মেদিনীপুরের সেই যে এক বীরসিংহ গ্রাম,
সেই গাঁয়েরই সিংহ শিশু বিদ্যাসাগর নাম৷
বিদ্যাসাগর কেমন ছিলেন
জানতে কিনা ভাই---?
বীরদর্পে কন্ঠে যার নারীশিক্ষা চাই৷
পড়া নাকি চালিয়ে গেছেন
পথের আলোর বাঁকে,
অংক তিনি শিখেছিলেন সংখ্যা ফলক দেখে৷
বিদ্যাসাগর কেমন ছিলেন জানেন কটা লোক?
গোঁড়ামিকে তুড়ি মেরে বিধবা বিবাহ হোক!!
বলতে পারো বিদ্যাসাগর তবে কেমন ছিলেন?
ঢিলের বদলে পাটকেলটি মারতে যিনি বলেন৷
বিদ্যাসাগর কেমন ছিলেন জানতে ইচ্ছে করে?
জানতে পারো তবে তাঁর বর্ণপরিচয় পড়ে৷
বিদ্যাসাগর দয়ার সাগর যা ছিল তাঁর টাকা,
দীনের তরে বিলিয়ে দিতেন
হোক না পকেট ফাঁকা৷
এমনি এক বিদ্যাসাগর অসামান্য দ্বিজবর,
মায়ের ডাকে দিলেন পাড়ি উত্তাল দামোদর৷
বিদ্যাসাগর জ্ঞানের সাগর ভাষা’র শিক্ষাগুরু,
বঙ্গসাহিত্যের নবজাগরণ
(তাঁর) হাতটি ধরেই শুরু৷
দীপ্ত ভাষী সদা ব্যস্ত মানুষ গড়ার কাজে,
নিন্দুকেরা বলুক তাঁকে মাথামোটা কিংবা বাজে৷
এমনি মোদের বিদ্যাসাগর সমাজ প্রগতি শিখা,
প্রশস্ত ললাটে আঁকা ছিল জ্ঞানের জয়ের টীকা৷
এমনই ছিলেন বিদ্যাসাগর বিশাল উদার চিত্ত,
বীরসিংহের বীরের পায়ে সব বাঙালী ভৃত্য৷
সব পীড়িতের ঈশ্বর যিনি করুণার মিলন সাগর,
শিষ্টের যিনি পালনকারী ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর৷
- Log in to post comments