January 2024

সাহিত্য অকাদেমি স্বপ্ণময় চক্রবর্তী

‘জলের ওপর পানি’ উপন্যাস লেখার জন্যে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পাচ্ছেন সাহিত্যিক স্বপ্ণময় চক্রবর্তী৷ তাঁর উপন্যাসের বিষয় উদ্বাস্তুদের ভাঙা-গড়া জীবন৷ দেশভাগের বলি ওপার থেকে এপারে এসে নূতন করে জীবন শুরুর সংগ্রামের কাহিনী ‘জলের ওপর পানি’৷

সাঁওতালি ভাষা লেখা ‘জবা বাহা’ (জবা ফুল) গল্পের জন্যে সাহিত্য একাদেমি পেলেন হলদিয়া সূতাহাটা ব্লকের বাবুপুর অ্যাগ্রিকালচারাল হাইস্কুলের শিক্ষক তারা সাঞি বাস্কে৷ বাস্কের পৈতৃক বাড়ী ঝাড়গ্রাম জেলার পাপুরিয়া গ্রামে৷

দেশের সেরা থানা বাঙলার শ্রীরামপুর

।বিরোধীদের শত কুৎসা অপবাদকে  উপেক্ষা করে দেশের মধ্যে আরও এক সেরার কৃতিত্ব অর্জন করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার৷ কিছুদিন আগেই ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর প্রতিবেদনে উঠে আসে দেশের মধ্যে সবথেকে নিরাপদ শহর কলকাতা মহানগরী৷ সেই রেশ কাটার আগেই আরও এক দেশের সেরার শিরোপা অর্জন করল পশ্চিমবঙ্গ৷ গোটা দেশের সেরা তিন থানার মধ্যে জায়গা করে নিল হুগলী জেলার শ্রীরামপুর থানা৷

গণতন্ত্রের মন্দিরে ব্যষ্টিতন্ত্রের আস্ফালন - অসার রাজনৈতিক গণতন্ত্রের বিষময় ফল

সংসদ আক্রান্ত নিরাপত্তার ব্রজ্রআঁটুনিকে ফস্‌কা গেরোয় পরিণত করে৷ সংসদের ভিতরেই যদি সরকারের নিরাপত্তা না থাকে তবে দেশের সাধারণ মানুষের কি অবস্থা! বিরোধীপক্ষ সংসদে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবী করেন৷ কিন্তু মন কি বাতের নেতা নীরব থাকেন সংসদে৷ যখনই সরকারের গাফিলতি সামনে আসে তখনই প্রধানমন্ত্রী মৌনি হয়ে যান৷ কিন্তু বিরোধীরা এবারে সংসদে সরব হন এর বিরুদ্ধে৷ শুধু এইটুকুতেই স্বৈরাচারীর স্বরূপ প্রকাশ হয়ে যায়৷ সংসদ অবমাননার অভিযোগ এনে ১৪১ জন সাংসদকে সাসপেন্ড৷

নেতাজী অন্তর্ধান মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জবাব চাইল দিল্লী হাইকোর্ট

নেতাজী অন্তর্ধান রহস্যের সমস্ত ফাইল প্রকাশ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালের নির্বাচনী প্রচারে৷ ২০২৪-এ মোদি জমানার ১০ বছর পূর্ণ করে আর একটি লোকসভা নির্বাচন আসন্ন৷ কিন্তু নেতাজী সংক্রান্ত সব ফাইল প্রকাশ হয়নি৷

আর্থিক মুক্তির পথ প্রাউট

পথিক বর

দীর্ঘ ৭৬ বছর পরেও আমাদের ভাবতে হচ্ছে যে স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েও দেশের সিংহভাগ মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যে পাঁচটি জিনিষের অত্যধিক প্রয়োজন, তারা পাচ্ছে না৷ আজও অনেকের ক্ষুধা নিয়ে জন্ম হচ্ছে পথে ঘাটে, আর মরতে হচ্ছে সেই পথে ঘাটে অবহেলিত পশু- পক্ষীদের মত৷  পাশাপাশি ভারতের মত বিরাট দেশে যৎসামান্য মুষ্টিমেয় কিছু ধনী ভাগ্যবানরা দেশের সম্পদের সিৎহভাগের মালিক৷

সৎ কী ও অসৎ কী

‘সৎ’ কী ও ‘অসৎ’ কী– এ সম্পর্কে যে বিচারৰোধ তাকে সদাসৎ বিবেক বলে, যা ‘সৎ’–কে ‘অসৎ’ থেকে ও ‘অসৎ’–কে ‘সৎ’ থেকে পৃথক করে দেয়৷ ‘সৎ’ কী লৌকিক ভাষায় ‘সৎ’ মানে ভালো– সৎ ব্যষ্টি, সজ্জন ব্যষ্টি৷ আর আধ্যাত্মিক অর্থে ‘সৎ’ মানে অপরিণামী সত্তা– যাতে কোনো পরিবর্তন হয় না৷ আর ‘অসৎ’ মানে যা পরিণামী, যার অবস্থান্তর ঘটে৷ ‘সৎ’ বস্তু একই, বাদবাকী সব অসৎ৷ ‘অসৎ’ মানে খারাপ নয়, পরিবর্তনশীল৷

