সংবাদ দর্পণ

এক দেশ এক ভোট যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

২০১৪ সালে শপথ নেবার আগেই নরেন্দ্র মোদী জোর গলায় ঘোষনা করেছিলেন--- ‘আচ্ছা দিন এসে গেছে’৷ সুইস ব্যাঙ্কের কালোটাকা, শূন্য এ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ, দুর্নীতিমুক্ত দেশ--- সব কথার কথা নোট বন্দি রাম মন্দিরে ঢাকা পড়ে যায়৷ তবে ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বড় ঘা খেয়েছে মোদি ম্যাজিক৷ ৪০০ পারের হুঙ্কার দিয়ে নির্বাচনী প্রচারে নেমেছিলেন৷ ভোটের ফলে ৪০০ পার তো দুরের কথা একক গরিষ্ঠতাও পায়নি৷ ২৪০-এই থেমে যেতে হয়েছে৷ যোগী রাজ্যে ভরাডুবি হয়েছে৷ মোদি নিজেও গতবারের তুলনায় অনেক কম মার্জিনে জয়ী হয়েছে৷ এই অবস্থায় জনগণের দৃষ্টি ঘোরাতে এক দেশ এক ভোটের স্লোগান৷

গত ১৮ই সেপ্ঢেম্বর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার বৈঠকে এক দেশ এক ভোট প্রস্তাব অনুমোদিত হয়৷ তার আগে কেন্দ্রীয় সরকার ঘটিত রামনাথ কোবিন্দ কমিটি এক দেশ এক ভোট বিষয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দেন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে৷ কমিটির কাছে মোট ৪৭টি দল মতামত জানায়৷ ১৫টি দল বিপক্ষে মত দেয় বাকী ৩২টি দল সমর্থন করেন৷ কেন্দ্রীয় সরকার মনে করে সমস্ত আইনী প্রক্রিয়া শেষ করে ২০২৯ সালে চালু করা সম্ভব হবে এই ব্যবস্থা৷

ইন্ডিয়া জোট এই ব্যবস্থা মানবে না একথা তারা আগেই জানিয়েছে৷ এখন ইন্ডিয়া জোটের বক্তব্য মোদি সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে নূতন ইস্যুর দিকে মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতে চাইছে৷ এই প্রক্রিয়ার দ্বারা স্বৈরাচারী মোদী সরকার রাজ্যগুলির ক্ষমতাকে আরও বেশী করে কেন্দ্রীকরণ করতে চাইছে৷ বর্তমান লোকসভা ও রাজ্যসভায় আসনের নিরিখে শাসক দল ও বিরোধী দলের যে অবস্থান তাতে এই বিল পাশ করাতে সরকারকে অনেক বেশী কাঠ খড় পোড়াতে হবে৷ এই বিল পাশ করাতে দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন প্রয়োজন৷ কিন্তু লোকসভায় শাসক জোটের সদস্য সংখ্যা ২৯৩, প্রয়োজন ৩৬২ জন সাংসদের৷ একই ভাবে রাজ্য সভায় দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন পেতে হলে ১৬৪জন সদস্যের সমর্থন দরকার৷ কিন্তু সরকারের হাতে আছে মাত্র ১১৫৷ তাই উভয় কক্ষেই শাসকদল দুই-তৃতীয়াংশ থেকে অনেক দুরে৷ এই অবস্থায় দেখার প্রয়োজন এই বিল পাশ করাতে ‘অপারেশন লোটাস’ কতদুর যায়৷

আমরা বাঙালীর কেন্দ্রীয় কমিটির সংঘটন সচিব তপোময় বিশ্বাস এক প্রেস বার্র্তয় জানান--- যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আজ আর সেই পরিস্থিতি নেই এক দেশ এক ভোট করার৷ বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন আঞ্চলিক দল ক্ষমতায়৷ স্বাধীনতার পর প্রথম এক দশক একবারই ভোট হতো৷ তখন গোটা দেশে একপ্রকার একদলেরই শাসন ছিল৷ বর্তমানে জোর করে এক দেশ এক ভোট আইন চাপিয়ে দিলে ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রে সংহতি বিপন্ন হবে৷ যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে পড়তে পারে৷ ভারতের পরিণতি শোভিয়েত ইয়ূনিয়নের মতো হতে পারে, তাই এই নীতি প্রয়োগের আগে সরকারকে অনেকবার ভাবতে হবে৷

