প্রবন্ধ

রবীন্দ্রভারতীর ঘটনার জন্য প্রকৃত দায়ী কে

তপোময় বিশ্বাস

বাঙলার সাংস্কৃতিক অবক্ষয় কোন পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে, গত ৬ই মার্চ রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বসন্ত উৎসব উপলক্ষ্যে আগত  কিছু বিকৃত মানসিকতার ছাত্রছাত্রার কার্যকলাপ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল৷

সোস্যাল মিডিয়ার দৌলতে সেই নক্কারজনক ঘটনা আজ আর কারো অজানা নয়৷ সেই সঙ্গে ভাইরাল হয়েছে মালদা সহ কয়েকটি জায়গায় কিছু ছাত্রছাত্রার রবীন্দ্র সঙ্গীতের লাইনকে কদর্য ভাষায় গাওয়ার দৃশ্যটি৷ ছাত্রছাত্রা সকলেই স্কুল ইয়ূনিফর্মে ছিল৷ এই ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তারা অবশ্যই অপরাধী৷ তবে শুধু তাদেরকেই দায়ী করলেই হবে না৷

সমবায়ের মাধ্যমে গণ–অর্থনীতিকে বাস্তবায়ন করতে হবে

প্রভাত খাঁ

ব্যষ্টি নিয়ন্ত্রিত ও রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত উৎপাদন ব্যবস্থাই অদ্যাবধি পৃথিবীর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে ও মূলতঃ বন্টন ব্যবস্থাকে পরিচালিত করছে৷ এদের যথাক্রমে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রক সাম্যবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলা হয়৷

আজ এই দুটি উৎপাদন ও বন্টন ব্যবস্থাই শোষণের হাতিয়ার হিসাবে চিহ্ণিত হচ্ছে৷

সারা পৃথিবীতে চলছে চরম অর্থনৈতিক শোষণ৷ বর্ত্তমানে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাই সর্বত্র স্বনামে ও বেনামে কাজ করে চলেছে৷ এই দুই ক্ষেত্রেই শ্রমিক, বুদ্ধিজীবী নানাভাবে আর্থিক দিক থেকে শোষিত হচ্ছে৷

যথার্থ আধ্যাত্মিক শিক্ষাই সমাজকে কলুষমুক্ত করতে পারে

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

বর্তমানে প্রতিদিন পত্রপত্রিকায় নানান দুর্নীতি, মহিলাদের শ্লীলতাহানি, ধর্ষণ সহ নানান্ জঘন্য ধরনের অপরাধের খবর প্রকাশিত হচ্ছে৷ যখন কোন একটি জঘন্য ধরনের অপরাধের বা দুর্নীতির খবর বেরোয় বিভিন্ন সংবাদপত্রে বা বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে ওই বিশেষ অপরাধীর বিরুদ্ধে বিষোদগার করা হয়, বুদ্ধিজীবীরাও ওই অপরাধ কান্ডের বিরুদ্ধে সরব হয়ে ওঠেন৷ তারপর সবাই চুপচাপ৷ আবার পরদিন নোতুন অপরাধের  খবর বেরোয়, আবার ওই অপরাধীর বিরুদ্ধে সমালোচনায় সবাই তৎপর হয়ে ওঠেন৷

বাঁচাও বাঘরোল

শ্রীপ্রদীপ রঞ্জন রীত

গ্রামীণ দক্ষিণবঙ্গের একটি বিপন্ন বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী হ’ল বাঘরোল৷ ইংরেজী নাম ফিশিং ক্যাট৷ অঞ্চলভেদে প্রাণীটির নাম গোবাঘা, বাঘাভাম ইত্যাদি৷ হাওড়া ও সন্নিহিত এলকার জলা ও জঙলা ভূমিতে এদের বেশী দেখতে পাওয়া যায়৷ এটি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য প্রাণী বা স্টেট এনিম্যাল৷ খড়িবন, হোগলাবন বা জঙ্গলযুক্ত জলাভূমি এেেদর আদর্শ বসতিক্ষেত্র৷ রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ী ও কারখানা সম্প্রসারণের সঙ্গে সঙ্গে এদের বাসভূমিতে টান পড়েছে৷ ফলে এরা লোকালয়ে বেরিয়ে পড়ছে বা পড়তে বাধ্য হচ্ছে৷ প্রাণীটি সম্পর্কে গ্রামীণ মানুষের মধ্যে যুগ যুগ ধরে একটা আতঙ্ক আছে৷ সেই ভয় ও অসচেতনতা থেকে মানুষ এদের দেখা পেলে একে পিটিয়ে মারে৷ বসতভূমির হ্রাস ও মানুষে

