September 2023

সদ্যোজাত শেশুর যত্ন

সাধারণতঃ মাতৃগর্ভে আট মাসের কম থাকার পরে শিশু জন্মগ্রহণ করলে সে মৃত অবস্থাতেই জন্মগ্রহণ করে, অথবা জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই মারা পড়ে৷ মৃতবৎসা নারীরা তাই সাত মাসে বা তার চেয়ে কম বয়সে শিশু প্রসব করে’ থাকে৷ আট মাসে জন্মালে বেশীর ভাগ শিশু প্রাণে বেঁচে থাকে, তবে আট মাসে জন্মায় খুব কম শিশু৷ তার চেয়ে বরং ন’মাসে জন্মায় বেশী শিশু৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রে শতকরা ৯৫ শতাংশ ভাগ জন্মায় দশ মাসে, ক্বচিৎ কখনো দু’–একটা জন্মায় একাদশ মাসের গোড়ার দিকে৷ প্রথম সন্তান কোন কোন ক্ষেত্রে ন’মাসের শেষের দিকে জন্মে থাকে৷ নয় মাসের শেষে যারা জন্মায় তারা মোটামুটি সুস্থ অবস্থায় থাকে৷ তাদের স্বাস্থ্যহানি বড় একটা হয় না৷ তবে গোড়ার দিকে তাদে

হাট

ৰাংলায় আর একটা কথা রয়েছে ‘হাট’৷ সংস্কৃত ‘হট্ট’ শব্দ থেকে ‘হাট’ শব্দটি এসেছে৷ যেমন পাশাপাশি সাজানো অনেকগুলি হাট, সংস্কৃতে ‘হট্টমালা’৷ ‘হট্টমালার গল্প’ তোমরা অনেকেই নিশ্চয় পড়েছ৷ সংস্কৃতে ৰড় ৰড় হাটকে ৰলে ‘হট্টিক’৷ হট্টূ‘ষ্ণিক্’ প্রত্যয় করে ‘হট্টিক’৷ যদিও বৈয়াকরণিক বিচারে ‘হট্টিক’ মানে ছোট হাট  হওয়া উচিত কিন্তু আসলে ৰড় হাট অর্থেই ‘হট্টিক’ শব্দটি ব্যবহার করা হ’ত৷ ‘হট্ট’–এর তদ্ভব ৰাংলা হচ্ছে ‘হাট’৷ যেমন রাজারহাট, বাগেরহাট, মাঝেরহাট প্রভৃতি৷ ‘হট্টিক’ শব্দের ৰাংলা ‘হাটি’৷ যেমন ‘নবহট্টিক’ থেকে ‘নৈহাটি’, ‘নলহট্টিক’ থেকে ‘নলহাটি’, ‘গুবাকহট্টিক’ থেকে ‘গৌহাটি’  (গুয়াহাটি) প্রভৃতি৷ দক্ষিণ ৰাংলায় হাটকে ‘হ

স্বাধীনতার কালে বাঙালী আগুন জ্বালে

শিবরাম চক্রবর্তী

বীর বাঙালী বাঘাযতীন,

প্রফুল্ল, বাদল, দীনেশ, বিনয়

মাতঙ্গিনীর মতো বহু

বীরঙ্গনা নারী বাঙলায় জন্মায়৷

এরা সবাই বাঙালীয়ানায়

বড়ো হয়ে শেষ কালে

ভারতস্বাধীন করার লাগি

লড়াই করেন সমানতালে৷

মারের মুখে কেউ বা পড়েন

কেউ বা নারীর সতীত্ব খুইয়ে,

বন্দেমাতরম্‌ ধবনি তুলে

ভারতমাতায় যায় জয় গেয়ে৷

এরা বাঙালীর ঘরে ঘরে

পেয়ে নারীর খুব মর্যাদা

চিরদিনের জপমালায়

বাঙালীর ভাবে থাকবে বাধা৷

 

আজব কারখানা

আচার্য গুরুদত্তানন্দ অবধূত

জগত জুড়ে চলছে সবাই

শিখছে কত কিছু,

চলছে সবে সুমুখ পানে

তাকাও কেন পিছে?

