রাণী রাসমণি

লেখক
প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

(জন্ম ঃ ১১ই আশ্বিন)

মকিমপুর পরগণা তখন রাণী রাসমণির জমিদারির অন্তর্গত৷ যখন কার কথা বলছি তখন সবে মাত্র ব্রিটিশ বণিকের মানদণ্ড রাজদণ্ড রূপে দেখা দিয়েছে৷ চারিদিকে অন্যায় অত্যাচার শোষণ নিপীড়ন৷ নিরীহ ভারতবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে৷ তৎকালীন নীলকর সাহেবদের অত্যাচারের কথা সর্বজনবিদিত৷ সেই নীলকর সাহেবরা মকিমপুর পরগণাতেও শুরু করলো অমানুষিক অত্যাচার৷ রাসমণির কানে উঠলো সেই অত্যাচারের কথা৷ সাহেবরা বেপরোয়া৷ একে তো ভারতীয় তার উপর মেয়ে ছেলে৷ সাহেবরা কেয়ারই করে না রাসমণিকে৷

কিন্তু সাহেবরা জানতো না যে রাসমণি বাইরে রাসমণি হলেও ভেতরে সিংহিনী৷

তাই সিংহিনীর মতোই গর্জে উঠলেন রাসমণি৷ বললেন,  কী আমার প্রজাদের ওপর অত্যাচার! আচছা দেখাচছি মজা৷

এই বলে তিনি পঞ্চাশজন লাঠিয়াল পাইক পাঠিয়ে দিলেন নীলকর সাহেবদের শায়েস্তা করতে৷

পঞ্চাশজন লাঠিয়াল অতর্কিতে ‘‘রাণী মা-কি জয়’’ বলে বাঘের মতো ঝাঁপিয়ে পড়লো নীলকর সাহেবদের ওপর৷

সাহেবরা বেদর মার খেলো লাঠিয়ালদের হাতে৷ মার খেয়ে রাসমণির নামে মামলা রুজু করলো৷

কিন্তু মামলা হয়ে গেলো ডিসমিস৷ সাহেবরা পাততাড়ি গুটিয়ে মকিমপুর ছেড়ে পালিয়ে গেলো প্রজারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো৷