ডিভিসির ছাড়া জলে বন্যার কবলে দক্ষিণবঙ্গ

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

 ডিভিসির ছাড়া জলে বন্যার কবলে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চল৷ হুগলী জেলার আরামবাগ, খানাকুল, হাওড়া, উদয় নারায়ণপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল সহ বাঁকুড়া, বীরভূম, বর্ধমানের বেশ কিছু অংশ প্লাবিত হয়েছে৷ সরকারী হিসেবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৪৫ লক্ষ মানুষ৷ এই সংবাদ লেখার সময় পর্যন্ত রাজ্যে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ রাজ্য ও কেন্দ্রের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধার কার্যে নেমেছে৷ এখনও পর্যন্ত ১লক্ষ ৪৪ হাজার মানুষকে প্রশাসনিক উদ্যোগে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হুগলী ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বন্যা কবলিত বেশ কিছু অঞ্চল ঘুরে দেখেন৷

মুখ্যমন্ত্রী এই বন্যার জন্যে ডিভিসিকে দায়ী করেন৷ তিনি বলেন ঝাড়খণ্ডের জলে বাঙলা ডুবছে৷ দীর্ঘ বছর নদীর পলি সরানো হচ্ছে না৷ ফলে বাঁধগুলির জল ধারণ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে৷ ডিভিসি কর্তৃপক্ষ জানায় দামোদর অববাহিকায় মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে ডিভিসি জল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে৷

পারমাণবিক কেন্দ্র তৈরী হতে পারে চাঁদের জমিতে

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

চাঁদে নিরবছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের কথা মাথায় রেখে রাশিয়া ও চিন ২০৩৫ সালের মধ্যে চাঁদের বুকে পারমাণবিক চুল্লি তৈরির পরিকল্পনা করেছে৷ আর এই অভিযানে রাশিয়ার সঙ্গে দুই যুযুধান ভারত-চিন হাত মিলিয়েছে বলে খবর৷ রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘তাস’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘রসকসমস’ এবং চিনের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘সিএনএসএ’ যৌথ উদ্যোগে চাঁদের বুকে ঘাঁটি গড়ে তুলতে আগ্রহী৷ এই অভিযানে রাশিয়া-চিনের সঙ্গে থাকবে ভারতও৷ ২০৪০ সালের মধ্যেই পৃথিবী থেকে মহাকাশচারীদের পাঠিয়ে চাঁদে গবেষণা ও অন্বেষণ চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় বন্দোবস্তের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা সেরে রাখতে চায় রাশিয়া৷ চাঁদের বুকে একটি গবেষণাকেন্দ্র চালানোর জন্য সবার আগে দরকার পড়বে বিদ্যুৎ সরবরাহের৷ চাঁদের বুকে নিজস্ব ঘাঁটি গড়ে তুলতে পারমাণবিক চুল্লির বিকল্প নেই৷ কারণ পৃথিবীর হিসাবে চাঁদে দিন থাকে টানা ১৪ দিন, আর টানা ১৪ দিন থাকে রাত৷তাই সৌরপ্যানেল বসিয়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া সম্ভব নয়৷ বিকল্প ভাবনাচিন্তা করে পারমাণবিক চুল্লি তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত থাকে৷ ‘তাস’ জানিয়েছে, রাশিয়ার পারমাণবিক শক্তি উৎপাদন সংস্থা রোসাটমের নেতৃত্বেই এই প্রকল্পের অন্য তিন দেশের সহযোগিতায় গড়ে তোলা হবে একটি পারমাণবিক কেন্দ্র৷ এই কেন্দ্রটিতে ৫০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে বলে সংস্থার প্রধান অ্যালেক্সেই লিখাচেভ জানিয়েছেন৷ চাঁদের বুকে পারমাণবিক চুল্লি গড়ে তোলা মোটেই সহজ কাজ নয়৷ তবে রাশিয়া জানিয়েছে, স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ওই কার্য সম্পাদন করা হবে৷ নির্মাণকার্যে মানুষের প্রয়োজন পড়বে না৷ আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসাও এর আগে জানিয়েছিল, কয়েক বছরের মধ্যে তারা চাঁদে পরমাণু বিদ্যুৎ তৈরির ব্যবস্থা করবে৷ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, নাসা ইতিমধ্যেই চাঁদে তাদের ২০২৫ সালের আর্টেমিস-২ মিশনের জন্য প্রস্তুত৷ তারাও ৪১ কোটি টাকা খরচ করে সম্ভাব্য পারমাণবিক কেন্দ্র কোথায় তৈরি করা সম্ভব তার গবেষণার বরাত দিয়েছে কয়েকটি সংস্থাকে৷ ২০২৬ সালের সেপ্ঢেম্বরে আর্টেমিস-৩ মিশন পাঠানো হলে নভোচারীরা চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে৷ এর পরে ২০২৮ সালে আর্টেমিস ৪-কে চাঁদে পাঠানো হবে বলে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তরফে জানা গিয়েছে৷ ২০২১ সালে চিন এবং রাশিয়া একটি চুক্তি করে৷ সেখানে ঠিক হয়, দুই দেশ পরস্পরকে তাদের মহাকাশ গবেষণায় সাহায্য করবে৷ শুধু নিজেদের ব্যবহারের জন্য নয়, বিশ্বের অন্য আগ্রহী এবং সহযোগী দেশও চাইলে ওই ঘাঁটি থেকে চাঁদের বুকে গবেষণা চালাতে পারে বলেও জানানো হয় সেই সময়৷

