প্রবন্ধ
‘আনন্দমার্গ যোগ’-এর মৌলিকত্ব ও অভিনবত্ব
বর্ত্তমান কর্মব্যস্ততা ও উন্মার্গগামিতার যুগে যোগের প্রয়োজনীয়তা,উপযোগিতা ও উপকারিতার কথা বিবেচনা করে সম্প্রতি ২১ শে জুন তারিখটি আন্তর্জাতিক যোগদিবসরূপে ঘোষণা করা হয়েছে ও গুরুত্ব সহকারে এই দিনটি যোগাসন অভ্যাসের মাধ্যমে উদ্যাপন করার ব্যাপক প্রয়াস ও প্রচেষ্টা চালানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদী মহোদয়ও এর গুরুত্ব অনুধাবন করে দেশব্যাপী
- Read more about ‘আনন্দমার্গ যোগ’-এর মৌলিকত্ব ও অভিনবত্ব
- Log in to post comments
জি.এস.টিতে রাজ্যের স্বার্থ বিপন্ন হবে
গত ৩০ শে জুন মধ্যরাত থেকে সারা ভারতে চালু হয়ে গেল নোতুন কর ব্যবস্থা গুডস্ সার্ভিস ট্রাকস (জিএস.টি) এটিকে সরকার এর মতে একদেশ এক কর ব্যবস্থা৷ চলতি বছরের ২৭শে মার্চ বিজেপি সরকারের অর্থমন্ত্রী শ্রী অরুন জেটলি সংসদে দুকক্ষেই এই জিএস.টি বিল পাশ নেন৷ আজকের প্রধানমন্ত্রী শ্রীযুক্ত মোদি-যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন তিনি উপলব্ধি করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় এর দরকার নেই৷ কিন্তু তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে গভীর রাতে আড়ম্বরের মধ্য দিয়ে সেই জিএসটি
- Read more about জি.এস.টিতে রাজ্যের স্বার্থ বিপন্ন হবে
- Log in to post comments
এখন সময় জিটিএ বাতিল করা
দার্জিলিং, কার্শিয়াং কালিম্পং, নেপাল নয়৷ সেখানকার ভাষাও নেপালী নয়৷ ভূতাত্ত্বিক ভাবে সিকিমও বাঙলার অংশ, নৃতাত্ত্বিক ভাবে লেপচা ও বাঙালীর রাজবংশী রাই (রায়) জনজাতি৷ গোর্খারা অনেক পরে নেপাল থেকে এসে বসবাস করতে শুরু করেছে৷ গোর্খারা উক্ত ভূমির ভূমিপুত্র নয়৷ গোর্খারা নেপালের উচ্চবর্ণের ব্রাহ্মণ্যবাদী হিন্দু৷ এখানে এসে তারা প্রথমে নিজেদের জাত্যাভিমানের প্রভাব বিস্তার করেছে ও পরে সরকারী সুযোগ পেতে উপজাতির খাতায় নাম লিখিয়েছে৷ এরা কোন্ যুক্তিতে গোর্খাল্যাণ্ড দাবী করে?
- Read more about এখন সময় জিটিএ বাতিল করা
- Log in to post comments
ক্ষুধা নিয়ে রাজনীতি
খবরে প্রকাশ যে প্রধান খাদ্যশস্য, যেমন ধান,গম, ডাল,তৈলবীজ ইত্যাদির মূল্য গত পাঁচবছরে ক্রমাগত কমে যাচ্ছে তুলনায় ঘাসের দাম, যে ঘাস পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তার দাম বেড়েই চলেছে৷ দেশে ছড়িয়ে পড়া কর্ষক (কৃষক) অসন্তোষ ও তার জেরে কর্ষক আন্দোলনের এটাই মূল কারণ৷ ঋণশোধ না করতে পারা আর অভাবে অনটনে জেরবার হয়ে অনেক চাষীভাই আত্মহত্যা করেছেন ও করছেন৷ মধ্যপ্রদেশে, যেখানে সাম্প্রতিক কর্ষক আন্দোলনের সূত্রপাত, সরকার চাষীদের নেওয়া কৃষিঋণ মকুব করায় সেখানে এই আন্দোলন কিছুটা স্তিমিত হয়েছে বটে, কিন্তু সমগ্র দেশে এই আগুন ধিকি ধিকি জ্বলছে৷ কেননা মূল সমস্যার অর্র্থৎ খাদ্যশস্যের দাম ক্রমাগত কমে চলা, তার তো কোন
- Read more about ক্ষুধা নিয়ে রাজনীতি
- Log in to post comments
বর্ষণেও আসন ?
