সংবাদ দর্পণ

আনন্দনগর ডিট লেভেল সেমিনার

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

২৩শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫, জেল্যাডি গ্রামে একদিবসীয় আনন্দনগর ‘‘এ’’ ডিট লেভেল সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়৷ অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আনন্দনগর ডায়োসিস সেক্রেটারী আচার্য প্রজ্ঞানানন্দ অবধূত ও আচার্য দীপাঞ্জনানন্দ অবধূত৷ তাঁরা আনন্দমার্গের সমাজ দর্শন ও আধ্যাত্মিক অনুশীলনের বিভিন্ন দিক নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ ও প্রাঞ্জল আলোচনা উপস্থাপন করেন৷

দীঘা আনন্দমার্গ আশ্রমে দুদিনব্যাপী ‘সাধনা শিবির’

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

মেদিনীপুর ডায়োসিসের মার্গীদের ঐকান্তিক আগ্রহে ও শ্রদ্ধেয় আচার্য কৃষ্ণনাথানন্দ অবধূতের পরিচালনায় গত ১লা ও ২রা মার্চ দীঘি আনন্দমার্গ আশ্রমে দুদিনব্যাপী ‘সাধনা শিবির’ অনুষ্ঠিত হল৷ দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, চবিবশ পরগনা, পুরুলিয়া প্রভৃতি এলাকা থেকে শতাধিক মার্গী এই শিবিরে অংশগ্রহণ করেছিলেন৷ সাধনা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ের উপর ক্লাস নেন শ্রদ্ধেয় আচার্য বিকাশানন্দ অবধূত এবং আচার্য প্রিয়কৃষ্ণানন্দ অবধূত৷ সমুদ্রতীরে ভোরবেলায় পাঞ্চজন্য ও নগর কীর্তনের দৃশ্য এবং অনুভূতি সত্যিই মনে রাখার মত৷ এই দুদিনে প্রত্যেক মার্গী তাদের অন্তরের মনিকোঠায় যে অমূল্য ভাবসম্পদ সংগ্রহ করে স্ব স্ব গৃহে প্রত্যাবর্তন করলেন তা এককথায় অনাস্বাদিতপূর্ব৷

জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নাম সংকীর্ত্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

৯ই ফেব্রুয়ারী’২৫ চিতমু নিবাসী চক্রধর কালিন্দীর জৈষ্ঠ্যপুত্র লণ্ডন নিবাসী অরবিন্দ কালিন্দী ও তার স্ত্রী সোমা মণ্ডলের একমাত্র পুত্র সন্তান গৌরনিতাইয়ের ১০ম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে চিৎমু পৈতৃক নিবাসে সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টা অখণ্ড ‘‘বাবা নাম কেবলম নাম সংকীর্তন, মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, বর্ণার্ঘ্যদান, স্বাধ্যায়, নারায়ণ সেবা ও কম্বল বিতরণের আয়োজন করা হয়৷

শ্যামপুর গ্রামে বার্ষিকী নাম-সংকীর্ত্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

২৬শে ফেব্রুয়ারী’২৫ শ্যামপুর নিবাসী অবনী মাহাতোর বাসভবনে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪থ বার্ষিকী অখণ্ড ‘বাবা নাম কেবলম’ নাম-সংকীর্তন, মিলিত ঈশ্বর-প্রণিধান, বর্ণার্ঘ্যদান, স্বাধ্যায়, তত্ত্বসভা ও নারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়৷

