September 2023

জোটের জটে বাঙলা

পত্রিকা প্রতিনিধি

দিল্লীর মসনদের স্বার্থে বাঙলাকে বলি দেওয়ার  রেওয়াজ ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগষ্টের কালরাত্রি থেকে শুরু হয়েছে৷ বাঙলার প্রতি বঞ্চনাও শুরু হয় ওই রাত থেকেই৷ কিন্তু রাজ্যের কংগ্রেস সরকার কেন্দ্রের কংগ্রেস সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলতে কোন প্রতিবাদ বা আন্দোলনের পথে যায়নি৷ পরবর্তীকালে  রাজ্যে সিপিএমের শাসনে নানা অত্যাচার ও অবিচার হলেও বিরোধী কংগ্রেস চুপ থেকেছে, কারণ কেন্দ্রের কংগ্রেস সরকারকে টিকিয়ে রাখতে দিল্লীতে সিপিএমের সাহায্য প্রয়োজন ছিল৷

ভোগ সর্বস্ব একপেশে জড়বাদী জীবন সামাজিক-অর্থনৈতিক অবনতির কারণ

প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী প্রভাত খাঁ গত ১৮ই সেপ্ঢেম্বর শ্রীরামপুরে এক আলোচনায় বলেন---মানুষের অস্তিত্ব ত্রিস্তরীয়---শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক৷ মানুষের উন্নতি মানে এই ত্রিস্তরীয় সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নতি৷ এই সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নতি যদি না থাকে তাহলে উন্নতির পরিবর্তে অবনতি হবে৷ বর্তমানে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির হাত ধরে বা আধুনিকতার ছাপ মেরে যে বিপুল উন্নতির বড়াই আমরা করি এই তথাকথিত উন্নতি যে অনেক জটিল প্রশ্ণের সম্মুখে আমাদের দাঁড় করিয়ে দিয়েছে, তা আজ কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না৷ তার কারণ একটাই৷  বাড়ী, গাড়ী, রাস্তা-ঘাট, পোষাক-পরিচ্ছদ, নানান্‌ সুস্বাদু খাওয়া-দাওয়া এসবের জাঁকজমকের পাশাপাশি দুর্নীতি, যৌন কেলে

ভূমিকম্পে বিধবস্ত মরক্কোয় এ্যামার্টের ত্রাণ

সম্প্রতি ভূমিকম্প বিধবস্ত মরক্কোর  মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্সাল রিলিফ টিম৷ ১৯০০ সালের পর এই ধরণের বিধবস্ত ভূমিকম্প আর হয়নি৷ রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৮৷ প্রায় তিনহাজার মানুষ নিহত হয়েছে এই ভূমিকম্পে৷ আহতও হয়েছে বহু মানুষ৷ যারা জীবিত আkyampছেন তারা অনেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে চোখের সামনে এই বীভৎস্য ধবংস দেখে৷ আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্সালের একটি টীম মারাক

ইণ্ডিয়া নয়, ভারত নয়---দেশের নাম হোক ভারতবর্ষ

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

ভারতীয় সংবিধানে ইণ্ডিয়া ও ভারত দুটো নামেরই বৈধতা আছে৷ নাম পরিবর্তন করতে হলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে৷ কোন দেশের নামকরণের ক্ষেত্রে সেই দেশের বৈশিষ্ট্য বজায় রাখার দরকার৷ যেমন, শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার বলেছেন বিভিন্ন জায়গা থেকে সুন্দর সুন্দর জিনিস সংগ্রহ অর্থাৎ চয়ন করে যে দেশটি তৈরি হয়েছে তার নাম চীন৷

ভ্রান্ত দর্শনের করালগ্রাসে সমাজ

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

একজন মহান দার্শনিক বলেছিলেন–‘‘কিছু সংখ্যক গুণ্ডা–বদমাস অপেক্ষা একটি ভ্রান্ত দর্শনের অনুগামীরা সমাজের অনেক বেশী ক্ষতি করে৷’’

আজ ভ্রান্ত দর্শনের যাঁতাকলে পিষ্ট বাঙলা তথা ভারতবর্ষের মানুষ৷ অর্থনীতিকে গ্রাস করেছে আত্ম স্বার্থকেন্দ্রিক পুঁজিবাদ৷ সমাজের সর্বস্তরে পৌঁছে গেছে পুঁজিপতি শোষকের কালো হাত৷ শিল্প সাহিত্য, সংস্কৃতি, রাজনীতি, অর্থনীতি ফ্যাসিষ্ট শোষকের বিষাক্ত ছোবল থেকে কেউ রেহাই পায়নি৷

