June 2023

মার্গীয় বিধিতে অন্নপ্রাশন ও নামকরণ

গত ১৩ই মে,২৩ দক্ষিণ টাটুয়ারা নিবাসী দশরথ ও পুষ্পা কুমারের দ্বিতীয় শিশু সন্তানের (প্রথম কন্যা দ্বিতীয় পুত্র) আনন্দমার্গ সমাজ শাস্ত্র চর্যাচর্য বিধি অনুযায়ী নামকরণ ও অন্নপ্রাশন করা হয়৷ এই উপলক্ষ্যে ভোরে নগর কীর্ত্তন, পাঞ্চজন্য, সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অখণ্ড  ‘বাবা নাম কেবলম্‌’’ নাম সংকীর্ত্তন মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, বর্ণার্ঘ্যদান, স্বাধ্যায়, নামকরণের তাৎপর্য ব্যাখ্যা ও নারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়৷ আচার্য মুক্তানন্দ অবধূতের পৌরহিত্যে সকলে মিলে নবাগত শিশুর নাম রাখা হয় ‘‘চন্দ্রশেখর’’

আনন্দনগরে দক্ষিণা জলবন্ধ

আনন্দনগরের প্রথম জলবন্ধ (চেক ড্যাম) দক্ষিণা নদীর উপর নির্মিত৷ গুরুদেব শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী এর নামকরণ করেন দক্ষিণা জলবন্ধ৷ এই জলবন্ধ (ড্যাম) জয়পুর ব্লকের রোপো, সিধি-জামড়া, ঘাঘরা অঞ্চলের মানুষের ঝালদা মহকুমা সদর দপ্তরের সঙ্গে ভূতল যোগাযোগ করছে৷ চিৎমু ও টাটুয়াড়া অঞ্চলের বৃহৎ অংশের মানুষ পুন্দাগ রেলওয়ে ষ্টেশনে আসা-যাওয়া আর ঝাড়খণ্ডের বোকারো জেলা ও ঝালদা মহকুমার সঙ্গে যাতাযাতের একমাত্র মাধ্যম এই ড্যাম৷

আনন্দমার্গ স্কুলের মাধ্যমিকের ফলাফল

১৯শে মে,২৩ সালের পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে৷ আনন্দমার্গ হাইস্কুল, আনন্দনগর বয়েজ স্কুল থেকে মোট ১৫৩ জন ছাত্র ও গার্লস স্কুল থেকে ১৭জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়৷ ছাত্র-ছাত্রা মিলিয়ে মোট ১৭০ জন পরীক্ষা দিয়েছে, সবাই পাশ করেছে৷ এদের মধ্যে বয়েজ স্কুলে ১) এএ-১জন (৯০-১০০),২) + ১৬জন (৮০-৮৯) ৩) এ -৬২জন  (৬০-৭৯),৪) ি+ ৬১জন (৪৫-৫৯), ৫) বি -১৩ জন (৩৫-৪৪), ৬) সি- ০ (২৫-৩৪)৷

গার্লস স্কুলে ঃ ১) এ-৭ জন (৬০-৭৯),২) বি+ ৯জন (৪৫-৫৯), ৩) সি - ১ (২৫-৩৪)৷

কোষাঙ্গি মোড়ে অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ১৪ই মে,২০২৩ কোষাঙ্গি মোড়ে পদ্মলোচন গরাঞের বাসভবনে আধ্যাত্মিক স্পন্দন সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বাৎসরিক  ৬ ঘন্টা অখণ্ড বাবা নাম কেবলম্‌’ নাম সংকীর্ত্তন, মিলিত সাধনা, বর্ণার্ঘ্যদান, স্বাধ্যায় ও নারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়৷

দীঘা আনন্দমার্গ আশ্রমে শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর জন্মতিথি উদ্‌যাপন

াার শুভ পদার্পণ দিবসকে কেন্দ্র  করে দীঘা আনন্দমার্গ আশ্রমে প্রতিবছর মে মাসের চার ও পাঁচ তারিখে ২৪ঘন্টাব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তন হয়৷ এ বছরেও তার ব্যতিক্রম হয়নি৷ গত ৪ তারিখ সকাল ৬টা থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত অখণ্ড বাবা নাম কেবলম্‌’ নাম সংকীর্ত্তন৷ তারপর ছটা সাত মিনিটে উলু ও শঙ্খধবনি সহকারে পরমারাধ্য াার জন্মদিন পালন করা হল৷ পাঁশকুড়া, কোলাঘাট, তমলুক,  কাঁথি,  জেঠাইবাড়ি,  দীঘা এগরা ইত্যাদি বিভিন্ন স্থান থেকে মার্গীরা বাবা কোয়ার্টারে সমবেত হয়েছিলেন৷ এবারে কীর্ত্তনের মনোরম পরিবেশ ও  ভাবগাম্ভীর্য সবারই মনে দাগ কেটেছে৷ কীর্তন শেষে মিলিত সাধনান্তে াার আদর্শ ও কর্মধারার উপর বক্তব্য রাখেন আচার্য সুশান্ত