রাষ্ট্র সংঘের গুরুত্বকে মর্যাদা দেওয়ার সময় হয়েছে

প্রভাত খাঁ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়ঙ্কর পরিণতির পর যাতে আর পৃথিবীতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো ভয়ঙ্কর বিশ্ব যুদ্ধ না ঘটে তার জন্য সাম্রাজ্যবাদী শক্তি জড়বাদভিত্তিক সমাজবাদী শক্তি একত্রিত হয়ে ইউ.এন.ও ঘটন করে৷ সেই রাষ্ট্র সংঘে বর্তমান পৃথিবীর ছোট-বড় অধিকাংশ রাষ্ট্রই সদস্য৷ বর্তমানে রাষ্ট্র সংঘের কাজ অনেক বেড়েছে৷ আর অনেক সমস্যার সমাধান করছে রাষ্ট্রসংঘ৷ তবে এখানে দেখা যাচ্ছে বর্তমানে পৃথিবীর শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোই যারা রাষ্ট্রসংঘকে নিয়ন্ত্রণ করে অধিকাংশ ব্যাপারে নিজেদের স্বার্থ বজায় রাখতে একাধিক গোষ্ঠী বানিয়েছেন ও বিভিন্ন বিষয়ে মতদানের সময় সার্বিক কল্যাণের চিন্তা না করে গোষ্ঠীর স্বার্থই বেশি করে  ভাবে৷ তাই রা

আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রত্যাশা

সত্যসন্ধ দেব

সমাজে নারী ও পুরুষ পাখীর  দুটি  ডানার  মতো৷ একটা ডানা  যদি  পঙ্গু হয়,  তা  হলে একটিমাত্র  ডানা  দিয়ে  পাখী  উড়তে  পারে  না৷ ঠিক তেমনি  সমাজে  নারী যদি  অবহেলিত  হয়,  শোষিত  হয়,  নির্যাতিত  হয়,  যা  আজকে  হচ্ছেও,  এ  অবস্থায় সমাজের প্রকৃত প্রগতি  হতে  পারে  না৷ নারী  পুরুষের  জননী৷  এই  সত্য  মদগর্বী  কিছু  পুরুষ  ভুলে  যায়  ও  নারীর  ওপর  নির্যাতন  চালায়৷

বর্তমানে বিভিন্ন  স্থানে,  কিছু  পশুস্বভাবযুক্ত  পুরুষ  যেভাবে  মেয়েদের ওপর  পাশবিক  নির্যাতন  চালাচ্ছে  তা  মানব  সভ্যতার  মুখে  চরমভাবে  কালি  লেপন  করছে৷

পণপ্রথা আজও একটি সামাজিক ব্যাধি

কণিকা দেবনাথ

পত্রপত্রিকায় চোখ দিলেই দেখা যায় কন্যা সন্তান হয়ে জন্মানোর দুর্বিষহ যন্ত্রণার ছবি৷ একবিংশ শতাব্দীর দুদশক পার করেও আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজের নারী অভিশাপমুক্ত হলো না৷ অবশ্য তথাকথিত অভিজাত বা  হাই সোসাইটির আধুনিক কন্যার কথা আলাদা৷ সাধারণ মধ্যবিত্ত সমাজে কন্যা সন্তান জন্ম দিলে নারীকে আজও নানা অত্যাচার ও নির্যাতন ভোগ করতে হয়৷

