December 2024

ভৌতিক সম্পদ সঞ্চয় প্রসঙ্গে প্রাউটের নীতি

পত্রিকা প্রিতিনিধি

বাংলায় প্রবাদ আছে– ‘জীব দিয়েছেন যিনি–আহার দেবেন তিনি’ সৃষ্টিকর্তা অফুরন্ত সম্পদে ভারে দিয়েছেন প্রাকৃতিকে৷ তাই প্রতিটি মানুষের জীবন ধারণের নূ্যনতম প্রয়োজন–অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানের অভাব থাকার কথা নয়৷ কিন্তু প্রাকৃতিক সম্পদের যথার্ত উপযোগ গ্রহণ না করা ও এক শ্রেণীর মুনাফাখোর ধনকুবেরদের সীমাহীন সঞ্চয়ের লোভ পৃথিবীতে ধনবৈষম্য সৃষ্টি করেছে৷ তাই একদিকে যেমন আজও অনাহারে অ–চিকিৎসায় মানুষ মারা যাচ্ছে, অপরদিকে মুষ্টিমেয় কিছু ধনকুবের অগাধ সম্পদ সঞ্চয় করে ভোগ–লালসায় উশৃঙ্খল জীবন–যাপন করে ধনবৈষম্য সৃষ্টি করছে ও সমাজকে দুষিত করছে৷

ভাইফোঁটা

কৌশিক খাটুয়া

 ভাই-বোনেদের নির্মল মন

 মঙ্গল কামনায় মুগ্দ ভূবন৷

হৃদয় থেকে স্বতঃস্ফূর্ত

 প্রীতি-সুধা ঝরে পড়ে,

কেউ যেন না নিঃসঙ্গতায় রয়

 অবহেলায় অনাদরে৷

ভ্রাতৃপ্রীতির মঙ্গল গীতি

 পৃথিবীর কোণে কোণে,

নিরাশার মনে আশার উদয়

 সম্পর্কের দৃঢ় বন্ধনে!

যে যাকে ছেড়ে যত দূরে যাক

 কর্মকাণ্ডে যত ব্যস্ত থাক,

প্রীতি-স্পন্দন শুভ কামনা

 জাগত দুটি মনে৷

সম্পর্কের এত মধুরতা

 ভাইবোন পরিচয়ে,

যত দূরে থাক তবুও নিকটে

 শুভেচ্ছা বিনিময়ে৷

সুন্দর ধরা সম্প্রীতি ভরা

 চঞ্চল উচ্ছ্বাসে,

অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ছাড়া রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্থহীন

পথিক বর

১৯৪৭ সালের ১৫ই আগষ্ট ভারতবর্ষ স্বাধীনতা লাভ করেছে৷ এর পেছনে রয়েছে বহু বরেণ্য মানুষের অপরিসীম ত্যাগ ও কষ্টবরণ৷ শত শত শহীদের জীবনদানের ফলে এই স্বাধীনতা আমরা লাভ করেছি৷ তাঁদের হূদয়ে ছিল একান্ত বাসনা–‘‘ভারত আবার জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে৷/ধর্মে মহান্ হবে,/কর্মে মহান্ হবে,/নব দিনমণি উদিবে আবার পুরাতন এ পূরবে৷’’ এই আশা বুকে নিয়েই তাঁরা হাসতে হাসতে জীবন দিয়েছেন৷ তাঁদের আত্মত্যাগের মূল্যেই আমরা ব্রিটিশ শাসনের কবল থেকে মুক্তি লাভ করেছি৷

বৈষম্য ও অবিচারের বিরুদ্ধে নীতিবাদীদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে

প্রবীর সরকার

সততা, সেবা, নিষ্ঠা, মানবিক মূল্যবোধ সম্বন্ধে যদি সমাজের বুকে বেশকিছু ব্যষ্টির আন্তরিকতা ও আগ্রহ না থাকে তা হলে সমাজের কল্যাণ হয় না আর কল্যাণকামী মানসিকতারও প্রতিফলন সম্ভব নয়৷

সামাজিক অবক্ষয় ঃ সমাধানের পথ কী

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

সম্প্রতি আর.জি.করের মর্মান্তিক ঘটনা সমাজে একটা নাড়া দিয়ে ছিল৷ মানুষ হয়তো সজাগ সচেতন হচ্ছে৷  কিন্তু  পেছন থেকে ক্ষমতা হারানো একটি রাজনৈতিক দল দলীয় স্বার্থ সিদ্ধি করতে গিয়ে সেই আন্দোলনকে বিপথে চালিত করে৷

