April 2018

আধ্যাত্মিক প্রগতির তিনটি স্তর

কাল বলেছিলুম যে, মানুষ কোন অবস্থাতেই পশু হতে পারে না৷ ঈশ্বরসৃষ্ট বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যে একটা শাখা হ’ল মানুষ, একটা হ’ল উদ্ভিদ, আর একটা হ’ল পশু৷ পশুর মধ্যেও আবার স্তরবিন্যাস আছে, উদ্ভিদের মধ্যেও স্তরবিন্যাস আছে৷ সব উদ্ভিদ সমান নয়৷ সব পশুও সমান নয়৷ আবার মানুষেরও  স্তরবিন্যাস আছে৷

‘‘সর্বে চ পশবঃ সন্তি তলবদ্ ভূতলে নরাঃ৷

তেষাং জ্ঞান প্রকাশায় বীরভাবঃ প্রকাশিতঃ

বীরভাবং সদা প্রাপ্য ক্রমেণ দেবতা ভবেৎ৷৷’’

সম-সমাজ তত্ত্ব 

চলা জগতের ধর্ম৷ চলে চলেছে বলেই  এই পৃথিবীর নাম জগৎ৷ ‘গম’ ধাতুর উত্তর ক্কিপ্ প্রত্যয় করে ‘জগৎ’ শব্দ নিষ্পন্ন যার মানে হ’ল--- চলা যার  স্বভাব৷ ব্যষ্টিগত জীবনে যেমন চলতে হয়, সমষ্টিগত তথা সামুহিক জীবনেও তেমনি চলতে হয়৷ কিন্তু এই যে চলা, এই চলার জন্যে তিনটে জিনিসের প্রয়োজন আছে৷ একটা হচ্ছে--- চলার জন্যে একটা সম্প্রেষণ, পেছন থেকে একটা ধাক্কা যখন চলাটা বন্ধ হয় তখন ধাক্কা দিয়ে বলতে হয় চল্, চলতে হবে৷ দ্বিতীয়তঃ নিজে যে চলবে  তার চলবার সামর্থ্য থাকা অর্র্থৎ চলার উপযুক্ত রসদ তার থাকা চাই৷  নইলে সে চলবে কী করে? আর তৃতীয়ত হচ্ছে ঃ চলছে  একটা লক্ষ্যের দিকে৷ এই তিনটে জিনিস চাই৷

আনন্দপূর্ণিমার পুণ্য তিথি স্মরণে সর্বাঙ্গসুন্দর আদর্শ সমাজ গড়ার সংকল্প নিন

অাচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

আগামী ২৯শে এপ্রিল বৈশাখী পূর্ণিমা প্রাউট–প্রবক্তা শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার, যিনি ধর্মগুরু মহাসম্ভূতি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী নামে বিশ্ববাসীর কাছে সমধিক পরিচিত–তাঁর শুভ ৯৮ তম আবির্ভাব তিথি৷ সারা বিশ্বের আনন্দমার্গীদের কাছে এই বৈশাখী পূর্ণিমা আনন্দপূর্ণিমা রূপে পরিচিত৷ এই পুণ্য তিথিতে মহাসমারোহে সর্বত্র মার্গগুরুদেবের ৯৮ তম জন্ম জয়ন্তী পালন করা হচ্ছে৷

তিরিশে এপ্রিলের নারকীয় হত্যাকাণ্ড কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

পৃথিবীর ইতিহাসে দেখা গেছে যখনই মানুষের সার্বিক কল্যাণে কেউ এগিয়ে এসেছে তখনই স্বার্থান্বেষী কায়েমী শক্তি তার বিরুদ্ধাচরণ করেছে ও ক্ষুদ্র স্বার্থের যূপকাষ্ঠে  বৃহত্তর স্বার্থের বলিদানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে৷ গৌতম বুদ্ধ, যীশুখ্রীষ্ট, সক্রেটিস, রামমোহন, বিদ্যাসাগর, নেতাজী সুভাষচন্দ্র সকলকেই ভিন্ন ভিন্ন পরিসরে এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর কালে প্রবলের অত্যাচারে দুর্বল যখন চরম উৎপীড়িত, সাম্রাজ্যবাদী ও ঔপনিবেশিক শক্তির কশাঘাতে পরাধীন রাষ্ট্রগুলির মানুষজনের ওপর নির্যাতনের বিভীষিকা, একদিকে বৈশ্যতান্ত্রিক পুঁজিবাদের শোষণ আর অপরদিকে জড়বাদের জোড়া ফলায় সাধারণ মানুষের প্রা

বার্ণ স্ট্যাণ্ডার্ডের মত কারখানাগুলিকে বাঁচিয়ে রাখতে রাজ্য সরকার, শ্রমিক ও জনগণ সজাগ হোন

