June 2020

মার্গীয় বিধিতে শ্রাদ্ধ

কলকাতা কুমারটুলি নিবাসী বিশিষ্ট আনন্দমার্গী চঞ্চল পালের ভাই শ্রী সুকান্ত পাল গত ২রা জুন পরলোক গমন করেন ৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর । গত ৮ই জুন তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হয় কুমারটুলি বাসভবনে আনন্দমার্গের সমাজশাস্ত্রের  বিধিমতে ৷ অনুষ্ঠানে শ্রী চঞ্চল পাল ও আত্মীয় -স্বজন উপস্থিত ছিলেন ৷ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত ৷

 

উঃ ২৪পরগণা ভুক্তিতে ৬৫ দিন ব্যাপী কীর্তন

ঋণাত্মক মাইকোবাইটাম তথা করোণা ভাইরাসের আক্রমনে গত আড়াই মাস যাবৎ মানুষকে গৃহবন্দী হয়ে থাকতে হয়। এখন ধনাত্মক মাইকোবাইটামের দ্বারাই ঋণাত্মক মাইকোবাইটামের হাত থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। এই ধনাত্মক মাইকোবাইটাম অধিক থেকে অধিক সৃষ্টির লক্ষ্যে এই ভুক্তিতে বিশেষ কর্মসূচি—ভুক্তিব্যাপী দিবারাত্র অখণ্ড ‘বাবানাম কেবলম' কীর্ত্তন শুরু হয় ৩রা এপ্রিল ভোর ৫টা থেকে। তারপর থেকে রোজ প্রতি ঘণ্টায় বিভিন্ন মার্গী বাড়ীর সদস্যরা (যাদের আগে থেকেই নির্দিষ্ট করা হয়েছে) নিজ নিজ বাড়ীতে এক ঘণ্টা করে কীর্তন করেন। এইভাবে ৬৫ দিন ২ঘণ্টা পর ৭ই জুন তারিখের সকাল ৭টায় এই অবিরাম কীর্তনের কর্মসূচি শেষ হয়।

পরিযায়ী শ্রমিক বনাম আত্মনির্ভর  ভারত

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

 বর্তমান করোনা মহামারী উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভারতবর্ষের রাজনীতির উন্মুক্ত আকাশে একটি সুন্দর শব্দবন্ধ " পরিযায়ী পাখী"দের মত বাধাবন্ধহীন ভাবে ভেসে বেড়াচ্ছে---তা হলো "পরিযায়ী শ্রমিক "। আমরা এতদিন স্থানীয় শ্রমিক ও বহিরাগত শ্রমিক দের নাম শুনেছি। কিন্তু করোনা-পরবর্তী সময়ে দীর্ঘ দুই মাসাধিককাল সারাদেশে লকডাউনের ফলে রুজি-রোজগার হারিয়ে নিজেদের গ্রামে, রাজ্যে ও স্থায়ী ঠিকানায় ফিরে যেতে ব্যাকুল ভিনরাজ্যের হাজার হাজার শ্রমিক ট্রেন বাস ইত্যাদি গণপরিবহন না পেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শত শত মাইল পথ পায়ে হেঁটে বা সাইকেলে পাড়ি দেওয়ার অসমসাহসিক অভিযানে নাবতে বাধ্য হয়েছেন। হাজার হাজার পথচলা শ্রমিকদের সারি দেখেই হয়তো

উপস্থিত বুদ্ধি

‘তন্’ ধাতুর অর্থ হ’ল বেড়ে যাওয়া, অভিব্যক্ত হওয়া । যে মানুষ তার ভাবধারাকে নাচে–গানে অভিনয়ে–আবৃত্তিতে অভিব্যক্ত করতে পারে তার জন্যে ‘তন্’ ধাতুর উত্তর ড প্রত্যয় করে ‘ত’ শব্দ ব্যবহূত হয় । তাই এক্ষেত্রে ‘ত’–শব্দের একটি অর্থ হ’ল ণট বা অভিনেতা ।

