October 2023

রাজ্যপাল ও রাজনীতি

মনোজ দেব

রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপাল৷ রাষ্ট্রপতি রাজ্যপালকে নিয়োগ করে থাকেন৷ যদিও কেন্দ্রের শাসক দলের মর্জি মতই রাজ্যপাল বাছাই করা হয়৷ তাই রাজনীতির রং থেকে রাজ্যপাল সম্পূর্ণ মুক্ত নন৷ তবু এই সাংবিধানিক পদটির মর্যাদা রক্ষা করতে রাজ্যপালের নিরপেক্ষ ভূমিকা অবলম্বন করাই শ্রেয়৷ কিন্তু সংসদীয় রাজনীতির পাঁকে পড়ে এই অরাজনৈতিক পদটি অনেক সময়ই রাজনীতির স্বার্থেই ব্যবহার করা হয়৷ বিশেষ করে রাজ্যের ও কেন্দ্রের শাসক দল যদি ভিন্ন মতাবলম্বী হয়৷ রাজ্যপাল নিয়োগ যেহেতু কেন্দ্রীয় শাসকদলের মর্জিমত হয়ে থাকে তাই রাজ্যপালের দলীয় আনুগত্য কেন্দ্রীয় শাসকদলের দিকেই থাকে৷ কেন্দ্রের শাসক দলও দলীয়

প্রভাত সঙ্গীতের ৪১তম বর্ষপূর্ত্তি  উপলক্ষ্যে অঙ্কন, সঙ্গীত ও নৃত্যের চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগিতা

গত ২৪শে সেপ্ঢেম্বর আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের তিলজলাস্থিত কেন্দ্রীয় আশ্রমে প্রভাত সঙ্গীতের ৪১তম বর্ষপূর্ত্তি উৎসব উপলক্ষ্যে প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে অংকন, সঙ্গীত ও নৃত্যের বর্ণাঢ্য ফাইনাল প্রতিযোগিতা হয়ে গেল৷ প্রাথমিক পর্বে পূর্ব ও উত্তরপূর্বের বিভিন্ন রাজ্য ৮১টি কেন্দ্রে প্রতিযোগিতা হয়৷ সেখান থেকে প্রতিটি বিভাগে দুজন করে কলিকাতার চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করে৷

মাথাপিছু আয় নয়---প্রাউট চায় ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি

প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্র্সলের কেন্দ্রীয় সচিব আচার্য কল্যাণেশ্বরানন্দ অবধূত বলেন--- প্রাউটের মতে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি অর্থনৈতিক উন্নতির মাপকাঠি নয়৷ মাথাপিছু আয় সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতির কোন বৈজ্ঞানিক নির্ভরযোগ্য মাপকাঠি নয়৷ মাথাপিছু আয়কে উন্নয়নের মাপকাঠি ধরে জনসাধারণকে ভুল পথে চালানো হয়৷ মাথাপিছু আয়ে উন্নয়নের কোন সুস্পষ্ট চিত্র পাওয়া যায় না৷ মাথাপিছু আয়ের হিসেবে দেশের জনগোষ্ঠীর জীবন যাত্রার মানের প্রকৃত চিত্র পাওয়া যায় না৷ মাথাপিছু আয়ের মাপকাঠি ধনবৈষম্য আড়াল করার পুঁজিপতি কৌশল৷ দুইজন ব্যক্তির একজনের আয় পাঁচহাজার ও অপরজনের আয় ৫০ হাজার ধরে গড় আয়ের হিসেবে প্রকৃত ব্যবধানটা আড়াল হয়ে যায়৷ মাথাপিছু আয়

ডবল ইঞ্জিনেও নিয়ন্ত্রণের বাইরে মনিপুর - সেনার হাতে তুলে দেওয়া হলো পার্বত্য অঞ্চল

