May 2021

ভারতবাসীর মোহ নাশ ঘটবে কবে?

হরিগোপাল দেবনাথ

(পূর্বেপ্রকাশিতের পর)

বর্তমান ভারতে আমরা কেমন পরিস্থিতিতে দিনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছি, এর কিঞ্চিৎ আভাস ফুটিয়ে তুলতে ক্ষুদ্র প্রয়াস নিচ্ছি৷ তবে, তারও  পূর্বে বলে নেওয়া ভাল (এমনটা না বলে সঙ্গত কারণেই বলা সমীচীন মনে করছি) যে, --- বর্তমানের এই দুর্বৃত্তপনা কেবল আজকের বোনা ফসল ঘরে এল তা কিন্তু নয়--- ১৯৪৭-এর সময় থেকেই সেই চাষাবাদ শুরু হয়েছিল এখন যার বনেদীয়ানা এলমাত্র৷ নীচে এ মর্মে কতিপয় তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপিত করছি ঃ---

ধনতান্ত্রিক সাম্রাজ্যবাদ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাঙলা দখল করতেই হবে

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ ২০১৪ সালে নরেন্দ্রমোদি কেন্দ্রে সরকার গড়ার পর ষোড়শ লোকসভার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় তাঁর ভাষণে নবগঠিত বিজেপি সরকারের আর্থিক নীতি তুলে ধরেন৷ রাষ্ট্রপতির ভাষণে স্পষ্ট হয়ে যায় নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার দেশী বিদেশী পুঁজিপতিদের অবাধ ব্যবসার  সুযোগ করে দেবে৷ এমনকি রেল ও প্রতিরক্ষা সামগ্রী উৎপাদনের ক্ষেত্রেও বিদেশী বিনিয়োগের দরজা খুলে দেবে৷

নির্বাচন কমিশনকে তুলোধনা উচ্চ আদালতের

নির্বাচন চলাকালীন নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ক্ষমতার অধিকারী৷ দায়ীত্ব জ্ঞানহীন নেতারা কোভিড বিধি নিষেধের তোয়াক্কা না করে সংক্রমণের গতি বাড়িয়ে দিচ্ছে৷ নির্বাচন কমিশন শুধু বিজ্ঞপ্তি জারি করে দায় সারছেন৷ কঠোর ব্যবস্থা নেবার সাংবিধানিক অধিকার আছে নির্বাচন কমিশনের৷ সে অধিকার প্রয়োগ করে দেখিয়ে ছিলেন টি এন.

করোনা ব্যবসা!

যারা এতদিন এক দেশ এক আইনের সওয়াল করেছেন তারা এখন করোনার টিকা নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছে৷ করোনার দ্বিতীয় দফার সংক্রমণে অসার ভাষণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসী ও রাজ্যের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে দিয়েছেন৷

দৈনিক আক্রান্ত দশহাজার পার হলো মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে কান দিলেন না নির্বাচন কমিশন

করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে৷ মুখ্যমন্ত্রী একাধিকবার শেষ তিন দফার নির্বাচনকে এক দফায় করার আবেদন জানান৷ কিন্তু নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় আছে অমানবিক নির্বাচন কমিশন৷ যদিও বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়েও  আট দফায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র  পরিসরে  নির্বাচনের আয়োজন করেও শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে চূড়ান্ত ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে বাহিনীর গুলিতেই মারা গেছেন চারজন ফলে স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা  ও যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ণ উঠছেই৷

আগরতলায় অখণ্ডকীর্ত্তন

গত ১৮ই এপ্রিল আগরতলা প্রতাপ গড়ে বিশিষ্ট আনন্দমার্গী অশোক দাসের বাড়ীতে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ৬ঘন্টা অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই কীর্ত্তন অনুষ্ঠানে ত্রিপুরার পশ্চিম ত্রিপুরা, খোয়াই ও সিপাহীজোলার মার্গী ভাইবোনেরা অংশগ্রহণ করেন৷ কীর্ত্তনের সুরর্মুচ্ছনায় উপস্থিত সকলেই স্বর্গীয় আনন্দ উপভোগ করেন৷ কীর্ত্তন  ও মিলিত সাধনার শেষে শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর রচনা থেকে পাঠ করেন ও আলোচনা করেন শ্রী মণীন্দ্র গোপ৷

 

পরলোকে মৃণালকান্তি বিশ্বাস

ঝাড়খণ্ড টাটানগরের নিবাসী বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রীমৃণালকান্তি বিশ্বাস গত ১৬ই এপ্রিল পরলোক গমন করেন৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর৷ বেশ কিছুদিন তিনি বার্দ্ধক্য জনিত রোগে ভুগছিলেন৷ তাঁর মৃত্যুতে আত্মীয় পরিজন পরিচিত বন্ধু বান্ধব ও মার্গী মহলে শোকের ছায়া নেবে আসে৷ তিনি দীর্ঘদিন টাটানগর সংলগ্ণ অঞ্চলে মার্গের আদর্শ প্রচার ও প্রসার করে গেছেন নিষ্ঠার সঙ্গে৷

মার্গীয়বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

গত ২০শে এপ্রিল ত্রিপুরা রাজ্যে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার গুয়াচাঁদ গ্রামের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী যদুলাল দেবনাথের পরলোকগত মায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান নিজ বাসভবনে আনন্দমার্গে চর্র্যচর্য বিধি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হয়৷

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রভাতসঙ্গীত,কীর্ত্তন পরিবেশিত হয়৷ এরপর মিলিত ঈশ্বর প্রণিধানের পর শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর রচনা থেকে পাঠ করে শোণান আচার্য সুনন্দানন্দ অবধূত৷ এরপর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান শুরু হয়৷ উক্ত অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন আগরতলার ডায়োসিস সচিব আচার্য ব্রহ্মদেবানন্দ অবধূত৷ আনন্দমার্গের সমাজশাস্ত্র ও শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের তাৎপর্য ব্যাখা করে বলেন আচার্য সুব্রজানন্দ অবধূত৷

৬ষ্ঠ দফার নির্বাচনেও অশান্তি বজায় থাকল

অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ বুথ, ভাঙচুর, গুলি চালানো, নানা অশান্তির ঘটনার মধ্যে দিয়ে শেষ হল ষষ্ঠ দফার নির্বাচন৷ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার জন্যে, বিপুল ব্যয় করোনা অতিমারির মধ্যেও বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী এনে দীর্ঘ ৮ দফায় নির্বাচন করেও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন৷ ইতিমধ্যেই বাহিনীর গুলিতে ৪জন ও দুষৃকতির গুলিতে একজন নিহত হয়েছে৷ ষষ্ঠ দফার নির্বাচনেও রানাঘাট বাগদায় ৩৫ নং বুথে পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে৷ তিন আহত হবার খবর পাওয়া গেছে, তবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত গুলি চালনার কারণ ও পুলিশই যে গুলি চালিয়েছে এ বিষয়ে কোন তথ্যপ্রশাসনের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি৷ মুখ্য নির্বাচন কমিশন প্রকৃ

নববর্ষের আহ্বান---বাঙালী ছাত্রযুব সমাজ

‘বৎসর নব বৎসর তুমি

কল্যাণ এনো চারিদিকে’-প্রভাত সঙ্গীত৷

১৮২৮ বঙ্গাব্দের প্রথম সুপ্রভাতের অরুণালোকে পাখির কলতানে বাঙলার ঘরে ঘরে মঙ্গলের বিজয় শঙ্খ৷ বাঙালী তাঁর মানবিক মূল্যবোধে,বুদ্ধিতে বোধিতে মণীষায় নবরূপে জেগে উঠুক৷