সংবাদ দর্পণ

১২ই ফেব্রুয়ারী আনন্দমার্গে নীলকণ্ঠ দিবস উদযাপন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

অর্থ ও ক্ষমতার প্রলোভন যখন কাজ হয়নি তখন অপপ্রচার-কুৎসা, ভয় দেখানো, সংগঠিতভাবে মিশনের কর্মীদের ওপর আক্রমণ ও হত্যা করা, মিথ্যা মামলায় জেলবন্দী করে রাখা ইত্যাদি শতচেষ্টা করেও যখন দেখা গেছে আনন্দমার্গের গতিকে স্তদ্ধ করা যাচ্ছে না৷ তখন স্থির হয় আনন্দমার্গের শ্রষ্ঠাকেই যদি পৃথিবী থেকে সরিয়ে ফেলা যায় তাহলেই আনন্দমার্গের ধবংস সম্ভব৷ এই ভেবে পাপীরা জেলবন্দী আনন্দমূতর্িজীকে ১২ই ফেব্রুয়ারি’’৭৩ সালে ওষুধের নাম করে পটনা বাঁকিপুর সেন্ট্রাল জেলের ডাক্তার রহমতুল্লাহকে দিয়ে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে বিষ প্রয়োগ করে৷ বিষপ্রয়োগে আনন্দমুর্ত্তিজীর শরীরে প্রচণ্ড প্রতিক্রিয়া শুরু হয়৷ কিন্তু পাপীদের উদ্দেশ্য তাতেও সিদ্ধ হয়নি৷ এই জঘন্যতম ঘটনার প্রতিবাদে ও বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের দাবীতে সারা বিশ্বে ব্যপক আন্দোলন সংঘটিত হয়৷ আনন্দমূর্ত্তিজী নিজেও তৎকালীন বিহারের রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী ও ভারতের রাষ্ট্রপতিকে ব্যক্তিগতভাবে চিঠি লেখেন তদন্ত কমিশন নিয়োগের জন্য কিন্তু কেউ কোন কর্ণপাত করেনি৷ যখন কিছুই হচ্ছে না তখন আনন্দমূর্ত্তিজী নিজেই বিষপ্রয়োগের প্রতিবাদে ১৯৭৩ সালের ১লা এপ্রিল থেকে জেলের মধ্যেই অনশন শুরু করেন ও টানা পাঁচ বছর চার মাস দুই দিন চলতে থাকে, যতদিন না তিনি জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন৷ অবশেষে পটনা হাইকোর্টের রায়ে আনন্দমূর্ত্তিজীর বিরুদ্ধে আনীত সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়৷ তিনি ও তাঁর চার শিষ্যগণ নিঃশর্তভাবে জেল থেকে মুক্তি পান৷ ১৯৭৮ সালের ২রা আগষ্ট জেল থেকে বেরিয়ে তিনি দীর্ঘ অনশন ভঙ্গ করেন৷

 আনন্দমার্গের ইতিহাসে ১২ই ফেব্রুয়ারি দিনটিকে ‘নীলকণ্ঠ দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়৷ কৌশিকী আনন্দনগর ‘মধুমুর্চনা’ মার্গগুরু বাসভবনে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তিনঘণ্টা অখণ্ড ‘বাবা নাম কেবলম’ নাম সংকীর্তন, মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, বর্ণার্ঘ্যদান, স্বাধ্যায়, নীলকণ্ঠ দিবসের তাৎপর্য ও নারায়ণসেবার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়৷

