March 2021

দুই বাঁড়ুজ্জে

ভাষাতত্ত্ব প্রসঙ্গে মনে রাখতে হবে যে বিধির সাথে নিষেধ অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত থাকে৷ ‘হয়’–কে বাদ দিলে ‘নয়’ পুষ্ট হয় না, আবার ‘নয়’–কে বাদ দিলে ‘হয়’–এরও পায়ের তলায় জমি থাকে না৷ একথা সর্বক্ষেত্রেই সমভাবে প্রযোজ্য৷ তাই ভাষাতত্ত্বের ব্যাপারে একথা আমাদের মনে রাখতে হবে––মূল নিয়ম মনে রাখি বা না রাখি ব্যতিক্রমগুলো (হিন্দীতে ‘অপবাদ’) যত ৰেশী মনে রাখি ততই ভাল৷ ইংরেজীতে যেমন একক ব্যঞ্জনের পূর্বে যদি একক স্বরবর্ণ থাকে তাহলে ওই ব্যঞ্জনের পরে কোনো প্রত্যয়  লাগলে ব্যঞ্জনের দ্বিত্ব হবে৷ যেমন ‘Fit’ কিন্তু ‘Fitting’, ‘Fitted’ ইত্যাদি৷ আবার  এর ব্যতিক্রমও রয়েছে৷ যেমন ‘Benefit’৷ এক্ষেত্রে ‘t’–এর পরে প্রত্যয় লাগলেও শে

ক্যানিস গ্যাস

সেকালে ইয়ূরেশিয়ান উচ্চারণে ৰড় ধরনের বিবর্ত্তন দেখা যেত৷ এর কতকটা ছিল স্বাভাবিকী উচ্চারণ–বিকৃতি, কতকটা ছিল স্বেচ্ছাকৃত অর্থাৎ তা করা হত নিজেকে  অ–ভারতীয় দেখাবার উদ্দেশ্যে৷ ‘বসু’ Vasu) হয়ে দাঁড়িয়েছিল ‘বোস’ (Bose), ‘মিত্র’ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ‘মিটার’ (Mitter), ‘ঘোষ’ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ‘গ্যাস’ (Gas), ‘দত্ত’ হয়েছিল ‘ডাট’ (Dutt)৷ সাহেবদের ‘পল’ (Paul) পদবী আছে৷ তাই দেখে বাঙলা ‘পাল’ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ‘পল’, ‘দাস’ হয়েছিল ‘ডায়াস’ (Dias), ‘বন্দ্যোপাধ্যায়’ বা ‘বাঁড়ুজ্জে’ হয়েছিল ‘ব্যানার্জী’ বা ‘ৰোনার্জী’ (Banerji or Bonerji), ‘মুখোপাধ্যায়’ বা ‘মুখুজ্জে’ হয়েছিল ‘মুখার্জী’ (Mukherji), ‘চট্টোপাধ্যায়’ বা ‘চাটুজ্জে’ হয়ে

পিতৃ–আজ্ঞা

বাপ–বেটাকে নিয়ে সংসার৷ বাপ হাটে গেছে৷ বেটা বাপের জন্যে ভাত–ডাল–তরকারী রেঁধে রেখেছে৷ ৰাৰা খেতে বসে বলছে–রামচন্দ্র, রামচন্দ্র, ওরে রাউজা, দাইলনিতে কয় গণ্ডা মরিস্ দিস?

বেটা বললে–সয় গণ্ডা৷

বাপ–দিৰারে কইসিলাম কয় গণ্ডা?

বেটা–আজ্ঞা, আষ্ট গণ্ডা৷

বাপ–দিস কত?

বেটা–আইজ্ঞা সয় গণ্ডা৷

বাপ–এ অন্ন কাউম্ না, এ অন্ন কাউম্ না৷

বেটা–এ্যাবার এ্যাডা ক্ষমা করেন, মাপ করেন৷ এক্কেরে কতা দিত্যাসি, এ্যামনডা আর অইবো না৷

আন্তর্জাতিক কুস্তি প্রতিযোগিতায় সোনা জিতল ভারত

ম্যাটিও পেলিকোন র‌্যাঙ্কিং সিরিজে ৬৫ কেজি বিভাগের ফাইনালে মঙ্গোলিয়ার টুলগা টুমুর ওচিরকে হারিয়ে সোনা জিতেছেন ভারতের বজরং পুনিয়া৷

ফেব্রুয়ারী মাসে সেরার সেরা অশ্বিন

ইংল্যাণ্ডের বিরুদ্ধে সদ্য শেষ হওয়া টেস্ট সিরিজ সেরার পুরষ্কারও পেয়েছিলেন তিনি৷ এবার আইসিসি-র থেকে পেলেন ফেব্রুয়ারী মাসের সেরার শিরোপা৷ এই সিরিজেই টেস্টে ৪০০তম উইকেটের খেতাবও পেয়েছিলেন অশ্বিন৷ তাই ছেলেদের ক্রিকেটে ফেব্রুয়ারী মাসের সেরা সেরা ক্রিকেটার হিসেবে নির্বাচিত করা হয় তাকে৷ এই দুর্র্দন্ত ভারতীয় স্পিনারের সঙ্গে লড়াইয়ে ছিলেন ইংল্যাণ্ডের  জো রুট ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাইল মেয়ার্স৷ তাঁদের হারিয়ে সেরার শিরোপা নিজের মস্তকে তুলতে সক্ষম অশ্বিন৷ গত ফেব্রুয়ারী মাসে অশ্বিন মোট ২৪টি উইকেট ও ১৭৬ রান সংগ্রহ করেছেন৷

