(ছোট বেলায় আমাদের দলপতি ছিল সজল৷ আর বিশ্বকর্মা ছিল শ্যামল৷ আমরা ওকে শ্যামলা বলে ডাকতাম৷ যে কোনো কাজ এক নিমেষে করে ফেলতে পারতো৷ উপস্থিত বুদ্ধিদাতা ছিল বিপুবা৷ প্রশান্ত, অসিত, শশধর আর আমি ছিলাম সহযোগী৷ বড়দের মত আচরণ করতো স্বপন আর প্রবীর৷ প্রত্যেক বন্ধুকে আজ এই লেখাটা উৎস্বর্গ করা!)
একটা সময় ছিল-যখন আমাদের বাড়ী
সাইডিং তার পাশেই ছিল, চলতো মালগাড়ী৷
খেলতে খেলতে চলে যেতাম বহুদুরের মাঠে
লাবতীর জঙ্গলেতে করমচা-র ঘাটে৷
ওইখানেতে খেজুর ফলে অনেক জামরুল
সেইখানেতেই বাস তাদের বোলতা-ভীমরুল৷
ভেলায় চেপে বৃষ্টি হলে খলসে মাছ ধরা
কাঁচের জারে সাজিয়ে তারে খুনসুটি খেলা সারা৷
চলতো কত হরেক রকম
এলাডিং বেলাডিং সৈ লো-মেলা
লুকোচুরি, কানামাছি গাদি আর খো খো খেলা৷
বনফুলেরই জঙ্গলেতে বানিয়ে একটা ছোট্ট ঘর
সেই ঘরেতে আমরা ক’জন কে আপন কে বা পর৷
ছোট্ট বেলার স্বপ্ণ ছিল অল্প কিছু চাওয়া
ঘুড়ি, গুলি, লাটু পেলে স্বপ্ণ পুরন পাওয়া৷
- Log in to post comments