October 2018

প্রসঙ্গ ঃ শিক্ষাঙ্গনে কু-রঙ্গ

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

প্রতি বৎসর সেপ্টেম্বর মাসের ৫ তারিখটি শিক্ষক-ছাত্র সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি ঐতিহ্যমণ্ডিত দিন---‘শিক্ষক দিবস’ রূপে মর্যাদার সঙ্গে পালিত হয়৷ প্রাচীন ভারতের ঐতিহ্য অনুযায়ী ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক পবিত্রতার পরাকাষ্ঠা হিসেবে স্বীকৃত৷ প্রাতিষ্ঠানিক বিদ্যায়তন গড়ে ওঠার পূর্বে ছাত্রগণ গুরুগৃহে অবস্থান করে বিদ্যাভ্যাস করতেন৷ বিদ্যাচর্চার সঙ্গে সঙ্গে গুরুসেবা ও অন্যান্য গৃহকর্মও ছাত্রদের করতে হতো, আর এই কাজ তারা আনন্দের সঙ্গেই করতো৷ এমনকি রাজ পরিবারের সন্তানেরাও অন্যান্য ছাত্রদের সাথে একই ভাবে শিক্ষালাভ করতো---আর এটা তাদের কাছে লজ্জা বা অসম্মানের ব্যাপার ছিল না৷ গুরু ও গুরুপত্নী সকল শিষ্যের প্রতি একই রকম

অনন্য প্রাউট (দ্বিতীয়)

জিজ্ঞাসু

প্রাউটের  ভিত্তি  হল বিশ্বরূপী মানুষ  বা নব্যমানবতার  মানুষ৷  যে অনুভব  করে, অসহায় পশু পাখি কীট পতঙ্গ  বাঁচতে  চায়,  বিকশিত হতে চায়, তারা একটা শিশুর মতই  মানুষের  ওপর নির্ভরশীল৷  তারাও  ভালোবাসা সুরক্ষা পেতে চায়৷ তাই একজন  প্রাউটিষ্টের বিশাল  সামাজিক  দায়িত্ব  থেকে যাচ্ছে৷ প্রতি প্রাণীন ও অপ্রাণীন  সত্তার  অণুপরমাণুর  মধ্যে  যে অখন্ড অদ্বৈত চেতনা আছে,  সেটা বুঝে  সে তার সর্বচিন্তা-বাক্য-কর্ম, সর্ববস্তু ও সর্বশক্তি দিয়ে সব প্রাণীর সাথেই উচিত ব্যবহার করবে৷ যম-নিয়মে প্রতিক্ষণ পরিশোধিত হয়েই প্রাউটিষ্ট  হতে হবে৷  এ যুগের  মানুষের  সৌভাগ্য, অসত্য, অন্যায় অবিচার  অজ্ঞানতার  অন্ধকারে পথহারা  দিশেহা

ময়ূরভঞ্জে আনন্দমার্গের অখন্ড কীর্ত্তন ও চিকিৎসা শিবির

ময়ূরভঞ্জ ঃ ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার জামদা ব্লকের অন্তর্গত নারানদা গ্রামে গত ৯ই সেপ্টেম্বর আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের পক্ষ থেকে ৬ঘন্টা অখন্ড কীর্ত্তন, নারায়ণসেবা ও পাশাপাশি চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন করা হয়৷

‘‘বাবা নাম কেবলম্’’ মহামন্ত্রের ৬ঘন্টা ব্যাপী অখন্ডকীর্ত্তন পরিচালনা করেন আচার্য ব্রতনিষ্ঠানন্দ অবধূত৷ মিলিত সাধনার পর সাধনা ও কীর্ত্তন মাহাত্ম্যের ওপর বক্তব্য রাখেন সেবাধর্ম মিশনের স্থানীয় ভুক্তিপ্রধান শ্রী সুরেশ নায়েক৷ ধর্মআলোচনার পর ধর্মসভায় সমবেত অনেকেই আচার্য ব্রতনিষ্ঠানন্দজীর কাছে যোগসাধনা শেখেন৷

আনন্দমার্গের নোতুন আশ্রমের শিলান্যাস ও অখণ্ড কীর্ত্তন

উত্তর ২৪ পরগণা ঃ উত্তর ২৪ পরগণা জেলার ঠাকুরনগরে আনন্দমার্গের নোতুন আশ্রমের শিলান্যাস হয়েছে গত ১৬ই সেপ্টেম্বর৷ এই জমিটি আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘকে দান করেছেন ডঃ তারা কর৷ এই উপলক্ষ্যে ওই দিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অখণ্ড কীর্ত্তন হয়৷ কীর্ত্তনের পরে সাধনা ও গুরুপূজা শেষে কীর্ত্তন সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন আচার্য সুরেশানন্দ অবধূত, আচার্য অভিব্রতানন্দ অবধূত ও শ্রী সন্তোষ কুমার বিশ্বাস৷ এরপর আশ্রম ভবনের শিলান্যাস করেন আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের প্রবীণ সন্ন্যাসী আচার্য ভবেশানন্দ অবধূত৷ ওই স্থলে ওই দিন একটি স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হয়৷ সেখানে প্রায় শতাধিক ব্যষ্টির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন ডাঃ নি

