খাঁচার পাখি
খাঁচার পাখি খাঁচার পাখি
কেন খাঁচায় থাকো?
ছটফটিয়ে মাঝে মাঝেই
কাদের তুমি ডাকো?
বন্ধু তুমি, তাইতো তোমায়
দারুণ ভালো লাগে,
সুযোগ পেলেই উড়িয়ে দেবো
মুক্ত হয়ে যাবে৷
খাঁচার পাখি খাঁচার পাখি
কেন খাঁচায় থাকো?
ছটফটিয়ে মাঝে মাঝেই
কাদের তুমি ডাকো?
বন্ধু তুমি, তাইতো তোমায়
দারুণ ভালো লাগে,
সুযোগ পেলেই উড়িয়ে দেবো
মুক্ত হয়ে যাবে৷
৩০শে এপ্রিল বিজন সেতু
তখন হয়েছে সকাল৷
জড়বাদী দানবের অস্ত্রাঘাতে
জনপদ হ’ল লালে লাল৷৷
এক এক করে হায় সতেরো জনের
বিজন সেতুর সন্ন্যাসী হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে আনন্দমার্গের জনসংযোগ সচিব আচার্য রবীশানন্দ অবধূত এক প্রেস বিবৃতিতে বলেন, ১৯৮২ সালের ৩০শে এপ্রিল কলকাতার বিজন সেতু ও বণ্ডেল গেট এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে পিটিয়ে, ধারালো অস্ত্র
গত ১লা বৈশাখ বাঙলা নববর্ষের দিনে শ্রদ্ধেয় প্রভাতরঞ্জন সরকারের ‘বাঙলা ও বাঙালী’ পুস্তকের ‘বাঙলার নববর্ষ’ প্রবন্ধটি (৪ঠা এপ্রিল ১৯৮০ প্রদত্ত) পড়তে পড়তে এক জায়গায় চোখ আটকে গেল৷ অনেক মূল্যবান কথা বলার পর শেষের দিকে তিনি বলেছেন---‘‘আজ নতুন করে শপথ নিতে হবে---এই নতুন বছরটা তারা কীভাবে সফল করে তুলবে
সকল গতিই সঙ্কোচ-বিকাশী৷ শক্তি সম্প্রয়োগের দ্বারা সঙ্কোচকে আরো সঙ্কুচিত করে দিলে পরবর্তী বিকাশে উল্লম্ফন দেখা দেয়৷ এই উল্লম্ফিত বিকাশের ফলে সৃষ্ট ক্রান্তিকে বিপ্লব লাই সঙ্গত৷ ঠিক তেমনি শক্তি সম্প্রয়োগের দ্বারা বিকাশকে দীর্ঘায়িত করে দিলে পরবর্তী সঙ্কোচে অধিক পরিমাণ ঝিমুনি দেখা দেয়৷
প্রকৃত অধ্যাত্মদর্শনই বিশ্বসমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ৷ সে বিচারে আনন্দমার্গের আদর্শকে লতে পারি স্পর্শমণি৷ কবি কল্পনার স্পর্শমণি যেমন স কিছুকেই সোণায় পরিণত করে দেয় আনন্দমার্গের দর্শনও ঠিক তেমনি যে সমস্যার ওপরেই প্রয়োগ করা হোক না কেন ন্যায়-ধর্মসম্মত সদুত্তর সে অবশ্যই বের করে দেয়৷
মানুষের ক্ষুধা অনন্ত৷ এই অনন্ত ক্ষুধাকে সে যদি জাগতিক ভোগ্য বস্তুর দিকে ছুটিয়ে দেয় তাহলে মানুষে-মানুষে সংঘর্ষ বাধবেই৷ কারণ জাগতিক সম্পদ সীমিত৷ একজনের প্রাচুর্য ঘটলে অন্যের অভাব দেখা দেবে৷ মানুষের এই ক্ষুধা মানস তথা অধ্যাত্ম সম্পদেই মেটাতেই হবে৷ ব্রহ্ম অকৃপণভাবে অনন্ত মানস তথা অধ্যাত্ম সম্পদ মানুষের সামনে সাজিয়ে রেখেছেন৷ মানুষকে
১৯৮২ সালের ৩০শে এপ্রিল৷ গত কয়েক শতাব্দীর ইতিহাসে বোধকরি সবচেয়ে পৈশাচিকতম ঘটনা ঘটে গেল আজকের সভ্যতার পীঠভূমি কলকাতার বিজন সেতু ও বণ্ডেল গেটের মত জনাকীর্ণ এলাকায়৷ প্রকাশ্য দিবালোকে৷ আনন্দমার্গের ১৬জন সন্ন্যাসী ও ১জন সন্ন্যাসিনীকে বর্ণনার অতীত নৃশংসতম ভাবে খুন করল তৎকালীন শাসকদল সিপিএম’এর গুণ্ডাবাহিনী৷ পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করল৷ স্পষ্টই বোঝা যায় এই হত্যার ষড়যন্ত্র একেবারে ওপর মহল থেকেই করা হয়েছিল৷
১৯৮২ সালের ৩০শে এপ্রিল৷ তখন সবেমাত্র আকাশ আলো করে পূর্ব দিগন্তে উঁকি দিচ্ছে সূর্য, আনন্দমার্গের আসা–যাওয়ার পথের ধারে ওৎ পেতে বসেছিল সিপিএমের হিংস্র হার্মাদ বাহিনী, ঠিক যেন হিংস্র হায়নার দল৷ আনন্দমার্গের বেশ কিছু সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনী কয়েকটি ট্যাক্সিতে করে হাওড়া থেকে তিলজলা আশ্রমে যাচ্ছিলেন৷ বণ্ডেল গেট ও বালিগঞ্জের বিজন সেতু দিয়েই তিলজলা আশ্রমে যাওয়ার রাস্তা৷ ওই এলাকায় যেই ট্যাক্সিগুলো পৌঁছলো অমন
বর্ধমান জেলার ভাতার ও মঙ্গলকোটে দু’জন কর্ষক কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতি ও পাওনাদারদের চাপের ফলে হতাশ হয়ে আত্মহত্যা করেছেন৷