প্রতিরক্ষার জন্যে অস্ত্রশস্ত্রের উৎপাদন---রাষ্ট্রের এই সব অতি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ইয়ূনিট । এও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রায় সমস্ত সংস্থাগুলিতেই দেদার বেসরকারী পুঁজির আহ্বান করা হবে । যাতে করে এদের নিয়ন্ত্রণ ভার সম্পূর্ণ পুঁজিপতিদের হাতেই চলে যায় ।

‘হিংসায় উন্মত্ত পৃথ্বি নিত্য-নিঠুর দ্বন্দ্ব’

আচার্য সাত্যশিবানন্দ অবধূত

কবিগুরুর এই উক্তি আজ যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে৷ সমাজের সর্বত্র---সারা বিশ্বেরই এখন এই ছবি৷ আমেরিকার মত তথাকথিত অধুনিক সভ্যতার ধবজাধারী দেশে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে নিষ্ঠুর ভাবে কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের খুনের ঘটনায় গোটা দেশে বিক্ষোভের অগুন জ্বলছে৷ রাস্তায় পড়ে আছে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড৷ তার দুটো হাত পিছমোড়া করে বাঁধা৷ আর তার ঘাড়ের ওপর হাঁটু গেড়ে বসে আছে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার৷ কৃষ্ণাঙ্গ যুবকটি চিৎকার করে বলবার চেষ্টা করছে, আমি আর শ্বাস নিতে পারছি না!

পরিযায়ী শ্রমিক সমস্যা ও তার সমাধান

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

বর্তমান পুঁজিবাদী অর্থনীতি ব্যবস্থার একটা মস্তবড় ত্রুটি এতদিন পরে সবার চোখে পড়ছে৷ কি রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা, কি বুদ্ধিজীবীরা এতদিন এই সমস্যাটাকে দেখেও দেখছিলেন না৷ ভাবছিলেন এ তো বেশ চলছে! সমস্যা কোথায়! এখন সমস্যাটাকে কারোর চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতে হচ্ছে না৷ সব পত্র-পত্রিকাতেই লেখা হচ্ছে৷মোবাইলে,দূরদর্শনে এটাই এখন অন্যতম প্রধান খবর৷ করোনা বাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দেশ জুড়ে লকডাউনের পরিপ্রেক্ষিতে এই সমস্যাটি এখন দেশের জ্বলন্ত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে৷