October 2023

আমঝরিয়ায় হাওড়া হরিপরিমণ্ডল গোষ্ঠীর কীর্ত্তন

গত ১৮ই সেপ্ঢেম্বর আমঝরিয়ায় অখণ্ড কীর্ত্তনে অংশগ্রহণ করেন হাওড়া হরিপরি মণ্ডল গোষ্ঠী পরিচালনা ছিলেন সুশান্ত শীল৷ প্রসঙ্গত ১৯৭০ সালের ৪ই অক্টোবর ঝাড়খণ্ডের রাচীর নিকটবর্তী আমঝরিয়া ফরেস্ট হাউসে মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী অষ্টাক্ষরী মহানাম মন্ত্র ‘বাবা নাম কেবলম’ কীর্ত্তন প্রবর্তন করেন৷ সেই পবিত্র মুহুর্ত্ত স্মরণ করে আমঝরিয়ায় চলছে  অখণ্ড কীর্ত্তন

 

হাওড়ায় প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে সাংসৃকতিক প্রতিযোগিতা

প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্য, গীত ও অঙ্কন প্রতিযোগিতার আসর বসে গত ৬ই আগষ্ট আমতা আনন্দমার্গ স্কুলে ও ৩রা সেপ্ঢেম্বর রানিহাটী আনন্দমার্গ আশ্রমে৷ উভয় স্থানে প্রায় শতাধিক প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন৷ দুই কেন্দ্রের যোগ্যতা অর্জনকারীরা গত ২৪শে সেপ্ঢেম্বর কলিকাতায় আনন্দমার্গ কেন্দ্রীয় আশ্রমে চূড়ান্তপর্বের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন৷ চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় আমতা কেন্দ্রের একজন ও রানিহাটী কেন্দ্রের তিনজন নবরত্ন পুরস্কার লাভ করে৷ অঙ্কন প্রতিযোগিতায় আমতা কেন্দ্রের সুব্রত কাঁড়ার ডি-বিভাগে ও রাণিহাটী  কেন্দ্রের জয়ত্রী হাজরা বি-বিভাগে নবরত্ন পুরস্কার পায়৷

হাওড়ায় কৌষিকী দিবস

গত ৬ই সেপ্ঢেম্বর হাওড়া জেলার  ডোমজুর ব্লকের খটির বাজার আনন্দমার্গ আশ্রমে কৌষিকী দিবস পালন করা হয়৷ প্রসঙ্গত মার্গগুরু দেব শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ১৯৭৮ সালের ৬ই আগষ্ট মূলত মহিলাদের জন্যে কৌষিকী নৃত্যের প্রবর্তন করেন৷ তবে পুরুষরাও এই নৃত্য করতে পারবে৷ প্রতি বছর বিশ্বের সর্বত্র ৬ই অগাষ্ট কৌষিকী দিবস পালন করা হয় এদিন সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন অবধূতিকা আনন্দ কিশলয়া আচার্য, ভুক্তি  প্রধান সুব্রত সাহা কৌষিকী দিবসের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে বলেন৷ সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুশান্ত শীল৷

 

‘‘তমলুক ডিট সেমিনার’’

গত ১৭ই সেপ্ঢেম্বর রঘুনাথ বাড়ি আনন্দমার্গ স্কুলে তমলুক ডিট সেমিনার অনুষ্ঠিত হল৷ মুখ্য প্রশিক্ষক আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ ‘‘ভাগবত ধর্ম’’ ও অন্যান্য আলোচ্য বিষয়গুলি খুব সহজ সরল ভাষায় বুঝিয়ে  দেন৷ ‘‘সাফল্যলাভের মূলত কারণ’’ বিষয়ের উপর ক্লাস নেন শ্রীসুভাষ প্রকাশ পাল৷ শতাধিক মার্গী ভাই-বোন উক্ত সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন শ্রী হরেকৃষ্ণ দাস৷

 

বাসক ও রাম বাসক

বাসক ও রাম বাসক গাছ পূর্ব ভারতে ভালই জন্মায়৷ রাম বাসক উচ্চতায় তেমন ৰড় হয় না৷ অনেক সময় গাছ একটু ৰড় হলে শুয়ে পড়ে৷ রাম বাসকের সঙ্গে শেয়ালের ন্যাজের কেমন যেন একটা সুদূর সম্পর্ক রয়ে গেছে৷ তাই রাম বাসককে ৰলা হয় ক্রোষ্টুপুচ্ছী, ক্রোষ্টুপুচ্ছিকা, ক্রোষ্টুকপুচ্ছী, ক্রোষ্টুকপুচ্ছিকা৷

 বাসক গাছও উচ্চতায় তেমন ৰড় হয় না, কিন্তু ডালপালা শক্ত থাকে৷ এর পাতা ঘন সবুজ ও লম্বা৷ এর সবচেয়ে বেশী গুণ পাতায়৷

বাসক পাতার বা বাসক রসের গুণ কফ মুক্তিতে ও জ্বর প্রতিরোধে৷ সর্দির ৰাড়াৰাড়িতে ও পালাজ্বরের আক্রমণে বাসকের জুড়ি মেলা ভার৷