মনিপুরে জাতিদাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার৷ গত ২৫শে সেপ্ঢেম্বর মেইতি সম্প্রদায়ের দুই ছাত্র-ছাত্রীর ছবি ইন্টারনেটে ভাইরাল হতেই নূতন করে অশান্তি শুরু হয়েছে৷ ছবিটিতে দেখা গেছে এক ছাত্র ও এক ছাত্রী দুই বন্ধুকধারীর সামনে বসে আছে৷ অপর একটি ছবিতে ওই ছাত্র-ছাত্রীর মৃত দেহ দেখা যায়৷ ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছবি দুটি ভাইরাল হতেই নূতন করে অশান্তি ছড়ায়৷ ইন্টারনেট পরিষেবা আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়৷

ভক্তিরেব গরীয়সী

মানসপট আর মনের ময়লা

নির্গুণ ব্রহ্মের কোনো রূপ নেই৷ তিনি নিরাকার৷ এই ব্রহ্মই সগুণ ব্রহ্মরূপে (যা নির্গুণ ব্রহ্মের কার্যান্বিত রূপ), প্রকৃতির সহায়তায় ব্রহ্মভাবের জন্ম দেন, সেই সগুণ ব্রহ্ম প্রতিটি ধূলিকণায় ব্যাপ্ত আছেন৷ আমার মানসপটের ওপর ব্রহ্মের প্রতিচ্ছায়া পড়ছে, আর এই প্রতিচ্ছায়া কিরকম ভালভাবে পড়বে তা নির্ভর করে আমারই সংস্কারের ওপর৷ মানসপট যত ময়লাযুক্ত হবে, তার ওপর ততখানিই খারাপ প্রতিফলন পড়বে৷ সাধনার দ্বারা আমরা মনের এই ময়লাকে পরিষ্কার করি৷

পশ্চাৎপদ শ্রেণীর উন্নয়ন

বিশ্বের বিভিন্ন পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীকে সাহায্য করা আমাদের আশু কর্ত্তব্য৷ যেহেতু বর্তমান বিশ্বের বিভিন্ন সামাজিক–র্থনৈতিক ব্যবস্থাগুলি পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর প্রয়োজন পূর্ত্তির প্রতি ও সামগ্রিকভাবে সমাজের উন্নতির প্রতি নজর না দিয়ে সমাজের এক বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করে’ চলেছে, সেইজন্যেই পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠী শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক অবদমনের শিকার হচ্ছে৷

ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রে বৈচিত্র্যের মধ্যেই ঐক্য কাম্য

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

প্রাউট দর্শনের প্রবক্তা মহান দার্শনিক শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার বলেছেন---‘‘বৈচিত্র্যং প্রাকৃত ধর্মঃ সমানং ন ভবিষ্যতি৷’’ বৈচিত্রই প্রকৃতির ধর্ম৷ সৃষ্ট জগতের কোনও দুটি বস্তু হুবহু এক নয়৷ দু’টি মন এক নয়, দুটি অণু বা পরমাণুও এক নয়৷ এই বৈচিত্র্যই প্রকৃতির স্বভাব৷ যদি কেউ সবকিছুকে সমান করতে চায় সেক্ষেত্রে প্রাকৃত ধর্মের বিরোধিতা করায় অবশ্যই ব্যর্থ হবে৷ সব কিছু সমান কেবল প্রকৃতির অব্যক্ত অবস্থায়৷ তাই যারা সব কিছুকে সমান করার কথা ভাবে, তারা সব কিছুকেই ধবংস করার কথা ভাবে৷ .....সবাইকে যেমন এক ছাঁচে ঢালা যাবে না, তেমনি বৈচিত্র্যের ধূয়ো তুলে কেউ যাতে শোষণ করতে না পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে৷ বৈচিত্র্য স

ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রে বৈচিত্র্যের মধ্যেই ঐক্য কাম্য