সেকালের পাঠশালা

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

আজ আর সে-পাঠশালা নেই৷ এখন হয়েছে স্কুল-কলেজ আর ছাত্র-ছাত্রী৷ তখন ছিল আটচালার পাঠশালা আর পোড়োর দল৷ পাঠশালার সঙ্গে আজ আমাদের পরিচয় হয় পূরনো গল্প-উপন্যাসের মাধ্যমে৷

কারা তৈরি করত সেই সব পাঠশালা? এখন যেমন সরকার, পৌরসভা, বিভিন্ন সেবাপ্রতিষ্ঠানের দানে-অনুদানে স্কুল-কলেজ নির্মিত হয় তখন তো তা ছিল না৷ জমিদার বা গ্রামের ধনাঢ্য ব্যক্তিরা সমাজসেবার অঙ্গস্বরূপ সে সব পাঠশালা তৈরি করতেন!

সপ্তর্ষির প্রশ্ণ

জ্যোতিবিকাশ সিন্‌হা

কৃষ্ণা রজনীর শেষ প্রহর

সপ্তমীর ক্ষয়িষ্ণু চাঁদ তখনও

ঢালছে অন্তিম জ্যোৎস্নার পুষ্পবর্ষণ,

আকাশের উজ্জ্বল তারার নিশানায়

ছোট্ট তরী ভাসিয়েছে মানুষ

ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ জীবনের অপার সমুদ্রে

অসহ্য ব্যথার তীব্র কালকূট বুকে

ফেনিল জীবন যন্ত্রণার

উত্তাল তরঙ্গমালা চারিদিকে

মুক্তির আশ্বাস খুঁজেছে শুক্রে-মঙ্গলে

কিংবা ওই আলো-বিলানো

 চাঁদের কোণে পেয়েছে কি?---

ঊষার প্রথম পদক্ষেপে পাখীর কলগুঞ্জন

পূর্ব দিগন্তে সদ্য জেগে ওঠা চকোলেট রং

মর্মান্তিক ঘটনা ও পৈশাচিক আন্দোলন

পত্রিকা প্রিতিনিধি

আর.জি.কর হাসপাতালে কর্মরতা মহিলা ডাক্তারের ওপর নৃশংস অত্যাচার ও খুনের প্রতিবাদে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে পথে নেমেছিলেন৷ এই নয় যে এইধরণের ঘটনা রাজ্যে বা দেশে এই প্রথম ঘটল৷ গোটা দেশের রাজ্যগুলির বিভিন্ন থানার তথ্য থেকে জানা যায় দেশে বছরে ৩০-৩৫ হাজার ধর্ষনের ঘটনা ঘটে যার সিংহভাগ উত্তরপ্রদেশে৷ তবু আর.জি.কর একটু অন্য মাত্রা পায় কারণ নির্যাতিতা ছিলেন একজন কর্মরতা ডাক্তার৷

ঝাড়খণ্ডের ভূমিপুত্র বাঙালীর অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবী আমরা বাঙালীর

পত্রিকা প্রিতিনিধি

বাংলাকে ঝাড়খণ্ডের প্রধান রাজভাষা করা ও ১০০ ঝাড়খণ্ডের ভূমিপুত্র বাঙালীদের কর্মসংস্থানের নিশ্চিততার দাবী নিয়ে  ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে খরসোঁওয়া কেন্দ্রে, জুগসলাই কেন্দ্রে ও বোকারো কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছে ‘আমরা বাঙালী’ রাজনৈতিক দল৷

আধুনিক যুগে বাঁচতে হলে সকলকে মানবতাবাদী সেই গোত্রে আশ্রয় নিতে হবে

প্রভাত খাঁ

আজ বার বার মনে পড়ছে সেই মহান বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের উক্তি৷’’ ‘‘শক, হুন দল পাঠান মোগল এক দেহে হলো লীন.....এই ভারতের মহামানবের সাগর তীরে৷’’ তাই তো ভারতের সংবিধানে বলা হয়েছে---ভারত ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রে৷’’ তাই যাঁরা এই দেশে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের শাসনে আসবেন তাঁদের  অবশ্যই উদারপন্থী হতেই হবে৷ ব্যষ্টি জীবনে তাঁরা যে ধর্মমতের বিশ্বাসী হোন না কেন! এই সত্য কথাটিকে  কেউই অস্বীকার করতে পারেন কি বিশেষ করে শাসনে  এসে? যদি সেটা হয় সেটা হবে সংবিধান বিরোধী কাজ   কি নয়? দেখা যাচ্ছে  বর্তমানে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সেই সাধারণ নির্বাচনে নাকি গোঁড়া হিন্দুত্বের সেন্টিমেন্ট নিয়ে তীব্র প্রচার চালাবে!