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনে আমরা বাঙালী

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

২১শে ফেব্রুয়ারি ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ,ঝাড়খণ্ড, ত্রিপুরা, অসম সহ বাঙালীস্তানের বিভিন্ন স্থানে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ তথা ‘বাংলা ভাষা শহীদ দিবস’ পালন করা হয়৷ পশ্চিমবঙ্গের কলিকাতা, উত্তর চবিবশ পরগনা, হুগলী, হাওড়া, মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার প্রভৃতি জেলার বিভিন্ন স্থানে, ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুর, বোকারো ও ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা, খোয়াই সহ অন্যান্য স্থানে এই দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদা সহকারে পালন করা হয় ও ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হয়৷কলিকাতায় মূল অনুষ্ঠানটি শ্যামবাজারে পাঁচ মাথার মোড়ের সন্নিকটে উদযাপিত হয়৷ সন্নিহিত জেলা ও কলিকাতার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠান স্থলে এসে মিলিত হয়৷ কেন্দ্রীয় সাংঘটনিক সচিব শ্রীতপোময় বিশ্বাস, হিতাংশু ব্যানার্জী, প্রণতি পাল, স্বপন মন্ডল, স্বপন দে, জয়ন্ত দাশ, সুদীপ বিশ্বাস, সুবোধ রঞ্জন কর,শুভজিত পাল ও অন্যান্য আমরা বাঙালী নেতা নেত্রী এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন৷ ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরের সাকচী নেতাজী সুভাষ ময়দান থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে জেলা শাসকের কার্যালয়ের সম্মুখে এসে উপস্থিত হয় ও জেলাশাসককে ‘আমরা বাঙালী’র দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়৷ পরবর্তী পর্যায়ে শোভাযাত্রা সাকচী গোল চক্কর চত্বরে এসে পৌঁছায় ও সেখানে বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়৷ ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত আমরা বাঙালী সদস্য সদস্যাগণ এই অনুষ্ঠানে যোগদান করেন৷ আমরা বাঙালী সংঘটনের কেন্দ্রীয় সচিব শ্রী জ্যোতিবিকাশ সিনহা সহ মোহন লাল অধিকারী, সুশীল কুমার মাহাতো, আশিস নাগ চৌধুরী,নারায়ণ সেন, অঙ্গদ মাহাতো, সুনীল মাহাতো, দেবাশীষ মন্ডল,রেখা মাহাতো ও অন্যান্য নেতা নেত্রী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন৷ এছাড়াও ঝাড়খণ্ডের বোকারো শহরে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালন করা হয়৷ এই অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রী মনোতোষ মন্ডল ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন৷

ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা, খোয়াই ও অন্যান্য স্থানে এই দিনটি পালিত হয়৷ এই অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রী অশোক কুমার দাস, গৌরীশঙ্কর নন্দী, কেশব মজুমদার, রাজ্য সচিব শ্রী গৌরাঙ্গ রুদ্র পাল, গৌতম ঘোষ, বিধান দাস, রামকৃষ্ণ দেবনাথ, সীমন্তি দেব, গীতাঞ্জলি দাস ও অন্যান্য নেতা নেত্রী উপস্থিত ছিলেন৷

বিভিন্ন সভায় ‘আমরা বাঙালী’র নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে এই দিনের তাৎপর্য, ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট, ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগ, আদর্শ ও মাতৃভাষা বাংলার সম্মান রক্ষায় মরণপণ সংগ্রাম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন৷ ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনে যে বাঙালী জাতির অবদান সবচেয়ে বেশী, নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, রক্ত ঝরিয়েছেন সকলের থেকে বেশি,স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতে সেই বাঙালী, বাঙলা আর বাংলা ভাষার উপর আঘাত এসেছে সবচেয়ে বেশী--- বঞ্চনা, নির্যাতন, অবদমন চলেছে যৎপরোনাস্তি৷ এই অবস্থার পরিবর্তনের জন্যে বক্তাগণ সকল বাঙালীকে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামে অবতীর্ণ হবার আহ্বান জানান৷

হাওড়ায় ভাষা দিবস --- হাওড়া জেলার বাগনান রেলস্টেশনে আমরা বাঙালী জেলা কমিটির পক্ষ থেকে যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস পালন করা হয়৷ স্টেশনের সম্মুখে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন শ্রীবকুলচন্দ্র রায়, সুশান্ত শীল প্রমুখ৷

জন্মগত ঠোঁট কাটা ও তালু(টাগরা) কাটা, মাড়ি কাটা ও নাকের রাইনোপ্লাষ্টির বিনামূল্যে অপারেশন শিবির সুসম্পন্ন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