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

প্রাউট দর্শনের প্রবক্তা মহান দার্শনিক শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার বলেছেন---‘‘বৈচিত্র্যং প্রাকৃত ধর্মঃ সমানং ন ভবিষ্যতি৷’’ বৈচিত্রই প্রকৃতির ধর্ম৷ সৃষ্ট জগতের কোনও দুটি বস্তু হুবহু এক নয়৷ দু’টি মন এক নয়, দুটি অণু বা পরমাণুও এক নয়৷ এই বৈচিত্র্যই প্রকৃতির স্বভাব৷ যদি কেউ সবকিছুকে সমান করতে চায় সেক্ষেত্রে প্রাকৃত ধর্মের বিরোধিতা করায় অবশ্যই ব্যর্থ হবে৷ সব কিছু সমান কেবল প্রকৃতির অব্যক্ত অবস্থায়৷ তাই যারা সব কিছুকে সমান করার কথা ভাবে, তারা সব কিছুকেই ধবংস করার কথা ভাবে৷ .....সবাইকে যেমন এক ছাঁচে ঢালা যাবে না, তেমনি বৈচিত্র্যের ধূয়ো তুলে কেউ যাতে শোষণ করতে না পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে৷ বৈচিত্র্য স

বিদ্যাসাগরের জন্মদিনে শিক্ষক দিবস পালনের দাবী বাঙালী ছাত্র যুব সমাজের

বিদ্যাসাগরের জন্মদিবস অর্থাৎ ২৬শে সেপ্ঢেম্বরকে ‘শিক্ষক দিবস’ পালনের দাবী নিয়ে ‘বাঙালী ছাত্র যুব সমাজের’ পক্ষ থেকে বাঙলার বীর সন্তান ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ২০৩তম জন্মদিবস সমগ্র বাঙলা জুড়ে মহাসমারোহে পালন করা হল৷ কলকাতা থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংঘটনের কেন্দ্রীয় যুব সচিব তপোময় বিশ্বাস জানান, প্রতিবছরই আমরা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিবস পালন করে আসছি৷ পাশাপাশি আমাদের দাবী তাঁর জন্মদিবস অর্থাৎ ২৬শে সেপ্ঢেম্বর কেই ‘শিক্ষক দিবস’ ঘোষণা করে বাঙলার সমস্ত বিদ্যালয়ে পালন শুরু করতে হবে৷ স্বাধীনতার পর দেশের শাসনভার বাঙালী বিদ্বেষী হিন্দী সাম্রাজ্যবাদী শক্তির হাতে যাওযায় তারা ইচ্ছাকৃতভাবে সমাজে ঈশ্ব

অঙ্ক শিখতে ৯২ বছর বয়সে স্কুলে গেলেন বৃদ্ধা

উত্তরপ্রদেশের বুন্দেলশহরের বাসিন্দা সালিমা খান নামে এক বৃদ্ধা সম্পূর্ণ নিরক্ষর ছিলেন, কারণ মাত্র ১২ বছর বয়সে তাঁর বিয়ে হয়ে যায় ভারত স্বাধীন হওয়ার আগে৷ তিনি যে গ্রামে থাকতেন সেখানে কোন স্কুল ছিল না৷ তাই লেখা পড়ার সুযোগ পাননি৷ আর এরজন্যেই তাঁর নিজের নাতি-নাতনিরা তাঁকে ঠকাতে শুরু করেন৷ তিনি যেহেতু গুনতে জানেন না, তাই নাতি-নাতনিরা এই সুযোগে তাঁর থেকে বেশি বেশি টাকা নিয়ে নেয়৷ কিন্তু বৃদ্ধা বুঝতে পারতেন কিছু বলতে পারতেন না৷ তাই যেটা তিনি  জীবনে কোনদিন করেননি তা করে দেখিয়েছেন তার বৃদ্ধ বয়সে৷ মাস ছয়েক আগে তিনি নাতির স্ত্রীর সঙ্গে স্কুলে যান ও সেখানে তিনি পড়াশোনার শেখার প্রতি আগ্রহ দেখান৷ তাঁর সহপাঠ