সর্বাধিক শিল্প বিকাশ

প্রাউট অর্থনীতির বিকেন্দ্রীকরণে বিশ্বাসী৷ তাই একস্থানের উন্নতি না করে’ সর্বত্র যাতে সমানভাবে প্রগতি হতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে স্থানীয় সম্পদ ও শক্তি সামর্থ্যকে প্রথমে নিয়োগ করার পরিকল্পনা নিতে হবে৷ স্থানীয় এলাকায় কাঁচামালের সহজপ্রাপ্যতা, ও ওই এলাকার মানুষদের ভোগ্যপণ্যের প্রয়োজন অনুসারে সর্বাধিক শিল্প বিকাশ প্রয়োজন৷ এই নীতি বহিরাগতদের হাত থেকে অর্থনৈতিক ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়ে স্থানীয় জনসাধারণের হাতে তুলে দেবে৷ এইভাবে ওই সামাজিক–অর্থনৈতিক অঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার প্রভূত বিকাশ সম্ভব হবে৷ প্রাউটের অর্থনীতি অনুসারে কৃষির মত অধিকাংশ শিল্পই উৎপাদক–সমবায় ও উপভোক্তা–সমবায়ের দ্বারা পরিচালিত হওয়া উচিত

ধর্মের প্রকৃত স্বরূপ

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

বর্তমানে ধর্মকে বিকৃতরূপ দিয়ে রাজনীতির অঙ্গনে ব্যবহার করা হচ্ছে৷ রাজনৈতিক নেতাদের অবশ্যই ধর্মের পথে চলতে হবে৷ কিন্তু নেতারা ধর্ম ও ধর্মমতের পার্থক্য বোঝেন না৷ হয়তো বুঝতে চাননা৷ ব্যষ্টি স্বার্থ ও দলীয় স্বার্থ চরিতার্থ করতে ধর্মমতকেই হাতিয়ার করে৷ যার পরিণতিতে সমাজে বিদ্বেষ বৈষম্য বাড়ছে৷ তাই ধর্মের প্রকৃত স্বরূপ জানা প্রয়োজন৷ প্রকৃত ধর্মের অনুসারী কখনই মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করবে না৷

রাজনৈতিক স্বাধীনতা প্রহসন নয় জনগণের হাতে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দিতে হবে

প্রভাত খাঁ

নিরাপত্তার বেষ্টনি ভেদ করে সংসদে হামলা ও বিরোধীদের সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবী ও প্রধানমন্ত্রীর মৌনতাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতিতে ১৪১জন বিরোধী সাংসদ সাসপেণ্ড৷ এর আগে রাজীব গান্ধীর সরকার ৬৩ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেণ্ড করেছিল৷

পুঁজিবাদ নিয়ন্ত্রিত রাজনৈতিক গণতন্ত্রের এটাই পরিণতি৷ শাসক বিরোধী এই রাজনীতির যাঁতাকলে পিষ্ট জনগণ, আর এই সুযোগে দেশের সম্পদ লুঠছে পুঁজিপতিরা৷

মহান দার্শনিক পরম শ্রদ্ধেয় শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার অনেক আগেই বলে গেছেন–‘‘রাজনৈতিক গণতন্ত্রের দিন  সমাগত প্রায়৷’’ প্রাউটিষ্টদের দাবী– অর্থনৈতিক গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করতে হবে৷

পজেটিভ মাইক্রোবাইটামের ক্রিয়াগত অভিব্যক্তি

সমরেন্দ্রনাথ  ভৌমিক

অতীতে পজেটিভ মাইক্রোবাইটামের ব্যাপক প্রয়োগ হয়নি৷ পৃথিবীতে এই প্রথম মানুষের জন্যে ব্যবহারিক জগতে বিভিন্ন কাজে ও আধ্যাত্মিক প্রগতির জন্যে পজেটিভ মাইক্রোবাইটা  (মাইক্রোবাইটাম একটি ল্যাটিন শব্দ, এর বহুবচনে হবে মাইক্রোবাইটা) প্রয়োগ করা হচ্ছে৷ বলা বাহুল্য এই পজেটিভ মাইক্রোবাইটার ব্যাপক প্রয়োগ ও ব্যবহার সম্পর্কে পৃথিবীর বুকে বিস্তারিতভাবে বলেছেন--- মাইক্রোবাইটাম আবিষ্কারক শ্রী প্রভাত রঞ্জন সরকার৷ শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার বলেছেন--- মাইক্রোবাইটাম হ’ল সুস্থ সমাজ গড়ার চাবিকাঠি মাইক্রোবাইটামেই নিহিত রয়েছে৷