২৩শে ফেব্রুয়ারী’২৫ স্পিরিচ্যুয়ালিষ্টসস্পো এণ্ড এডভেঞ্চারস ক্লাব,আনন্দনগরের উদ্যোগে ও ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘অপারেশন স্মাইল’র সহযোগিতায় শিশু তথা যেকোন বয়সের ব্যষ্টিদের জন্মগত ঠোঁট কাটা ও তালু (টাগরা) কাটা, মাড়ি কাটা ও নাকের রাইনোপ্লাষ্টিক সম্পূর্ণভাবে সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ঝালদা আনন্দমার্গ স্কুলে বিনামূল্যে ৫ম অপারেশন শিবিরের আয়োজন করা হয়৷

পূর্বে যাদের এধরনের অপারেশন হয়েছে তাদেরও চেকআপ করা হয়৷ শিবিরে বিভিন্ন ধরনের বিশেষভাবে সক্ষমদের মধ্যে ৩৫ জন উপস্থিত ছিল৷ ১৯ জনকে অপারেশনের জন্যে নির্বাচিত করা হয়৷ ৪ জনকে স্বাস্থ্যগত কারণে তথা ছয়মাসের কম বয়স ও বয়স অনুযায়ী ওজনে কম হওয়ায় অপারেশনের জন্যে নির্বাচিত করা হয়নি৷ সেইসব রোগীদেরকে বিনামূল্যে পুষ্টিকর খাদ্য বিতরণ করা হয় ও যতদিন না অপারেশনের জন্যে উপযুক্ত হচ্ছে ততদিন এই পুষ্টিকর খাদ্য দেওয়া হবে৷ যাদের শিবিরে অপারেশনের জন্যে নির্বাচিত হয়েছে, তাদের অপারেশন সেন্টারে যাওয়া-আসা, থাকা-খাওয়া সহ অপারেশন পর্যন্ত যাবতীয় খরচ সংস্থার থেকে প্রদান করা হয় ও হয়ে থাকে৷

১৪ই ফেব্রুয়ারী’২৫ স্পিরিচ্যুয়ালিষ্টসস্পো এণ্ড এডভেঞ্চারস ক্লাব আনন্দনগরের উদ্যোগে ও ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘অপারেশন স্মাইল’র সহযোগিতায় ৪থ ক্যাম্প বিশেষভাবে ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূম জেলার অন্তর্গত যত জন্মগত ঠোঁট কাটা ও তালু(টাগরা) কাটা, মাড়ি কাটা ও নাকের রাইনোপ্লাষ্টি শিশু ও যেকোন বয়সের ব্যষ্টিদের সম্পূর্ণভাবে সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পটমদা থানার বাঙ্গুরদা আনন্দমার্গ স্কুলে বিনামূল্যে অপারেশন শিবিরের আয়োজন করা হয়৷ পূর্বে যাদের এধরনের অপারেশন হয়েছে তাদের চেকআপের জন্যেও ব্যবস্থা করা হয়৷মাতৃভাষা দিবসে শ্যামপুর আনন্দমার্গ

বাগনান আনন্দমার্গ স্কুলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২৩শে ফেব্রুয়ারী হাওড়া জেলার বাগনান চালিধাউড়িয়া আনন্দমার্গ স্কুলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়৷ স্কুলের কচি কাচা ছাত্র-ছাত্রারা আবৃত্তি ছড়া পাঠ ইত্যাদির মাধ্যমে তাদের নান্দনিক অভিপ্রকাশে কয়েকঘন্টা সকলকে আনন্দে মুখরিত করে রাখে৷ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন লক্ষ্মীকান্ত হাজরা ও জেলার ডায়োসিস সচিব আচার্য ব্রজকৃষ্ণানন্দ অবধূত৷ সহযোগিতায় ছিলেন অবধূতিকা আনন্দপ্রাণা আচার্যা ও জেলার ভুক্তিপ্রধান সুব্রত সাহা৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটির আয়োজক ছিলেন বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ অবধূতিকা আনন্দরসধ্যানা আচার্যা৷

