October 2017

খেজুর / খেজুরের তাজা রস/ খেজুর গুড়

তালীবর্গের অন্যতম গাছ হচ্ছে খেজুর৷ সংসৃক্ত ‘খর্জুর’ শব্দ থেকে ৰাংলায় তদ্ভব ‘খাজুর’ বা ‘খেজুর’ এসেছে৷ খেজুর গাছের সঙ্গে ভারত ও মধ্য এশিয়ার লোকেরা দীর্ঘকাল ধরেই পরিচিত৷ ভারতীয় বা ইন্ডিকা বর্গীয় খেজুরের মোটামুটি চারটি শাখা আছে–১) গাঙ্গেয় (গ্যাঞ্জেলাইটিস), ২) রাজস্থানী, ৩) গুজরাতী, ৪) দক্ষিণী (ডেকানাইটিস)৷ এদের মধ্যে স্বাদে–গুণে গুজরাতী খেজুর সর্বোৎকৃষ্ট৷ রাজস্থানী খেজুরও উন্নত মানের৷ দক্ষিণী খেজুর সাধারণ মানের৷ আর গাঙ্গেয় খেজুরের শাঁস বলতে কিছুই নেই৷ কিন্তু এই গ্যাঞ্জেলাইটিস্ প্রজাতির খেজুরের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে গাছগুলো একেবারে রসে টইটম্বুর৷ এই গাছগুলি থেকে প্রচুর পরিমাণে রস ও তাড়ি (শুদ্ধ বৈয়াকরণি

ঈশ্বরের ইচ্ছায় সব কিছু হয়

বিভাংশু মাইতি

ঈশ্বরের ইচ্ছায় সব কিছু হয়

                ফুল ফোটে পাখী গায়,

                                রাত ভোর হয়৷

                শিশু কাঁদে রবি হাসে

                                মধু বায়ু বয়

ঈশ্বরের ইচ্ছায় সব কিছু হয়৷

                *    *    *

প্রভু তোমায় রাখবো ধরে মনে

খেলা–ধূলা পড়াশুনায়

সব কাজে সব–খানে

ঈশ্বর তোমায় রাখবো ধরে মনে৷

সকাল বেলায় ঘুম ভাঙলে

ধরবো তোমায় মনে

রাতের বেলায় ঘুমিয়ে যাব

ওই রাঙা চরণে

ভুলবো না কখনো তোমায়

রাতে কিংবা দিনে

যাযাবর

পথিক

আমি যাযাবর, আমি পথে পথে ঘুরি

                বাধি নাই কভু ঘর

রাতের তারার মত যাত্রা অবিরত

লক্ষ্য মোর ভৌগোলিক সীমার বাহিরে

কোন এক অবজ্ঞাত স্বর্গের দুয়ারে৷

পথে মোর তপ্ত মরুভূ,

মাথার ওপরে সেও ছন্নছাড়া আকাশের ধু–ধু৷

অনেক পর্বত আমি এসেছি ডিঙিয়ে–

আরও যাব বীরব্রত নিয়ে,

আসুক সহস্র বাধা রাতি,

অন্তরে জ্বলিছে মোর অনির্বান জ্যোতি৷

সুখ? সুখে মোর নাহি প্রয়োজন,

ও থাক অন্যের তরে থাক সর্বক্ষণ,

ওরা থাক সুখে, গতির আনন্দ মোর বুকে

গতির আবেশে থাকে যখন নর্তকী

তখনই তো রিনিকি–ঝিনিকি৷

মহাপ্রয়াণ

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

একুশে অক্টোবর ১৯৯০---তোমার মহাপ্রয়াণ৷

চোখে অবিরাম অশ্রুধারা, অব্যক্ত যন্ত্রণায় দগ্দ পরাণ৷

স্তব্ধ বৃক্ষলতা, মূক পশুপাখী, চঞ্চল শিশু সহসা গম্ভীর

আকাশে বাতাসে বিষাদের বাঁশী উত্তাল অম্বুধি হ’ল ধীরস্থির

অনিন্দ্য সুন্দর পার্থিব দেহ পঞ্চভূতে হয়েছে বিলীন

ভূবন-ভোলানো তোমার মধুর হাসি স্মৃতিপটে চির অমলিন

কাঁদায়ে সকলে তুমি চলে গেলে, ‘অজানা পথিক’ কোন্ সে অচিনপুরে

নোতুন পৃথিবী গড়ার আশ্বাস সদা-প্রোজ্জ্বল সমগ্র চরাচরে

হৃদয়তন্ত্রীতে সততঃ শুণি তোমার সুরের ঝঙ্কার

মহাবিশ্বে মন্দ্রিত অব্যয় অমৃত প্রণব-ওঁঙ্কার

অনুধর্ব ১৭ বিশ্বকাপ আয়োজন করে  ভারতের কিছু পাওয়া ও  কিছু না পাওয়া

২০১৭ সালে অনুর্ধ-১৭ বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক দেশ ভারত৷ এখন পুরোদমে বিশ্বকাপ জ্বরে আক্রান্ত ভীরতীয় ফুটবল রসিকরা৷ প্রশংসা অবশ্যই প্রাপ্য ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের---এই ধরণের আসর ভারতে করতে পারার জন্যে৷ ভারত আয়োজন দেশ বলেই সরাসরি মূলপর্বে খেলার সুযোগ পেয়েছে৷