May 2020

নদীয়া জেলার আনন্দমার্গ ইউনিভার্সাল রিলিফ টীমের ত্রাণকার্য

নদীয়া জেলা আনন্দ মার্গ ইউনিবার্সাল রিলিফ টীমের পক্ষ থেকে লকডাউনের  কারনে নদীয়া জেলার অন্তর্গত গাংনাপুর থানার পাঁচটি গ্রামের পাঁচ শতাধিক দুস্থ পরিবারের মধ্যে  ২৮শে এপ্রিল থেকে ৩রা মে ২০২০ পর্যন্ত শুকনা খাবার সাবান প্রভৃতি বিতরন করা হয়।গ্রামগুলি হল' - বালিয়াডাঙ্গা, মন্ডল পুকুরিয়া, চিনাপুকুরিয়া খরেরমাঠ, এরলি তে দুটিগ্রাম । এই ত্রাণ সামগ্রী বিতরনে নেতৃত্ব দিয়েছেন  নদিয়া জেলার আনন্দমার্গ ইউনিভার্সাল রিলিফ টীমের সদস্য সদস্যা দেবকুমার মন্ডল, হাসিদাস মন্ডল, ওস্থানীয় আশা কর্মী শিপ্রা বৈদ্য। হাসিদাস মন্ডল আর্থিক সহায়তা করেছেন, শিপ্রাবৈদ্য ত্রাণকার্যের জন্যে প্রয়োজনীয় সাবান সরবরাহ করেছেন। নদিয়াজেলা ভু

নব্যমানবতাবাদই শেষ আশ্রয়

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

নব্যমানবতাবাদ কী? নব্যমানবতাবাদ তত্ত্বের প্রবক্তা মহান দার্শনিক শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার তাঁর রচিত ‘প্রভাত সঙ্গীতের’ ভাষায় বলেছেন---

        ‘‘ মানুষ যেন মানুষের তরে সব কিছু করে যায়৷

  একথাও যেন মনে রাখে পশু-পাখী তার পর নয়

        তরুও বাঁচিতে চায়৷’’

প্রাউটের দৃষ্টিতে শোষণ মুক্ত সমাজ ব্যবস্থা ও ১০০ শতাংশ কর্মসংস্থান

এইচ. এন. মাহাতো

ভারতের রাজনৈতিক অবস্থাটা সরকার ও বিরোধী পক্ষের মধ্যে অহি-নকুল সম্পর্কে দাড়িয়েছে। দুই পক্ষই নিজেদের বক্তব্যে নিজেরা ঠিক বলছেন বলে দাবী করছেন।তাতে দেশের মানুষের স্বার্থ বজায় থাকে কিনা সে চিন্তা করে না। তাদের এই ডামাডোলের রাজনীতি ভারতের ঐতিহ্য বিশ্বের দরবারে কতটা নত করে দিচ্ছে এনিয়ে করোর মাথা ব্যাথা নেই। বর্তমান ভারতের আর্থিক অবস্থায় নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের বিশেষ করে ছাত্র যুব সমাজ আজ দিশেহারা। নোতুন প্রজন্মকে কোন দিকে পরিচালনা করলে দেশের ব্যাষ্টি ও সমষ্টির কল্যান হবে তার জন্য সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ কোন পরিকল্পনা রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে নেই। নোতুন প্রজন্মের ছাত্র/ছাত্রা বা যুবক/যুবতীরাই

আলাদা করে মাতৃদিবস কেন?

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

যার স্নেহছায়ায় প্রতিমুহূর্ত প্রতিদিন কাটে, যার স্নেহের অমৃতধারায় সতত স্নাত, যার কোলে প্রথম জগতের আলো দেখলাম, তার জন্য আলাদা একটা দিবস! ----- বুঝিনা এ লজ্জার না গৌরবের!

