December 2024

সাম্প্রদায়িকতার ভয়াবহতা

মানুষ যে জাতপাত ও সম্প্রদায়ে বিভক্ত হয়ে যায় সেটা কি স্বাভাবিক, না কৃত্রিম স্বাভাবিক বিভাজন কোষ বিভাজনের মত – একটা কোষ যেমন দু’টো কোষে বিভাজিত হয়৷ কৃত্রিম বিভাজন এরকম নয়৷ কাজেই, মানুষের জাতি ও সম্প্রদায়গত ভেদকে কী বলা যাবে–স্বাভাবিক বিভাজন, না কৃত্রিম বিভক্তিকরণ বৈরী শক্তিগুলির মধ্যে কিছু দল আছে যেগুলো বিচ্ছিন্নতার মতাদর্শে চালিত হয় ও কিছু লোকও আছে যারা এই সব বিভেদকামী দলগুলির দ্বারা চালিত হয়৷ এই সমস্যার সমাধান কীভাবে সম্ভব হবে কীভাবে আমরা এই সব যুুযুধান দলগুলিকে একটা অচল সেকেলে ভাবাদর্শকে সমাজে প্রতিষ্ঠা করা থেকে নিবৃত্ত করতে পারব যা দেশকে খণ্ড বিখণ্ড করে দিতে পারে কী করা উচিত আমাদের স্বল্প

সাহস শক্তি বুদ্ধি

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

নদীয়ার বাজারের মধ্য দিয়ে এদিক ওদিক চাইতে চাইতে হেঁটে চলেছে যতি৷ হঠাৎ সে দেখলো, দোকানীরা সব দোকান বন্ধ করে দিচ্ছে৷ লোকজন যে যেদিকে পারছে পালাচ্ছে৷ সবাই উত্তেজিত৷ সবাই ভীত সন্ত্রস্ত্র৷ পথের লোকজন আর খদ্দেররা সব আশেপাশের বাড়িতে ঢুকে পড়ছে৷ মুখে তাদের এককথা---‘পালাও পালাও’৷

যতি তখনো ব্যাপারটা ঠিক বুঝতে পারেনি৷ তাই সে একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে পেছন ফিরলো৷ দেখলো, রাজবাড়ির একটা খ্যাপা ঘোড়া বাঁধনছিঁড়ে উন্মাদের মতো বেগে ছুটে আসছে৷ তারই ভয়ে লোকজন সব দিশেহারা৷

নব আদর্শে---সবে হোক উজ্জীবিত

জ্যোতিবিকাশ সিন্‌হা

মনুষ্য জাতির ইতিহাসে দেখা গেছে যখনই কোন মহাপুরুষ, মনীষী, সমাজ সংস্কারক, নূতনের বার্তাবহ মানুষের কল্যাণে, নিপীড়িত মানবতার সংকট মোচনে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছেন, জ্ঞানের আলোকবর্ত্তিকা ঊধের্ব তুলে ধরেছেন তখনই অন্ধকারের পিশাচেরা, ভাবজড়তার ধবজাধারীরা নিজেদের সর্বনাশের আতঙ্কে যূথবদ্ধভাবে তার বিরোধিতা করেছে, চক্রান্ত করেছে---এমনকি ছলে-বলে-কৌশলে তাদের হত্যার ষড়যন্ত্রও করেছে৷ প্রাচীন যুগের সেই সদাশিবের সময় থেকেই একই ধারাপ্রবাহ বয়ে চলেছে৷ পাহাড়ে-পর্বতে ছড়িয়ে-ছিঁটিয়ে থাকা মানুষজনকে এক সূত্রে গেঁথে, বিবাহ ব্যবস্থার প্রচলন করে’ মানব সমাজকে একটা বিধিবদ্ধ রূপ

সৃষ্টি রক্ষা

আচার্য প্রবুদ্ধানন্দ অবধূত

শ্রষ্টার সৃষ্টি রক্ষা করিবে কে?

কাপালিক সাধক,আবার কে?

