September 2023

বনগাঁয় অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ১৭ই সেপ্ঢেম্বর উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বনগাঁ মেদিয়া পাড়ার বিশিষ্ট আনন্দমার্গী সরলা দেবীর বাড়ীতে ছয় ঘন্টা অখণ্ড ‘বাবা নাম কেবলম্‌’ মহানাম মন্ত্র কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ সকাল ৬টায় কীর্ত্তন শুরু হয়৷ কীর্ত্তন পরিচালনা করেন আচার্য ভাবপ্রকাশা -নন্দ অবধূত ও আচার্য সুবোধানন্দ অবধূত৷ কীর্ত্তন পরিবেশনায় ছিলেন শ্রীকুমুদ দাস, হরলাল হাজারী প্রমুখ৷ কীর্ত্তন শেষে কীর্ত্তনের মহিমা বর্ণনা করে বক্তব্য রাখেন ভুক্তিপ্রধান শ্রীসন্তোষ বিশ্বাস, আচার্য প্রমথেশানন্দ অবধূত, আচার্য বোধিসত্ত্বানন্দ অবধূত প্রমুখ৷ কীর্ত্তন উপলক্ষ্যে সরলা দেবীর বাসগৃহে জেলার মার্গী ভাইবোন ছাড়াও বহু সাধারণ মানুষও সমবেত হয়েছিলেন৷

মহিলা সংরক্ষণ বিল-বিপাকে বিজেপি

বিশেষ অধিবেশন ডেকে শুধুমাত্র কৃতিত্ব নেবার জন্যে সাত তাড়াতাড়ি লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাশ হলো মহিলা সংরক্ষণ বিল৷ এই বিল পাশে কৃতিত্ব কার এ নিয়ে শাসক বিরোধী তর্জা শুরু হয়েছে৷ তবে বিল পাশে চমক থাকলেও বিল নিয়ে চমকাবার মত কিছু নেই৷ এর আগেও লোকসভা রাজ্যসভায় উঠেছিল এই বিল৷ মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় রাজ্যসভায় পাশও হয়েছিল এই বিল৷ এই বিল কার্যকর হলে লোকসভায় ৩৩ শতাংশ মহিলা সাংসদ থাকবে৷ তবে নারী ক্ষমতায়নে পশ্চিমবঙ্গ মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে অনেক এগিয়ে৷ ইতিমধ্যে  ত্রি-স্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৫০শতাংশ মহিলাদের জন্যে সংরক্ষিত৷

মুর্শিদাবাদের কিরীটেশ্বরী ভারত সেরা পর্যটন গ্রাম

মুর্শিদাবাদ জেলার নবগ্রামের কিরীটেশ্বরী গ্রাম ভারত সেরা পর্যটন গ্রামের শিরোপা পেল৷ কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের বেস্ট ভিলেজ কম্পিটিশনে ২০২৩ সালে দেশের ৩১টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল থেকে ৭৯৫টি আবেদন জমা পড়ে, তা থেকে কিরীটেশ্বরীকে বেছে নেয় কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রক৷ পুরান অনুযায়ী এই কিরীটেশ্বরী গ্রামে সতীর মুকুট অর্থাৎ কিরীট পড়েছিল৷ সেই থেকেই মন্দিরের দেবীর নাম হয় কিরীটেশ্বরী ও গ্রামের নামও হয় কিরীটেশ্বরী গ্রাম৷ আগামী ২৭শে সেপ্ঢেম্বর দিল্লীতে পুরস্কার দেওয়া হবে৷ পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানান গ্রামটিকে আরও সুন্দর করে সাজান হবে৷

 

