প্রবন্ধ

বিশ্ব নারী দিবসের প্রত্যাশা

সমাজে নারী যদি  অবহেলিত  হয়,  শোষিত  হয়,  নির্যাতিত  হয়,  যা  আজকে  হচ্ছেও,  এ  অবস্থায় সমাজের প্রকৃত প্রগতি  হতে  পারে  না৷ নারী  পুরুষের  জননী৷  এই  সত্য  মদগর্বী  কিছু  পুরুষ  ভুলে  যায়  ও  নারীর  ওপর  নির্যাতন  চালায়৷ সমাজে নারী ও পুরুষ পাখীর  দুটি  ডানার  মতো৷ একটা ডানা  যদি  পঙ্গু হয়,  তা  হলে একটিমাত্র  ডানা  দিয়ে  পাখী  উড়তে  পারে  না৷ 

বর্তমানে বিভিন্ন  স্থানে,  কিছু  পশুস্বভাবযুক্ত  পুরুষ  যেভাবে  মেয়েদের ওপর  পাশবিক  নির্যাতন  চালাচ্ছে  তা  মানব  সভ্যতার  মুখে  চরমভাবে  কালি  লেপন  করছে৷

জনগণ সাবধান!!

পি. এন. এ.

ইন্দো আমেরিকান হসপিটাল I.A.H) ও দক্ষিণ ডানকোটা (ইউ এস এ) -এর চেয়ারম্যান ও  সি. এম. ও ডঃ অঞ্জলি মাথুর সহ একদল গবেষক ডাক্তার মিলে জনস্বার্থে নিম্নলিখিত এই তথ্যটি প্রচার করেছেন৷

গণতন্ত্রের স্বার্থেই লোকপাল  নিয়োগ আবশ্যিক

প্রভাত খাঁ

গত ৭০ বছর আগে  মহান দেশ ভারতবর্ষকে সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে ভাগ  করে নিছক রাজনৈতিক স্বাধীনতা পেতে সাম্রাজ্যবাদী  শক্তি সাহায্য করায় আমরা রক্তাক্ত দেশ জননীকে পাই৷ এতোদিন ধরে  বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দেশকে শাসন করে আসছে ৷ তারমধ্যে কত যে ঘটনা ঘটে গেছে হিসাব নেই৷  এদেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রের দলগুলির যে কত রূপ দেখেছি তাও এক  বিস্ময়কর৷ রাজনৈতিক ক্ষমতা লাভের জন্য কতো দল ঢং করে বিরোধী দলে  ঢুকে বন্ধু সেজেছে তাও এক মহাভারত৷  কংগ্রেসের মিলিজুলি সরকার গত ২০১৩ সালে শেষের মূহূর্তে লোকপাল ও লোকায়ুক্ত আইন পাশ করে  কিন্তু  এখনও  পর্য্যন্ত লোকপাল গঠন হয় নি৷ গত ২০১৭তে উল্টে মোদি সরকার  বিজেপি শাসিত এই আইন সংশোধনের

বিশ্বরূপ

জিজ্ঞাসু

মানবদেহে Cell  বিষয়ে সর্বাধুনিক  খবর৷ যন্ত্র যত উন্নত সূক্ষ্ম হচ্ছে, শক্তিশালী হচ্ছে, Cell-এর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে৷ একটা Adult  মানবদেহে Cell সংখ্যা কমবেশি ৫০ ট্রিলিয়ন, মানে ৫০,০০০,০০০,০০০,০০০ (পঞ্চাশের পর ১২টি শূন্য)৷ কত বড়  এই সংখ্যা!! এক সেকেণ্ডে এক--- এইভাবে  নিরন্তর দিনরাত গুণে গেলে ৫০ ট্রিলিয়ন সেকেণ্ড লাগবে৷ মানে ১৬ লক্ষ, ৭হাজার, ৫১০ বছর !! শুধুমাত্র একটি  মানবদেহের Cell  গুণতে  এত বছর! এরপরে  ওই Cell - এর মধ্যে আছে লক্ষ লক্ষ অণু পরমাণু, কোটি অতি সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম কণা৷ সেসব জুড়লে  হয়তো  একটি মানবদেহ অণু-পরমাণু-কণা গুনতে কোটি কোটি বছর  লাগবে৷  কি বিশাল এই স্থূল মানবদেহ!!