ভক্তের দল, ভক্তি ই বল

যারা সৃষ্টিকে ভালবাসে সর্বাগ্রে৷

এ দায়িত্ব পালনে মত্ত আছেন

ব্রহ্ম সাধক কাপালিক গণ,

স্কুল চালানো, আশ্রম চালানো,

দাতব্য চিকিৎসালয় চালানো,

বিভিন্ন সেবা মূলক কার্যে ব্যস্ত

তাঁদের অমূল্য জীবন৷

 

নোতুন সমাজ গড়ার ব্রত নিয়ে

ছুটে চলেছেন পৃথিবীর সর্বত্র,

হতাশা গ্রস্ত সমাজের আমূল

পরিবর্তনের নেশায় তাঁরা মত্ত৷

আনন্দমার্গ এক জীবন দর্শন

শ্রীশ্রীআনন্দমূর্তিজীর্ অবদান,

আনন্দনগরে গ্রামীণ যুবাদের দক্ষতা বিকাশের নবযাত্রা

৮ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘ, আনন্দনগরের ব্যবস্থাপনায় ও ভোকেশন অন হুইলস (ভোকেশনাল এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং এর এক ফোরাম) ও ইন্ডিয়ান জুট ইন্ডাস্ট্রিজ রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন, কলকাতার সহায়তায় আনন্দনগর রোটাণ্ডায় (অডিটরিয়ামে) গ্রামীণ যুবসমাজের দক্ষতা বিকাশ তথা স্কিল ট্রেনিং কর্মশালার শুভসূচনা হয়৷

সায়েন্স ল্যাবরেটরির উদ্ভোধন

১৩ই নভেম্বর’২৪ আনন্দমার্গ গার্ল হাইস্কুল, উমানিবাস, আনন্দনগরে সায়েন্স ল্যাবরেটরির উদ্ভোধন হয়েছে৷ ল্যাবরেটরির ফলে মেয়েদের বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি আরও আগ্রহ জাগবে৷

সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে বিশ্বরেকর্ড

সিকিমের বিরুদ্ধে ২০ ওভারে ৩৪৯ রান তুলল বরোদা৷ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এটাই সর্র্বেচ্চ রান৷ আগের রেকর্ড ছিল জিম্বাবোয়ের৷ ৪৩ দিনের মধ্যে ভেঙে গেল সেই বিশ্বরেকর্ড৷ বরোদার বিশ্বরেকর্ডে বড় ভূমিকা নিয়েছেন ভানু পানিয়া৷ ৫১ বলে ১৩৪ রান করেছেন তিনি৷ পাশাপাশি টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে সর্বাধিক ছয়ের নজিরও হয়েছে এ দিন৷

দুর্বল সিকিমের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই চালিয়ে খেলতে শুরু করে বরোদা৷ কোনও বোলারকেই রেয়াত করছিল না তারা৷ পানিয়ার ১৩৪ রানের ইনিংসে রয়েছে ১৫টি ছয়৷ পাশাপাশি পাঁচটি চার মেরেছেন তিনি৷ বরোদার প্রত্যেক ব্যাটারই উল্লেখযোগ্য রান করেছেন৷

আনন্দমার্গ জাগৃতি স্কুল

শিক্ষা একটি জাতির মেরুদণ্ডস্বরূপ, যা সমাজকে স্থিতিশীলতার ভিত্তি প্রদান করে ও উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে সহায়তা করে৷ তবে অত্যন্ত দুঃখজনক যে, আজকের ভারতবর্ষে শিক্ষাব্যবস্থা চরম অবহেলা ও সংকীর্ণতার শিকার৷ বর্তমানে শিক্ষার উদ্দেশ্য যেন শুধুমাত্র একটি ডিগ্রি বা সার্টিফিকেট লাভে সীমাবদ্ধ৷ নৈতিকতা ও আত্মিক মূল্যবোধ, যা প্রকৃত শিক্ষার মৌলিক উপাদান, তা আজ প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে৷

অখণ্ড নাম সংকীর্তন

১৭ই নভেম্বর’২৪ বাবা স্মৃতি শৌধে মাসিক তিন ঘণ্টা অখণ্ড নামসংকীর্তন ’বাবা নাম কেবলম মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, গুরু পূজা, স্বাধ্যায় ও মিলিত আহার ও নারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়৷

ড্রাগন ফলের বাণিজ্যিক চাষ

আনন্দনগরে ড্রাগন ফলের পরীক্ষামূলক চাষে সাফল্য অর্জন হওয়ার পর এখন আনন্দনগর বাঁশগড় আনন্দমার্গ কৃষি ফার্মে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন চাষের কাজ চলছে৷ প্রথম পর্যায়ে ১৫০০ উন্নত ড্রাগন ফলের চারা রোপণের কাজ চলছে৷