সমাজের নারীর প্রতি এই বৈষম্য মূলক আচরণের অন্যতম কারণ হলো পণপ্রথা৷ আজও সমাজে অনেক ছেলেই শ্বশুর বাড়ির টাকায় বড়লোক হওয়ার স্বপ্ণ দেখে, তাই কন্যা বিবাহ যোগ্যা হলেই দুশ্চিন্তায় পিতা মাতার ঘুম ছুটে যায়৷

শিক্ষাব্যবস্থা ও মাইক্রোবাইটাম

শ্রী সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

মহাবিজ্ঞানী শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের মাইক্রো বাইটাম তত্ত্বে বলা হয়েছে যে, পজেটিভ মাইক্রোবাইটাম হ’ল মিত্র স্বভাবের মাইক্রোবাইটাম৷ অর্থাৎ এই মাইক্রোবাইটাম মিত্র বা বন্ধুর মত  মানব জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহায়তা করে৷ আর এই মাইক্রোবাইটাম প্রতিসঞ্চর ধারায় সৃষ্ট হওয়ায় এরা মানবজীবনের জাগতিক স্তর ও মানসিক স্তরে থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রেরণা বা উৎসাহ যোগায়৷ বিশেষ ক’রে  এরা শুভবুদ্ধি ও বিবেকের জাগরন্ ঘটায় এবং অপরপক্ষে নেগেটিভ মাইক্রোবাইটামের অশুভ কর্মতৎপরতাকে প্রতিহত করে৷ পজেটিভ মাইক্রোবাইটাম সবসময়ে শুভ  কর্মে লিপ্ত থাকার উৎসাহ প্রদান করে এবং  উদার মনবৃত্তি তৈরীতে উৎসাহ বা প্রেরনা যোগায়৷

ফাগুয়া, হোলি ও দোলযাত্রার তাৎপর্য

বিশেষ প্রতিনিধি

বসন্তোৎসব সারা ভারতের উৎসব–উত্তর ভারতে ‘হোলি’, বিহার অঞ্চলে ‘ফাগুয়া’ ও বাংলায় ‘দোলযাত্রা’৷ আদিতে এই উৎসব ছিল মূলতঃ আর্যদের৷ প্রাচীন আর্যদের বাসভূমি ছিল মধ্য এশিয়ায়৷ এই অঞ্চলটা ছিল ভীষণ ঠাণ্ডা৷ সারা শীতকাল কেবল বরফ পড়তো, এটা ছিল আর্যদের দুঃসহ কষ্টের কাল৷ নিদারুণ ঠাণ্ডায় মানুষ জবু–থবু হয়ে মরার মত পড়ে থাকতো, কোন কাজকর্ম করতে পারতো না৷ এই শীতকালটা যখন বিদায় নিত, আর্যরা তখন আনন্দে উৎসবে মেতে উঠতো৷ ‘উৎ’ মানে আনন্দে লাফিয়ে ওঠা আর ‘সব’ মানে ‘জন্মগ্রহণ করা’৷ আক্ষরিক অর্থেই বসন্তের আগমনে আর্যরা প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠতো, হৈ–হুল্লোড় ও কর্মচাঞ্চল্যে মেতে উঠতো৷

রবীন্দ্রনাথের নোবেল আজও অধরা! এ যে শতাব্দীর লজ্জা

বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এক অবিস্মরণীয় অবিসংবাদিত নাম৷ যিনি চির স্মরণীয় ও চির বরণীয়৷ রবীন্দ্রনাথ কবি, সাহিত্যিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, গীতিকার ও ঔপন্যাসিক, ছান্দসিক সমবায় নীতির পথিকৃত৷ সর্বোপরি তিনি মানব মৈত্রীর ঋষি৷ এ কথায় কোন বিশেষণই তাঁর পক্ষে যথেষ্ট নয়৷ ৮০ বছরের বৃত্তে দাঁড়িয়ে তিনি হাজার বছরের কাজ করেছিলেন৷ আমরা গর্বিত ও ধন্য এই ভেবে তিনি বাঙলার ভূমিপুত্র৷ আমরা অত্যন্ত গর্বিত ও সৌভাগ্যবান এই কারণে আমরা রবীন্দ্রনাথের দেশে জন্মগ্রহণ করেছি৷