October 2018

সূর্য ওঠার আগেই

মৃত্যুঞ্জয় মাইতি

আমি তখন প্রথম ভোরের বেলায়

কচি চারাগাছ এনে

যত্নে পুঁতি আঙিনায়

দিনে দিনে কিশলয় বাড়ে

রাত্রিদিন কত ভাবে আদর করি তাকে

জল দিই সকাল সন্ধ্যে

মুছিয়ে দিই তার পাতা

ঠিকঠাক করে দিই ওর পায়ের মাটি

ভেবেছিলাম চারপাশে ওর

দেব বেড়া বেঁধে এক---কিন্তু হ’ল না৷

পাশের বাড়ীর গোরুটা লম্বা জিভ দিয়ে---

একদিন ওটাকে মুখে পুরে নিল৷

কাঁদলাম কত

চোখের জলে আঙিনা গেল ভরে’

কিন্তু আর কী হবে বলো কেঁদে!

বেড়া দিয়ে ওকে পারিনি যে ধতে

তাই চিরদিনের মত হৃৎপিণ্ডে আমার

রয়ে গেল ক্ষতটা৷

গোবর গণেশ গায়েন

 যে সোজা পথে চলে না, মার প্যাঁচ করে দিন কাটে সে কুট্টনী........কুটনী৷ এই কুট্টনীর স্বভাবসংক্রান্ত ব্যাপারকে বলব কৌট্টনী বা কৌট্টনিক৷ কুট্টনী+অন = কৌট্টনী আর কুট্টনী+ঠক=কৌট্টন্৷ এই মার প্যাঁচ সংক্রান্ত বিদ্যাকে বলা হয় কুট্টনী বিদ্যা বা কৌট্টনী বিদ্যা৷ যারা গোমরামুখো, যারা ‘‘রাম গরুড়ের ছানা হাসতে তাদের মানা’’ তাদের সম্বন্ধে কথ্য বাংলায় বলা হয় কুট্টনী–মুখ৷

এ প্রসঙ্গে আমার একটি পুরোনো গল্প মনে পড়ে যাচ্ছে৷

ধরা আর সরা

দেশজ শব্দে ‘ট’ যথাযথভাবেই বজায় থাকে৷ আর ‘ড’ বা ‘ড়’ মৌলিক শব্দ হিসেবেই থেকে যায়৷ যেমন, আজ ভুলোর সঙ্গে ভোঁদার আড়ি হয়ে গেল৷ ওরা বলছে, ওরা আর একসঙ্গে মার্বেল খেলবে না, একটা পেয়ারাও আর কামড়াকামড়ি করে খাবে না৷ গোপনে কান পেতে শোনাকেও আড়িপাতা বলে৷ এটিও বাংলা দেশজ শব্দ৷

একদিনের ক্রিকেটে ভারতীয় অধিনায়কগণ ঃ কিছু কথা

আজ থেকে চল্লিশ বছর আগের ভারতীয় ক্রিকেট দলের একদিনের ম্যাচের সাফল্য তেমন আলোচনার মধ্যে ছিল না৷ বিশ্ব ক্রিকেটে তখন ওয়েষ্ট ইণ্ডিজের অসামান্য দাপট৷ ’৮০-র দশকে একজন ভাল অলরাউণ্ডার পেল ভারত৷ কপিল দেব নিখাঞ্জ৷ ১৯৮৩-র সেই স্বপ্ণের ফাইনাল৷ ফাইনালে ওঠার আগে লীগের একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ৩৬ রানে ৫টি উইকেট পড়ে যায়৷ ওই জায়গা থেকে কপিল দেব অপরাজিত ১৭৫ রানের একটি দুর্ধর্ষ ইনিংস খেলেন৷ উইকেট পড়ার মুখে কোনঠাসা হয়ে ম্রিয়মান থাকা নয়, নিজের খেলাটা খেলে নিজেদের চাপমুক্ত রাখার পদ্ধতি প্রয়োগ করে সাফল্য এসেছিল৷ ফাইনালে ৬০ ওভারে ১৮৬ রানের টার্গেট রিচার্ডস, ক্লাইভ, দুঁজোদের সামনে৷ দুর্ধর্ষ ও ব্

এবার বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের্ দিকে  নজর মেরি কমের

এমনিতে ব্যাপারটা অবিশাস্য ব্যাপারটা৷ কিন্তু সেটাই করে দেখিয়েদিলেন ভারতের কিংবদন্তি বক্সার মেরিকম ৷ মাত্র ৪ ঘন্টার মধ্যে ২ কেজি৷ পোলান্ডের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে গিয়ে জেটল্যাগ কিছুটা ছিলই৷ কিন্তুই  ওই অবস্থাতেই সেখানে পৌঁছে  তাঁর প্রথম  কাজটি ছিল নিজের  ওজন দু’কেজি কমিয়ে ফেলা৷

