April 2017

কৃষিনীতির আমূল পরিবর্তন চাই

রাজশক্তির উত্থান–পতন হয়ে চলেছে৷ রাজনৈতিক ক্ষমতার হাতবদল হচ্ছে৷ কিন্তু গ্রামের কর্ষকদের জীবন–কথার কোনো পরিবর্তন হচ্ছেনা৷ তারা গায়ের রক্ত জল করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল ফলাচ্ছে৷ তারা খাদ্য উৎপাদন করছে৷ কিন্তু তারা, তাদের পরিবারবর্গ অর্দ্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে, সে খাদ্য মজুত হচ্ছে তাদের ভাঁড়ার ঘরে–এই খাদ্য উৎপাদনের সঙ্গে যাদের কোনো সম্পর্কই নেই৷ যে মাটিতে খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে, সে মাটিকেই তারা  চেনেই না৷ 

রাজবংশী, কামতাপুরী কি আলাদা ভাষা

সুকুমার সরকার

একদিকে সরকার বলছেন, বাঙলাকে ভাগ হতে দেব না অন্যদিকে বাংলা ভাষার বিভিন্ন উপভাষাকে স্বীকৃতি দিচ্ছেন৷ এই দুটি ঘটনার মধ্যে যে বিরাট ফাঁক রয়ে গেছে সেই ছিদ্র পথেই একদিন ধবংস হবে বাঙলা ও বাঙালীর জাতি সত্তা

বাঙালীজাতির মহাশত্রু সিপিএম

হরিগোপাল দেবনাথ

বিগত ১৯৬২ সালে চীন অতর্কিতে ভারত আক্রমণ করে বসে৷ তখনকার প্রধানমন্ত্রী নেহেরুজীর সঙ্গে চীনা প্রধানমন্ত্রীর বন্ধুত্বপূর্ণ ঘনিষ্ঠতা জমে উঠেছিলো বলে শ্লোগান উঠেছিল হিন্দী-চীনা ভাই-ভাই, আর এর পর মূহূর্তেই চীন ভারতকে আক্রমণ করে বসে৷ কম্যুনিষ্ট রাষ্ট্র চীন যে আগ্রাসী নীতিতে বিশ্বাসী ও চরম সাম্রাজ্যবাদী, এর প্রমাণ আগেও রেখেছিল তিববত দখলে রেখে ও পাকিস্তানের যোগ-সাজসে সিয়াচীনকে কব্জা করে৷ যা হোক এর পর ভারতের কম্যুনিষ্ট বা সমাজবাদী (তথাক

দক্ষিণ ২৪ পরগণায় আমরা বাঙালীর জেলা সম্মেলন ও নতুন কমিটি গঠন

গত ২৬শে মার্চ দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার অন্তর্গত সুভাষগ্রামে আমরা বাঙালীর নতুন জেলা কমিটি তৈরী করা হল জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে কর্মীরা উপস্থিত হয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নতুন কমিটিতে অংশগ্রহণ করেন আমরা বাঙালীর কেন্দ্রীয় সচিব শ্রী বকুল চন্দ্র রায় ও কেন্দ্রীয় প্রকাশন সচিব শ্রী রবীন্দ্রনাথ সেন উক্ত সম্মেলনে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন শ্রী বকুল চন্দ্র রায় মহাশয় বলেন, বর্তমান ক্ষয়িষ্ণু ও দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক নেতাদের হাত থেকে বাঙলাকে বাঁচাতে পারে একমাত্র আমরা বাঙালী দল কারণ আমরা বাঙালী ১০০ শতাংশ নৈতিকতায় বিশ্বাসী, সর্বপ্রকার সংকীর্ণতা মুক্ত ও কুসংস্কার মুক্ত আধ্যাত্মিকতায় বিশ্বাসী তাছাড়া আমরা বাঙালী দল প

পশ্চিম মেদিনীপুরে  প্রাউট প্রশিক্ষণ শিবির

গত ১ ও ২ এপ্রিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিনপুর ১ নং ব্লকের কুরকুটাশোল, আনন্দমার্গ সুকলে ইয়ূনিবার্সাল প্রাউটিষ্ট ইয়ূথ এ্যাণ্ড স্টুডেণ্টস্ ফেডারেশনের উদ্যোগে দুদিন ব্যাপী এক প্রাউট প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়৷ এই শিবিরে ৩৫ জন ছাত্র-যুবা যোগদান করেন৷ এই প্রাউট প্রশিক্ষণ শিবিরে আজকের সমস্যা ও মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের প্রবর্ত্তিত প্রাউট দর্শনের মাধ্যমে কীভাবে বিভিন্ন সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান সম্ভব সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্সালের সেক্রেটারী জেনারেল আচার্য কল্যাণেশ্বরানন্দ অবধূত, আচার্য বাসুদেবানন্দ অবধূত প্রমুখ ৷

নিছক উৎসব নয়---বাঙলার নববর্ষের দিন হোক বাঙলার মর্যাদা রক্ষার শপথের দিন

স্নেহময় দত্ত

ঋতুচক্রের পরিক্রমণ ও বর্ষ পরিক্রমার নিয়মানুযায়ী বাঙলার ১৪২৩ সনকে পিছনে ফেলে আর মাত্র কয়েকটা দিন পরেই আসবে ১৪২৪ সন ১লা বৈশাখ, বাঙলার নববর্ষারম্ভ---বাঙলার নববর্ষের দিন বসন্তের তথা চৈতের শেষ লগ্ণ থেকেই শুরু হয় বর্ষবরণের দিন গোনা মন-প্

মানব কল্যাণে মাইক্রোবাইটামের ভূমিকা

শ্রী সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

কার্য অনুযায়ী মাইক্রোবাইটাম  তিন প্রকারের হয় এরা হল---(১) মিত্র মাইক্রোবাইটাম (ফ্রেণ্ড মাইক্রোবাইম), (২) অরাতি মাইক্রোবাইটাম (এনিমি মাইক্রোবাইটাম) ও (৩) নিরপেক্ষ মাইক্রোবাইটাম (নিউট্রাল মাইক্রোবাইটাম) ৷
মিত্র মাইক্রোবাইটামেরা স্বভাব অনুযায়ী মানুষের সঙ্গে মিত্র সুলভ কার্য করে এরা মনুষ্য সমাজকে শুভের পথে চালিত করে ও হিতের ভাবনা মনের মধ্যে যুগিয়ে যায়৷ 

সমবায়ের গুরুত্ব ও সাফল্যের সম্ভাবনা সম্বন্ধে প্রাউটের বক্তব্য

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

ব্যষ্টিস্বাতন্ত্র্যবাদ ভিত্তিক অর্থনীতি (পুঁজিবাদ) শোষণ–ব্যবস্থার নামান্তর৷ মার্কসবাদী রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কৃষি ও শিল্প–উদ্যোগ বা কমিউন ব্যবস্থায় ব্যষ্টিস্বাধীনতার কোনো মূল্য নেই, এসব ক্ষেত্রে পরিচালক ও শ্রমিকের সম্পর্ক প্রভু–ভৃত্যের সম্পর্কের মত৷ উৎপাদনে শ্রমিকের কোনো উৎসাহ থাকে না, মমত্ববোধও থাকে না৷ তাতে উৎপাদন চরমভাবে ব্যাহত হয়৷ প্রকৃতপক্ষে এও এক শোষণ–ব্যবস্থা৷ তাই এই ব্যবস্থাকে প্রকৃত জনকল্যাণমূলক বলা চলে না, আর এ ব্যবস্থা বেশি দিন টিঁকেও থাকে না৷