মার্গীয়বিধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠান

সুলংলহর গ্রামের চিটাহি টোলার নিবাসী শ্রী অমূল্য তুরীর স্ত্রী শ্রীমতী চঞ্চলা তুরী ১০ই মে,২৩ সকাল সাতটায় পার্থিব জগৎ ত্যাগ করে পরলোক গমন করেন৷ গত ১৯শে মে,২৩ আনন্দমার্গ চর্যাচর্য বিধি অনুসারে বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা ও শ্রদ্ধাঞ্জলী অনুষ্ঠান আধ্যাত্মিক ও গুরুগম্ভীর পরিবেশে আত্মীয় স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীদের উপস্থিতিতে তাঁর নিজ বাসভবনে পালিত হয়৷ অনুষ্ঠান পূর্বে আনন্দমার্গ শ্রদ্ধাঞ্জলী বিধি ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করা হয়৷

নদীয়ার কৃষ্ণনগর সংবাদ

গত ৫ই মে, মহা উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে ১৫০ এর অধিক ভক্তগণের উপস্থিতিতে নদীয়ার ঘূর্ণীর মোড়ে ‘মধুপর্ণায়’ পরমারাধ্য শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ১০২তম আবির্ভাব তিথি পালিত হল৷ জন্মদিনে এই শুভক্ষণে...প্রভাতসঙ্গীত, মানবমুক্তির মহামন্ত্র বাবা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তনের পর ভোর ৬টা ৭মি জন্ম মুহূর্ত্তে শঙ্খধবনী উলুধবনিতে মুখরিত হল ‘মধুপর্ণার আকাশ বাতাস৷ মিলিত সাধনা গুরুপূজার পর আনন্দবাণী ২০২৩ পাঠ করা হয়৷ বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহর পরিক্রমা করে৷ সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত মানবমুক্তির মহামন্ত্র াা নাম কেবলম্‌ অখণ্ড কীর্ত্তনের পর মিলিত সাধনা গুরুপূজা হয়৷ আনন্দমার্গ দর্শনের বিভিন্ন দিক নিয়ে মূল্যবান আলোচনায় অংশ গ্রহ

মার্গীয় বিধিতে বিবাহ

গত ২১শে হাওড়া রামরাজাতলার বিশিষ্ট আনন্দমার্গী গৌতম দত্ত পুত্র বিশ্বজিৎ দত্তের সাথে নিউব্যারাকপুর নিবাসী শ্রীকান্ত মণ্ডলের কন্যা বাসন্তী মণ্ডলের বিবাহ আনন্দমার্গের চর্যাচর্য বিধি অনুযায়ী সম্পন্ন হয়৷ এই বিবাহে পাত্রপক্ষে পৌরহিত্য করেন আচার্য বেদ প্রকাশানন্দ অবধূত ও পাত্রীপক্ষে অবধূতিকা আনন্দ তপস্নিগ্দা আচার্যা৷ আনন্দমার্গের সমাজশাস্ত্র ও  বৈপ্লবিক বিবাহ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রভাত সঙ্গীত ও কীর্ত্তন পরিবেশিত হয়৷ মিলিত সাধনার পর বিবাহ অনুষ্ঠান শুরু হয়৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উঃ২৪পরগণার ভুক্তিপ্রধান সন্তোষ বিশ্বাস ও হাওড়ার ভুক্তিপ্রধান সুব্

প্রসঙ্গ ঃ সিপিআই জাতীয় দলের মর্যাদা হারাল

অসিত দত্ত

জাতীয় দলের মর্যাদা হারাল সিপিআই৷ সিপিআই ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি নামে এদেশে পরিচয় দেয়৷ কখনই ভারতীয় কম্যুনিষ্ট পার্টি নয়৷ দুটি নামের মধ্যে  একটি ফারাক অবশ্যই আছে৷ ভারতের জাতীয়করণ হয়েছে এই অর্থে ভারতীয়৷ অন্য শব্দটি ভারতের কম্যুনিষ্ট পার্টি অর্থাৎ জাতীয়করণ হয়নি৷ ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি বা সিপিআই এর জন্ম ১৯২৫ সালের ২৬শে ডিসেম্বর৷ কানপুরে একটুপার্টি কংগ্রেসের বিপ্লবী নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য (মানবেন্দ্রনাথ রায়) অবণী মুখার্জী প্রমুখ এই কম্যুনিষ্ট পার্টি ঘটন করে৷ শতাব্দীর দোরগোড়ায় এসে ভারতের কম্যুনিষ্ট পার্টি তার জাতীয় দলের তকমা হারাল৷ শতবর্ষ বয়স প্রাপ্তির পূর্বে সিপিআই-এর এই অধঃপতনের খবর কম্যুনিষ্টদ