কলকাতার বেহালা-সরশুনায় প্রভাত সঙ্গীত প্রতিযোগিতা

কলকাতা ঃ গত ৯ই সেপ্টেম্বর আনন্দমার্গের সাংস্কৃতিক প্রকোষ্ঠ ‘রাওয়া’-র কলকাতা শাখার পক্ষ থেকে বেহালা-সরশুনায় প্রভাত সঙ্গীত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়৷ প্রসন্নকুমার স্মৃতি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিল্পী সংঘে অনুষ্ঠানটি হয়৷ এই প্রতিযোগিতায় সঙ্গীত, নৃত্য ও অংকন মিলে ১৮৯ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে৷ ক,খ,গ,ঘ--- বয়স অনুসারে ৪টি গ্রুপে এই প্রতিযোগিতা হয়৷ এছাড়া সমবেত সঙ্গীত ও সমবেত নৃত্য প্রতিযোগিতাও হয়৷ এই প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন সঙ্গীতে শ্রীমতী ঝংকৃতা সরকার, নৃত্যে-শ্রীমতী মৌসুমী দে ও অংকনে শ্রী নিশিত শীল৷ তিন শতাধিক দর্শক ও তথা শ্রোতা উপস্থিত থেকে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন৷ সকাল ১০ টা

সেরাম থ্যালাসেমিয়া প্রিভেনেশন ফেডারেশনের প্রচার অভিযান

প্রতি বছরের মত এবারও গত ১৫ই আগষ্ট দেশের বাহাত্তর(৭২)তম স্বাধীনতা দিবসে সেরাম থ্যালাসেমিয়া প্রিভেনশন ফেডারেশনের উদ্যোগে শ্যামবাজার থেকে বিষ্ণুপুর (রাজারহাট) পর্যন্ত একটি বণার্ঢ্য থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা ‘‘কার্যাবলী’’ অনুষ্ঠিত হয়৷ শ্যামবাজারে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন সংঘটনের সহ-সভাপতি স্বামী সারদানন্দ মহারাজ৷ উদ্বোধন মঞ্চ থেকে শহীদ বীর সেনাদের উদ্দেশ্যে শপথ বাক্য পাঠ করা হয়৷ পায়রা উড়িয়ে ও সবুজ পতাকা নেড়ে অনুষ্ঠানিকভাবে এই সচেতনতা ‘‘কারর্যালী’’র শুভ সূচনা করেন সংঘটনের সভাপতি ডাঃ ভাষ্কর মণি চট্টোপাধ্যায় ও সম্পাদক সঞ্জীব আচার্য সহ অনেক সদস্য৷ র্যালীর যাত্রাপথে ১৩টি স্থানে সেরাম থ্যালাসেমিয়া প্রিভেন

লিপির ইতিকথা

লিপি বা অক্ষরের ক্ষেত্রেও এমানেশনের প্রভাব রয়েছে৷ আমরা আগেই বলেছি যে এক একটি ভাষা আনুমানিক এক হাজার বছর বাঁচে কিন্তু এক একটি লিপি বাঁচে আনুমানিক দু’ হাজার বছরের মত৷ যজুর্বেদের যুগের গোড়ার দিকে কোন লিপি ছিল না৷ শেষের দিকে অর্থাৎ আনুমানিক পাঁচ হাজার বছর আগে ভারতে লিপির আবিষ্কার হয়৷ অক্ষর আবিষ্কারের সময় ঋষিরা ভেবেছিলেন যে অ–উ–ম অর্থাৎ সৃষ্টি–স্থিতি–লয় নিয়ে এই জগৎ রয়েছে৷ কিন্তু ব্যক্ত জগৎটা হচ্ছে চৈতন্যের ওপর প্রকৃতির গুণপ্রভাবের ফল–ক্গনিটিব্ ফ্যাকাল্টির ঙ্মচৈতন্যসত্তারক্ষ ওপর বাইণ্ডিং ফ্যাকল্টির ঙ্মপরমা প্রকৃতিক্ষ আধিপত্যের ফল৷ অর্থাৎ এক্ষেত্রে পরমপুরুষ প্রকৃতির ক্ষন্ধনী শক্তির আওতায় এসে গেছেন

যৌগিক চিকিৎসা ও দ্রব্যগুণের মাধ্যমে বহুমূত্র রোগের নিরাময়

লক্ষণ ঃ ঘন ঘন মূত্রত্যাগের ইচ্ছা, মূত্রনালীতে জ্বালা, ঘন ঘন পিপাসা ও মুখে মিষ্টি স্বাদ, পেশাবে মাছি বা পিঁপড়ে বসা, মাথা ধরা, চর্ম শুস্ক্ ও ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া, অল্প বয়সে চেহারা বৃদ্ধের মত হয়ে যাওয়া, সর্বাঙ্গে জ্বালাপোড়া প্রভৃতি লক্ষণের সমাবেশই এই রোগের লক্ষণ৷ প্রায়ই দেখা যায় এই রোগে চোখে ছানি পড়ে৷

ঐক্যতান

বিশ্বপথিক

ঐক্য সূত্রে বাঁধা সবই

    বিভেদ কিছু নাই

একই পিতার পুত্র কন্যা

    সবাই ভাই ভাই৷

একই লক্ষ্য মোক্ষ মুক্তি

    বিস্তারি এমন

ঐক্যতানে প্রীতির বাণে

    চলছি অনুক্ষণ৷

একই রক্ত শিরায় শিরায়

    একই স্পন্দন

বিশালতায় ভরাতে বুক

    হচ্ছে ক্রন্দন

একই ধ্বনি অহর্নিশি

    বাজে মহাকাশে

একই রাগ অনুরাগ

    এই না বুকে বাজে

একের মাঝেই সত্যে খুঁজি

    মহত্ত্ব যায় বাড়ি

মিথ্যে কেন বিভেদ রাখি

    করছো কাড়াকাড়ি

হূদি ধারায় চাইছো যারে