চাই সুশৃংখল ও সুনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

     "সমস্ত দিন সংসারের ক্ষেত্রে দুঃখ দৈন মৃত্যুর আলোড়ন চলেছে, কিন্তু রোজ সকাল বেলায় একটি বাণী আমাদের এই কথাটাই বলে যায় যে, এই সমস্ত অকল্যাণই চরম নয়, চরম হচ্ছেন শিবম। প্রভাতে তারএকটি নির্মল মূর্তি কে দেখতে পাই---চেয়ে দেখি সেখানে ক্ষতির বলিরেখা কোথায়? সমস্তই পূরন হয়ে আছে। দেখি যে, বুদবুদ যখন কেটে যায় সমুদ্রের তখন কণামাত্র ক্ষয় হয় না। আমাদের চোখের উপর যতই ওলট-পালট হয়ে যাক- না তবু দেখি যে, সমস্তই ধ্রুব হয়ে আছে, কিছুই নড়েনি। আদিতে শিবম অন্তে শিবম অন্তরে শিবম।" -                    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বিপন্ন মানুষের পাশে আনন্দমার্গ প্রচারক সঙ্ঘ

বিশ্বব্যাপী করোণা ভাইরাসের আক্রমণ ও সারা ভারতে লকডাউনে বিপন্ন মানুষের পাশে আনন্দমার্গ প্রচারক সঙ্ঘ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। কয়েকটি নিদর্শন ছবি সহকারে দেওয়া হলো।

Relief Kakinara
উঃ ২৪ পরগণা জেলার  কাঁকিনাড়া রেল ষ্টশনে

 

সারা ভারত ব্যাপী এ্যামার্ট/এ্যামার্টেল সেবা কার্য

করোণা ভাইরাসের আক্রমনে গত এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে ভারত ব্যাপী লকডাউন অবস্থায় গরীব তথা দিন আনে দিন খায় এমন ব্যষ্টিদের অবর্ণীয় কষ্টের মধ্যে দিন যাপন করতে হচ্ছে। এ্যামার্ট/এ্যামার্টেল সংঘটন সারা ভারতের বিভিন্ন জায়গায় দুঃস্থ বুভুক্ষু ব্যষ্টিদের রান্না করা খাবার বা রেশন—চাল, আটা, ডাল, সাবান ইত্যাদি সরবরাহ করছে। দেরীতে পাওয়া কিছু খবরও এর মধ্যে দেওয়া হল।

উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার ঠাকুর নগরে

সাম্প্রদায়িক পুলিশ!

২১শে মেঃ দীপক বুন্দেলে, মধ্য প্রদেশের বেতুলের বাসিন্দা,পেশায় আইজীবী। ২৩ শে মার্চ, দেশে তখনও লক ডাউন শুরু হয় নি। অসুস্থ দীপক যাচ্ছিলেন হাসপাতালে। পথে আটকায় পুলিশ।পথে বেরিয়েছে কেন জানতে চেয়ে এক পুলিশ অফিসার সপাটে এক চড় মারে দীপক বাবুর গালে।তাই দেখে অন্য পুলিশরাও লাঠি পেটা শুরু করে।
   তবে ঘটনা এখানে শেষ নয়। দীপকবাবু মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, হাই কোর্টের প্রধান বিচাপতিকে বিষয়টি জানান। টনক নড়ে পুলিশের, তারা দীপক বাবুর কাছে গিয়ে বলে  আপনাকে মুসলিম ভেবে ওরা মেরেছে। একজন হিন্দুকে এ ভাবে মারার জন্যে আমরা লজ্জিত। পুলিশেও সাম্প্রদায়িক বিভাজন!

 

ব্রাত্য  পরিযায়ী শ্রমিক

২১শে মে:  বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফেরাতে কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ প্রকল্প নিয়েছে। প্রকল্পের নাম ‘বন্দে ভারত'। অথচ ভিন রাজ্যে আটকে পড়া দরিদ্র পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে ঘৃণ্য রাজনীতি চলছে। তাদের ঘরে ফেরাতে কেন্দ্র কোন দায় নিচ্ছে না। সব দায় রাজ্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দিচ্ছে। তাদের সামান্য দু'বেলা দু'মুঠো অন্নের ব্যবস্থাও কেন্দ্রীয় সরকার করতে পারেনি। অথচ ধনকুবেরদের ৬৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ মুকুব করে দিয়েছে। তার মধ্যে পলাতক ধনকুবেরও আছে। আর পরিযায়ী শ্রমিকরা শত শত মাইল পায়ে হেঁটে পাড়ি দিচ্ছে রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে যাওয়ার জন্য।কেউ কেউ নিজ উদ্যোগে ট্রাক ভাড়া করে নিজ রাজ্যে ফিরে যেতে গিয়ে পথ মধ