কৃষ্ণনগরে অখন্ড কীর্ত্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

রাঘবপুর ঃ নদীয়া জেলার অন্তর্গত রাঘবপুর গ্রামের বিশিষ্ঠ আনন্দমার্গী তথা নদীয়া আনন্দমার্গ ভুক্তি কমিটির শিক্ষা সচিব শ্রী অনিল চন্দ্র বিশ্বাস ও শ্রীমতী সরস্বতী বিশ্বাস এর নিজ বাসগৃহে ২৩/০২/২০২৫ রবিবার সকাল ৯টা৪০মিঃ থেকে বেলা ১২টা৪০মিঃ পর্যন্ত- কৃষ্ণনগর ডায়োসিস সচিব আচার‌্য পরাজ্ঞানানন্দ অবধূত শ্রীমতী কাকলী বিশ্বাস, শ্রীমতী তনুকা সরকার, ডাঃবৃন্দাবন বিশ্বাস, শ্রীকৌশিক সরকার ও কৃষ্ণনগর ডিট (এল) তথা কৃষ্ণনগর আনন্দমার্গ স্কুলের অধ্যক্ষা-অবধূতিকা আনন্দ শিবধ্যানা আচার্যার পরিচালনায় প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশনের পরে মানবমুক্তির মহামন্ত্র ‘বাবানামকেবলম অখন্ড কীর্তন হয় মৃদঙ্গ সঙ্গতে ছিলেন - শ্রীবিবেক জ্যোতি সরকার৷

নদীয়া জেলা ও তৎপার্শ্ববর্তী জেলাগুলি থেকেও বহু ভক্তজন সকাল থেকেই কীর্তন অঙ্গনে উপস্থিত হয়ে কীর্তনে অংশ গ্রহন করেন৷ অখন্ড কীর্তন শেষে মিলিত সাধনা, গুরুপুজার পরে স্বাধ্যায় করেন কৃষ্ণনগর ডায়োসিস সচিব আচার‌্য পরাজ্ঞানানন্দ অবধূত অনুষ্ঠানে ‘’কীর্তন মহিমা’’-র ওপর আলোকপাত করেনবিশিষ্ঠ তাত্বিক তথা সুবক্তা শ্রীগোরাচাঁদ দত্ত ও কৃষ্ণনগর ডিট(এল) তথা কৃষ্ণনগর আনন্দমার্গ স্কুলের অধ্যক্ষা-অবধূতিকা আনন্দ শিবধ্যানা আচার্যা কীর্তনানুষ্ঠান শেষে তিন শতধিক ভক্তকে নারায়ন সেবায় আপ্যায়ীত করেন শ্রী অনিলচন্দ্র বিশ্বাস ও শ্রীমতী সরস্বতী বিশ্বাস৷

বেথুয়াডহরী ঃ নদীয়া জেলার অন্তর্গত বেথুয়া ডহরী, ক্ষিদিরপুর,পূর্বপাড়া নিবাসী বিশিষ্ঠ আনন্দমার্গী শ্রীদীপকবিশ্বাস ও শ্রীমতীসবিতা বিশ্বাস এর বাসগৃহে ২/০৩/২০২৫ রবিবার সকাল ৯টা২০মিঃ থেকে বেলা ১২টা২০মিঃ পর্যন্ত- শ্রীমতীকাকলী বিশ্বাস শ্রীমতীকাজল সরকার, শ্রীকৌশিক সরকার ও কৃষ্ণনগর ডিট(এল) তথা কৃষ্ণনগর আনন্দমার্গ স্কুলের অধ্যক্ষা-অবধূতিকা আনন্দ শিবধ্যানা আচার্যার পরিচালনায় প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশনের পরে মানবমুক্তির মহামন্ত্র ‘বাবানামকেবলম অখন্ড কীর্তন অনুষ্ঠিত হয়

