August 2018

ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনই হলো বরাক উপত্যকায় বাঙালী জনগোষ্ঠীর একমাত্র বাঁচার পথ

প্রভাত খাঁ

অত্যন্ত দুঃখের কথা এদেশের শিক্ষিত ব্যষ্টিগণ মনে হয় ভুলেই গেছেন সেই অষ্টাদশ শতাব্দীর ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের ইতিবৃত্ত৷ বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দোল্লা যখন মাত্র ১৮ বছরের তরুণ তাঁকে সরিয়ে পলাশীর প্রান্তরে ইংরেজ এর সঙ্গে নাটক করে বিশ্বাসঘাতক সিপাহ সালার মিরজাফর সিংহাসন দখল করেন৷ আর বন্দী নবাব সিরাজকে নামাজে রত অবস্থায় মোহম্মদী বেগকে দিয়ে পৃষ্ঠ দেশে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করানো হয় মিরজাফরের পুত্র মিরনকে দিয়ে৷ যাঁর মৃত্যু ঘটে বজ্রাঘাতে ! সেই যে বিশ্বাসঘাতকতার ঘটনা সেটাই একনাগাড়ে চলে আসছে এই হতভাগ্য বাংলায় অদ্যাবধি৷

শব্দ অমৃত

জিজ্ঞাসু

গত সপ্তাহে  লিখেছিলুম শব্দ  দূষণ নিয়ে,  এখন লিখছি  উল্টো কথা৷  বিজ্ঞান-বুদ্ধিতে মেজে ঘষে শব্দের  সুর  তরঙ্গকে কাজে লাগিয়ে  অনেক  দেহ-মানসিক ব্যধি থেকে  মানুষ মুক্তি  পাচ্ছে৷  শব্দ বিজ্ঞানীদের  মতে  সুর-তরঙ্গের  নিরবিচ্ছিন্ন প্রবাহ, কেন্দ্রীয় নার্র্ভস সিস্টেমের  শক্তিক্ষেত্রকে প্রভাবিত  করে৷ সঙ্গীতের  তাল মিনিটে ষাট  বা তার কম হলে  টেনশন  কমায়, সত্তরের বেশি  হলে টেনশন বাড়ায়৷ যে কোনো  পুরাতন  বা নোতুন অসুখ, যন্ত্রণা ইত্যাদি  থেকে মুক্তি  পেতে পজিটিব মাইক্রোবাইটামের  সংখ্যা বাড়াতে  পরিপূরক  হিসেবে  ভারতীয় রাগ রাগিনীর  সাহায্য নেওয়া হচ্ছে৷ ভৈরবী, ভীমপল্লশ্রী আহেরি ভৈরব, বসন্ত বিহার, বাগেশ্রী, আ

আনন্দমার্গের অখণ্ডকীর্ত্তন, চিকিৎসা শিবির ও নারায়ণসেবা

  গত ৯ই জুলাই  ওড়িশার  ময়ূরভঞ্জ জেলার  বরুয়ান ব্লকের  কাটা সিমলা গ্রামে  আনন্দমার্গ প্রচারক  সংঘের  স্থানীয়  ইয়ূনিটের  পক্ষ থেকে  ইয়ূনিট  সেক্রেটারী শ্রী পরিক্ষিৎ নায়েকের  পরিচালনায়  ১২ ঘন্টাব্যাপী ‘াা নাম কেবলম্’ মহামন্ত্রের  অখন্ড  কীর্ত্তন  অনুষ্ঠিত  হয়৷  কীর্ত্তন  পরিচালনা  করেন ভঞ্জভূমের আনন্দমার্গের  ডিট্ সেক্রেটারী আচার্য ব্রতনিষ্ঠানন্দ অবধূত,  সেবাধর্ম  মিশনের  ভুক্তিপ্রধান  শ্রীসুরেশ নায়েক,  প্রীতিলতা নায়েক,  শরৎ মাহাত, ললিতা মাহাত, গীতা মাহাত, সত্যবতী মাহাত প্রমুখ৷

সোমনাথ চ্যাটার্জী পরলোকে

প্রাক্তণ সিপিএম নেতা ও সাংসদ  সোমনাথ  চট্টোপাধ্যায় গত ১৩ই অগাষ্ট  সকাল ৮-১৫ মিনিটে  কলকাতার এক  বেসরকারী নার্সিংহোমে  শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ  করেন৷  মৃত্যুকালে  তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর৷  তিনি  লোকসভার প্রাক্তন স্পীকারও ছিলেন৷

তিনি প্রায় সারা জীবন  সিপি.এম-এর সদস্য ছিলেন৷ জীবনের  শেষ বছর  তিনি পার্টি থেকে বহিষৃকত  ছিলেন৷ এই কারণে সিপিএমের পক্ষ থেকে সোমনাথ চ্যাটার্জীর মরদেহকে  কম্যুনিষ্টপার্টির লাল পতাকা দিয়ে ঢেকে ফেলার  প্রস্তাব  তাঁর পরিবারের লোকজন  মেনে নেননি৷

অমিত শাহের ‘হিম্মত’ দেখে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর মনোবল বৃদ্ধি

