প্রবন্ধ

নারীর মর্যাদা মানব সমাজ ও নারী

অবধূতিকা আনন্দ মধুব্রতা আচার্যা

আজ থেকে প্রায় ১০ লক্ষ বছর আগে প্রথম মানব শিশুর জন্ম হয়েছিল৷ সে যুগের মানুষ মস্তিষ্ক দিয়ে বেশী চিন্তা করতে পারতো না৷ কারণ তার ক্ষমতা ছিল সীমিত৷ কিন্তু এখন তার পার্থক্য অনেক৷ মানুষের বুদ্ধির বিকাশ ঘটেছে৷ তার মধ্যে সাংস্কৃতিক, বৈজ্ঞানিক, আধ্যাত্মিক চিন্তা প্রভৃতি জেগেছে৷ মানুষের চিন্তাধারার মধ্যে পরিবর্তন ঘটেছে৷

মানব সমাজ সৃষ্টি হ’ল, মানব সমাজের উন্নতি হ’ল ঠিকই কিন্তু সত্যিই কী নারী তার যোগ্য মর্যাদা পেয়েছে

জাগো নারী

কল্যাণী ঘোষ

কতিপয় নারী লোভের বশবর্ত্তী হয়ে অর্থ উপার্জনের জন্যে শরীর বিক্রী করছে–প্রায় নগ্ণ হয়ে৷ প্রাত্যহিক সংবাদপত্রে, বিভিন্ন পত্র–পত্রিকায়, দূরদর্শনে স্বল্প পোষাকে শরীর দেখিয়ে কিশোর–যুবাদের কাম রিপুকে শুড়শুড়ি দিয়ে যৌন–আবেদনে হাতছানি দিয়ে শরীরে শিহরণ এনে দিচ্ছে৷ এদের কবল থেকে মুক্ত হওয়া কোন মতেই সম্ভব নয়৷ এদের ধ্বংস অনিবার্য৷ এদের কবল থেকে শিশু–কিশোর–যুবা কেউই বাঁচবে না সুস্থ শরীর ও মন নিয়ে৷ এই সমস্ত নারীরা নিজেরাও মরবে, অন্যদেরও মারবে৷

স্মৃতিচারণা---ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

পত্রিকা প্রিতিনিধি

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ১৮২০ সালের ২৬ শে সেপ্ঢেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে একটি হিন্দু ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন৷ তার পিতার ছিলেন ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মাতা হলেন ভগবতী দেবী৷

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ছিলেন এমন এক মহান ব্যক্তিত্ব যিনি আমাদের সমাজে উল্লেখযোগ্য সংস্কার এনেছিলেন৷ কিন্তু আমরা কয়জন তার সম্পর্কে একটু বিস্তারিতভাবে জানি? হয়তো অনেকে নয়! সুতরাং তাকে ভারতের জনগণের কাছে পুনরায় পরিচয় করিয়ে দেওয়া এবং ভারতীয় ইতিহাস তৈরিতে তাঁর অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে৷

ঝাড়খন্ডে বঞ্চিত বাঙালীর বাঁচার পথ

পত্রিকা প্রিতিনিধি

ঝাড়খন্ডের অধিবাসীদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ বাঙালী৷ বাড়ীতে এখনও তারা বাংলা ভাষাতেই কথা বলে৷ পরস্পর ভাব বিনিময়ও বাংলা ভাষাতেই হয়৷ আগে স্কুলগুলিতে বাংলা পড়া হ’ত৷ ব্রিটিশ আমলে তো হ’তই, স্বাধীনতা লাভের পরেও সেই রেওয়াজ ছিল৷ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ ও পরবর্তীকালে হিন্দী সাম্রাজ্যবাদের চক্রান্তে বর্তমান ঝাড়খন্ডের অধিকাংশ এলাকা যেমন পূর্ব সিংভূম জেলা, পশ্চিম সিংভূম জেলা, সোরাইকেলা–খরসোঁওয়া জেলা, বোকারো জেলা, ধানবাদ জেলা, দুমকা, দেওঘর, জামতারা, গড্ডা, সাহেবগঞ্জ ও পাকুড় জেলা, তাছাড়া বঁাচী, হাজারীবাগ ও গিরিডি জেলার অংশ বিশেষ– এই সমস্ত এলাকা বাংলা থেকে ছিনিয়ে আগের বিহারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়৷ পরে এই এলাকাগুলি নবগঠিত

বন্যা বিপর্যয় মোকাবিলা করার জন্য সকলকে তৈরী থাকতে হবে

প্রভাত খাঁ

যদি এ দেশে কাজ বেশী আর কথা কম হতো তা হলে মনে হয় হতভাগ্য দেশটি অনেক দূর এগিয়ে যেত৷ তা কিন্তু হয়নি৷ আমাদের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মাননীয় জহরলাল নেহেরু আমেরিকা গিয়ে টেনেসি নদীর বাঁধ দেখে ভাবলেন এদেশেও এই ধরণের বাঁধ করলে বহুমুখী পরিকল্পনার মাধ্যমে অনেক কাজ হবে৷ তাই ডি. ভি. সি.

প্রভাত সঙ্গীত কী ও কেন?