খাটছে মানুষ দিবা রাতি

গড়ছে বাড়ি ঘর,

দুদিন পর  সব ছাড়িয়া

হচ্ছে দেশান্তর৷

গ্রহান্তরের মানুষ বুঝি

বিশাল অন্তর,

হচ্ছে সবার মেলা মেশা

জেনো নিরন্তর৷

আত্মীয়তা বাড়ছে

কাটছে ঘনঘোর,

নেট দুনিয়ার সবাই কাছের

এলো নোতুন ভোর৷

মনের মতন খুঁজি কাজে

খাটছে সারাক্ষণ,

কাজের মাঝে  গড়ছে  নিজে

করি জীবন পণ৷

সবার হৃদের একই ভাষা

সবে আপন জন,

হৃদিধারায় বহিয়া চিতে

ইতিহাসে    ঢাকাই মসলিন

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

বাঙলার অতীত গৌরবের অন্যতম সাক্ষী ঢাকাই মসলিন৷ সূক্ষ্ম সূত্রশিল্পের এক অপূর্ব নিদর্শন এই মসলিন৷ মোগল বাদশাহদের পাটরানী বেগম থেকে শুরু করে ইয়ূরোপের সম্রাজ্ঞীরা পর্য্যন্ত এই মসলিন শাড়ী পরবার জন্য উদ্‌গ্রীব হয়ে থাকতেন৷

ওদন

উদ্‌/ওদ্‌+ অনট্‌ = ওদন ৷ ‘ওদন’ মানে যাকে ভেজানো হয়েছে৷ ধানের সংস্কৃত ‘ব্রীহি’, চালের সংস্কৃত ‘তণ্ডুল’ আর ভাতের সংস্কৃত ‘ওদন’৷ ভাত ভিজে জিনিস, তাই তার নাম হয়েছে ‘ওদন’৷ যে মানুষ সৎপথে থেকে অন্ন সংগ্রহ করেন বা অন্ন সংস্থান করেন তাঁর অন্ন পবিত্র অন্ন লে গণ্য হয়ে থাকে৷ কলহজীবী, মৃতকজীবী, পরপিণ্ডভোজী, ধর্মব্যবসায়ী ও সুযোগসন্ধানীর অন্ন অপবিত্র অন্ন লে গণ্য করা হয়ে থাকে৷ যারা মানুষে মানুষে কলহ াধিয়ে দিয়ে অর্থ উপার্জন করে তাদের লা হয় ‘কলহজীবী’৷ এই কলহজীবীর অন্ন অভক্ষ্য লে গণ্যও হয়ে থাকে৷ কারও মৃত্যুর সুযোগ নিয়ে যারা অর্থোপাজন করে (যেমন মৃতদেহকে পিণ্ডদান করে অর্থোপাজন, শ্রাদ্ধে পৌরোহিত্য করে অর্থোপাজ

আমি কেমন সেয়ানা মেয়ে

প্রাচীনকাল থেকেই ভাশুর শ্বশুরের তুল্য পূজ্য রূপেই গণ্য হয়ে এসেছে৷ তাই ভাশুরের সম্বোধনসূচক সাম্মানিক শব্দ হচ্ছে ৰড় ঠাকুর/বট্ঠাকুর৷ কিন্তু প্রাচীনকালে সামাজিক বিধি ছিল এই যে ভাশুরকে ছোঁয়া চলে না৷ এ সম্পর্কে একটা গল্প আছে৷  ঘটনাটি  ঘটেছিল মানাদে  (মহানাদ)*৷ তাড়াতাড়ি বলছি শোনো৷