‘‘বাসি মুখে বাসকের রস খেও মধু সাথে

স্বাস্থ্য ও কৌশিকী নৃত্য

মানুষের অস্তিত্ব ত্রি–স্তরীয় অর্থাৎ এর তিনটে স্তর (Stratum) রয়েছে– শারীরিক (Physical), মানসিক (Phychic) ও আধ্যাত্মিক (Spiritual)৷ এই যে তিনটে স্তর এদের কোনটিকেই অবজ্ঞা করা যায় না৷ শারীরিক স্তরের চেয়ে মানসিক স্তরের মহত্ত্ব অধিক, কিন্তু তাই বলে শারীরিক স্তরটাকেও (Physical stratum) উপেক্ষা করা যায় না৷ ঠিক তেমনি মানসিক স্তর (Psychic stratum) অপেক্ষা আধ্যাত্মিক স্তরের (Spiritual stratum) গুরুত্ব বেশী কিন্তু মানসিক স্তরটাও (Psychic stratum) অবহেলার জিনিস নয়৷ তাই তারও চর্চা আবশ্যক৷ তেমনি যারা আধ্যাত্মিক চর্চা করে না, কেবল শরীর ও মনেরই চর্চা করে তারা দেখতে মানুষের মত হলেও তাদের মানসিকতা স্থূল হয়ে প

মানব ধর্ম

কৌশিক খাটুয়া

ধর্ম মানুষের এক ও অভিন্ন

ভাগবত ধর্ম সে কথা কয়,

ধর্মমত হয় নানান, ভিন্ন,

বিভেদ-বিবাদে পাই পরিচয়৷

 

ধর্ম সবার গ্রহণযোগ্য

বিশেষ জনগোষ্ঠীর ধর্মমত

জীব, জড়ে আছে নিজ ধর্ম

মানুষের কেন হাজার মত?

 

ধর্ম আনে বিশ্ব-ভ্রাতৃত্ব

ধর্মমতে রক্তক্ষয়,

ধর্ম জীবনে নিত্য, সত্য,

মানব জীবনে কল্যাণময়৷

 

ধর্ম শেখায় জীবনে একতা

ভ্রাতৃত্বের সখ্যতা,

ধর্মমতে অলীক বিধান

জনগোষ্ঠীর ভাবজড়তা৷

 

এগিয়ে চলার শপথ নিয়ে

মানব ধর্ম প্রবর্তন,

রাণী রাসমণি

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

(জন্ম ঃ ১১ই আশ্বিন)

মকিমপুর পরগণা তখন রাণী রাসমণির জমিদারির অন্তর্গত৷ যখন কার কথা বলছি তখন সবে মাত্র ব্রিটিশ বণিকের মানদণ্ড রাজদণ্ড রূপে দেখা দিয়েছে৷ চারিদিকে অন্যায় অত্যাচার শোষণ নিপীড়ন৷ নিরীহ ভারতবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে৷ তৎকালীন নীলকর সাহেবদের অত্যাচারের কথা সর্বজনবিদিত৷ সেই নীলকর সাহেবরা মকিমপুর পরগণাতেও শুরু করলো অমানুষিক অত্যাচার৷ রাসমণির কানে উঠলো সেই অত্যাচারের কথা৷ সাহেবরা বেপরোয়া৷ একে তো ভারতীয় তার উপর মেয়ে ছেলে৷ সাহেবরা কেয়ারই করে না রাসমণিকে৷

কিন্তু সাহেবরা জানতো না যে রাসমণি বাইরে রাসমণি হলেও ভেতরে সিংহিনী৷

আমরা সাপকে যত ভীষণ জীব লেই মনে করি না কেন, সাপ আসলে একটি ভীরু স্বভাবের জীব৷ সে সব সময় আত্মরক্ষায় অতি তৎপর থাকে৷ কোন দিক থেকে নেউল (নকুল> নউ>নেউল বর্জিকা> বজ্জিআ> বেজি৷ বাংলায় নেউল ও বেঁজি দুটোই---এর প্রচলিত নাম,ইংরেজীতেmongoose) আসছে, কোন্‌ দিক থেকে ময়ূর আসছে সেই ভয়েই সে শশব্যস্ত৷ এই চার তাগিদেই সে সর্বদাই রণমুখী হয়ে ফোঁসফোঁস করে৷ কিন্তু দুই একটি ক্ষেত্র বাদে পালাবার সুযোগ পেলে সে তেড়ে না এসে পালিয়েই যায়৷ সাপের ন্যাজে পা পড়লে সে মৃত্যুভয়ে ভীত হয়েই মানুষকে কামড়ায়৷ নির্র্মেক ত্যাগের সময় কিছুকাল চামড়া পাতলা থাকায় সে অত্যন্ত স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে৷ তাই একটুতেই কামড়ায়৷ স্বভাবগতভাবে কেউটে

‘না তাকাইঁ’

 

রাঢ়ের মানুষ একদিকে  যেমন দার্শনিক চিন্তা করেছে, অন্যদিকে তেমনি হালকা মেজাজে হাসি–তামাসা–নৃত্য–গী উচ্ছল হয়ে উঠেছে৷ রাঢ়ের মানুষ মজলিশী, মিশুক ও খোসমেজাজী৷ দারিদ্র্যভারে জীর্ণ হলেও সে মানুষকে ডেকে খাওয়ায়–খাওয়ায় তা–ই যা সে নিজে খায়–ভাত, কলাইয়ের ডাল (রাঢ়ী বাংলায় ‘বিরি’), বড়ি–পোস্ত আর কুমড়োর তরকারি (রাঢ়ী বাংলায় ‘ডিঙ্লা’)৷ তার আচরণে–ব্যবহারে কোনো দারিদ্র্যগত সংকোচ নেই৷ বিনা কষ্টেই সে স্পষ্ট কথা বলে থাকে৷ রাঢ়ের মানুষের সরলতার একটি নিদর্শন ঃ