March 2024

হাওড়ায় যোগ স্বাস্থ্য শিবির

হাওড়ার মৌড়ীরপাবলিক লাইব্রেরীতে একটি যোগ স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল৷ ব্যবসাপনায় ছিলেন সুশান্ত শীল৷ অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন আচার্য বিকাশানন্দ অবধূত৷ আনন্দ মধুপর্ণা দি ও আনন্দ রুপলীনা দি উভয়েই যোগের উপর ক্লাস নেন৷ মেয়েদের জন্য আলাদা জায়গায় ক্লাসের সুব্যবস্থা ছিল৷ পুরুষ দের জন্য আসন শেখান আচার্য সুবোদ্ধানন্দ অবধূত৷ বিকাশানন্দ দাদার বক্তব্য অনুষ্ঠানটিকে আলাদা মর্যাদা এনে দিয়েছে৷ আনন্দ রেখাদি অনুষ্ঠানে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন৷ মার্গী ও নন মার্গীরা উপস্থিত হয়ে অনুষ্ঠানটিকে সাফল্য মন্ডিত করেন৷ অনুষ্ঠানে সম্ব্যদ্ধিত হয় বিভিন্ন ইভেন্টে দীস্তি বিশ্বাস, ভারতী কুন্ডু, অর্পনা বৈতালিক, তপন মান্না

মার্গীয়বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

গত ৮ ই ফেব্রুয়ারী ’২৪ হাওড়ার সালকিয়ার বর্ষীয়ান মার্গী দাদা শৈলেন সরকারের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান আনন্দমার্গীয় বিধি অনুযায়ী সম্পন্ন হয়েছে ওনার বাসভবনে৷ অনুষ্ঠানে প্রভাত সঙ্গীত ও কীর্ত্তন পরিচালনা করেন তৃপ্তি মাইতি৷ অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করেন আচার্য দেবেশানন্দ অবধূত৷ স্মৃতিচারণ করেন যথাক্রমে সুব্রত সাহা, ওনার নিজের ভ্রাতা সুরিন্দ্রকুমার সরকার, ওনার বোন ঝুনু দে৷ উনি ওনার দাদাকে নিয়ে মনোমুগ্দকর স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করে শোনান সঙ্গে একটি রবীন্দ্র সংগীত ও শুনিয়ে দাদাকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন৷ সব শেষে বকুল রায় উনার সাংঘটনিক বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন ওনার চির শান্তি কামনা করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন৷

হাওড়ায় শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

গত ১১ই ফেব্রুয়ারী’২৪ হাওড়ার আমতার গুজারপুর নিবাসী প্রবীন আনন্দমার্গী বেচুরাম বরের স্ত্রী মায়া বরের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান আনন্দমার্গীয় বিধি অনুযায়ী ওনার বাসভবনে অনুষ্ঠিত হয় পৌরহিত্য করেন আনন্দ কিশলয়া আচার্যা, বক্তব্য রাখেন বকুল রায়৷ শ্রাদ্ধ সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন আচার্য দেবেশানন্দ অবধূত, স্মৃতিচারণ করেন শুভম দেব, প্রবীর বিশ্বাস, দীপ্তি বিশ্বাস৷ স্বাধ্যায় পাঠ ও অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন ভুক্তি প্রধান সুব্রত সাহা৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সহযোগিতা করেছেন অমিয় পাত্র, বিজলী মন্ডল, ভারতী কুন্ডু,মাধব মাইতি,মায়া বর, নিশীত রীত, মহাব্রত ব্রহ্মচারী ও হারাধন পাল এবং আনন্দ রসধ্যানা আচার্যা৷ মায়ের শ্রাদ্ধানু

নারীনির্যাতন ও কিছু কথা

শ্রীপার্থ

দিকে দিকে নারী নির্যাতন, নারীর শ্লীলতাহানি, যৌন হয়রানি, ধর্ষণ ও খুনের বিরুদ্ধে সর্বত্রই প্রতিবাদ আন্দোলন সংঘটিত হচ্ছে৷ সাধারণ মানুষ থেকে বুদ্ধিজীবী সকলেই এসব ঘটনার বিরুদ্ধে সরব৷ মৌন মিছিল, মোমবাতি মিছিল থেকে রাষ্ট্রপতির কাছে দরবার সবই হচ্ছে৷ এসব পাশবিক ঘটনার প্রতিবাদে পাশবিকতার বিরুদ্ধে জনসাধারণের এই স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ নিঃসন্দেহে একটা ভালো দিক৷ মানূুষের এই শুভ উদ্যোগের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি কেউই কিন্তু এই ধরণের জঘন্যতম অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পেছনে যে মূল কারণগুলি নিহিত আছে সেগুলির ব্যাপারে বিশেষ আলোকপাত করতে চাইছেন না বা করছেন না৷ আর এখানেই রয়ে যাচ্ছে ত্রুটি৷ অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পর অপরাধীর