সে দীপশিখা জ্বলিছে অনির্বাণ

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

মানবজাতির ইতিহাস পর্র্যলোচনা করে দেখা যায় যে সর্বদাই মনুষ্যসমাজে  শুভ ও অশুভ উভয় প্রকার শক্তি ক্রিয়াশীল থাকে আর  এই বিপরীতধর্মী শক্তির মধ্যে চলে নিরন্তর সংগ্রাম৷ মানবজাতির এই সুদীর্ঘ পথপরিক্রমায় অধিকাংশ  সময় অশুভশক্তির প্রাবল্য পরিলক্ষিত হলেও শুভশক্তির প্রবাহ নিরবচ্ছিন্নভাবে বয়ে গেছে অন্তঃসলিলারূপে ৷ তা না হলে মনুষ্যনামক প্রাণী অন্যান্য বৃহদাকার অগণিত প্রাণীকুলের মতো পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ণ হয়ে যেত৷ তাই যখনই অশুভ শক্তির চরম আঘাতে মানব সমাজের অস্তিত্ব ধবংসের মুখোমুখি হয়েছে তখনই কোন এক মহান পুরুষের আবির্র্ভব ঘটেছে৷ সেই মহাসম্ভূতির নেতৃত্বে সকল শুভ শক্তির সম্মিলিত প্রয়াসে চন্ডশক্তি তথা পাপ

রাজনৈতিক ধান্দাবাজদের জন্যই দেশের এই করুণ অবস্থা

প্রভাত খাঁ

পরিবর্তনশীল জগতের ধর্মই হচ্ছে থেমে না থেকে এগিয়ে চলা৷ এই যে চলা এটাকেই জগৎ বলে৷ তাই গত ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগষ্ট যে পরিস্থিতি যে আনন্দ উৎসব দেখেছিলুম সেই আনন্দ উৎসব আজ কিন্তু চোখে পড়ে না৷ কেন এমন হ’ল তার খোঁজ করাটা অতি জরুরী৷ তাই এই প্রতিবেদন৷ সেদিন আমাদের মত আজকের বৃদ্ধ ও বৃদ্ধারা ছিল একেবারে কিশোর ও কিশোরী৷ মনে পড়ে সারা রাত ধরে কাগজের শিকলি তৈরী করে বড়দের সঙ্গে পরদিন সকাল বেলায় সারা পাড়াকে সাজিয়েছিলুম৷ পতাকা উত্তোলন করার পর পতাকা নিয়ে কয়েক মাইল ধূলো মাখা পায়ে হেঁটেছিলুম৷ শেষে মিষ্টান্ন পেয়ে খুশী হয়ে দুপুরে বাড়ী ফিরি বড়দের সঙ্গে৷ ইংরেজ চলে গেছে দেশ স্বাধীন হয়েছে, তাতে মনে কতটা যে আনন্দ তা প্রকা

বসন্তোৎসব / দোল উৎসবের তাৎপর্য

বসন্তোৎসব সারা ভারতের উৎসব–উত্তর ভারতে ‘হোলি’, বিহার অঞ্চলে ‘ফাগুয়া’ ও বাংলায় ‘দোলযাত্রা’৷ আদিতে এই উৎসব ছিল মূলতঃ আর্যদের৷ প্রাচীন আর্যদের বাসভূমি ছিল মধ্য এশিয়ায়৷ এই অঞ্চলটা ছিল ভীষণ ঠাণ্ডা৷ সারা শীতকাল কেবল বরফ পড়তো, এটা ছিল আর্যদের দুঃসহ কষ্টের কাল৷ নিদারুণ ঠাণ্ডায় মানুষ জবু–থবু হয়ে মরার মত পড়ে থাকতো, কোন কাজকর্ম করতে পারতো না৷ এই শীতকালটা যখন বিদায় নিত, আর্যরা তখন আনন্দে উৎসবে মেতে উঠতো৷ ‘উৎ’ মানে আনন্দে লাফিয়ে ওঠা আর ‘সব’ মানে ‘জন্মগ্রহণ করা’৷ আক্ষরিক অর্থেই বসন্তের আগমনে আর্যরা প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠতো, হৈ–হুল্লোড়, ও কর্মচাঞ্চল্যে মেতে উঠতো৷