ব্যাঙ্ক, মোবাইল, গ্যাসের ক্ষেত্রে   আধারের  প্রয়োজন নেই

গত ২৬ শে সেপ্টেম্বর আধার কার্ড  সম্পর্কিত  সুপ্রিমকোর্টের রায়ে  জানানো হয়েছে, এখন থেকে  ব্যাঙ্ক এ্যাকাউন্টের  ক্ষেত্রে  ও মোবাইলে  নূতন  সিম কার্ড  কেনার ক্ষেত্রে  আধার  কার্ডের  প্রয়োজন  হবে না৷

এন আর সি-র আধিকারিক প্রতীক হাজেলা অসমের বাঙালীদের রাষ্ট্রহীন করার ষড়যন্ত্র করছে ---বাঙালী যৌথ সমন্বয় সমিতি

নওগাঁ ঃ গত ২২ শে সেপ্টেম্বর বাঙালীদের ১৪টি জাতীয় সংঘটনের যৌথ মঞ্চ ‘বাঙালী যৌথ সমন্বয় সমিতি’র সভাপতি সুকুমার বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সরকার এখানে অভিযোগে করেছেন, অসমে স্থায়ীভাবে ৮০ লক্ষ বাঙালী হিন্দুর বাস৷ এর ৫০ শতাংশ অসমের আদি বাসিন্দা৷ বলা বাহুল্য, বাঙলারই বৃহদংশ ব্রিটিশরা অসমের সঙ্গে যুক্ত করে দিয়েছিল৷ যেমন কাছাড়, নওগাঁ, গোয়ালপাড়া ইত্যাদি মূল বাঙলাভাষী এলাকা, বাঙলা থেকে কেটে অসমের সঙ্গে যোগ করা হয়েছিল৷ তাই এখানকার অধিবাসীদের বৈধ নাগরিকত্ব প্রশ্ণাতীত৷ অপর পক্ষে এর মধ্যে যে অপর ৫০ শতাংশ হিন্দু বাঙালী ওপার বাঙলা থেকে শরণার্থী হয়ে এসেছে, নেহেরু-লিয়াবত চুক্তি ও ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি অনুসা

অসমে  বাঙালী  নির্যাতনের প্রতিবাদে  ‘আমরা বাঙালী’

অসমে নূতন নাগরিকপঞ্জী তৈরীর  নাম করে প্রায়  ৪০ লক্ষ বাঙালীর নাগরিকত্বহরণ  করে’ তাদের বিতাড়নের  চক্রান্তের  বিরুদ্ধে  গত ১৯শে সেপ্টেম্বর  ‘আমরা বাঙালী’র পক্ষ থেকে উত্তর কলকাতার শ্যামবাজারের নিকটে বল্লভপুর ষ্ট্রীট থেকে এক  প্রতিবাদ  মিছিল বোরোয়৷ এই  মিছিল বিধান সরণী হয়ে  বিভিন্ন  শ্লোগান  দিতে দিতে স্বামী বিবেকানন্দের  বাড়ীর  সামনে  এসে  পৌঁছায় ও এখানে একটি পথসভা অনুষ্ঠিত হয়৷ এই পথসভায় বক্তব্য রাখেন  আমরা  বাঙালীর কেন্দ্রীয় সচিব বকুলচন্দ্র রায়, গুয়াহাটি হাইকোর্টের  এ্যাডভোকেট  নজরুল  ইসলাম, জয়ন্ত দাশ, অরুণ ভট্টাচার্য, উজ্জ্বল ঘোষ  প্রমুখ৷

বিজেপি বাঙালী-ঐক্য ভাঙ্গতে বদ্ধপরিকর

ইসলামপুর স্কুলে ছাত্র-হত্যাকে কেন্দ্র করে ২৬ শে সেপ্টেম্বর বিজেপির ডাকা বাঙলা বন্ধ্কে সফল করতে বিজেপি সমর্থকরা ৪টি সরকারী বাস জ্বালিয়েছে , অন্ততঃ ৪টি বাস ভাঙ্গচুর করেছে ৷ এতে কার লাভ হ’ল? কার ক্ষতি হ’ল? তৃণমূলের ? না, ক্ষতি হয়েছে পশ্চিমবাঙলার৷ এ রাজ্যের সম্পদ নষ্ট হয়েছে৷ নেতাদের ক্ষতি হয়নি৷ ক্ষতি হয়েছে জনগণের  এটা কি তারা বুঝেছে?

অসমে  ইয়ূপিএসফ ও ইয়ূ পি ওয়াই এফ-এর  রাজ্যসম্মেলন

আগামী ৬ ও ৭ই  অক্টোবর অসমের  আমবাগানে  ইয়ূনিবার্স্যাল প্রাউটিষ্ট  ষ্টুডেন্টস্ ফেডারেশন (ইয়ূ পি এস এফ ) ও ইয়ূনিবার্সাল  প্রাউটিষ্ট ইয়ূথ ফেডারেশন (ইয়ূ পি ওয়াই এফ)-এর অসম রাজ্য  সম্মেলন  অনুষ্ঠিত  হচ্ছে৷ স্থান-আনন্দমার্গ সুকল, আমবাগান, (নওগাঁ,অসম)  এই অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় রয়েছেন আচার্য বিশ্বমিত্রানন্দ অবধূত ৷