আদা

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ সংস্কৃত ‘আর্দ্রক’ থেকে ৰাংলা ‘আদা’ শব্দটি এসেছে৷ আদা শরীরকে ভিজিয়ে দেয়, স্নিগ্ধ রাখে, নিজেও ভিজে ভিজে–স্যাঁৎসেতে৷ তাই সংস্কৃতে নাম আর্দ্রক৷ (আর্দ্রকঞ্ছআদ্দঞ্ছআদ্)৷ বিহারে ও উত্তরপ্রদেশের পূর্বাংশে বলা হয় ‘আদী’৷ আদাকে উর্দূ–হিন্দী–হিন্দোস্তান্ ‘আদরক’ বলা হয় যা সংস্কৃত আর্দ্রক শব্দ থেকে এসেছে৷

পটোলের উপকারিতা

পটোল একটি সুস্বাদু, নির্দোষ সব্জী ও সর্বরোগে সমপথ্য৷ বিশেষ করে অর্শ, আমাশয়, ৰহুমূত্র ও অম্লরোগে প্রাত্যহিক ভোজন তালিকায় পটোলের তরকারী সুপথ্য৷ (২) পটোলের লতার ডগার অংশকে পলতা ৰলে৷ পলতা একটি তিক্ত ভোজ্য ও ঔষধীয় গুণে পরিপূর্ণ৷ পলতা লিবার তথা যকৃতের পক্ষে উপকারী, এ রক্ত–পরিষ্কারক, রক্ত–ৰর্দ্ধক, ক্ষুধা–ৰর্দ্ধক ও নিদ্রাহীনতার ঔষধ৷ প্রমেহ (গণোরিয়া), উপদংশ (সিফিলিসগ্গ, চর্মরোগে, কুষ্ঠে ও ৰহুমূত্র রোগে পলতার তরকারী আবশ্যিক ভোজন৷

ক্লাসরুম

ঋতজা চৌধুরী

ক্লাসরুমের ওই জানলা দিয়ে

ঢুকছে একটু আলো,

ক্লাসরুমের ওই টেবিল-চেয়ার

দেখতে লাগে ভালো৷

ক্লাসরুমের ওই চক-ডাস্টার

হাসছে মিটিমিটি,

কচিকাঁচাদের মাঝে শিক্ষক

করছেন তাঁর ডিউটি৷

ক্লাসরুমও যেনো তাদের তালে

মেতে উঠেছে আনন্দে,

ক্লাসরুমও যেনো গান গায়

মিষ্টি মধুর ছন্দে৷

গাছের ফাঁকে ক্লাসরুমকে

দেখতে লাগে বেশ,

কল্পনার এই ক্লাসরুম

আজ এই পাতাতেই শেষ৷৷

অভিমান

কৌশিক খাটুয়া

 আমি তোমায় জানিতাম না

 তুমিতো জানিতে মোরে,

তবে কেন আমি না বুঝিয়া ছিনু

  গহন অন্ধকারে?

অনেক আশায় খুঁজি চারিধার

   অরূপরতন সন্ধানে,

নিত্য লীলায় কেন লুকোচুরি

   চিরস্থায়ী বন্ধনে?

তোমারে ঘিরিয়া নাচিয়া ছন্দে

    অযুত জনম ধরে,

কত শত খেলা লীলাছলে কর

    সরস মানস তরে!

পারস্পরিক পরিচিতি তবে

   এত দেরি কেন বল,

যবে জানিলাম কাছেতে গেলাম

   ভাব বিনিময় হল৷

বিশ্বের মাঝে সর্বত্র তব অবাধ বিচরণ,

আমি কেন ছিনু নিদ্রামগ্ণ

হয়নি তো জাগরণ!

জাতীয় পতাকা দেশে দেশে

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

সবুজ, সাদা, গেরুয়া আর মাঝখানে চরকা--- এই হচ্ছে আমাদের জাতীয় পতাকা৷ অন্যান্য দেশে ও জাতীয় পতাকা আছে৷

ইউরোপ মহাদেশের একটি দেশ ডেনমার্ক৷ এর আয়তন ষোল হাজার ছয়শো ঊনত্রিশ বর্গমাইল৷ লোক সংখ্যা আটচল্লিশ লক্ষ তের হাজার আটশো বিরানববই (১৯৬৭ খ্রীষ্টাব্দের হিসাব)৷ রাজধানী কোপেন হেগেন৷ এর জাতীয় পতাকা হচ্ছে রক্ত পতাকার মধ্যে সাদা ক্রুশ চিহ্ণ৷ ইউরোপের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় জাতীয় পতাকা৷

এক ঃ ‘ইন্‌’ ধাতুর উত্তর কৃদর্থে ‘কন্‌’ প্রত্যয় করে ‘এক’ শব্দ নিষ্পন্ন হয়!