হাওড়ায় নীলকন্ঠ দিবস

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১২ই ফেব্রুয়ারি আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের বিশ্বের সমস্ত ইয়ূনিটের সঙ্গে হাওড়া জেলার বিভিন্ন ইয়ূনিটে নীলকন্ঠ দিবস পালিত হয়৷ ১৯৭৩ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারী, আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী বিষ খাইয়ে হত্যা করার চক্রান্ত করেছিল তৎকালীন সিবিআই৷ প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যায় ১৯৭১সালের ডিসেম্বর মাসে মিথ্যে অভিযোগে শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীকে গ্রেপ্তার করে বিহার বাঁকীপুর জেলে বন্দী রাখে৷ কিন্তু আনন্দমূর্ত্তিজীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণ করা সম্ভব নয় বুঝে সিবিআই আনন্দমূর্ত্তিজীকে হত্যার পরিকল্পনা করে৷ কিন্তু সিবিআই চক্রান্ত ব্যর্থ করে সেই তীব্র বিষ আনন্দমূর্ত্তিজী হজম করে নেন৷ তারপর থেকে সারা বিশ্বের আনন্দমার্গীরা ১২ই ফেব্রুয়ারী নীলকন্ঠ দিবস পালন করে৷

এই দিন হাওড়ার রামরাজাতলা, মৌড়ী খটির বাজার, চ্যাটার্জী হার্ট, আমতা, চালিধাউরিয়া, শ্যামপুর,দক্ষিণ চাঁদ চক, প্রভৃতি প্রতিটি ইয়ূনিটের মার্গীরা মর্যাদা সহকারে নীলকন্ঠ দিবস পালন করে৷

উমা ব্রহ্মচারিণীর আত্মবলিদান দিবস উদযাপন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

আনন্দমার্গকে পৃথিবী থেকে চিরতরে নিশ্চিহ্ণ করার চক্রান্তের পরিকল্পনা স্বরূপ তৎকালীন কমিউনিষ্ট সোভিয়েত ইউনিয়ন সরকারের প্ররোচনায় ও সেই সময়কার ভারত সরকার আনন্দমার্গের প্রবক্তা ও প্রাণপুরুষ শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী মিথ্যা মামলায় পটনা বাঁকিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আটকে রাখে ও প্রাণে মারার জন্যে জেলের মধ্যে বিষপ্রয়োগ ও ক্রমাগত শারীরিক নির্যাতন করার প্রতিবাদে ও তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে ১৯৭৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি জার্মানির বার্লিন শহরে ব্রহ্মচারিণী উমা আচার্যা’ ও আচার্য লোকেশ ব্রহ্মচারী আত্মাহুতি করেন৷ প্রসঙ্গত উল্লেখনীয় যে ধর্মগুরু শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর মুক্তির জন্যে ভারত ও বহির্ভারতে মোট আটজন সন্ন্যাসী-সন্ন্যাসিনী এভাবে গুরুর মুক্তির দাবীতে আত্মোৎসর্গ করেন৷ অবশেষে দীর্ঘ আইনী লড়াইয়ের পর পটনা উচ্চতর আদালতের রায়ে আনন্দমূর্ত্তিজী ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়৷ শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী সহ আরও চারজন শিষ্য বেকসুর খালাস পেয়ে জেল থেকে ১৯৭৮ সালের ২রা আগষ্ট মুক্তি লাভ করেন৷

গুরুদেব ১৯৭৮সালে উমা ব্রহ্মচারিণীর স্মরণে আনন্দনগরে মহিলা বিভাগের বহুমুখী জনকল্যাণমূলক কাজ-কর্ম পরিচালনা করার জন্যে একটি নির্দিষ্ট এলাকা নির্ধারিত করে ‘‘উমা নিবাস’’ নামকরণ করেন৷

উমা ব্রহ্মচারিণীর গুরুর প্রতি ঐকান্তিক ভক্তি ও আত্মোৎসর্গ দিনটি অর্থাৎ ৮ই ফেব্রুয়ারি প্রতি বৎসর ‘‘আত্মোৎসর্গ দিবস’’ হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে৷ এই উপলক্ষ্যে ৮ই ফেব্রুয়ারী’২৫ ‘‘উমা নিবাস মহিলা শিশুসদনে’ সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টা অখণ্ড ‘বাবা নাম কেবলম নাম সংকীর্তন, বস্ত্র ও কম্বল বিতরণ ও নারায়ণসেবার আয়োজন করা হয়৷ অনুষ্ঠানে স্থানীয় জনগণ ও বিভিন্ন জায়গায় থেকে আনন্দমমার্গীগণ অংশগ্রহণ করেন৷

