January 2023

দুর্গাপূজা ও কালীপূজা সম্পর্কে দু’চার কথা

পথিক বর

প্রতি বছর দুর্গাপূজা ও কালী পূজা নিয়ে বাঙালীরা মেতে ওঠে৷ এটা অস্বীকার করার উপায় নেই৷ কিন্তু এই দুর্গাপূজা ও কালীপূজা সম্পর্কে আমার মনে কিছু প্রশ্ণ জেগেছে৷

অষ্টকমল

আমাদের শরীরে আটটি চক্র আছে৷ মূলাধার, স্বাধিষ্ঠান, মণিপুর, অনাহত ও বিশুদ্ধ– এই পাঁচ চক্র আর এর ওপর আজ্ঞাচক্র, গুরুচক্র ও সহস্রারচক্র*৷ এই হ’ল অষ্টকমল৷ পরমাত্মার লীলা এই অষ্টকমলকে নিয়ে৷

সাধনায় যখন মানুষ এগিয়ে যায় তখন কী হয়?

‘‘সর্বতঃ পাণিপাদং

তৎ সর্বতোক্ষিশিরোমুখম্৷

সর্বতঃ শ্রুতিমল্লোঁকে সর্বসাবৃত্য তিষ্ঠতি৷৷’’

এই অষ্টকমল যখন ফোটে, তা কেমন করে ফোটে? মানুষ যখন মনের সমস্ত ভাবনা নিয়ে পরমপুরুষেরই উপাসনা করে তখন সমস্ত ভাবনা, সমস্ত আকুতি একের দিকেই ছুটে যায়৷

শারদোৎসব ও শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী নববিধান

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

নীল আকাশে সাদা মেঘের আনাগোনা, নীচে ধরনীর কোলে শিউলি কাশের মেলা নিয়ে আসে শরতের আগমন বার্র্ত৷ এই শরতেই বাঙালীর প্রিয় উৎসব---দূর্র্গপূজা,এই পূজাকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার কোটি টাকা বাজারে ছড়িয়ে পড়ে৷ কুমোর পাড়া, আলো,মাইক, প্যাণ্ডেল বহু মানুষের সাময়িক কিছু উপার্জনের পথ করে দেয়৷

বাঙালী জনগোষ্ঠী  বিশ্বৈকতাবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিশ্বকল্যাণে কাজে নামুক

প্রভাত খাঁ

ভারতবর্ষের অন্তর্গত বাঙলা--- অতীতের সেই বৃহত্তম বাঙলা যেটি ছিল পূর্বভারতের অন্তর্গত বাঙালী জনগোষ্ঠীর নিজস্ব কৃষ্টি সংস্কৃতি, ভাষা, সামাজিক আচার অনুষ্ঠানের পরিপূর্ণতায় পুষ্ট একটি বৃহৎ অংশ৷ যে জনগোষ্ঠীর সঙ্গে উত্তর ভারতবর্ষের মিলমিশ ছিল না৷ এটিকে বলাই হতো পাণ্ডব বর্জিত দেশ৷ বরং দক্ষিণ ভারতবর্ষের দ্রাবিড়দের সঙ্গে কিছুটা মিল ছিল৷ কেরালিয়ানদের সঙ্গে কিছুটা মিল আছে৷

মেয়েকে খাওয়ানোর জন্য দিন মজুর বাবা তৈরী করলেন রোবট

বিশেষভাবে সক্ষম মেয়ে৷ নিজে হাতে করে খেতে পারে না৷ খাবার খাওয়ার জন্য মা-ই ছিল একমাত্র ভরসা৷ কিন্তু মা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হওয়ায় মেয়েকে কে খাওয়াবে৷ মেয়ের বাবাকে প্রতিদিন দিনমজুরির কাজে বেরোতে হয়৷ শেষ পর্যন্ত ইউটিউব দেখে আর যন্ত্র ঘাটতে ঘাটতে গোয়ায় বাসিন্দা বিপিন কদম একটা আস্ত রোবট বানিয়ে ফেললেন৷ তিনি এই রোবটের নাম দিয়েছেন ‘মা রোবট’৷ যে কি না মায়ের মতো করেই প্রতিবন্ধী মেয়েকে খাইয়ে দেয়৷ বিপিনের এই কীর্ত্তিকে স্বীকৃতি দিয়েছে গোয়া স্টেট ইনোভেশন কাউন্সিল৷ সবাই জানতে চেয়েছেন বানিজ্যিকভাবে কিভাবে এর উৎপাদন সম্ভব?