অভিনেতার মধ্যেও অনেক সময় অদ্ভুত রকমের উপস্থিত বুদ্ধি দেখা যায় । সে বিচারে তিনি দু’দিক দিয়েই ‘ত’ । অভিনয় জগতের ‘ত’–এদের উপস্থিত–বুদ্ধি সম্বন্ধে বা উপস্থিত বুদ্ধির স্বভাব সম্বন্ধে অনেক গল্প প্রচলিত আছে । দু’একটি গল্প তোমাদের শোনাচ্ছি:

অবসর

জয়তী দেবনাথ

নানা কর্মে ব্যস্ত আমরা

                              সারা জীবনভোর,

কর্মব্যস্ত এই জীবনে

                              কোথায় অবসর ।

তাইতো কেউ অবসর খোঁজে

                              একটু বিরতি,

কেউবা ভাবে অবসর মানে

                              কাজের দারুণ ক্ষতি ।

জীবন মাঝে তবুও দেখো

                            হয়তো কদাচিৎ

অল্প-বিস্তর অবসর সময়

                             এসে উপস্থিত ।

কবিগুরুর বাক্য কভু

                            মিথ্যা হবে না---

‘উদ্বৃত্ত না থাকিলে

পূর্ব কোলকাতার চৌবাগায় এ্যামার্টেলের চিকিৎসা শিবির

এ্যামার্টেল, কোলকাতা ১৬ই জুন পূর্ব কোলকাতার চৌবাগায় একটি চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন করেন । ওখানে ৫০০ দুঃস্থ মানুষকে করোণা বাইরাসের  প্রতিষোধক চিকিৎসার হোমিওপ্যাথিক ওষুধ বিতরণ করেন । স্থানীয় মানুষজন এই চিকিৎসা শিবিরের প্রভূত প্রশংসা করেন । আনন্দমার্গের সন্ন্যাসিনী আনন্দ রসপ্রজ্ঞা আচার্যা, আনন্দ কীর্তিলেখা আচার্যা ও আনন্দ মুক্তিধারা আচার্যা এই চিকিৎসা শিবিরের পরিচালনা করেন । 

চৌবাগা

সবুজ সাথী-সবার সাথী

গরীব মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েদের  স্কুলে যাওয়ার জন্যে এক কোটিরও বেশি সাইকেল বিলি করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার  মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সাথী প্রকল্পে ৷ ছেলে মেয়েদের  স্কুল বন্ধ ৷ তাই সবুজ সাথীর সাইকেল এখন বাবা-মার কর্মস্থানে  যাওয়ার  প্রধান বাহন ৷ সামাজিক দুরত্ব-বিধি মেনে পরস্পরের  স্পর্শ থেকে দূরে থেকে এমন পরিবেশ বান্ধব বাহন এখন সব থেকে বড় সহায় কর্মস্থানে যাওয়ার ৷ তাই মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সাথী এখন রুটি-রুজির অর্থ উপার্জনের সহজ উপায়।

লাদাখে শহীদ-দুই বাঙালী

চীনা সেনার হামলায় ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছে ৷ এদের মধ্যে দু-জন পশ্চিমবঙ্গের ৷ একজন বীরভূম জেলার মহম্মদ বাজারের রাজেশ ওরাঁও৷ বছর পাঁচেক আগে তিনি বাহিনীতে যোগ দেন ৷ এবার গ্রামে ফিরে তাঁর বিয়ে করার কথা ছিল ৷ বাড়ীতে সেই প্রস্তুতিও চলছিল ৷ কিন্তু সেই গৃহ এখন শোকে স্তব্ধ ৷

লাদাখ সীমান্তে চীন ভারত সংঘর্ষ নিহত ২০ ভারতীয় সেনা

লাদাখ সীমান্তে চীন ভারত সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছে ৷ লাদাখের গালওয়ান উপতক্যায় দুই দেশের সেনার মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ বাধে ৷ প্রাথমিক খবরে জানা যায় কর্ণেল বি. সন্তোষবাবু সহ তিনজন মারা যান, পরে রাতের দিকে সেনাসূত্রে জানা যায় আরও ১৭ জন মারা গেছে ৷ এই সংঘর্ষে চীনেরও বেশ কিছু সেনা হতাহত হয় ৷

সীমান্তে চীনের আগ্রাসন নীতির কারণেই এই সংঘর্ষ৷ চীন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা মানতে চাইছে না ৷