January 2019

ক্রোধ হৃদরোগ বৃদ্ধি করে

পি.এন.এ.

ক্রোধের কারণে হৃদ্রোগের সম্ভাবনা তিনগুন বৃদ্ধি পায়৷ যাঁরা  কথায় কথায়  চট করে রেগে যান, ৫৫ বছর বয়স  হওয়ার আগেই  তাদের  হৃদরোগের ঝঁুকি স্বাভাবিক আচরণকারীদের তুলনায় বেশী৷ এমনকি  রাগান্বিত হওয়ার দুই  ঘন্টার মধ্যেই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ায় আশঙ্কাও দ্বিগুণ থাকে৷ উপরিউক্ত অভিমত দিয়েছেন আমেরিকার বিখ্যাত জন হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক৷

তৃণমূল থেকে দুই সাংসদের পদত্যাগ

বিষ্ণুপুরের তৃণমূল সাংসদ সৌমিত্র খাঁ তৃণমূল ছেড়ে গত ৯ই জানুয়ারী বিজেপিতে যোগ দিলেন৷ সাংবাদিক সম্মেলনে  সৌমিত্র খাঁ এই ঘোষণা করেন৷ তাঁর  অভিযোগ, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে  গণতন্ত্র বলে কিছু নেই৷ পিসি-ভাইপো দল চালাচ্ছে৷ তাই আমি  বিজেপি-তে যোগদান করছি৷’’

অন্যদিকে, বীরভূম জেলার তৃণমূল সাংসদ অনুপম হাজরাও তৃণমূল ত্যাগ করলেন৷ তবে তিনি  এখনও  অন্য কোনো দলে  যোগদানের কথা ঘোষণা করেন নি৷ তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ,ওই দু’জন দীর্ঘদিন থেকে সংঘটনের কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত নয়৷ সংঘটনের বিরুদ্ধেও নানা কিছু বলেছেন৷ তাই তাঁদের বহিষ্কার করা হয়েছে৷

শিশুদের সর্দি–কাশিতে আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচাতে অভিভাবকদের করণীয়

ডাঃ আলমগীর

সর্দি–কাশি কেন হয়? সর্দি–কাশি কেন হয় তা জানতে হলে প্রথমেই কয়েকটি বিষয় জানা প্রয়োজন৷ বিশেষ করে বংশগত ধারা, অ্যালার্জি ও ঋতু পরিবর্ত্তন উল্লেখযোগ্য কারণ৷

নবজাতকদের জন্যে বাড়তি সর্তকতা

ডাঃ আলমগীর

নবজাতকের জন্যে বাড়তি সর্তকতার প্রয়োজন৷ এমনিতে নবজাতকের জন্যে অনেক আয়োজন থাকে৷ সে থাকলেও তার জন্যে বাড়তি যত্নের প্রয়োজন৷ প্রথমতঃ নবজাতককে নিয়ে বাইরে বেশী ঘোরাঘুরি করা উচিত নয়৷ এই ঋতু পরিবর্তনের সময় বেশী ঘোরাঘুরি করলে নবজাতক ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হতে পারে৷ তা থেকে নিউমোনিয়া পর্যন্ত হতে পারে৷ তাই নবজাতকের জন্যে কি ধরনের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন সে সম্বন্ধে শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা যা বলে থাকেন সে সম্বন্ধে কিছু আলোচনা করা হ’ল–

পণপ্রথা ও বিবাহ

পণপ্রথা সামাজিক অবিচারের আরেকটি জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত৷ ‘‘মানুষের সমাজ’’ পুস্তকটিতে বলেছি এই পণপ্রথার কারণ মুখ্যতঃ দু’টি–একটি অর্থনৈতিক ও অপরটি নারী–পুরুষের সংখ্যাগত তারতম্য৷ আর্থিক ব্যাপারে নারীর পুরুষ নির্ভরশীলতা কমে যাবার সঙ্গে সঙ্গে অথবা দেশ বিশেষে পুরুষের নারী নির্ভরশীলতা কমে যাবার সাথে সাথে পণপ্রথার উগ্রতা থাকবে না বটে কিন্তু এই কার্যকে ত্বরান্বিত করবার জন্যে তরুণ–তরুণীদের মধ্যে উন্নত আদর্শবাদ প্রচারেরও প্রয়োজন রয়েছে৷ আমাদের ছেলেমেয়েরা চাল, ডাল, নুন, তেল বা গোরু, ছাগল নয় যে তাদের নিয়ে হাটবাজারে দর কষাকষি চলবে৷    (আজকের সমস্যা) 

