May 2022

উত্তরপূর্বাঞ্চলের বাঙালীদের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের সময় আগত

তপোময় বিশ্বাস

ভারতবর্ষে বাঙালীদের নিজস্ব রাজ্য শুধু ‘পশ্চিমবঙ্গ’ এই ভুল ধারণা অনেকেই পোষণ করে থাকেন৷ ইতিহাস বলছে, পশ্চিমবঙ্গ ব্রিটিশ পূর্ব ভারতের অখণ্ড বাঙলার একটি খণ্ডিত অংশমাত্র৷ ব্রিটিশ রাজশক্তি ক্ষমতার অপব্যবহার করে অখণ্ড বাঙলাকে টুকরো টুকরো করে প্রাকৃতিক সম্পদে  পরিপূর্ণ অংশগুলিকে অবাঙালী অধ্যুসিত অঞ্চলের সঙ্গে সংযুক্তি করে সেই অঞ্চলের ওপর প্রবলভাবে অর্থনৈতিক সম্পদের লুঠপাঠ করতে থাকে৷ সেই লুঠপাটকে দীর্ঘস্থায়ী ও তৎকালীন ভারতে বাঙালীদের শোষণবিরোধী বৈপ্লবিক কর্মধারা থেকে বিরত করতে অবাঙালী অঞ্চলের বহিরাগতদের সঙ্গে ভূমিপুত্র বাঙালীদের বিরোধ বাধিয়ে রাখে৷ বর্তমানেও ব্রিটিশদের উত্তরসূরি দেশীয় সাম্রাজ্যবাদের

প্রকৃতির রুদ্ররূপ মানুষের অপকর্মের ফল

কোলকাতায় দুমাস বৃষ্টি হয়নি৷ শেষ বৃষ্টি হয়েছিল ২৮শে ফেব্রুয়ারী৷ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে৷ চৈত্র পার হয়ে বৈশাখের অর্ধেক শেষ৷ এখনও কালবৈশাখীর মুখ দেখলো না দক্ষিণবঙ্গ৷ আবহাওয়াবিদদের মতে এই সময়ের মধ্যে ছয়-সাতটা ঝড় হয়ে যাওয়ার কথা৷  তবে শুধু বাঙলাই নয়৷ বিশ্বের বহু জায়গায় এমন অবস্থা চলছে৷ ভারতে ১২২ বছরের মধ্যে উষ্ণতম অবস্থা এবার৷  জলবায়ু বিশেষজ্ঞ পার্থসারথি মুখোপাধ্যায় বলেন ---বাতাসের স্তরে জলীয় বাষ্পের উচ্চতার ওপর বৃষ্টিপাত নির্ভর করে৷ বৃষ্টির জন্যে দরকার ১২-১৪ কিলোমিটার পুরু জলীয় বাষ্পের স্তর৷ সেখানে এখনো পর্যন্ত বাতাসে জলীয় বাষ্পের স্তর ২-৩ কিলোমিটার৷ বৃষ্টি না হওয়ার অন্যতম কারণ এটাই৷

বৈশ্যযুগের অবসান চাই

মনোজ দেব

সম্প্রতি এক পরিসংখ্যানে প্রকাশ বেকারত্বের জ্বালায় দেশে  আত্মহত্যা বেড়েছে ধনতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় কেন্দ্রীত অর্থনৈতিক কাঠাময় শুধু বেকারত্ব নয়, অর্থনৈতিক বৈষম্য, অভাব অনটন মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে৷ ভারতের মতো জনবহুল দেশে  কোন পরিসংখ্যানই সঠিক তথ্য দিতে পারে না৷ তাই পরিসংখ্যানের থেকেও ভয়াবহ অবস্থা কর্মহীন ও বেকারদের৷ ধনতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় বেকারের সংখ্যা স্বাভাবিক ভাবেই বৃদ্ধি পেতে থাকে৷ শিল্পপতিরা তাদের শিল্পের জন্যে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে৷ তাদের মুনাফার অংক বৃদ্ধির জন্যে এটা তারা করবেই৷ যে কাজ ১০০ জনের দ্বারা হচ্ছিল, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে সে কাজ হয় তো ২০ জনক

হলদিবাড়িতে কীর্ত্তন সেমিনার

কোচবিহার  জেলার হলদিবাড়ি ব্লকের দেওয়ানগঞ্জে গত ২৪শে এপ্রিল ব্লক স্তরের সেমিনার ও তিনঘন্টা অখণ্ড াা নাম কেবলম্‌ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই উপলক্ষ্যে হলদিবাড়ি ব্লকের সমস্ত মার্গী ভাইবোন সেমিনার স্থলে উপস্থিত হন৷ সেমিনারের আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন স্থানীয় ইয়ূনিটের মার্গী ভাই বোনেরা৷

প্রথমে সকাল থেকে তিনঘন্টা অখণ্ড ‘াা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তনের সূরমূর্চ্ছনায় এক স্বর্গীয় পরিবেশ তৈরী হয়৷ বহু সাধারণ মানুষও কীর্ত্তনে অংশগ্রহণ করেন৷ কীর্ত্তনশেষে মিলিত সাধনা ও স্বাধ্যায় অনুষ্ঠিত হয়৷  এরপর মূল আলোচনা সভা শুরু হয়৷

