সংবাদ দর্পণ

আনন্দমার্গবিধিতে জন্মতিথিকৃত্য পালন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

১৯শে এপ্রিল’২৪ উভয়েই গুড়িডি গ্রাম নিবাসী ও ভ্রাতৃদ্বয়৷ কনিষ্ঠ ঋষিকেশ ও শেফালী গরাঞের কন্যা ‘ঝর্ণার’ তৃতীয় তম জন্মদিন আর অগ্রজ অশ্বিনী ও সুজিতা গরাঞের পুত্র ‘‘জীবমিত্রের’’ অষ্টম তম জন্মদিন আনন্দমার্গে চর্যাচর্য বিধি অনুযায়ী আনন্দমার্গ চিলড্রেন্স(বয়েজ)হোমে পালিত হয়৷ হোমের ছেলেরাও তাতে অংশগ্রহণ করে৷ প্রভাত- সঙ্গীত(আধ্যাত্মিক সঙ্গীত), ‘বাবা নাম কেবলম’ নামকীর্তন, মিলিত ঈশ্বর প্রণিধাণ, বর্ণার্ঘ্যদান, স্বাধ্যায় শেষে জন্মদিন পালনের ‘তাৎপর্য কী ও কেন’ ব্যাখ্যার পর ঝর্ণা ও জীবমিত্রকে গুরুজনেরা মঙ্গলতিলক ও ফুল-দুর্বা দিয়ে ওদের আশীর্বাদ করেন৷ অবশেষে উপস্থিত সকলেই আহার্য গ্রহণের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়৷

গার্লস প্রাউটিষ্টের সভা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২০শে এপ্রিল’২৪ আনন্দনগর পগরো গার্ল প্রাউটিষ্ট ভবনে গ্রামের মহিলাদের নিয়ে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ উক্ত সভায় মহিলাদের শারীরিক সুস্থতা, মানসিক উন্নতির কি কি করনীয় বলা ও শেখানো হয়৷ তাছাড়া সমাজে নারীরা কিভাবে শোষিত, নির্যাতিত ও অত্যাচারিত হচ্ছে সে-ব্যাপারে আলোচনা হয়৷ সমাজ গঠনে নারীদেরও বিরাট ভূমিকা রয়েছে সে সম্পর্কে সকলকে অবহিত করা হয়৷

আচার্য অসীমানন্দ অবধূত স্মৃতি দিবস

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

আচার্য অসীমানন্দ অবধূত, আনন্দমার্গের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক৷ ইনি ছিলেন একজন প্রখ্যাত কৃষিবিজ্ঞানী৷ শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ভাবনা ও আদর্শে নিয়োজিত একজন অসামান্য সর্বত্যাগী কর্মী৷ যে সবুজায়ন আজ আনন্দনগরের মুখ্য প্রাকৃতিক ভূমিকা, তার মূলে এই নিষ্ঠাবান ত্যাগী কর্মী ছিলেন অগ্রণী৷ কানপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষিবিজ্ঞানে পড়াশোনা করার পর সব লৌকিক সুখ স্বাচ্ছন্দ্য ত্যাগ করে সংঘের সর্বক্ষণের কর্মী হিসেবে আত্মনিয়োগ করেন৷ গুরুদেবের চরণে জীবনকে সমর্পন করে তাঁর আদর্শেকে বাস্তবায়িত করতে একনিষ্ঠ হয়ে কাজ করার ব্রত গ্রহণের পর গুরুদেব তাঁকে আনন্দনগরের কৃষিসংক্রান্ত প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্ব অর্পণ করেন৷ বিবিধ প্রতিকূলতার মধ্যেও তিনি কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন৷ তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গের শাসক সিপিএমের কাছে তাঁর অপরাধ ছিল পুরুলিয়ার শুষ্ক মাটিতে সোণা ফলাচ্ছিলেন৷ গ্রামের মানুষদের অনুর্বর জমিতে বিভিন্ন অর্থকরী ফসলের চাষকরে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করে তুলছিলেন৷ ওদিকে নাগিনীরা বিষাক্ত নিঃশ্বাসে জর্জরিত করছিল শুধু বায়ু নয়, চক্রান্ত করেছিল তাঁকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার৷ সাধারণ কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষদের নেশার দ্রব্যে ও অর্থের লোভ দেখিয়ে তাদের মনকে বিষাক্ত করে ঘৃণ্য পাপকাজে লিপ্ত করাত৷ ১৯৯০ সালের ২রা এপ্রিল স্থানীয় কয়েকজন মার্গী ভাইয়ের সাথে পরিদর্শনে গেছিলেন ডিমডিহা জলবন্ধ (ড্যাম) প্রকল্প ও ডিমডিহা কৃষি ফার্মের কাজের অগ্রগতি দেখতে৷ ফিরে আসার পথে ছটকা গ্রামে পথ আটকে গাড়ি থেকে নামিয়ে ক্লাব ঘরে ঢুকিয়ে অসীমানন্দ অবধূত সহ স্থানীয় কোষাঙ্গি গ্রামের অর্জুন সিং ও দারা সিং, চিৎমু গ্রামের রাধু গরাঞ ও উত্তর প্রদেশের দীনবন্ধু সিং চারজনমার্গীকে তদানীন্তন শাসকদল মদতপুষ্ট কমিউনিষ্ট গুণ্ডারা নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে৷ কিন্তু তারপরও আনন্দমার্গকে দমিয়ে রাখা যায়নে৷ আনন্দনগরে তাঁর কাজের পরিকল্পনা ও প্রগতি আরও দ্রুতবেগে বাস্তবায়িত হতে থাকে৷ তাঁর স্মৃতি রক্ষায় ১৯৯১সাল থেকে প্রতিবৎসর নভেম্বর মাসে আচার্য অসীমানন্দ অবধূত স্মৃতি নকউট ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে চলেছে৷ ২রা এপ্রিল’২৪ ডিমডিহা আনন্দমার্গ জাগৃতি ভবনে ৬ ঘণ্টা অখণ্ড ‘বাবা নাম কেবলম’ নাম-সংকীর্ত্তন, মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, বর্ণাঘ্যদান, স্বাধ্যায়, স্মৃতিচারণ ও নারায়ণসেবার আয়োজনের মাধ্যমে তাঁর আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করা হয়৷

