January 2019

উলুবেড়ে লোক্যাল

অনেকে ভাবে, বিতর্ক মানে তর্কসংক্রান্ত বা তর্কযুক্ত জিনিস৷ কথাটি আংশিকভাবে সত্য৷ বিশেষ ধরনের তর্ককে ‘বিতর্ক’ বলা হয়৷ কিন্তু এটাই ‘বিতর্ক’ শব্দের শেষ কথা নয়৷ ‘বিতর্ক’ মানে অতি জল্পন (অহেতুক বকবক করা)৷ এই বকবক করার সঙ্গে যদি বদ্মেজাজ বা প্রগল্ভতা সংযুক্ত থাকে তবে তা ‘বিতর্ক’ পর্যায়ভুক্ত–‘কষায়’ পর্যায়ভুক্ত হবে না৷ নীচে কয়েকটা বিভিন্ন স্বাদের বিতর্কের দৃষ্টান্ত দিচ্ছি–

অলিম্পিক্সের ব্যাডমিন্টন লীগে পাখীর চোখ শ্রীকান্তের

মরসুম খুব ভালো না গেলেও  প্রিমিয়ার ব্যাটমিন্টন  লিগে দ্রতগতিতে  ছন্দে আছেন৷ টানা আট ম্যাচ জিতে তাঁর দল বেঙ্গালুরু র্যাপ্ঢর্সকে চ্যাম্পিয়নও করলেন৷ যে ধারাবাহিকতা তাঁকে  নতুন  মরসুমে  ছন্দ  ধরে রাখতে  সাহায্য করবে  বলে মনে করেন কিদম্বি শ্রীকান্ত৷

দুইজন দক্ষ ক্রিকেটার হার্দিক পাণ্ড্যে ও লোকেশ রাহুলের নাম বিশ্বকাপ ২০১৯ এর দল থেকে বাদ পড়ল

নারী বিদ্বেষী মন্তব্যের জন্যে ও অশালীন ব্যবহারের জন্যে বিশ্বকাপ ২০১৯ এর খেলা থেকে বাদ পড়ল দুটি ক্রিকেটারের নাম --- হার্দিক পাণ্ড্যে ও লোকেশ রাহুল৷ হার্দিক যেহেতু একজন অলরাউন্ডার ও তার প্রতিভার কারণে তিনি যে স্পনসারদের পেয়েছিলেন তারা পর্যন্ত তার সাথে সম্পর্ক রাখতে অনিচ্ছুক৷ তাঁরা জানিয়েছেন হার্দিকের  কথাবার্র্ত আমাদের  মূল্যবোধের  সঙ্গে মিলছে না৷  তাউ পরবর্তী সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত হার্দিকের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করেছেন তারা৷

পুঁজিপতি হাঙ্গরের গ্রাসে ভারত

সুইজারল্যাণ্ডের দাভোসে গত ২১শে জানুয়ারী থেকে শুরু  হয়েছে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের ৫দিনের বৈঠক৷ এই বৈঠকের প্রাক্মুহূর্তে ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর আন্তর্জাতিক অধিকার রক্ষা সংঘটনের এক চাঞ্চল্যকর সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে৷ ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের ১ শতাংশ বিত্তবানের হাতে রয়েছে ভারতের জাতীয় সম্পদের  ৫১.৫৩ শতাংশ৷ মাত্র ১০ শতাংশ ধণিকশ্রেণীর  হাতে রয়েছে দেশের ৭৭ শতাংশেরও বেশি সম্পদ৷ আর দেশের ৬০ শতাংশ দরিদ্র মানুষের হাতে  রয়েছে দেশের মোট জাতীয় সম্পদের ৪.৮ শতাংশ  সম্পদ৷ আর দেশের  অর্ধেক জণসাধারাণের মোট সম্পদের সম পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে মাত্র ৯জন  ধনী মানুষের  হাতে৷ দেশের  ১ শতাংশ বিত্তবানের দৈনিক

অমর ভাণী

‘‘আমরা এ পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করিয়াছি একটা উদ্দেশ্য সাধনের নিমিত্ত---একটা বাণী প্রচারের জন্য৷ আলোকে জগৎ উদ্ভাসিত করিবার জন্য যদি গগনে সূর্য উদিত হয়, গন্ধ বিতরণের উদ্দেশ্যে বনমধ্যে কুসুমরাজি যদি বিকশিত হয়, অমৃতময় বারিদান করিতে তটিনী যদি সাগরাভিমুখে প্রবাহিত হয়---যৌবনের পূর্ণ আনন্দ ও ভরাপ্রাণ লইয়া আমরাও মর্ত্যলোকে  নামিয়াছি একটা সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য৷ যে অজ্ঞাত গূঢ় উদ্দেশ্য আমাদের ব্যর্থ জীবনকে সার্থক করিয়া তোলে তাহা আবিষ্কার করিতে হইবে---ধ্যানের দ্বারা কর্মজীবনের অভিজ্ঞতার দ্বারা’’

---নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু

নেতাজীর ১২৩তম জন্মদিবসে ‘আমরা বাঙালীর পক্ষ থেকে শোভাযাত্রা ও মাল্যদান

২৩শে জানুয়ারী নেতাজী সুভাষচন্দ্রের ১২৩তম জন্মদিবস উপলক্ষ্যে ‘আমরা বাঙালী’ কার্র্যলয় থেকে নেতাজীর প্রতিকৃতি সহ একটি সুসজ্জিত গাড়ী সহ ‘আমরা বাঙালীর একটি বর্র্ণঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়৷ প্রথমে তাঁরা সকাল ৮-৩০ মিনিটে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে নেতাজী মূর্ত্তিতে মাল্যদান করে নেতাজীর অতুলনীয় বীরত্ব ও আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন৷ এরপর তাঁরা ৯টাতে ময়দানে নেতাজীর মূর্ত্তিতে মাল্যদান করেন৷

ব্রিগেডে মমতার নেতৃত্বে কেন্দ্রে মোদী বিরোধী মহাজোট

গত ১৯শে জানুয়ারী কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউণ্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকা বিশাল সমাবেশে মোদী-অমিত শাহের বিরুদ্ধে অ-বিজেপি মহাজোটের মহাসভায় পরিণত হ’ল৷ লোকসভায় নির্বাচন হওয়ার কথা আগামী মে মাসে৷ নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার কথা মার্চের শুরুতেই৷ তাই মোদী বিরোধী জোটকে দ্রুত সংঘবদ্ধ করতে বিশেষভাবে উদ্যোগী হলেন মমতা৷ তাই তাঁর এই মহাজোটের আহ্বান৷ তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে কে আসেননি এই জনসভায়? এই মহাজোটের সভায় যোগ দিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী

২৩শে জানুয়ারীর  কিছু কথা  কিছু ভাবনা

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

রাস্তাটা দিয়ে প্রায়ই যাই, কখনো  চোখে  পড়েনি৷ আজ পড়লে৷ মূর্তিটার চারপাশে  বাঁশের  ভাড়া বাঁধা৷ হঠাৎ কেন? ভালোই তো ছিল---কাক শালিখের আশ্রয়স্থল!

সামনে ২৩শে জানুয়ারি৷ নেতাজি, তোমায় স্মরণ  করতে হবে না! সারা বছর তো কাক শালিখের....ভরা থাকে৷  এই একটা দিনের জন্যে একটু ঘসে মেজে ঝক ঝকে করে নিতে হবে৷ তারপর সারা বছর কে আর তোমায় মনে রাখে! কতোই তো খোঁজা  হলো, কোথায় গেলে! আজকাল  আবার সোসাল মিডিয়া---না কী বলে?...ফেক নামে ভেক নামে কতোই না লেখালেখি! তবু তুমি কোথায়--- কেউ জানে না৷

বঙ্গরত্ন পুরস্কার পেলেন নব্যমানবতাবাদী লেখক সুকুমার সরকার

এবারের বঙ্গরত্ন পুরস্কার পেলেন উত্তরবঙ্গের  আনন্দমার্গী, কবি প্রাবন্ধিক সুকুমার সরকার তাঁর সাহিত্যকর্মের জন্য৷ গত ২১শে জানুয়ারী ২০১৯ শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুকুমার সরকারের হাতে বঙ্গরত্ন পুরস্কার তুলে দেন৷ এখানে উল্লেখ্য, গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাসসহ নানান বিষয়ে সুকুমার সরকার লেখনীতে  সমান পারদর্শী৷ তিনি ‘নোতুনপৃথিবী’ পত্রিকারও নিয়মিত কলামিস্ট৷ তাঁর যুক্তিপূর্ণ লেখা পাঠকদের আকৃষ্ট করে৷

তাঁর লেখায়  একুশ শতকের নোতুন জীবনদর্শন নব্যমানবতাবাদের স্বাক্ষর স্পষ্ট৷

প্রজাতন্ত্রের প্রতিশ্রুতি ও বাস্তব চিত্র

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

১৯৪৭ সালের ১৫ আগষ্ট ভারতবর্ষ স্বাধীনতা লাভ করে৷ যদিও এই স্বাধীনতাকে সার্বিক স্বাধীনতা বলা যায় না৷ বলা চলে এদিন আমরা রাজনৈতিক স্বাধীনতা লাভ করেছি৷ অর্থনৈতিক স্বাধীনতা আমরা পাই নি৷ ব্রিটিশ শাসকের হাত থেকে শাসনতান্ত্রিক ক্ষমতা ভারতীয়দের হাতে এলেও বহুজাতিক পুঁজিপতি গোষ্ঠীর অর্থনৈতিক নাগপাশ থেকে ভারতের জনগণ মুক্তি লাভ করে নি৷