২০২৩ পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণতম বছর---দাবী নাসার

২০২৩ সালের গ্রীষ্মকালের শুরু থেকে আবহাওয়ার তাপমাত্রা দীর্ঘদিন বেড়েই চলেছে৷ এই তথ্য সামনে এনেছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা ও ন্যাশনাল ওশানিক ওশানিক এ্যাটমোস্ফিয়ারিক এ্যাডমিনিস্ট্রেশন৷ তাদের দাবি এই বছরের জুন থেকে আগষ্ট মাস পৃথিবীর উষ্ণতম সময় ছিল৷ এটাই ছিল উত্তর গোলার্ধে সবচেয়ে উষ্ণ গ্রীষ্মকাল ও দক্ষিণ গোলার্ধে সবচেয়ে উষ্ণ শীতকাল৷ নাসার বিল নেলসন জানান--- ‘এই রেকর্ড তাপমাত্রা শুধুমাত্র একটি সংখ্যা নয়৷ এটি বাস্তবে বিশ্বের ভয়াবহ পরিণতির কথা জানাচ্ছে৷ আমেরিকা ও  কানাডায় দাবানল ও ইউরোপ ও এশিয়ার বন্যা, ভূমিকম্প প্রভৃতি এরূপ বহু ভয়াবহ পরিস্থিতির  সৃষ্টি হয়েছে সারাবিশ্বে, যা সরাসরি প্রভাব ফে

জাতিভেদ ও নারীর মর্যাদা হ্রাস

বৈয়ষ্টিক জীবনে মৌলিক অধিকার সমূহের সুরক্ষা তথা সামূহিক জীবনে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে মানুষ অনাদিকাল থেকে শৃঙ্খলাসমন্বিত শাসন–ব্যবস্থার প্রবর্ত্তন করে চলেছে৷ এই সকল আইন শাসকশ্রেণীই সময়ে সময়ে তৈরী করেছে ও প্রতিটি আইন থেকে এ ভাবই প্রকট হয় যে শাসক শ্রেণী আইন প্রণয়নকালে তাদের নিজেদের স্বার্থের দিকেই সব থেকে বেশী নজর রেখেছে৷ দৃষ্টান্ততঃ, মনুস্মৃতিতে মনু বিধান দিয়েছেন যে কোন ব্রাহ্মণ শূদ্রকন্যার পাণিগ্রহণ করলে তাকে মাথা মুড়িয়ে গাধার পিঠে বসিয়ে শহর পরিক্রমণ করানো হবে, আর শূদ্র যদি কোন ব্রাহ্মণতনয়ার পাণিগ্রহণ করে তবে সেক্ষেত্রে তার শাস্তি হবে প্রাণদণ্ড৷  এই ধরণের আইন ব্যবস্থা সমাজে ব্রাহ্মণদের প

আমার মণিমাণিক্য

কৌশিক খাটুয়া

একসঙ্গে লেখাপড়া

একসঙ্গে খেলা,

একসঙ্গে সুকলে যাওয়া

যেন মিলন মেলা৷

একসঙ্গে ফুল কুড়ানো

নীল আকাশে চাওয়া,

একসঙ্গে পরাণ ভরে

আনন্দে গান গাওয়া৷

একসঙ্গে নৃত্য করি

একসঙ্গে হাসি,

সুখ-দুঃখে সবাই মোরা

থাকি পাশাপাশি

একসঙ্গে ভাগ করে নিই

সুখ-দুঃখের কথা,

পৃথক হয়ে সুখের খোঁজ

সময় নষ্ট বৃথা৷

ভরে আছে হৃদয় জুড়ে

হর্ষ সারা বর্ষ৷

বিশ্ববাসীর দৃষ্টিতে

আমরা হলাম আদর্শ৷

 

পরমাশ্রয়

আচার্য গুরুদত্তানন্দ অবধূত

তোমায় স্মরেছি  গহন গভীরে

নিস্তব্ধ রজনীতে,

পেয়েছি তোমায় নির্জন কাননে

এই না ধরণীতে৷

শৈত্যপ্রবাহে মাধুরী ছড়ায়ে

চলেছিলে তুমি পথ

রাঙিয়ে জীবন তুলিয়া রণন...