সুনিতাদের দীর্ঘ পাঁচ মাস অপেক্ষার দিন শুরু

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

মাস তিনেক আগে ফ্লোরিডা থেকে তাঁদের নিয়ে মহাকাশযান রওনা দিয়েছিল মহাশূন্যের উদ্দেশে৷ সেই বাহন ফিরে এসেছে পৃথিবীতে৷ কিন্তু এখনও মহাকাশেই আটকে আছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস৷ মহাকাশে তাঁর সঙ্গী আর এক আমেরিকান বুচ উইলমোর৷ পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ৪২০ কিলোমিটার উচ্চতায় আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে রয়েছেন তাঁরা৷ সেখান থেকেই সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন দুই নভশ্চর৷ প্রতিটি প্রশ্ণের উত্তরও দিয়েছেন৷ গত শুক্রবার রাতে তার সরাসরি সম্প্রচার করেছে আমেরিকান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা৷ মহাকাশে কেমন দিন কাটছে? যে যানে চড়ে গিয়েছিলেন, তা ফেরত পাঠানোর সময় কেমন অনুভূতি হল? এমনই নানা প্রশ্ণের মুখোমুখি হয়েছেন সুনীতারা৷ উইলমোর বলেন, ‘‘আমরা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে এসেছি৷ আমরা মহাকাশযানের পাইলট৷ তাই সেই যানকে খালি অবস্থায় ফেরত চলে যেতে দেখা আমাদের জন্য বেশ কঠিন৷ কিন্তু জীবন এমনই৷’’

সুনীতা বলেন, ‘‘আমরা যে পেশার সঙ্গে যুক্ত, তা এমনই অনিশ্চিত৷ আমরা আগেই আন্দাজ করেছিলাম, আমাদের পৃথিবীতে ফেরা কিছুটা পিছিয়ে যেতে পারে৷ কিন্তু আমরা ভাল আছি৷ এটাই আমাদের সবচেয়ে আনন্দের জায়গা৷ আমি মহাকাশে থাকতেই ভালবাসি৷’’