মহিলা ক্রিকেটের জন্য বড় পদক্ষেপ নিল আইসিসি

আগামী ২০২৩ থেকে মহিলা ক্রিকেটে আরও বেশি দেশকে সুযোগ দেওয়ার কথা ঠিক করেছে আইসিসি৷ তাদের কর্তা মনু সহানে বলেন, ‘‘মহিলাদের  ক্রিকেট নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা আছে, এগুলো দীর্ঘকালীন ভাবনা৷ মহিলাদের ক্রিকেটের সম্প্রচারের দিকে আমরা জোর দিচ্ছি৷’’

গত ২০২০ সালে মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রেকর্ড দর্শক হয়েছিল৷ মেলবোর্নে ফানিাল দেখতে হাজির ছিলেন প্রায় ৮৬০০০ জনগণ৷ তাই আইসিসি মহিলা ক্রিকেট যাতে আরও বেশি করে দেশ আসে, তার জন্য আর বেশী করে উদ্যোগী হতে চাইছে আইসিসি৷

আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে আমরা বাঙালীর আহ্বান

বাঙলার নির্বাচনে গতবারের যে সকল এম.এল.এ রা এবারের নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে কান্নাকাটি করছেন তাঁরা একবার ভাবুনতো! লক্ষ লক্ষ বাঙলার সন্তান চাকুরী না পেয়ে শুধু কান্নাকাটি করছে না,আত্মহত্যাও করছে৷ পাঁচ বছরে তাদের কতজনের স্থায়ী অর্থনৈতিক সমাধানের ব্যবস্থা করেছেন! এম.এল.এ হয়ে পাঁচ বছরে স্থায়ীভাবে নিজের ও পরিবারের জন্য পেনসনভোগের স্থায়ী করেছেন৷

আপনারা বিধায়ক না হয়েও ওই বেকারদের কথা ভেবে কিছু করলে ভাবতুম আপনি আসল বেকার দরদী৷ এবার গাছ বানরদের মত এক ডাল থেকে অন্যডালে যাবেন  সুবিধা ভোগ করার জন্য৷

আপনাদের কাছে আদর্শের বালাই নেই বলেই বাঙলা ও বাঙালীর  যুব সম্প্রদায়ের এত দুঃখভোগ৷

কর্ষকদের পাশে রাজ্যপাল

রাজ্যপাল পদে নিয়োগ কেন্দ্রীয় শাসকদলের মনমত ব্যষ্টিরাই হয়ে থাকেন৷ তাই রাজ্যপালরাও কেন্দ্রের অনুগত হয়ে থাকেন৷ এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান রাজ্যপাল তো নজির সৃষ্টি করেছেন৷ তবে অন্য নজির সৃষ্টি করলেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক৷ একটি বেসরকারী দুরদর্শন চ্যানেলে সাক্ষ্যাৎকারে শ্রী মালিক কর্ষকদের আন্দোলনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন আছে বলে তিনি জানান৷ তিনি বলেন--- তাঁকে যদি রাজ্যপালের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়াও হয় তবুও তিনি কর্ষকদের পাশে থেকে তাঁদের স্বার্থে কথা বলে যাবেন৷ মোদী সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন একটা কুকুর মরলেও মানুষ শোক জানায়৷ ২৫০ জন কর্ষকের মৃত্যু হল, সরকারের পক্ষ থেকে কেউ দুঃখ প্রকাশ করলে

আক্রান্ত কফিহাউস

পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র ফেরানোর স্লোগান বিজেপি অনেকদিন ধরেই তুলেছে৷ কিন্তু বিরোধীদের একটি পোষ্টার সহ্য করতে পারল না বিজেপি৷ কলেজস্ট্রিট কফি হাউসে একটি পোষ্টার ছিল নো ভোট টু বিজেপি৷ গত ১৫ই মার্চ সন্ধ্যায় একদল যুবক ‘মোদিপাড়া’ গেঞ্জী পরে কফি হাউসে হামলা চালায় ও পোষ্টারে কালি লেপে দেয়৷ কফি হাউসে এই হামলার প্রতিবাদে সমাজের বিভিন্নস্তরের মানুষ প্রতিবাদে সরব হন৷ কফিহাউসে আবার নতুন করে পোষ্টার লাগান হয় নো ভোট টু বিজেপি৷

অর্থনীতির সর্বস্তরে সমবায় ব্যবস্থার প্রসার ঘটিয়ে চাই  আর্থিক  স্ব-নির্ভর পরিকল্পনা

প্রবীণ প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী প্রভাত খাঁ বলেন--- নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক দলগুলো বোটের (ভোটের) প্রচারে  এসে অনেক গালভরা আশ্বাস দিয়ে যায়৷ কিন্তু অর্থনীতিকে স্ব-নির্ভর করে গড়ে তোলার কোন বাস্তবমুখী পরিকল্পনার কথা বলেন না৷ তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন দেশের রাজনৈতিক দলগুলো পুঁজিপতি নির্ভর হয়ে আছে সেই স্বাধীনতার জন্মলগ্ণ থেকেই৷ তাই দেশে এখন চলছে চরম পুঁজিবাদী শোষণ৷ জমিদার জোতদারদের দিন চলে গেছে৷ এখন কর্ষককুলকে পুঁজিপতি নির্ভর করতে আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে৷ পাশাপাশি যুব সমাজকে বিপথগামী করতে রাজ্যের সর্বত্র মদ, জুয়া ও নিম্নরুচির সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ জনগণ আর্থিক ও মানসিক শোষণের যাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছেন৷ শ্