September 2023

এই কলহ কার স্বার্থে

মনোজ দেব

পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন নিয়ে রাজ্যের শাসক ও বিরোধীপক্ষ কলহে মেতেছে৷ প্রায় অস্তিত্বহীন ছিন্ন ভিন্ন পশ্চিমবঙ্গের ওপর ৭৭ বছর ধরে যে শোষণের স্টিমরোলার চলছে তা নিয়ে আশ্চর্যজনকভাবে নীরব প্রতিষ্ঠিত প্রতিটি রাজনৈতিক দল৷ অথচ দিবস পালন নিয়ে কলহে মেতেছে৷ এই কলহ নিয়ে কিছু বলার আগে ৭৭ বছরের দিনগুলো একটু দেখে নিই–

নির্দয় শোষনের হাত থেকে মুক্তি পেতে সামাজিক অর্থনৈতিক আন্দোলনে নামতে হবে

প্রবীন প্রাউটিষ্ট শ্রীপ্রভাত খাঁ হুগলী শ্রীরামপুরে এক আলোচনায় বলেন---জি-২০ এর এলাহি আয়োজন আর বাহারে প্রচারের আড়ালে হারিয়ে যাচ্ছে গত ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি গুলি৷ বছরে ২কোটি চাকরী, ১০০স্মার্ট সিটি, সুইসব্যাঙ্কের কালো টাকা উদ্ধার, সবার অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ, দুর্নীতি মুক্ত প্রশাসন, প্রতিটি বাড়ী পাকা৷ কিন্তু মানুষ পেল কি? বেকারত্ব বৃদ্ধি, সুইসব্যাঙ্কে কালো টাকা বৃদ্ধি, ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারী, নোটবন্দী-১০০-এর উপর মানুষের মৃত্যু, ভ্যাকসিন কেলেঙ্কারী, কোভিডে গঙ্গায় মৃত দেহ..৷

১৪ই সেপ্ঢেম্বর কলকাতা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পালিত হলো ৪১তম প্রভাত সঙ্গীত দিবস

১৪ই সেপ্ঢেম্বর প্রভাত সঙ্গীত দিবস৷ ১৯৮২ সালের ১৪ই সেপ্ঢেম্বর প্রভাত সঙ্গীতের রচয়িতা ও সুরকার প্রাউট প্রবক্তা পরম শ্রদ্ধেয় শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার(আধ্যাত্মিক জগতে যিনি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তি নামে পরিচিত) দেওঘরের শান্ত-স্নিগ্দ পরিবেশে প্রথম প্রভাত সঙ্গীত দিলেন---‘‘বন্ধু হে নিয়ে চলো....’’৷  তারপর মাত্র আট বছরের মধ্যে তিনি দিলেন ভাব-ভাষা-সুর ও ছন্দের বৈচিত্রে ভরা নানা ঘরানার ৮টি ভাষায় ৫০১৮টি গান, সুর সংযোজনাও তিনিই করেন৷ সেই উপলক্ষ্যে প্রতিবছর বিশ্বের প্রতিটি আনন্দমার্গ ইয়ূনিটে ১৪ই সেপ্ঢেম্বর প্রভাত সঙ্গীত দিবস পালিত হয়৷

অসমে বাঙালী বিদ্বেষী বিজেপিকে পরাস্ত করতে আমরা বাঙালীর আহ্বান

সম্প্রতি শোণিতপুর জেলার বরসালায় উচ্ছেদ হওয়া ৬০টি হিন্দু বাঙালী পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান রাখল ‘আমরা বাঙালী’ অসম রাজ্য কমিটি৷ দলের রাজ্য সচিব সাধন পুরকায়স্থ বলেন, মা-বোনদের সব হারানোর কান্না বিজেপির বাঙালী ভক্তকুল চেয়ে দেখুন৷ দেশভাগের বলি পূর্ববঙ্গ থেকে আগত নিপীড়িত হিন্দুদের নাগরিকত্বের আশ্বাস দিয়ে ভোট নিয়ে গদি দখল করার পর প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে এই বিজেপি সরকার কিভাবে বুলডোজার চালাচ্ছে এই বাঙালী হিন্দুদের উপর৷  ডিটেনশনক্যাম্প তৈরি হয়েছে শুধু বাঙালীদের গারদে ঢোকানোর জন্য৷ এরপরেও অসমের বাঙালীরা, বরাক উপত্যকার বাঙালীরা কিভাবে বিজেপিকে সমর্থন করবেন?

দেশটার নাম ভারত নয়---ভারতবর্ষ

তপোময় বিশ্বাস

ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়া জি-২০ সামমিটে অতিথিদের  নৈশ্যভোজনের আমন্ত্রণে মাননীয়া রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর পাঠানো পত্রের হেডিংয়ে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’র বদলে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’ লেখা দেখা যাওয়ার পর থেকেই এক বিরাট বিতর্কের সূত্রপাত৷ ইন্দোনেশিয়ায় হওয়া এক অনুষ্ঠানে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদীর ‘দ্য প্রাইম মিনিস্টার অব ভারত’ এছাড়া জি-২০ অনুষ্ঠানে তাঁর বসার  নামফলকেও ‘দ্য প্রাইম মিনিস্টার অব ভারত’ লেখা সেই বিতর্ককে আরো উস্কে দিয়েছে৷ দেশের রাজনৈতিক মহলের অনেকাংশের মতে, সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে দেশের নাম পরিবর্তন করে ভারত রাখার প্রস্তাব আলোচনা হবে৷ এটি সম্ভবত এক দেশ এক ভোট প্রক্রিয়াকরণ চ