বিশ্ব পরিবেশ ধবংসের পথে

সম্প্রতি বিশ্ববিখ্যাত এক পত্রিকায় ১৮০ দেশ নিয়ে করা এক সমীক্ষায় জানা যায়---দূষণের নিরিখে ভারতবর্ষের স্থান ১৭৭ নম্বরে৷ খুবই আশঙ্কার খবর এটি৷ দূষণের মধ্যে ধরা হয়েছে প্রধানত বায়ু, শব্দ, জল আর সামগ্রিকভাবে পরিবেশের অন্যান্য উপাদান৷ দেশের বিরাট সংখ্যক মানুষ দারিদ্র্য আর অপুষ্টিতে ভুগছে৷ রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা তাদের তলানীতে৷ গোদের ওপর বিষফোঁড়ার   মতো যদি বাঁচার জন্য পানীয় জল আর বিশুদ্ধ বাতাসের অভাব ঘটে তাহলে অকালমৃত্যু আর রোগে ভুগে ক্ষয় হয়ে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকে না৷ দূষণের কারণে আমাদের দেশে প্রতিবছর ২০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়৷ প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ বায়ু দূষনের ফলে ফুসফুসের  রোগ বা হাঁপানি জাতীয় রোগে

`গুজরাতসহ ছয়টি রাজ্য ম্যানগ্রোভ রোপনে পশ্চিমবঙ্গের পরামর্শ চাইছে

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদীর রাজ্য গুজরাত সহ মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, কেরালা ও ওড়িশা প্রভৃতি রাজ্যগুলি প্রাকৃতিক দুর্র্যেগের মোকাবিলায় সমুদ্রের পাড়ে ম্যানগ্রোভ লাগাতে পশ্চিমবঙ্গের পরামর্শ চায়৷ আম্ফান, ইয়াস এর পর রাজ্য সরকারের উদ্যোগে সমুদ্রোপকুলবর্ত্তী এলাকায় ১৫কোটি ম্যানগ্রোভের চারা লাগানো হয়৷ মূলত ৯ প্রজাতির ম্যানগ্রোভ লাগানো হয়েছে---কালোবাইন, পেয়ারা বাইন, কাঁকড়া, বকুল কাঁকড়া, গর্জন, হর গোজা, ধানি, খলসি, টক কেওড়া প্রভৃতি৷ কেন্দ্রীয় বনমন্ত্রকের  পর্যবেক্ষক দল গত মার্চে রাজ্যে এসে প্রশংসা করে যায় রাজ্যের এই উদ্যোগের৷

দক্ষিণবঙ্গের জঙ্গলে এই প্রথম আসছে জলদা পাড়ার একশৃঙ্গ গণ্ডার

বিশ্ব গণ্ডার দিবসে খুশীর খবর ঘোষনা বনদপ্তরের৷ উত্তরবঙ্গের একশৃঙ্গ গণ্ডারদের জাতীয় অভয়ারন্য জলদাপাড়ার উপর থেকে চাপ কমাতে  গণ্ডারদের নিয়ে আসা হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ও পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহলে৷ দক্ষিণবঙ্গে গণ্ডারদের নুতন আবাসের জন্য আদর্শ জায়গার খোঁজে কোমর বেঁধে নেমেছে বন দপ্তর৷ বনদপ্তরের সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে যে ১৯৮৫ সালে জলদাপাড়ায় মাত্র ১৫টি গণ্ডার ছিল৷ ৩৭ বছরের মধ্যে তা বাড়তে বাড়তে সংখ্যাটা বর্তমানে ৩০০ গিয়ে পৌছেছে৷ উত্তরবঙ্গে জলদাপাড়া গোরুমারা জাতীয় উদ্যান ও কোচবিহার রাজাদের মৃগয়াক্ষের পাতাল খাওয়ার রসমতী জঙ্গলের পর  দক্ষিণবঙ্গে হবে একশৃঙ্গ গণ্ডারের চতুর্থ আবাসস্থল৷

যুদ্ধে যাওয়ার ভয়ে রাশিয়া ছাড়ার হিড়িক

গত বুধবার রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ঘোষনা করেছেন--- সামরিক অভিজ্ঞতা থাকা অন্তত তিন লক্ষ রুশ জনতাকে ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে পাঠানো হবে৷ বিশেসজ্ঞদের ব্যাখ্যা, হাত বা পা ভাঙ্গা থাকলে তাকে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য বাধ্য করতে পারবে না সরকার৷ সেই আশাতেই ইন্টারনেট সার্চ করে কি করে নিজেদের হাত-পা ভাঙ্গা যায় রুশ জনতার অনেকেই সেই চেষ্টা চালাচ্ছে৷

আর যারা সেটা করতে চাইবেন না, তারা তড়িঘড়ি বিমানের টিকিট কেটে রাশিয়া ছেড়ে প্রতিবেশী দেশ আর্মেনিয়া, জর্জিয়া, আজারবাইজান ও কাজাখাস্তানে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন৷ ইতোমধ্যে ওইসব দেশে যাওয়ার বিমানের সব টিকিট শেষ৷