শিবরাত্রি উপলক্ষ্যে ডিম্বগিরিতে (ডিমডিহা পাহাড়ে) ধর্মচক্র

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

শিবরাত্রি উপলক্ষ্যে ডিমডিহা পাহাড়ের চূড়ায় প্রস্তাবিত মার্গগুরু নিবাসে দীর্ঘ দিন থেকে প্রতিবছর সামূহিক ধর্মচক্র অনুষ্ঠান হয়ে আসছে৷ এই বছরেও ২৬শে ফেব্রুয়ারী’২৫ বিকেল তিনটায় উক্ত স্থানে প্রভাত সঙ্গীত, ‘বাবা নাম কেবলম্‌’ নাম-সংকীর্তন, মিলিত ঈশ্বর-প্রণিধান, বর্ণার্ঘ্যদান, স্বাধ্যায় ও প্রসাদের আয়োজন করা হয়৷

হাওড়ায় সেমিনার

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১৬ই ফেব্রুয়ারী হাওড়া লিলুয়ার বিরাডিঙ্গী আনন্দমার্গ আশ্রমে একদিনের সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়৷ সেমিনারে প্রশিক্ষক ছিলেন, মহাব্রত ব্রহ্মচারী ও অমিয় পাত্র৷ অনুষ্ঠানটির আয়োজক ছিলেন স্থানীয় সক্রীয় কর্মী তপন মান্না৷ ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান ও স্বাধায়ের পর আলোচনা সভা শুরু হয়৷ স্বাধ্যায় করেন ভারতী কুণ্ডু৷ জেলার বরিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রীবকুলচন্দ্র রায় উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করেন৷

গত ২৩শে ফেব্রুয়ারী হাওড়ার জগৎবল্লভপুর বালিয়ায় অনুরূপ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়৷ সেমিনারের প্রশিক্ষক ছিলেন বকুলচন্দ্র রায় ও আচার্য দেবেশানন্দ অবধূত৷ অনুষ্ঠানে প্রভাত সঙ্গীত ও কীর্ত্তন পরিবেশন করেন আচার্য রঞ্জিতা ব্রহ্মচারিনী৷ সহযোগিতায় ছিলেন ভুক্তিপ্রধান সুব্রত সাহা৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটির পরিচালনা ছিলেন মহাব্রত ব্রহ্মচারী৷

বার্ষিক নাম সংকীর্ত্তন অনুষ্ঠান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

২৩শে ফেব্রুয়ারী’২৫ জিওদারু নিবাসী শ্রী ভাস্কর মাহাতোর সুপুত্র গৌরীনাথ মাহাতোর পরিচালনায় ও ব্যবস্থাপনায় তৃতীয় বার্ষিকী তিনঘন্টা অখণ্ড ‘‘বাবা নাম কেবলম নাম-সংকীর্তন, মিলিত ঈশ্বর-প্রণিধান, বর্ণার্ঘ্যদান, স্বাধ্যায়, তত্ত্বসভা ও নারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়৷

প্রবাসী আনন্দমার্গীর আনন্দনগর পরিভ্রমণ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

জন্মসূত্রে ভারতীয়, বর্তমানে আমেরিকাবাসী এক প্রবাসী আনন্দমার্গী স্বল্পকালীন সফরে আনন্দনগর ভ্রমণে আসেন৷ মাত্র দু’দিনের এই সংক্ষিপ্ত যাত্রায় তিনি আনন্দনগরের নানাবিধ উন্নয়নমূলক ও সেবামূলক প্রকল্প পর্যবেক্ষণ করেন৷ বিশেষত, স্পিরিচ্যুয়ালিষ্টস স্পোর্টস অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার্স ক্লাব পরিচালিত ফুটবল একাডেমি ও স্থানীয় মহিলাদের স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত এপারেলস ট্রেনিং সেন্টার (পোশাক সেলাই সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র) পরিদর্শন করে তিনি গভীর অনুপ্রেরণা লাভ করেন৷