স্কুলের শিশুদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

২১শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫, শ্যামপুর আনন্দমার্গ প্রাইমারি স্কুলের মাতৃস্নেহ শাখায় গভীর শ্রদ্ধা ও উজ্জীবিত আবহে পালিত হলো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস৷ বিদ্যালয়ের শিশুরা সৃজনশীল উপস্থাপনা, আবৃত্তি ও প্রসেশনের মধ্য দিয়ে মাতৃভাষার প্রতি তাদের ভালবাসা ও সম্মান ব্যক্ত করে৷ এদিন শিক্ষার্থীরা ভাষা আন্দোলনের গৌরবময় ইতিহাসকে স্মরণ করে নানা সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে দিনটিকে সার্থক করে তোলে৷

মার্গীয় বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

হাওড়া মৌড়ীগ্রাম নিবাসী বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রীশ্যামাপদ মণ্ডলের মাতৃ দেবী শেফালিকা মণ্ডলের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান গত ২৫শে ফেব্রুয়ারী,২৫ আনন্দমার্গে চর্যাচর্য বিধিমতে অনুষ্ঠিত হয়৷ প্রভাত সঙ্গীত ও কীর্ত্তন পরিবেশন ও মিলিত সাধনা ও স্বাধ্যায়ের পর মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়৷

স্বাধ্যায় করেন সুব্রত সাহা ও শ্রাদ্ধানুষ্ঠান পরিচালনা করেন আচার্য দেবেশানন্দ অবধূত৷ শ্রাদ্ধানুষ্ঠান শেষে আনন্দমার্গ সমাজশাস্ত্র বিষয়ে ও শেফালিকা মণ্ডলের স্মৃতিচারণা করে বক্তব্য রাখেন বকুলচন্দ্র রায় সুশান্ত শীল ও পুত্র শ্যামাপদ মণ্ডল৷ অনুষ্ঠানটি পরিচালনায় সহযোগিতা করেন বিজলী মণ্ডল৷

কৃষ্ণনগরে আনন্দমার্গীয় পদ্ধতিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গোয়ালা পাড়া ঃ নদীয়া জেলার অন্তর্গত কৃষ্ণনগর গোয়ালা পাড়া নিবাসী প্রবীন আনন্দমার্গী তথা বিশিষ্ঠ- শিক্ষাব্রতী শ্রীবলাই চন্দ্র বিশ্বাস গত ০৮/০২/২৫ রাত ১০টার সময় পরমপুরুষের স্নেহময় কোলে আশ্রয় নিয়েছেন৷ সংঘ জীবনে তিনি ছিলেন একজন ভালো মনের মানুষ, একজন ভক্ত মানুষ৷ সারা জীবন নানা প্রতিকুলতার সঙ্গে লড়াই করেও কখনো সংঘজীবনের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হন নি৷

গত ১৬/০২/২৫ রবিবার তারিখে কৃষ্ণনগরের অন্তর্গত আনন্দনগর নিবাসী তাঁর একমাত্র কন্যা বিশিষ্ঠ মার্গীবোন শ্রীমতী লক্ষী মন্ডলের বাসগৃহে আনন্দমার্গের বিধি অনুসারে কৃষ্ণনগর ডিট(এল) তথা কৃষ্ণনগর আনন্দমার্গ স্কুলের অধ্যক্ষা-অবধূতিকা আনন্দ শিবধ্যানা আচার্যার পৌরহিত্যে তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হয়৷

অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রভাত সঙ্গীত, মানবমুক্তির মহামন্ত্র অষ্টাক্ষরী সিদ্ধমন্ত্র কীর্তন মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, গুরুপুজা, স্বাধ্যায় হয়৷ আনন্দমার্গ শ্রাদ্ধনুষ্ঠানের বৈশিষ্ঠ পর্যায়ে মূল্যবান আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন বিশিষ্ঠ তাত্বিক তথা সুবক্তা শ্রীগোরাচাঁদ দত্ত৷ স্মৃতিচারণ করেন ভুক্তিপ্রধান ডাঃ বৃন্দাবন বিশ্বাস, বিশিষ্ঠ শিক্ষাব্রতী তথা বিশিষ্ঠ প্রাবন্ধিক শ্রীমনোরঞ্জন বিশ্বাস ও গৌরাঙ্গ ভট্টাচার্য৷