এখন সময় আছে কেন্দ্রীয় সরকার সংযত হয়ে কাজ করুন

প্রভাত খাঁ

বর্ত্তমানে বিরাট দেশ ভারত যুক্তরাষ্ট্র গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে পৃথিবীতে অদ্যাবধি গৌরবোজ্জ্বল রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করতে পারলো না৷ তার মূল কারণটিকে কেউই খুঁজে বের করতে পারলো না৷ সেটার একমাত্র কারণ যে দলগুলো শাসনে আসছে তারা সেবামূলক মানবতাবাদী শাসক না হয়ে নিজেদের দলতন্ত্রকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে নিজেদের পায়ে নিজেরাই কুড়ুল মারছে পদে পদে পর পর৷

পরমানু ও মাইক্রোবাইটামের  অবস্থান ও এদের গবেষণা

শ্রী সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

 মাইক্রোবাইটাম আবিষ্কারক শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার মাইক্রোবাইটাম তত্ত্ব অনুযায়ী পরমানু ও মাইক্রোবাইটার অবস্থান, গবেষনার জন্য কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছেন৷

ফ্যাসিষ্ট শোষণ প্রতিরোধ করতে না পারলে বাঙালী ভবঘুরে জাতিতে পরিণত হবে

মনোজ দেব

 মার্কস শোষণ বলতে ভেবেছিলেন---শ্রমিক শ্রেণীকে ন্যায্য পাওনা না দিয়ে পুঁজিপতিরা যে মুনাফা লোটে সেটাই শোষণ৷ এটাও শোষণ কিন্তু এই শোষণের আগেও আরও শোষণ আছে৷ শোষণের সঠিক সংজ্ঞা একমাত্র প্রাউটের দৃষ্টিকোণ থেকেই পাওয়া যায়৷ প্রাউট প্রবক্তার ভাষায়---একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক সীমার মধ্যে অবস্থিত তথাকার জনগোষ্ঠীর দৈহিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক বিকাশকে স্তম্ভিত করে, ওই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদের সঙ্গে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর শ্রম ও মানসিক সম্পদের অবাধ লুণ্ঠনই হ’ল শোষণ৷

প্রতি দশে একজন অভুক্ত---হিসাব পেশ করল রাষ্ট্রপুঞ্জের খাদ্যসংস্থা

গত ২১শে সেপ্ঢেম্বর রাষ্ট্রপুঞ্জের খাদ্যসংস্থার তরফে একটি হিসেব পেশ করা হয়েছে৷ তাতে জানানো হয়েছে--- পৃথিবীতে এই মুহূর্তে ৭০ কোটি মানুষ জানেন না, তাঁরা আবার কখন খেতে পাবেন বা আদৌ পাবেন কি না৷ প্রতি দশ জনের মধ্যে একজনকে রাতে অভুক্ত অবস্থাতেই ঘুমোতে যেতে হয়৷ সংস্থা আরও জানিয়েছে, ক্ষুধার সঙ্কট ক্রমবর্ধমান৷ কিন্ত সংস্থার কোষাগার ক্রমশ শুকিয়ে আসছে৷ বিশ্ব খাদ্য প্রকল্পের কার্যনির্বাহী সিন্ডি ম্যাকেন নিরাপত্তা  পরিষদকে জানান--- অনুদানের অভাবে খাদ্য রেশনে কাঁটছাঁট করতে হয়েছে৷ আমরা এমন সব  ঘটমান ও দীর্ঘমেয়াদি সঙ্কটের মধ্য দিয়ে চলেছি, যাতে মানবিক অভাব-অনটন বেড়ে যাচ্ছে৷ এটাই এখন ‘নিউ নরমাল’৷ এরধাক্কা আর

ক্যান্সারের গবেষণায় বিজ্ঞানের ঘরে অস্কার

বিশ্বে এক কোটির বেশি মানুষ পার্কিনসন্স ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় তা উঠে এসেছে পার্কিনসন্স ফাউন্ডেশনের সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায়৷ ১৮১৭ সালে চিকিৎসক জেমস পার্কিনসন্স চিহ্ণিত এই রোগ সম্পর্কে দু’দশক আগেও মানুষের ধারণা তেমন ছিল না৷ বর্তমানে শুধু প্রবীন ব্যক্তি নয়, বহু কমবয়সি তরুণরাও পার্কিনসন্স আক্রান্তের সংখ্যায় চিন্তার বিষয়৷ ক্যানসারের মতোই বেড়ে চলেছে এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা৷ যদিও এর গবেষণা চলছে নিরন্তর৷ যার স্বীকৃতি মিলল আন্তর্জাতিক স্তরে৷ স্বীকৃতি পেয়েছে ক্যান্সার থেরাপির গবেষণাও৷