খবরে প্রকাশ যে সদ্যসমাপ্ত আন্তর্র্জতিক যোগদিবসে (২১জুন) লক্ষ্ণৌ শহরে বিশাল জায়গা জুড়ে খোলা হাওয়ার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ এক বিশাল সংখ্যক মানুষ যখন আসন অভ্যাস করছিলেন, তখন বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়৷ বর্ষণের মধ্যেও আসন চলতে থাকে৷ এই খবরে সম্ভবত: ইঙ্গিতটা এই ছিল যে বর্ষণ সত্ত্বেও সমবেত আসন প্রদর্শন বন্ধ হয়নি ও এটা একটা বিশেষ কৃতিত্বের ব্যাপার৷ কিন্তু প্রকৃত সত্যটা হচ্ছে এই যে, এই ধরণের আসনাভ্যাস আসন ইত্যাদির ব্যাপারে মানুষকে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করার জন্যে আদর্শ বিজ্ঞাপন নয়৷ কারণগুলি নিম্নরূপ ঃ
- Read more about বর্ষণেও আসন ?
- Log in to post comments
বিজ্ঞান ও ধর্ম (দর্শন)
ধর্ম ও বিজ্ঞান এর মধ্যে প্রভেদ খোঁজার ব্যর্থ চেষ্টা আমরা করে থাকি৷ প্রকৃতপক্ষে বিজ্ঞান ও ধর্মের মূল সুর একই ৷ উভয়ক্ষেত্রের সাধকেরাই সৃষ্টির আসল সত্য অসীমকে জানতে চায়, তাতেই পৌঁছুতে চায়৷ অন্তরের বাসনা উভয়েরই এক৷ অসীমের হাতছানিতে সাড়া দিয়ে উভয়েই অসীমে পৌঁছানোর লক্ষ্যে গবেষণা চালিয়ে যান৷ প্রভেদ থাকছে কেবল দৃষ্টিভঙ্গির-মধ্যে একজন ধর্মসাধক তাঁর মানস গবেষণাগারেPsychic Laboratory) তে অসীমে উপনীত হবার লক্ষ্যে নিষ্ঠাসম্মত অনুশীলন চালিয়ে যান সাধনা সেবা ও ত্যাগের মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে তিনি তার লক্ষ্যে পৌঁছে যান৷ অন্যদিকে একজন বিজ্ঞান সাধক মনের গবেষণাগারের পরিবর্তে জাগতিক গবেষণাগারে অসীম সত্তাকে ধরার
- Read more about বিজ্ঞান ও ধর্ম (দর্শন)
- Log in to post comments
যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থায় ভারতের গণতন্ত্র সত্যই বড়োই সংকটের সম্মুখীন
ভারতের বহুদলীয় গণতন্ত্র আমাদের দীর্ঘ ৭০ বছরে একটা শিক্ষা দিয়ে চলেছে তা হলো দেশ ও জাতির কথায় গুলি মেরে কি করে ছলে বলে আর কৌশলে দলকে ও দলের মহান নেতা-নেত্রীদের গদীতে বসানো যায় আর সেই সুযোগে নিজেদের আখের কামিয়ে জনগণের শ্মশান যাত্রার পথকে সুগম করা যায়৷
হায় সিরাজ, তোমার বাংলায় মিরজাফররা আজও বেঁচে আছে!
পশ্চিমবঙ্গের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ দাজির্লিং পার্বত্য অঞ্চল৷ উত্তর সীমান্তে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র নেপাল৷ সীমান্ত পেরিয়ে কাজের ধান্দায় দলে দলে বিদেশী নেপালীরা পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং-এ অনুপ্রবেশ করছে৷ পলাশীর যুদ্ধের ৩০ বছর (১৭৮৭) পর থেকে নেপালীদের দার্জিলিং এ আসা শুরু৷ ১৯৫০ সালের ভারত-নেপাল চুক্তি অনুয়ায়ী নেপালীরা ভারতে কাজ করতে পারবে ,থাকতে পারবে কিন্তু স্বাভাবিক নাগরিকত্ব পাবে না৷ স্মরণীয় অন্য দেশের নাগরিক হতে গেলে সংশ্লিষ্ট দেশের সংবিধান ও আইন-কানুনের প্রতি নিঃশর্ত আনুগত্যে অঙ্গীকার বদ্ধ হতে হয় ও পদ্ধতিগত কিছু বিষয় অনুসরণ করতে হয়৷ কিন্তু নেপালীরা কমিউনিষ্টদের প্ররোচনায় এসব কিছুরই ধার ধারেনি৷