মাটির ঈশ্বর বিদ্যাসাগর

লেখক
সুপর্ণা মজুমদার রায়

মেদিনীপুরের সেই যে এক বীরসিংহ গ্রাম,

সেই গাঁয়েরই সিংহ শিশু বিদ্যাসাগর নাম৷

বিদ্যাসাগর কেমন ছিলেন

জানতে কিনা ভাই---?

বীরদর্পে কন্ঠে যার নারীশিক্ষা চাই৷

পড়া নাকি চালিয়ে গেছেন

পথের আলোর বাঁকে,

অংক তিনি শিখেছিলেন সংখ্যা ফলক দেখে৷

বিদ্যাসাগর কেমন ছিলেন জানেন কটা লোক?

গোঁড়ামিকে তুড়ি মেরে বিধবা বিবাহ হোক!!

বলতে পারো বিদ্যাসাগর তবে কেমন ছিলেন?

ঢিলের বদলে পাটকেলটি মারতে যিনি বলেন৷

বিদ্যাসাগর কেমন ছিলেন জানতে ইচ্ছে করে?

জানতে পারো তবে তাঁর বর্ণপরিচয় পড়ে৷

বিদ্যাসাগর দয়ার সাগর যা ছিল তাঁর টাকা,

দীনের তরে বিলিয়ে দিতেন

হোক না পকেট ফাঁকা৷

এমনি এক বিদ্যাসাগর অসামান্য দ্বিজবর,

মায়ের ডাকে দিলেন পাড়ি উত্তাল দামোদর৷

বিদ্যাসাগর জ্ঞানের সাগর ভাষা’র শিক্ষাগুরু,

বঙ্গসাহিত্যের নবজাগরণ

(তাঁর) হাতটি ধরেই শুরু৷

দীপ্ত ভাষী সদা ব্যস্ত মানুষ গড়ার কাজে,

নিন্দুকেরা বলুক তাঁকে মাথামোটা কিংবা বাজে৷

এমনি মোদের বিদ্যাসাগর সমাজ প্রগতি শিখা,

প্রশস্ত ললাটে আঁকা ছিল জ্ঞানের জয়ের টীকা৷

এমনই ছিলেন বিদ্যাসাগর বিশাল উদার চিত্ত,

বীরসিংহের বীরের পায়ে সব বাঙালী ভৃত্য৷

সব পীড়িতের ঈশ্বর যিনি করুণার মিলন সাগর,

শিষ্টের যিনি পালনকারী ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর৷