দধি ও ঘোলপান

যে ক্রমি (ব্যাকটিরিয়া) দুধকে দইয়ে রূপান্তরিত করে দধ্যম্লের (দম্বল বা জোড়ন) সাহায্যে সে ক্রমি স্বাভাবিক অবস্থায় মানুষের শত্রু নয়৷ তবে (দইয়ে) সেই ক্রমির মৃতদেহের প্রাচুর্য ঘটলে তখন তা মানুষের পক্ষে শত্রু হলেও হতে পারে৷ পচা দইয়ে সাধারণতঃ এই ধরনের ব্যাপার ঘটে৷ তাই দইয়ে দুর্গন্ধ দেখা দিলে তা কিছুতেই ভক্ষণ করা উচিত নয়৷ দই তাজা অবস্থায় থাকলে এই ধরণের ক্রমির মৃতদেহ কম থাকে৷ দধিতে (তো মিষ্ট দধিই হোক আর অম্ল দধিই হোক) লবণ সংযোগ করলে মৃত ক্রমির বিরুদ্ধাচারণ কিছুটা প্রতিহত হয়৷ তাই ‘‘দধি লবণেন সহ ভক্ষয়েৎ৷’’

তরমুজ

পৃথিবীতে তরমুজের অনেক প্রজাতি রয়েছে৷ ভারতীয় তরমুজের ওপর–শাদা, ওপর–সবজে ও ওপর–কালচে–তিন প্রজাতিই রয়েছে৷ সাধারণতঃ ভারতীয় তরমুজের ভেতরটা ঘোর লাল অথবা ফিকে লাল হয়ে থাকে৷ গোয়ালন্দ, আমতা, তারকেশ্বর, ৰর্দ্ধমান, ভাগলপুর ও সাহারাণপুরের তরমুজেরও নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে৷ আকারে সবচেয়ে ৰড় হয়ে থাকে ভাগলপুরী তরমুজ৷ যার ভেতরটা হলদে৷ সেই চীনা তরমুজের আকার কিছুটা ছোট হয় কিন্তু মিষ্টত্ব খুবই বেশী৷ বর্ত্তমানে সাৰেকী জাপানী বর্গীয় তরমুজ দক্ষিণ ৰাংলায় সমুদ্র–ঘেঁষা অঞ্চলে ভালই জন্মাচ্ছে–এর স্থানিক নাম দেওয়া হয়েছে সাগরশ্রী৷ উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা ৰলেন তরমুজের আদি বাসস্থান নাকি আরব দেশে৷ অনুমিত হয় জলপথে এই তরমুজ কলিঙ্গ দ

৩০শে এপ্রিল

প্রভাত খাঁ

জড়বাদী অহংকারী পাষণ্ডের দল

ছলবল করি’ কৌশল

নীতিবাদী মনগুলো স্তব্ধ করি’

দিতে চায় হত্যার তাণ্ডবে

তাই প্রতিবাদ, প্রতিরোধ আর

প্রতিবিধান করতে ভুলো না কখনো৷

হিমালয়ও চূর্ণ হয়ে যাবে–

যদি আঘাতে আঘাতে তারে

নাড়া দিয়ে চলো৷

ভয়ে ভীত কাপুরুষ ওরা, ওদের

সদাই ভয় হয়তো বা ধ্বংস

হয়ে যাবে৷ রজনীর অন্ধকার–

শেষ হয় নবীন সূর্যোদয়ে

প্রভাত আলোকে৷

আলোকের শিশু ওরা আলোকের

গান গেয়ে গেল৷

তমসার অন্ধকারে তাদের রক্তের

ঋণ শোধ দিতে ন্যায়দণ্ড হাতে

নেমে আসে দেখো ওই দণ্ডধারী

তোমার ইচ্ছায় সব হয়ে যায়

শিবরাম চক্রবর্ত্তী

মহাসম্ভূতি আনন্দমূর্ত্তি

নিয়ে মহান ব্রত,

ধরায় এলে সবই দিলে

সবার মন মত৷

যোগ সাধনা কারো মানা

 না রেখে আজ তুমি,

দিতেই সবার আনন্দে এবার

পায় তাঁর আত্মীক ভূমি৷

মুক্তি মোক্ষ পরিপক্ক

করতে মন্ত্রদিলে,

ভালবেসে মিষ্টি হেসে

ভক্তেরে কোলে নিলে৷

পাপী–তাপী বিশ্ব ব্যাপী

যে যেখানে ছিল,

তোমার চরণ করতে স্মরণ

তারাও উতরে গেল৷

দুষ্ট যারা তোমায় তারা

বুঝেও অবুজ হয়ে

তোমার সাথে মদ মত্তে

লড়ে যায় সব ক্ষণে৷

তোমার ইচ্ছায় নোতুন বর্তায়

মহান আদর্শে আজ

নামের উৎপত্তি খুলনা

প্রণবকান্তি  দাশগুপ্ত

বাংলাদেশের খুলনা জেলার পূর্বনাম ছিল ‘নয়া আবাদ’৷ সুন্দরবনের ২,২৯৭ বর্গমাইল যশোর ও খুলনা জেলার অন্তর্গত৷ সুন্দর বনের এক তৃতীয়াংশ খুলনার অন্তর্ভুক্ত৷ সুন্দরবনের কাঠ ছিল তখনকার দিনে বাণিজ্যিক সম্পদ৷ ঐ কাঠ কাটতে লোকে সুন্দর বনে যেতো৷ বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও এই সুন্দরবনের পথ ছিল অপরিহার্য৷ কাঠ সংগ্রহই করুক আর বাণিজ্যই করুক নয়াবাদই ছিল অভিযাত্রীদের শেষ ঠেক৷ অর্থাৎ নয়াবাদের পরে আর কোন বসতি নেই৷ সন্ধ্যা হলে নয়াবাদেই সবাই নৌকা নোঙর করতো৷ রাতে সুন্দর বনের দিকে অগ্রসর হওয়া ছিল বিপজ্জনক৷ যদি  কোন দুঃসাহসী যাত্রী নৌকা খুলে এগোতে চেষ্টা করতো, বনের মধ্য থেকে তখনি  বন-দেবতার নিষেধাত্মক বাণী শোণা যেত---‘