                        ণ্ণ     ণ্ণ     ণ্ণ

নেতাজীর প্রতি

শ্রীপথিক

    নেতাজী,

    তুমি আমাদের বলেছিলে

         রক্ত দাও, স্বাধীনতা দেব৷

    আমরা বলেছিলুম রক্ত নয়

         বিনা রক্তেই স্বাধীনতা পাব৷

    অত্যাচারীর হূদয়ের পরিবর্তন হবে,

    ওরা নিজেরাই যেচে স্বাধীনতা দেবে৷

 

    স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি

    তবুও রক্ত তো আমাদের দিতেই হচ্ছে

    গ্রামে গঞ্জে শহরে নগরে

    কিন্তু সে রক্ত তোমার চাওয়া

    গাা লাল রক্ত নয়,

    এ রক্ত বিশ্বাসঘাতকের নীল রক্ত

    ভ্রাতৃঘাতী আত্মঘাতী রক্ত৷

    হায়, সেদিন যদি তোমার ডাকে

    সাড়া দিয়ে

নেতাজী সুভাষ

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

নেতাজী সুভাষ---বীরের নাম

লহ প্রণাম লহ প্রণাম!

বিপ্লবের মন্ত্র সাধন---

তীব্র শক্তি সম্পাদন,

কদম কদম গতি বর্ধন---

ইংরেজের হৃদয় কম্পন!

আপোষ নয়, সন্ধি নয়

যুদ্ধে তুমি যে অকুতোভয়৷

কম্বুকণ্ঠে বজ্রনাদ---

বশ্যতা নয়, আমরা আজাদ

যুদ্ধে রণবাদ্য বাজিয়ে

ব্রিটিশের সাম্রাজ্য কাঁপিয়ে

লালকেল্লা জয়ের যুদ্ধে

জাতীয় পতাকা তুলতে ঊধের্ব

আজাদ হিন্দ সৈন্যবাহিনী---

অগ্ণ্যাক্ষরে লেখা সে কাহিনী৷

প্রণাম তোমায়, হে মহাবীর

নতশির তাই ভারতবাসীর৷

নেতাজী প্রণাম

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

নেতাজী, নেতাজী, আজাদ হিন্দ্ বাহিনীর নেতাজী

নেতাজী, নেতাজী, সকলের আদরের নেতাজী

বাঙলার মহান সন্তান তুমি, ভারতের গৌরব

বিশ্বনিখিলে সততঃ স্পন্দিত তোমার স্বদেশপ্রেমের সৌরভ

শতাব্দীর ধ্রুবতারা তুমি, যুগপুরুষ মহাবিপ্লবী

ত্যাগ-মন্ত্র বলে ভারতবাসীর বুকে এঁকেছিলে দেশাত্মবোধের ছবি

আসমুদ্র হিমাচল হয়েছে উত্তাল তোমারই অমোঘ আহ্বানে

লক্ষ লক্ষ বীর সৈনিক জেগেছে ‘জয় হিন্দ্’ গানে

বিদেশী শাসকের অমানুষিক নিপীড়ন আর পৈশাচিক অট্টহাস

কলঙ্কিত করেছে পৃথিবী ও সভ্য মানুষের ইতিহাস৷

অন্ধঘোর নিশীথের বক্ষ চিরে রক্তিম পূবের আকাশ

নুকাইঁ নুকাইঁ

তৃতীয় ধরনের কপটাচরণও আমরা কম দেখি না৷ শুনেছিলুম, আমেরিকায় এক ভদ্রলোক একটি প্রচণ্ড রকমের মদ্যপান–বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন৷ এক জনসভায় মদের অপকারিতা সম্বন্ধে তিনি ওজস্বিনী ভাষায় ঠায় এক ঘণ্ঢা বত্তৃণতা করেছিলেন৷ তারপর বললেন–উঃ, উঃ গলা শুকিয়ে গেছে, এক গ্লাস ব্র্যাণ্ডি দাও৷

* * * * * * * *

ধরা আর সরা

দেশজ শব্দে ‘ট’ যথাযথভাবেই বজায় থাকে৷ আর ‘ড’ বা ‘ড়’ মৌলিক শব্দ হিসেবেই থেকে যায়৷ যেমন, আজ ভুলোর সঙ্গে ভোঁদার আড়ি হয়ে গেল৷ ওরা বলছে, ওরা আর একসঙ্গে মার্বেল খেলবে না, একটা পেয়ারাও আর কামড়াকামড়ি করে খাবে না৷ গোপনে কান পেতে শোনাকেও আড়িপাতা বলে৷ এটিও বাংলা দেশজ শব্দ৷