প্রভাত খাঁ

একি ধরণের গণতন্ত্র! একি ধরণের জনসেবা! কেন্দ্রীয় সরকার তো আর্থিক দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গকে শ্মশানে পরিণত করার কাজে অতীতের সকল সরকারকে ছাপিয়ে গেছেন! ভারত বিখ্যাত বার্ণ স্টণ্ডার্ড কারখানাকে বন্ধের নোটিশ জারী করা হয়েছে৷ কারখানার সি এম ডি মহম্মদ আজাদ কারখানায় বন্ধের নোটিশ টাঙিয়ে দিয়েছেন৷ শ্রমিকগণ এই কাজে অত্যন্ত অসন্তুষ্ট ও ক্ষুব্ধ৷ বর্তমানে চরম আর্থিক মন্দার বাজারে শ্রমিকরা অত্যন্ত দিশেহারা হয়ে পড়েছেন৷

প্রাউট ও আনন্দপূর্ণিমা 

সুকুমার সরকার

ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নগররাষ্ট্রের অবসানের  পর আজ বড় বড় রাষ্ট্র, দেশ, মহাদেশের সৃষ্টি হয়েছে৷ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গোষ্ঠীগোত্রের অবসানের  পর আজ বড় বড় রিলিজিয়নের সৃষ্টি হয়েছে৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত ‘এক পৃথিবী’  ‘এক মানবধর্ম’ ‘এক মানবসমাজ’ -এর ধারণা গড়ে উঠেনি৷ ফলে পৃথিবী নামক গ্রহে  মানব প্রজাতি তার কাঙ্ক্ষিত সুখ শান্তির  মধ্য দিয়ে পরমানন্দ লাভ করতে পারেনি৷ এখনও পর্যন্ত  মানবসমাজ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গোষ্ঠী-গোত্রের লড়াই থেকে বেরিয়ে আসতে পারে নি৷ আজকের এই একুশ শতকের পৃথিবীতে আর্থ-সামাজিক যতগুলি সমস্যা আছে তার মূলে আছে এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রচিন্তা, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গোষ্ঠী-গোত্র বিভাজন৷

পত্নী/জায়া/ভার্যা/কলত্র

(মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার তাঁর শব্দ চয়নিকা–২৬ খণ্ড গ্রন্থের বিভিন্ন স্থানে ‘নারীর মর্যাদা’ বিষয়ক অনেক কিছুই বলেছেন৷ ওই গ্রন্থ থেকে কিছু অংশ সংকলিত করে প্রকাশ করা হচ্ছে৷                 –সম্পাদক)

অনিদ্রা থেকে বাঁচবার উপায়

–ডাক্তারবাবু

মানসিক টেনশন থেকে অনিদ্রা রোগ জন্মায়৷ ঘুমোতে যাওয়ার আগে কিছুক্ষণ ধ্যান করুন৷ উপকার পাবেন৷   

  • ব্রাহ্মী শাক ১০ গ্রাম ২ কাপ জলে সিদ্ধ করে ১ কাপ হ’লে নামিয়ে ছেঁকে নিয়মিত খেলে অনিদ্রা রোগ সেরে যাবে৷    
  • শুষণি শাক ২৫ গ্রাম ৪ কাপ জলে সিদ্ধ করে ২ কাপ হ’লে ওই জল ছেঁকে ১ কাপ দুধ দিয়ে নিয়মিত সন্ধ্যেবেলা খাওয়া উচিত৷ এটি অনিদ্রা রোগে বিশেষ ফলপ্রদ৷
  • ঘুম কম হ’লে ভাত খাবার পর ১ গ্লাস দুধ খেলে ভাল ঘুম হয়৷
  • মাথায় ভাল করে নারকেল তেল মেখে ঠাণ্ডা জলে স্নান করা উচিত৷

 

শ্রীচরণে

বিভাংশু মাইতি

আমার মনের বনে ফুটে ওঠা

ভাব-ভাবনার ফুলগুলি,

ভক্তিভরে তোমার পায়ে

দিলুম আমি অঞ্জলি৷

আমার চিদাকাশে জেগে ওঠা

রামধনুর ওই রঙগুলি

সযতনে রাঙিয়ে দিলুম

ওই আলতা-বরণ পা-গুলি৷

শক্তিভক্তি, বুদ্ধি-বিবেক

যা কিছু মোর ঘরে আছে

সযতনে সঁপে দিলুম

সেই চরণের কাছে৷

সব কিছু মোর নিঃশেষে নাও

গ্রহণ কর মোরে

সেই চরণে ঠাঁই যেন পাই

জন্ম জন্মান্তরে৷