পত্রিকা প্রিতিনিধি

 

সংস্কৃতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হ’ল সঙ্গীত৷ নিম্নমানের সঙ্গীত যেমন মানুষের অন্তর্নিহিত পশুভাবকে জাগিয়ে তোলে তেমনি উচ্চমানের সঙ্গীত মানুষের ভিতরে সুপ্ত দেবভাবকে জাগিয়ে তোলে৷ বর্তমান সমাজের সর্বাত্মক অবক্ষয় থেকে সঙ্গীত জগৎও রেহাই পায়নি৷ এই অবক্ষয়কে রোধ করে সংস্কৃতির আঙ্গিনায় নূতন প্রভাতের আবির্ভাব হ’ল শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী তথা শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের রচিত ‘প্রভাত-সঙ্গীত’৷ মোট ৫০১৮টি প্রভাত-সঙ্গীত রচনা ও সুর তাঁরই সৃষ্টি৷

প্রভাত সঙ্গীত---আলোয় উত্তরণের সঙ্গীত

তপোময় বিশ্বাস

শুভ ‘প্রভাত সঙ্গীত দিবসে’র আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন৷ এবছর প্রভাত সঙ্গীতে’র ৪২ তম বর্ষপূর্তি৷ মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার তথা ধর্মগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্তী রচিত ও সুরারোপিত ১৯৮২ সন থেকে ১৯৯০ সন পর্যন্ত ৮ বছর সময়কালে ৮টি ভাষায় ৫০১৮টি সঙ্গীত ‘প্রভাত সঙ্গীত’ নামে পরিচিত৷

প্রভাতসঙ্গীত স্রষ্টা মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের প্রতি হৃদয়ের গভীরতম শ্রদ্ধা ও প্রণাম নিবেদন করি৷

সার্থক গণতন্ত্রে শাসক বিরোধী সম অধিকার সম মর্যাদা পায়

প্রভাত খাঁ

বর্তমানে সারা ভারত যুক্তরাষ্ট্রে যে যৌথশাসন ব্যবস্থা গণতন্ত্রের নামে দলীয় শাসকগণ চালাচ্ছেন রাজ্য ও কেন্দ্রগুলিতে সেটা একটি রাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় নামে গণতান্ত্রিক কিন্তু কেন্দ্রের শক্তিটা শাসন ক্ষেত্রে অনেকাংশে রাজ্যের শাসন ব্যবস্থাকে অস্বীকার করার লক্ষণগুলি খুবই স্পষ্ট৷ তাই বর্তমানে বিরোধী দলের রাজ্য সরকারগুলি আর্থিক ও অন্যান্ন দিক থেকে নানাভাবে বঞ্চিত হচ্ছে, যা যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থাতে বেশ কিছুটা কালিমালিপ্ত হচ্ছে৷ উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় কেন্দ্রের দেয় আর্থিক সাহায্য দলীয় সংকীর্ণতাবশতঃ বঞ্চিত করা হচ্ছে৷ এটা এক ধরণের আইনতঃ অপরাধ কি নয়?

বিভূতিভূষণ প্রসঙ্গে

অভিজিৎ সেন

(শ্রদ্ধেয় অভিজিৎ সেন, তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে বিভূতিভূষণ সম্পর্কে সে অসাধারণ বত্তৃণতা করেছিলেন সেটির অনুলিখন করেছেন) রামকৃষ্ণ মণ্ডল ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন (বি.এড.কলেজ)-এর বি.এড.বিভাগের শিক্ষার্থী কণিকা চক্রবর্তী৷

প্রকৃতি আর মানুষকে ভালোবাসতেন তিনি৷ তাই ছোট থেকেই জগতটাকে দেখতেন দুচোখ ভরে৷ উপভোগ করতেন পথের দৃশ্য, নজর এড়াতোনা মানুষের সুখ-দুঃখ৷ সাহিত্যে সেই ছাপই রেখে গেছেন বাংলা কথাসাহিত্যের বিখ্যাত লেখক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়৷

রাজনৈতিক দ্বিচারিতা ভারতীয় কমিউনিস্টদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য

মনোজ দেব

স্বাধীনতার বহু আগে থেকেই ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি রাজনৈতিক দ্বিচারিতায় ভুগছে, তাদের তত্ত্বে ও কর্মে দুমুখো নীতি খুবই স্পষ্ট৷ কমিউনিস্ট পার্টির ইস্তাহারে কাল মার্কস বলেছেন কমিউনিজমকে এক কথায় বললে---‘পুঁজিবাদের উচ্ছেদ’৷ ভারতের কমিউনিস্ট নেতারা সাধারণ কর্মী সমর্থকদের সামনে পুঁজিবাদ বিরোধী লম্বা-চওড়া বক্তব্য রাখলেও তলে তলে পুঁজিবাদকে তোষণ করে চলেছে৷ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু রাজনৈতিক স্বাধীনতার সঙ্গে সঙ্গে অর্থনৈতিক স্বাধীনতাও চেয়েছিলেন৷ তাই তৎকালীন পুঁজিপতিদের অর্থে পরিচালিত জাতীয় কংগ্রেসের গান্ধী লবির নেতৃত্ব সুভাষ চন্দ্রের বিরোধিতা করেছিল, সুভাষচন্দ্রকে কংগ্রেস ও দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছিল৷ সমাজতন্ত