করেছিলে একমত৷

নিত্যদিনের কাজের মাঝেই

ডেকে যাই তোমারে

তুমিও সদাই ঘিরিয়া রয়েছো

বাজিয়ে বীণা তারে৷

তোমার পরশে হরষিত চিত

তোমারই কথা বলে,

নয়ন মুদিয়া ধরিতে গেলেই

যাও কোথা তুমি  চলে?

না চাহিতে তুমি আসিয়া দাঁড়াও

মুচ্‌কি হাসি হেসে,

অপার তোমার লীলা মাধুরী

যাও সবে ভালবেসে৷

মাতৃভাষা

মাতৃভাষা লতে কী বোঝায়? মাতৃভাষা হচ্ছে সেই ভাষা যাতে খোলামেলা পরিবেশে আমরা সহজে স্বচ্ছল ভাবে ও স্বতঃস্ফূর্ত্ত ভাবে আমাদের ভর্বা ব্যক্ত করতে পারি, যেমন ভাবে আমরা আমাদের মায়ের মত অন্তরঙ্গ জনের সঙ্গে কথোপথনের মধ্য দিয়ে ভাব বিনিময় করি৷ উদাহরণ স্বরূপ, পূর্ণিয়া জেলার একজন মানুষ তার নিকটতম ন্ধুর সঙ্গে অঙ্গিকা ভাষা ছাড়া অন্য কোন ভাষাতে কথা বলবে না৷

(১) ‘ট’ যে কেবল একটি বর্ণবিশেষ তা নয়৷ এটি একটি শব্দও বটে৷ অনেক শব্দের মতই এটিও একটি একাক্ষর শব্দ৷ ‘টস্‌’ ধাতুর মানে ‘তীক্ষ্ন আওয়াজ করা’৷ ধাতুটি মুখ্যতঃ পরস্মৈপদী হলেও ক্কচিৎ কোথাও কোথাও আত্মনেপদী ব্যবহারও দেখা যায়৷ মানুষ মুখ দিয়ে যে হুইস্‌লের মত আওয়াজ করে সেজন্যেও সংস্কৃতে ‘টস্‌’ ধাতু চলবে৷ এই অর্থে ‘টস্‌’ ধাতু+ ‘ড’ প্রত্যয় করে যে ‘ট’ শব্দ পাচ্ছি তার ভাবারূঢ়ার্থ হচ্ছে ‘সহসা উত্থিত তীক্ষ্ন ধবনি’৷ আর যোগারূঢ়ার্থে হচ্ছে ‘ধনুক থেকে তির নিক্ষেপের সময় ধনুকের ছিলায় যে শব্দ সৃষ্ট হয় সেই শব্দটি’৷ ধনুকের ছিলার শব্দকে ‘ট’ লি আর তাই থেকেই আমরা পাই ‘টন্‌’+ কার= টঙ্কার/টংকার৷ তহলে ঝলে ‘ট’ শব্দের একটি অর্

দানও নিলেন, দক্ষিণাও নিলেন

একটি প্রাচীন ৰাংলা গানে ‘কোদণ্ড’ শব্দটি কোদাল অর্থে ব্যবহূত হয়েছিল৷ গানটি রচনা করেছিলেন সুবিখ্যাত পাঁচালী গায়ক দাশরথি রায়–সংক্ষেপে দাশু রায়৷ ৰাংলার এই জন্মসিদ্ধ প্রতিভা দাশু রায় কবিতায় কথা বলতে পারতেন......পারতেন গানেও কথা বলতে৷ সংস্কৃত শাস্ত্রেও ছিল তাঁর প্রচণ্ড দখল......আর প্রচণ্ড দখল ছিল যেমন ৰাংলায় তেমনি সংস্কৃতেও৷ তার সঙ্গে তিনি ছিলেন মজলিশী মেজাজের মানুষ৷ লোককে হাসাতে পারতেন দারুণ৷