আনন্দনগর পরিদর্শন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

৬ই এপ্রিল’২৪ সেনকো গোল্ড ও ডায়মণ্ডের প্রতিনিধিদ্বয় ও শ্রীশ্যামল প্রসাদ জানা যিনি ধূঁয়াহীন প্রাকৃতিক চুল্লার উন্নত পদ্ধতির আবিষ্কারক সহ ইতালি ভেরোনার অসীমা ও ইন্দ্র গিয়েছিলেন দেখতে৷ সকলেই দেখে অত্যন্ত খুশী ও ভূয়সী প্রশংসা করেন৷

আনন্দনগর কৃষি ফার্ম পরিদর্শন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

আনন্দনগর বাঁশগড়ে আনন্দমার্গ কৃষি ফার্মে মাল্টা-মোসাম্বি, তরমুজ, আপেল অন্যান্য ফলের ও সূর্যমুখী ফুলের চাষ বহু মানুষ দেখতে আসেন৷

উন্নতমানের ধূঁয়াহীন চুল্লা প্রদান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

৬ই এপ্রিল’২৪ ‘সেনকো’ গোল্ড এণ্ড ডায়মণ্ড, কলকাতা প্রধান কার‌্যালয়ের পক্ষ থেকে আনন্দনগর বয়েজ ও গার্ল চিল্ড্রেন্স হোমের সুবিধা ও আর্থিক সাশ্রয়ের জন্যে উন্নতমানের ধূঁয়াহীন চুল্লা তৈরী করে দিয়েছেন৷ এতে জ্বালানি খরচ স্বাভাবিকের থেকে প্রায় অর্ধেক কম লাগবে৷ তাছাড়া কোন ধূঁয়া ও ঘর কালো হবে না৷

উল্লেখনীয় যে সেনকো গোল্ড এণ্ড ডায়মণ্ড, কলকাতা অফিস থেকে ২০২১শের জানুয়ারীতে দু’জন প্রতিনিধি আনন্দনগর আসেন৷ আনন্দনগরে আমাদের সেবামূলক কাজ দেখে ওনারা সন্তোষ্ট হন, ও কোম্পানির ‘‘কর্র্পেরেট সোস্যাল রেস্পন্সেবিলিটিCSR) ফাণ্ড‘‘ থেকে ২০২১শের জুন থেকে গার্ল হোমের জন্যে আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন৷ প্রতিবছর মার্চ-এপ্রিল মাসে একবার কোম্পানির প্রতিনিধিরা পরিদর্শন করতে আসেন৷ শ্রীশুভময় ভট্টাচার‌্য,AGM Training & CSR Coordinatio, তাঁর উদ্যোগেই এই প্রোজেক্ট অনুমোদন প্রাপ্ত হয়৷ তিনি প্রতিবছর আসেন ও সঙ্গে অন্যকেউ থাকেন৷ শ্রীপুরঞ্জিত শীল,CGM- Finance & Accounts তিনি গতবার এসেছিলেন৷ আমাদের কর্মকাণ্ড দেখে ওনার খুব ভালো লেগেছে ও আনন্দনগর আসতে ওনার মন উদগ্রীব হয়ে থাকে৷ ওনার এতব্যস্ততার মধ্যেও এবার এসেছেন৷ সর্বদাই চিন্তা করেন শিক্ষা-সেবা ও জনকল্যাণমূলক কাজে কিভাবে আমাদের পাশে থেকে সাহায্য করতে পারেন৷