প্রভাত সঙ্গীত ঃ তমসাবৃত নিশীথে আলোর পরশ

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

আজ সমাজের সর্বস্তরে দেখা দিয়েছে চরম অবক্ষয়ের অমানিশা৷ অর্থনৈতিক স্তরে চলছে চরম শোষণ ও দুর্নীতি৷ ঈশ্বর সৃষ্ট এই জগতের সম্পদ যা ঈশ্বরের সন্তান সমস্ত মানুষের মিলেমিশে খেয়ে পরে বাঁচার জন্যে, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে জীবনের চরিতার্থতার পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্যে, কিন্তু আজ সেই সম্পদ লুঠে পুটে খাচ্ছে সমাজের এক শ্রেণীর শোষকগোষ্ঠী৷ রাজনীতি – যা নাকি দেশ–সেবার প্রকৃষ্ট নীতি, তা হয়ে উঠেছে যেন তেন প্রকারেণ ক্ষমতা করায়ত্ত করার ও ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকার কৌশল মাত্র৷ এখানে ‘নীতি’টা নিতান্তই গৌণ৷ শিক্ষার নামে চলেছে কেবলমাত্র অর্থ রোজগারের উপায় আয়ত্ত করার প্রশিক্ষণ, সেখানে নীতিশিক্ষা–ধ্যাত্মশিক্ কোনো নাম–ঠিকানা নেই৷ সং

সমবায় আন্দোলনই শোষণের অবসান ঘটাবে

প্রভাত খাঁ

ব্যষ্টি নিয়ন্ত্রিত ও রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত উৎপাদন ব্যবস্থাই অদ্যাবধি পৃথিবীর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে ও মূলতঃ বন্টন ব্যবস্থাকে পরিচালিত করছে৷ এদের যথাক্রমে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রক সাম্যবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলে উল্লেখ করা হয়৷

আজ এই দুটিই উৎপাদন ও বন্টন ব্যবস্থাই শোষণের হাতিয়ার হিসাবে চিহ্ণিত হচ্ছে৷

সারা পৃথিবীতে চলছে চরম অর্থনৈতিক শোষণ৷ বর্ত্তমানে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাই স্বনামে ও বেনামে কাজ করে চলেছে৷ এই দুই ক্ষেত্রেই শ্রমিক, বুদ্ধিজীবী নানাভাবে আর্থিক দিক থেকে শোষিত হচ্ছে৷

নিউব্যারাকপুরে প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্য গীত ও অঙ্কন প্রতিযোগিতা

গত ১০ই সেপ্ঢেম্বর নিউব্যারাকপুর আনন্দমার্গ আশ্রমে প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্যগীত ও অঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল৷ সব বিভাগ মিলিয়ে ১৩৫ জন প্রতিযোগী ছিলেন৷ প্রতিটি বিভাগের প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানপ্রাপ্তরা আগামী ২৪শে সেপ্ঢেম্বর কলকাতায় কেন্দ্রীয় আশ্রমে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে৷ উত্তর২৪পরগণা জেলার ভুক্তিপ্রধান শ্রীসন্তোস বিশ্বাস ও স্থানীয় ইয়ূনিটের কর্মীদের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি সফল হয়৷

 

আমরা বাঙালী ত্রিপুরা রাজ্য সম্মেলন

গত ৯ ও ১০ই সেপ্ঢেম্বর,২০২৩  আগরতলা শহরে শিবনগরে আমরা বাঙালী রাজ্যকার্যালয়ে বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ সম্মেলনের প্রথম দিন শহরের রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে বিভিন্ন দাবীর ভিত্তিতে গণবস্থানে বসে আমরা বাঙালী কর্মীরা৷ রাজ্য কার্যালয় থেকে কর্মীরা মিছিল করে শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে রবীন্দ্রভবনের সামনে সমবেত হন৷ সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অবস্থান চলে৷ আমরা বাঙালীর প্রধান দাবী ছিল বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা সরকারী-বেসরকারী কাজে বাঙলা ভাষার ব্যবহার, বাঙালী উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসন ও ১০০ শতাংশ কর্মসংস্থান প্রভৃতি৷ গণবস্থানে ও সম্মেলনে  বর্তমান আর্থসামাজিক পরিস্থিতিতে আমরা বাঙাল

ভয়াবহ ভূমিকম্পে মরক্কোয় বিধবস্ত অবস্থা

গত ১২০ বছরে সবচেয়ে বেশি কম্পন সম্পন্ন ভূমিকম্প হয়েছে আফ্রিকার দেশ মরক্কোতে৷ ভূমিকম্পে মরক্কোতে মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে৷ এই দেশের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক জানিয়েছেন  আহতদের সংখ্যা কমপক্ষে ২ হাজার ৫৯জন৷ তাদের মধ্যে ১ হাজার ৪০৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক৷ ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে৷ ধবংসস্তুপ হাতড়ে চলছে প্রাণের সন্ধান৷ এছাড়া সমগ্র দুর্গত অঞ্চলগুলিতে খাদ্য ও পানীয় জলের জন্য হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে৷ গত শুক্রবার রাতে রিখটার স্কেলে ৬.৮ মাত্রার কম্পনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা আশ্রয় নেন প্রত্যন্ত ত্রাণকর্মীদের কাছে৷ এই সব প্রত্যন্ত অঞ্চলে বহু ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে৷ এদিকে ভূমিকম্পে মরক্কোয়