মনোতোষ কুমার মণ্ডল

বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় খবরে প্রকাশ বিগত ৩১শে অগাষ্ট রাজ্যসভায় অমিত শাহ বুক ফুলিয়ে ঘোষণা করলেন---‘‘আপকে পাস হিম্মত নহী থা--- হামারা হেয়....’’ (তোমাদের সাহস ছিল না --- আমাদের আছে)৷ বক্তব্যটি প্রাক্তন কংগ্রেস সরকারের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে৷ গত ৩০শে জুলাই দ্বিতীয় এন.আর.সি ড্রাফট্ প্রকাশ করা হয়েছে৷ এতে চল্লিশ লক্ষ জনগণের নাম বাদ গেছে৷ এই খুশীতে আমাদের মহামান্য অমিত মহাশয় অত্যধিক আত্মহারা৷ তিনি খুশী চেপে রাখতে পারেন নি৷ তাই আনন্দ প্রকাশার্থে তিনি খুশীতে আমাদের মহামান্য অমিত মহাশয় অত্যধিক আত্মহারা৷ তিনি খুশী চেপে রাখতে পারেন নি৷ তাই আনন্দ প্রকাশনার্থে তিনি মিডিয়ার সম্মুখে নিজের হাতে মিষ্টি খাওয়ালেন ভার

অসমে ৪০ লক্ষাধিক  বাঙালীকে  বিদেশীচিহ্ণিত  করার প্রতিবাদে বিভিন্ন জেলায় ‘আমরা বাঙালী’র প্রতিবাদ সভা

চেতলা, কলকাতা ঃ গত ১১ই অগাষ্ট ২০১৮ দঃকলকাতার চেতলা অঞ্চলের অহীন্দ্রমঞ্চের সামনে আমরা বাঙালী কলিকাতা জেলার শাখার উদ্যোগে এক বিরাট পথসভার আয়োজন করা হয়৷

সভা শুরু হয় বৈকাল ৪টা৷ চলে রাত ৮টা পর্যন্ত৷ সভার প্রারম্ভে বীর বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন সংঘটনের কর্মীগণ৷ এরপর ১মিনিট শহীদদের উদ্দেশ্যে নিরবতা পালন করা হয়৷ দেশমাতৃকার শৃংঙ্খলমোচনে তাঁর আত্মবলিদানের ইতিহাসের উপর বক্তারা বক্তব্য রাখেন৷

নতুন নাগরিকপঞ্জী তৈরীর নামে অসম থেকে লক্ষ লক্ষ বাঙালীর নাাগরিকত্ত্ব কেড়ে নেওয়ার প্রতিবাদে সমস্ত বাঙালীর গর্জে ওঠার ডাক ছিল এইদিনের মূল অনুষ্ঠান৷

মানসিক রোগ ঃ

মনের রোগের ফলস্বরূপ যে সব শারীরিক ব্যাধির সৃষ্টি হয়, বিশেষ করে কয়েকটি বিশেষ ধরনের রোগ, তারা হ’ল কর্কট রোগ (cancer), অজীর্ণ, গেঁটে বাত৷ মনের রোগের ফলে উৎপন্ন রোগের সংখ্যা খুব বেশী না হলেও খুব কমও নয়৷ আমরা অনেক সময় দেখে থাকি, খিট্খিটে মেজাজের মানুষেরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বদহজমে ভুগে থাকেন৷ ঙ্আজকাল অবশ্য মনের রোগ তথা উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা, দুর্ভাবনার শিকার হয়ে অনেকেই হৃদরোগ, রক্তচাপ রোগ, ডায়াবিটিস ইত্যাদি রোগের কবলে পড়ছেন৷ এটাই হ’ল আজকের সভ্যতার অন্ধকারময় দিক৷

হিস্টিরিয়া ও মৃগীরোগ ঃ

কোদণ্ড

কোদণ্ড ঃ কঃ+দণ্ড = কোদণ্ড, যার ভাবাঢ়ার্থ হ’ল জলের বা মাটির সঙ্গে সংযোগরক্ষাকারী দণ্ড৷ প্রাচীন সংস্কৃতে ‘ক’ শব্দের একটি অর্থ ছিল ধনুকের ছিলা, চাক বা চাপ যা সেই ছিলার সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করে চলত৷ তাই ধনুকের চাক (চক্র বা arc)–কে বলা হ’ত কোদণ্ড৷

আঁধার পেরিয়ে

আচার্য নিত্যসত্যানন্দ অবধূত

রাতের আঁধার ফিরে আসবে সকাল,

                ভোরের সূর্য উঠবেই

এই শীতের হিমেল হাওয়া তুচ্ছ করে’

                নতুন কলি ফুটবেই৷

                আবার সূর্য উঠবেই৷৷

অযুত বিহঙ্গের কলকাকলী

                আবার ধবনিবে দিকে দিকে

রঙ বেরঙের শত পুষ্প ঘিরে

                আবার অলি জুটবেই৷৷

জড়তার বন্ধন যাবে যে খুলে

                মুক্ত হবে যত প্রাণ,

ধবনিবে আবার দিক্-দিগন্তরে

                মানবাত্মার জয়গান৷৷

সকল হৃদয় মাঝে আবার হবে

                সুন্দরের আরাধন

তোমাকে বন্দনা করি

সাধনা সরকার

নিখিল বিশ্ব বন্দনা করে

সূর্য, তারা প্রণত

তোমাকে দেখি আলোকে পুষ্পে

আহা কী আনন্দ

তুমি এসেছো ভালবেসেছো

চরণ ধূলায় ধূসরিত আমাদের প্রাণ

তুমি আছ

তোমার বন্দনা বিশ্বভূবনে

এসো তুমি এসো কাছে

এ প্রাণ মন তোমার

সু-বাতাস আজ ভবনে ভূবনে

তুমি আমার পরমতম

চির বিরাজ প্রাণপুরুষ

তোমাকে বন্দনা করি

সমর্পিত প্রাণ মন....