 আনন্দনগরের রেক্টর মাষ্টার আচার্য নারায়ণানন্দ অবধূত বলেন---আনন্দনগরের পক্ষ থেকে তাঁদের সার্বিক সাহায্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি৷

আত্মিকটানে আনন্দনগর

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

আধ্যাত্মিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশে কিছুদিন অতিবাহিত করা ও আধ্যাত্মিক যোগ-সাধনা অনুশীলন করার জন্যে ১লা এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল’২৪ ইতালির ভেরোনা থেকে অসীমা ও ইন্দ্র আনন্দনগর আসেন৷ ২০১৯ শের মার্চ মাসে প্রথম আনন্দনগর এসেছিলেন, এটা দ্বিতীয়বার আসা৷ আনন্দনগরে গ্রামের অখণ্ড নাম-সংকীর্ত্তনে অংশগ্রহণ সহ তন্ত্রপীঠ সাধনা, সেবামূলক প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করেন৷ ইন্দ্র নার্ভের কিছু সমস্যার জন্যে আমাদের আকুপাংচার ক্লীনিকে চিকিৎসাও করান৷ তাঁরা উভয়ে ২০১৪ থেকে নিষ্ঠার সঙ্গে যম-নিয়ম সাধনা পালন, সাত্ত্বিক আহার, ধর্মচক্রে যোগদান, নিয়মিত আনন্দমার্গ আধ্যাত্মিক যোগসাধনা অনুশীলন ও সেবামূলক কাজে যুক্ত আছেন৷

বিনামূল্যে চক্ষু অপারেশন শিবির

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

আভা সেবাসদন কম্পোজিট চেরিটেবল হসপিটালে গত ১১ই এপ্রিল’২৪, বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা স্থানীয় এলাকার সর্বসাধারণের অবগতির জন্যে জানানো যাচ্ছে যে গত বৃহস্পতিবার ১১ই এপ্রিল’’২৪ আনন্দনগর আভা সেবাসদন কম্পোজিট চেরিটেবল হসপিটালের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে চক্ষু অপারেশন করা হয়েছে৷

 রাধু সরেন স্মৃতি দিবস

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

আনন্দনগর সংলগ্ণ ডামরুঘুটু গ্রামের বাসিন্দা রাধু সরেন আনন্দমার্গের কল্যাণমূলক কাজে আত্মনিয়োগ করেন৷ ১৯৯৫ সালের ৫ই এপ্রিল আনন্দনগরের ডামরুঘুটু গ্রামের তথাকথিত সাঁওতাল সমাজের কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাস মুক্ত সমাজসেবী রাধু সরেন ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে কোটশিলা থেকে নিজের গ্রাম ডামরুঘুটু আসার পথে চরগালি জঙ্গলে দিনের বেলায় তদানীন্তন শাসকদল মদতপুষ্ট কমিউনিষ্ট গুণ্ডারা নৃশংসভাবে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করে৷ সেই থেকে প্রতিবৎসর আনন্দনগরে ৫ই এপ্রিল ‘রাধু সরেন স্মৃতি দিবস’ হিসাবে পালিত হয়ে আসছে৷ এই উপলক্ষ্যে ৫ই এপ্রিল’২৩ চরগালি জঙ্গলে যেখানে তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল সেখানে নির্মিত শহীদ বেদীতে মাল্যার্পণ ও ডামরুঘুটু গ্রামে ‘‘রাধু সরেন স্মৃতি ভবনে’’ তিনঘণ্টা অখণ্ড ‘বাবা নাম কেবলম’ নাম সংকীর্তন, মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, স্বাধ্যায় ও রাধু সরেনের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী জ্ঞাপন, স্মৃতিচারনা ও নারায়ণসেবার আয়োজন করা হয়৷

সেবা কার্য ঃ ৫ই এপ্রিল’২৪ দধিচী রাধু সরেন স্মৃতি দিবস উপলক্ষ্যে তাঁর ছেলে ও মেয়ের (উভয়েই হায়ার সেকেণ্ডারী স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষিকা) পক্ষ থেকে শিশুদের শিক্ষা উপকরণ, দুঃস্থ বৃদ্ধা মহিলাদের শাড়ি ও নারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়৷

বাংলা নববর্ষ উদযাপন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

১লা বৈশাখ ১৪৩১ (১৪ই এপ্রিল’২৪) আনন্দনগর পি, এস, ডি (প্রাউট সেবাদল) ভবনে বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপনের আয়োজন করা হয়৷ এই উপলক্ষ্যে ছয় ঘণ্টা অখণ্ড ‘বাবা নাম কেবলম নাম-সংকীর্ত্তন, প্রভাত সঙ্গীত, মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, বর্ণার্ঘ্যদান, স্বাধ্যায়, নববর্ষ পালনের তাৎপর্য ব্যাখ্যা ও মিলিত আহার ও নারায়ণ সেবার মাধ্যমে পালিত হয়৷