এন আর সি-র নামে বাঙালীদের ওপর চরম আঘাত হানতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ বিদেশী একটা অজুহাত মাত্র৷ বাঙালী জাতিটাকেই শেষ করতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার৷ তাই বেছে বেছে বাঙালী অধূ্যষিত এলাকাতেই এন আর সি করা হয়েছে৷ এই সেদিনও শ্রীলঙ্কা থেকে কয়েক লক্ষ শরণার্থী ভারতে এসেছে৷ তারা নাগরিক জীবনের সব সুখ-সুবিধা নিয়ে বহাল তবিয়েতেই আছে৷ শুধু বেছে বেছে বাঙালীদেরই বিদেশী চিহ্ণিত করা হচ্ছে৷ এ জিনিস মেনে নেওয়া যায় না৷ কথাগুলি বলেন---বাঙালী ছাত্র, যুব সমাজের পক্ষ থেকে তপোময় বিশ্বাস৷ তিনি বলেন এন আর সি-র নামে বাঙালীদের প্রতি অবিচারের প্রতিবাদে বাঙালীরা এবার পথে নামবে৷ আগামী ৭ই সেপ্ঢেম্বর কলকাতার অসম ভবনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হবে৷ একাডেমী অফ ফাইন আর্টসের সামনে থেকে মিছিল বের হয়ে অসম ভবনে গিয়ে থামবে৷ সেখানে একটি বিক্ষোভ সভা অনুষ্ঠিত হবে৷l
দমদম ষ্টেশনে বিক্ষোভ প্রদর্শন
এন.আর.সির নামে অসমে ১৯ লক্ষ বাঙালীকে নাগরিকত্বহীন করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে ‘আমরা বাঙালী৷’
১লা সেপ্ঢেম্বর দমদম ষ্টেশনে এক বিক্ষোভ সভায় সামিল হয় ‘আমরা বাঙালী’ কর্মী সমর্থকরা৷ ‘আমরা বাঙালী’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রী জয়ন্ত দাশ বলেন--- বিদেশী চিহ্ণিতকরণের নামে কেন্দ্রীয় সরকার বাঙালী জনগোষ্ঠীকেই ভারত থেকে নির্মুল করতে চায়৷ ‘আমরা বাঙালী’ সহজে এটা মেনে নেবে না৷ প্রয়োজনে দেশজুড়ে আন্দোলনে নাববে ‘আমরা বাঙালী’৷
বাঙালী ছাত্র যুবসমাজের পক্ষ থেকে থেকে তপোময় বিশ্বাস বলেন--- মোদী সরকার পুঁজিপতি তোষণ করতে গিয়ে দেশকে অর্থনৈতিক সংকটে ফেলে দিয়েছে৷ ভারতের অন্যজনগোষ্ঠীকে বিপথে চালিত করলেও বাঙালী জনগোষ্ঠী করা সম্ভব নয়৷ কিছু দালাল মীরজাফর অবশ্য আছে৷ কিন্তু তাদের কথায় বাঙলা চলে না৷ সেটা কেন্দ্রীয় সরকারও জানে৷ তাই দিল্লীর বাঙালী বিদ্বেষী সরকার বাঙালী জাতিটাকেই শেষ করতে চায়৷ তবে এর চরম পরিণতি সরকারকে ভোগ করতে হবে৷
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন---অরূপ মজুমদার, শৈলেন মোদক, সৈকত ঘোষ, শঙ্কর সরকার, বাপি পাল প্রমুখ৷