গত ৫ জুন ফ্লোরিডা থেকে সুনীতাদের নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিল বোয়িং স্টারলাইনার৷ গন্তব্য ছিল মহাকাশে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন৷ আট দিন পরেই সেখান থেকে একই যানে চড়ে তাঁদের পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা ছিল৷ কিন্তু মহাকাশযানটিতে ত্রুটি ধরা পড়ে৷ তার ভিতরে হিলিয়াম গ্যাস লিক করছিল৷ নাসা জানায়, এই অবস্থায় ওই যানে চড়ে পৃথিবীতে ফেরা সুনীতাদের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে৷ তার পর আমেরিকান সংস্থাটি সিদ্ধান্ত নেয়, আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মহাকাশেই থাকবেন দুই নভশ্চর৷ তাঁদের আরও কিছু কাজ দেওয়া হয়৷ ফেব্রুয়ারিতে মহাকাশে সুনীতাদের আনতে যাবে ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেস এক্সের বিশেষ মহাকাশযান৷ আট দিনের সফরের মেয়াদ আট মাস হয়ে যাওয়ায় বাকি সময়ে মহাকাশে নানা গবেষণার কাজ চালাবেন সুনীতারা৷ কিছু দিন আগে ত্রুটিপূর্ণ বোয়িং স্টারলাইনারটিকে তারা পৃথিবীতে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছেন৷ এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে সুনীতারা একা নন, আছেন মোট ১২ জন মহাকাশচারী৷ কিছু দিন আগেই একটি মহাকাশযানে পৌঁছেছেন দু’জন রাশিয়ান এবং এক জন আমেরিকান৷ চলতি মাসে আরও দু’জনের স্পেস স্টেশনে যাওয়ার কথা৷

চুঁচুড়ায় দুঃস্থদের মধ্যে আহার্য প্রদান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ৩০শে আগষ্ট চুঁচুড়া আনন্দমার্গ ত্রাণ শাখার পক্ষ থেকে এলাকার কয়েকটি স্থানে কিছু দুঃস্থ মানুষদের মধ্যে আহার্য প্রদান করা হয়৷ আনন্দমার্গের প্রবীন সাধক স্নেহময় দত্ত তাঁর প্রয়াত স্ত্রী কৃষ্ণা দত্তের স্মরণে নিজ উদ্যোগে এই ব্যবস্থা করেন৷ আহার্য প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মার্গের কর্মী মানস মণ্ডল, রঞ্জন দে ও মিতালী সানা৷

উত্তরপ্রদেশের একাধিক প্রান্তে শিয়ালের উপদ্রব

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

উত্তরপ্রদেশের বহরাইচে মানুষখেকো নেকড়ের হামলার পর থেকেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মনে৷ এরই মধ্যে আবার শিয়ালের হানা৷ এ বারও সেই উত্তরপ্রদেশেই৷ শনিবার উত্তরপ্রদেশের পিলভিট জেলার দু’টি গ্রামে শিয়ালের হানায় অন্তত সাত জন জখম হয়েছেন৷ জখমদের মধ্যে রয়েছে দুই শিশুও৷ প্রাথমিক ভাবে গ্রামবাসীরা সন্দেহ করেছিলেন নেকড়ের হানা৷ তবে পরে বন দফতরের তরফে জানানো হয়, সেগুলি নেকড়ে ছিল না৷ পার্শবর্তী বনাঞ্চল থেকে শিয়াল প্রবেশ করেছিল গ্রামে৷ পিলভিট জেলার জেহানাবাদ থানার অন্তর্গত দু’টি গ্রামে তাণ্ডব চালায় শিয়াল৷ শিয়ালের কামড়ে জখম হয় দুই শিশু এক জনের বয়স তিন বছর, অপর জনের ন’বছর৷ এ ছাড়া আরও পাঁচ জনকে জখম করে ওই শিয়াল৷ জখমদের উদ্ধার করে দ্রুত পাঠানো হয় নিকটবর্তী হাসপাতালে৷ শনিবারের ঘটনা প্রসঙ্গে বিভাগীয় বন আধিকারিক মণীশ সিংহ জানিয়েছেন, প্রথমে গ্রামবাসীরা দাবি করছিলেন নেকড়ে হামলা চালিয়েছে৷ তবে এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি৷ পরে বিষয়টি খতিয়ে দেখে বনকর্মীরা নিশ্চিত হয়েছেন শিয়ালের হামলা ছিল৷ শনিবারের এই ঘটনার পর বন দফতর আরও সজাগ রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷ গত শনিবারই উত্তরপ্রদেশের অম্বেডকর নগর জেলাতেও পৃথক একটি ঘটনায় শিয়ালের হামলায় তিন জন জখম হয়েছেন৷ তাঁদেরও নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে চিকিৎসার জন্য৷ মূলত খাবারের সন্ধানেই বনাঞ্চল ছেড়ে লোকালয়ে শিয়াল প্রবেশ করছে বলে মত বন আধিকারিকদের৷