রাঘবপুর ঃ নদীয়া জেলার অন্তর্গত রাঘবপুরের তরুন মার্গীভাই শ্রী সুকান্ত বিশ্বাসের মাতৃদেবী শ্রমতী শশীরানী বিশ্বাস ১৪/০২/২৫ শুক্রবার বেলা ১১টা ৩০ মিঃ এর সময় পরমপুরুষের স্নেহময় কোলে আশ্রয় নিয়েছেন৷ তিনি ছিলেন একজন ভালো মনের মানুষ,একজন ভক্ত মানুষ৷ গত ২৩ /০২ /২৫ রবিবার আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবের উপস্থিতিতে নদীয়া জেলার রাঘবপুরে তাঁর বাসগৃহে আনন্দমার্গের বিধি অনুসারে কৃষ্ণনগর ডায়োসিস সচিব আচার‌্য্য পরাজ্ঞানানন্দ অবধূতের পৌরহিত্যে তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হয়৷ অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রভাত সঙ্গীত, মানবমুক্তির মহামন্ত্র অষ্টাক্ষরী সিদ্ধমন্ত্র কীর্তন ,মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান,গুরুপুজা, স্বাধ্যায় হয়৷ আনন্দমার্গের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন শ্রীগোরাচাঁদ দত্ত৷ ভুক্তিপ্রধান ডাঃ বৃন্দাবন বিশ্বাস,কৃষ্ণনগর ইউনিট সেক্রেটারীশ্রীআনন্দ কুমার মন্ডল,শ্রীমনোতোষ মজুমদার, ভুক্তি কমিটির অন্যতম সদস্য শ্রীগৌরাঙ্গ মল্লিক প্রমুখ৷

আনন্দনগর ডিট লেভেল সেমিনার

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

২৩শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫, জেল্যাডি গ্রামে একদিবসীয় আনন্দনগর ‘‘এ’’ ডিট লেভেল সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়৷ অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আনন্দনগর ডায়োসিস সেক্রেটারী আচার্য প্রজ্ঞানানন্দ অবধূত ও আচার্য দীপাঞ্জনানন্দ অবধূত৷ তাঁরা আনন্দমার্গের সমাজ দর্শন ও আধ্যাত্মিক অনুশীলনের বিভিন্ন দিক নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ ও প্রাঞ্জল আলোচনা উপস্থাপন করেন৷

দীঘা আনন্দমার্গ আশ্রমে দুদিনব্যাপী ‘সাধনা শিবির’

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

মেদিনীপুর ডায়োসিসের মার্গীদের ঐকান্তিক আগ্রহে ও শ্রদ্ধেয় আচার্য কৃষ্ণনাথানন্দ অবধূতের পরিচালনায় গত ১লা ও ২রা মার্চ দীঘি আনন্দমার্গ আশ্রমে দুদিনব্যাপী ‘সাধনা শিবির’ অনুষ্ঠিত হল৷ দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, চবিবশ পরগনা, পুরুলিয়া প্রভৃতি এলাকা থেকে শতাধিক মার্গী এই শিবিরে অংশগ্রহণ করেছিলেন৷ সাধনা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ের উপর ক্লাস নেন শ্রদ্ধেয় আচার্য বিকাশানন্দ অবধূত এবং আচার্য প্রিয়কৃষ্ণানন্দ অবধূত৷ সমুদ্রতীরে ভোরবেলায় পাঞ্চজন্য ও নগর কীর্তনের দৃশ্য এবং অনুভূতি সত্যিই মনে রাখার মত৷ এই দুদিনে প্রত্যেক মার্গী তাদের অন্তরের মনিকোঠায় যে অমূল্য ভাবসম্পদ সংগ্রহ করে স্ব স্ব গৃহে প্রত্যাবর্তন করলেন তা এককথায় অনাস্বাদিতপূর্ব৷