দেবযোনি মাইক্রোবাইটাম

সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

পাঞ্চভৌতিক শরীর গঠিত হয় ক্ষিতি, অপ, তেজ,  মরুৎ ও বোম এইপঞ্চভূতের সমন্বয়ে৷ এখন যেহেতু পঞ্চভৌতিক উপাদানে গঠিত শরীরে ক্ষিতিভূত ও অপভূত বর্তমান আছে অতএব এই শরীরকে  রক্ষা করার জন্যে খাদ্য ও জলের নিশ্চয়ই প্রয়োজন হবে ও স্থূল শরীরে স্নায়ু কোষ Nerve  cell) থাকবে ও নার্ভসেলের সাহায্যে মন mind) কাজ করবে৷ কিন্তু যাদের  ত্রিভৌতিক  শরীর অর্র্থৎ তেজভূত, মরুৎভূত ও বোমভূত নিয়ে যাদের শরীর গঠিত তাদের শরীরে যেহেতু ক্ষিতি ও অপ এই দুটি ভূত নেই, সুতরাং  এই ত্রিভৌতিক শরীরের  জন্যে খাদ্য  ও জলের প্রয়োজন নেই৷ অর্র্থৎ এদের শরীরে  কোন নার্ভ সিস্টেমের প্রয়োজন  হয় না৷ কারণ  নার্ভ  দরকার  হয় কেবলমাত্র পাঞ্চভৌতিক  শরীরের

মহাসম্ভূতি  তারকব্রহ্ম  শিব ও   তাঁর অবদান

(শিব-চতুর্দশীতে সারা দেশ জুড়ে শিবকে কেন্দ্র করে উৎসব হ’ল৷ শিবের জনপ্রিয়তা আর সব দেবদেবীকে ছাপিয়ে যায়৷ প্রকৃতপক্ষে এই শিব কে? কাল্পনিক তেত্রিশ কোটি দেবতার মতো শিব কিন্তু কাল্পনিক দেবতা নন৷ আজ থেকে প্রায় সাত হাজার বৎসর পূর্বে মানব শরীর নিয়ে ধরার ধূলায় আবির্ভূত হয়েছিলেন তিনি৷ শিবের ঐতিহাসিকতা ও মানব সমাজে শিবের অবদান নিয়ে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী বিখ্যাত গ্রন্থ ‘নমঃ শিবায় শান্তায়’ অবলম্বনত্রেন এই নিবন্ধটি লিখেছেন ---লালন সেনগুপ্ত)

নীরব মোদী -পি.এন.বি কেলেঙ্কারি কি হিমশৈলের চূড়ামাত্র

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

বিগত দুই তিন সপ্তাহ ধরেই  বিশ্ববিখ্যাত হীরের গহণা ব্যবসায়ী নীরব মোদি, তাঁর সংস্থা  ও নীরবের মামা মেহুল চোক্সীর বিরুদ্ধে পি.এন.বি অর্র্থৎ পঞ্জাব ন্যাশন্যাল ব্যাঙ্ককে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা প্রতারণার সংবাদে  সারাদেশ তোলপাড়৷  পিএনবির তরফে  সিবিআইয়ের কাছে নীরব মোদি , তাঁর স্ত্রী অমি, ভাই নীরল, মামা মেহুল চোক্সী ও তাঁদের অলঙ্কার সংস্থার বিরুদ্ধে প্রায় ১৮০ কোটি ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা) প্রতারণার অভিযোগ জানিয়েছে৷ সংবাদে প্রকাশ,  পিএনবির মুম্বাইয়ের ব্র্যাডি হাউস শাখা থেকে ২০১১ সালে  কোনো নিয়ম কানুন ছাড়াই ব্যাঙ্ক অফিসারদের যোগসাজসে বিরাট অঙ্কের অর্থের গ্যারান্টি বা