উল্লেখ্য, বহরাইচের ঘটনার পর থেকে উত্তরপ্রদেশ তো বটেই, এমনকি মধ্যপ্রদেশেও মানুষখেকোর আতঙ্ক ছড়িয়েছে৷ শুক্রবার রাতে মধ্যপ্রদেশের খান্দওয়া জেলায় নেকড়ের হামলায় জখম হয়েছেন পাঁচ জন৷ পার্শবর্তী গ্রামগুলিতেও ছড়িয়েছে আতঙ্কের বাতাবরণ৷ পরিস্থিতি যে জায়গায় পৌঁছেছে, তাতে নেকড়ে ভেবে সারমেয়দের হত্যার ঘটনাও প্রকাশ্যে এসেছে বহরাইচ থেকে৷

বৃষ্টিতে ভাসছে হিমাচল

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল৷ আগামী দিনে আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর৷ সেই সঙ্গে সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়েছে হড়পা বানের৷ রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, বৃষ্টির জেরে শিমলা-সহ রাজ্যের ৬০টি রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷

তার মধ্যে মান্ডিতে বন্ধ ৩১টি রাস্তা৷ শিমলায় ১৩, কাংড়ায় ১০, কিন্নৌরে ৪, কুলুতে ২, উনা, সিরমৌর, লাহুল ও স্পিতিতে একটি করে রাস্তা বন্ধ৷ রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর জানিয়েছে, কিন্নৌর জেলায় নেগুলসারির কাছে ৫ নম্বর জাতীয় সড়র বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷ ১১টি বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং একটি জল সরবরাহ কেন্দ্র বৃষ্টির জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷ ফলে বিদ্যুৎ এবং জল সরবরাহে প্রভাব পড়েছে৷

গত শনিবার রাজ্যের বেশির ভাগ জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে৷ উনাতে বৃষ্টি হয়েছে ৪৮ মিলিমিটার, কুরফিতে ১৯ মিমি, সাংলায় ১৭, জুববারহাট্টিতে ১৫, মান্ডিতে ১৫, কল্পতে ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে৷ বর্ষার মরসুর শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ২১ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে রাজ্যে৷ সাধারণত এই মরসুমে ৬৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়৷ সেখানে এ বার ৫২২ মিলমিটার বৃষ্টি হয়েছে৷ গত ২৭ জুন থেকে ৭ সেপ্ঢেম্বর পর্যন্ত ১৫৮ বৃষ্টি এবং ধসে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১৫৮ জনের৷

আমরা বাঙালীর জেলা সম্মেলন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

৮ই সেপ্ঢেম্বর,রবিবার শতাধিক সদস্য-সদস্যাদের উপস্থিতিতে পুরুলিয়া শহরের ‘জ্রাগত রাঢ় ভবনে’ আমরা বাঙালী সংগঠনের পুরুলিয়া জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল৷ এই সম্মেলনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সচিব তপোময় বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় সহ সচিব সুশীল কুমার মাহাতো, কেন্দ্রীয় পঞ্চশাখা সচিব নাগেশ্বর মাহাতো, প্রাউট ভুক্তিপ্রধান মকর মাহাতো৷ এদিনের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আমরা বাঙালী-র প্রবীণ নেতা তথা বিশিষ্ট প্রাউটিস্ট প্রফুল্ল মাহাতো৷ ১৬জন সদস্য-সদস্যা বিশিষ্ট পুরুলিয়া জেলা কমিটি গঠন হয়৷ লক্ষীকান্ত মাহাতো পুরুলিয়া জেলা সচিব নির্বাচিত হন৷ শেষে সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এই সম্মেলনের আহ্বায়ক তথা রাঢ় সাংগঠনিক সচিব সুধীর মাহাতো৷

আমরা বাঙালী ত্রিপুরা রাজ্য সম্মেলন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

আমরা বাঙালী সংঘটনের ত্রিপুরা রাজ্যসচিব শ্রীগৌরাঙ্গরুদ্র পাল এক প্রেস বার্র্তয় জানান আগামী ২১,২২শে সেপ্ঢেম্বর ত্রিপুরা রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আগরতলা রাজ্য কার্যালয়ে৷ এই সম্মেলনে রাজ্যের প্রতিটি ব্লকের সক্রিয় কর্মীরা অংশগ্রহণ করবেন৷ ২১শে সেপ্ঢেম্বর সম্মেলন উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সাংঘটনিক পর্যালোচনা ও বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও দলের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হবে৷ ২২শে সেপ্ঢেম্বর সাংঘটনিক নির্বাচন ও দলের কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে৷

ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্র কাঠামোর স্তম্ভ অপরাধী - সমাজ অপরাধ মুক্ত হয় না

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রীপ্রভাত খাঁ বলেন---এ কেমন স্বাধীন দেশের নাগরিক আমরা! যেখানে মাতৃজাতির নিরাপত্তা থাকে না, সম্মান থাকে না৷ আর.জি.কর ঘটনা প্রসঙ্গে শ্রী খাঁ বলেন যেখানে নিয়োগ পদ্ধতি থেকে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা সবকিছুই ত্রুটিপূর্ণ৷ হাসপাতালের একটা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যেখানে রাতে মহিলা ডাক্তার বিশ্রাম নেয়, সেখানে মহিলা নিরাপত্তা কর্মী রাখা উচিত ছিল৷

তাছাড়া অপরাধী হিসাবে যাকে ধরা হয়েছে তাকে নিয়োগের আগে তার সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু অনুসন্ধানই করা হয়নি৷ শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি স্বাস্থ্য দপ্তরেও যে ঘুঘুর বাসা তৈরী হয়েছে তা মুখ্যমন্ত্রীর অজানা থাকার কথা নয়, কারণ তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রীও৷ স্বাস্থ্য দপ্তরের উন্নতির দিকে যতটা নজর দিয়েছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের দুর্নীতির আখড়া ভাঙতে ততটাই অবহেলা করেছেন৷

শ্রীখাঁ বলেন তবে রাজনৈতিক গণতন্ত্রে ও ধনতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় দুর্নীতি, অপরাধ থাকবেই৷ যুব সমাজকে অপরাধ জগতের দিকে ঠেলে দিয়ে অবাধ শোষণের রাস্তা খোলা রাখতে চায় পুঁজিপতিরা৷ যাতে ছাত্র ও যুব সমাজ শোষণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়৷ নানা অপরাধ ও ভাবাবেগে মাতিয়ে রেখে শোষণ চালিয়ে যেতে চায় পুঁজিপতিরা৷ রাজনৈতিক দলগুলো একাজে পুঁজিপতিদের দোসর৷ পুঁজিপতিরা অশ্লীল হীনরুচির সাহিত্য চলচিত্র গানের মাধ্যমে যুব সমাজের দৃষ্টি নীচতার দিকে ঠেলে দেয়, আর রাজনৈতিক নেতারা নির্বাচনে জিততে নানা অসদ উপায় অবলম্বন করে ছাত্র যুব সমাজের মাধ্যমেই৷ এই ব্যবস্থা যতদিন চালু থাকবে আর.জি.কর কাণ্ডের অপরাধীর কঠোর সাজা দিলেও সমাজ অপরাধমুক্ত হবে না৷ শোষণ ও অপরাধ মুক্ত সমাজ গড়তে হলে শিক্ষা ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনতে হবে৷ ৭৭ বছর ধরে শাসক দলগুলি ছাত্র-ছাত্রাদের পলিটিক্যাল ডল বানাবার ছাঁচ তৈরী করেছে শিক্ষা ব্যবস্থায়৷ পুঁজিবাদ নিয়ন্ত্রিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থায়ও সীমাহীন বৈষম্য ছাত্র-যুব সমাজকে অপরাধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে৷

শ্রী খাঁ বলেন শুধু অপরাধীর শাস্তি দিলেই হবে না, সমাজকে বদলাতে হবে৷ শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এনে প্রাথমিক স্তর থেকেই নৈতিক শিক্ষায় অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কার মুক্ত আধ্যাত্মিক অনুশীলনে গুরুত্ব দিতে হবে৷ অর্থনীতির খোল নলচে পাল্টে প্রাউট প্রবর্তিত বিকেন্দ্রিত আর্থিক ব্যবস্থার প্রচলন করে প্রতিটি মানুষের হাতে ক্রয় ক্ষমতা দিতে হবে৷ তবেই সম্ভব হবে আদর্শ সমাজ ঘটন করা৷