বউ–(স্বগত) চোর এসেছে...........বাড়ির চারপাশে সিঁদকাঠি নিয়ে ঘোরাফেরা করছে.......সব ৰুঝছি, মুখটি খুলছি না............আমি কেমন সেয়ানা মেয়ে.........দেখি কী হয়

..........চোর সিঁধ কাটছে.......... শব্দ শুনছি, চোখটি বুজে  পড়ে আছি, মুখটি খুলছি না.......আমি কেমন সেয়ানা মেয়ে.........দেখি কী হয়

বেজে উঠল ক্রিকেট বিশ্ব যুদ্ধের দামামা

গত মঙ্গলবার বিশ্বকাপের জন্য ১৫ জন সদস্যের ভারতীয় দল ঘোষণা হতেই চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে৷ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার লোকেশ রাহুলের ফিটনেস নিয়ে আশঙ্কা ছিল৷ তবে টানাপোড়েন শেষে তাঁর অন্তর্ভুক্তিতে স্বস্তিতে থিঙ্কট্যাঙ্ক৷ নির্বাচক কমিটির প্রধান অজিত আগরকর জানিয়েছেন, ‘রাহুলের চোটমুক্তি নিঃসন্দেহে দলের ভারসাম্য আরও বাড়াবে৷ বেঙ্গালুরুর এনসিএ’তে গত দুদিন আলাদাভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে ওকে৷ বাইশ গজে ব্যাট হাতে প্রায় ৫০ ওভার কাটিয়েছে রাহুল৷ সবদিক বিবেচনা করে সেরা দলই বেছে নেওয়া হয়েছে৷ উল্লেখ্য, গত মে মাস থেকে পেশির চোট ভোগাচ্ছে তাকে৷ শেষ মুহূর্তে এশিয়া কাপেও যেতে পারেননি রাহুল৷ তবে ম্যানেজমেন্ট আশাবাদী, সুপার ফো

কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গেলেন টেনিস তারকা কার্র্লেস আলকারাজ

গত সোমবার ম্যাত্তিও আর্নাল্ডিকে পরাজিত করে যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেছেন টেনিস তারকা কার্লোস আলকারাজ৷ শেষ আটের লড়াইয়ে তাঁর প্রতিপক্ষ জার্র্মনির আলেকজান্ডার জেরেভ৷ উইম্বলডন জয়ের পর স্প্যানিশ তারকার সামনে ফ্ল্যাশিং মিডো জয়ের হাতছানি৷ তবে শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে আলকারাজের শক্ত গাঁট জেরেভ৷ এর আগে গ্র্যান্ড স্ল্যামের মঞ্চে একবারই দুই তারকা মুখোমুখি হয়েছিলেন৷ সেটা ছিল গত মরসুমের ফরাসি ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনাল৷ সেবার জার্মান টেনিস তারকা শেষ হাসি হেসে কোর্ট ছাড়েন৷ এছাড়াও শেষ পাঁচ সাক্ষাতে পাল্লা ভারী জেরেভেরই৷ তবে ফাইনাল থেক দু’কদম দূরে দাঁড়িয়ে পরিসংখ্যান ও প্রতিপক্ষ নিয়ে ভাবতে ন

প্রভাত সঙ্গীত দিবসের আশ্বাস

সাংস্কৃতিক জগৎ যখন অবক্ষয় আর অশ্লীলতায় তমসাচ্ছন্ন তখন প্রভাত সঙ্গীত এলো সংস্কৃতির জগতে তমসাবৃত নিশীথে আলোর আমেজ নিয়ে৷ শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার (আধ্যাত্মিক জগতে যিনি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী নামে পরিচিত) ১৯৮২ সালের ১৪ই সেপ্ঢেম্বর দেওঘরের শান্ত স্নিগ্দ পরিবেশে মনোরম সন্ধ্যায় নোতুন প্রভাতকে আহ্বান জানিয়ে রচনা করলেন---‘‘বন্ধু হে নিয়ে চলো৷

                      আলোর ওই ঝর্ণাধারার পাণে৷’’