আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে
(পূর্বপ্রকাশিতর পরেরাংশ)
- Read more about আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে
- Log in to post comments
(পূর্বপ্রকাশিতর পরেরাংশ)
ভারতবর্ষে বাঙালীদের নিজস্ব রাজ্য শুধু ‘পশ্চিমবঙ্গ’ এই ভুল ধারণা অনেকেই পোষণ করে থাকেন৷ ইতিহাস বলছে, পশ্চিমবঙ্গ ব্রিটিশ পূর্ব ভারতের অখণ্ড বাঙলার একটি খণ্ডিত অংশমাত্র৷ ব্রিটিশ রাজশক্তি ক্ষমতার অপব্যবহার করে অখণ্ড বাঙলাকে টুকরো টুকরো করে প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ অংশগুলিকে অবাঙালী অধ্যুসিত অঞ্চলের সঙ্গে সংযুক্তি করে সেই অঞ্চলের ওপর প্রবলভাবে অর্থনৈতিক সম্পদের লুঠপাঠ করতে থাকে৷ সেই লুঠপাটকে দীর্ঘস্থায়ী ও তৎকালীন ভারতে বাঙালীদের শোষণবিরোধী বৈপ্লবিক কর্মধারা থেকে বিরত করতে অবাঙালী অঞ্চলের বহিরাগতদের সঙ্গে ভূমিপুত্র বাঙালীদের বিরোধ বাধিয়ে রাখে৷ বর্তমানেও ব্রিটিশদের উত্তরসূরি দেশীয় সাম্রাজ্যবাদের
কোলকাতায় দুমাস বৃষ্টি হয়নি৷ শেষ বৃষ্টি হয়েছিল ২৮শে ফেব্রুয়ারী৷ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে৷ চৈত্র পার হয়ে বৈশাখের অর্ধেক শেষ৷ এখনও কালবৈশাখীর মুখ দেখলো না দক্ষিণবঙ্গ৷ আবহাওয়াবিদদের মতে এই সময়ের মধ্যে ছয়-সাতটা ঝড় হয়ে যাওয়ার কথা৷ তবে শুধু বাঙলাই নয়৷ বিশ্বের বহু জায়গায় এমন অবস্থা চলছে৷ ভারতে ১২২ বছরের মধ্যে উষ্ণতম অবস্থা এবার৷ জলবায়ু বিশেষজ্ঞ পার্থসারথি মুখোপাধ্যায় বলেন ---বাতাসের স্তরে জলীয় বাষ্পের উচ্চতার ওপর বৃষ্টিপাত নির্ভর করে৷ বৃষ্টির জন্যে দরকার ১২-১৪ কিলোমিটার পুরু জলীয় বাষ্পের স্তর৷ সেখানে এখনো পর্যন্ত বাতাসে জলীয় বাষ্পের স্তর ২-৩ কিলোমিটার৷ বৃষ্টি না হওয়ার অন্যতম কারণ এটাই৷
সম্প্রতি এক পরিসংখ্যানে প্রকাশ বেকারত্বের জ্বালায় দেশে আত্মহত্যা বেড়েছে ধনতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় কেন্দ্রীত অর্থনৈতিক কাঠাময় শুধু বেকারত্ব নয়, অর্থনৈতিক বৈষম্য, অভাব অনটন মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে৷ ভারতের মতো জনবহুল দেশে কোন পরিসংখ্যানই সঠিক তথ্য দিতে পারে না৷ তাই পরিসংখ্যানের থেকেও ভয়াবহ অবস্থা কর্মহীন ও বেকারদের৷ ধনতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় বেকারের সংখ্যা স্বাভাবিক ভাবেই বৃদ্ধি পেতে থাকে৷ শিল্পপতিরা তাদের শিল্পের জন্যে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে৷ তাদের মুনাফার অংক বৃদ্ধির জন্যে এটা তারা করবেই৷ যে কাজ ১০০ জনের দ্বারা হচ্ছিল, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে সে কাজ হয় তো ২০ জনক
কোচবিহার জেলার হলদিবাড়ি ব্লকের দেওয়ানগঞ্জে গত ২৪শে এপ্রিল ব্লক স্তরের সেমিনার ও তিনঘন্টা অখণ্ড াা নাম কেবলম্ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই উপলক্ষ্যে হলদিবাড়ি ব্লকের সমস্ত মার্গী ভাইবোন সেমিনার স্থলে উপস্থিত হন৷ সেমিনারের আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন স্থানীয় ইয়ূনিটের মার্গী ভাই বোনেরা৷
প্রথমে সকাল থেকে তিনঘন্টা অখণ্ড ‘াা নাম কেবলম্’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তনের সূরমূর্চ্ছনায় এক স্বর্গীয় পরিবেশ তৈরী হয়৷ বহু সাধারণ মানুষও কীর্ত্তনে অংশগ্রহণ করেন৷ কীর্ত্তনশেষে মিলিত সাধনা ও স্বাধ্যায় অনুষ্ঠিত হয়৷ এরপর মূল আলোচনা সভা শুরু হয়৷
যে ক্রমি (ব্যাকটিরিয়া) দুধকে দইয়ে রূপান্তরিত করে দধ্যম্লের (দম্বল বা জোড়ন) সাহায্যে সে ক্রমি স্বাভাবিক অবস্থায় মানুষের শত্রু নয়৷ তবে (দইয়ে) সেই ক্রমির মৃতদেহের প্রাচুর্য ঘটলে তখন তা মানুষের পক্ষে শত্রু হলেও হতে পারে৷ পচা দইয়ে সাধারণতঃ এই ধরনের ব্যাপার ঘটে৷ তাই দইয়ে দুর্গন্ধ দেখা দিলে তা কিছুতেই ভক্ষণ করা উচিত নয়৷ দই তাজা অবস্থায় থাকলে এই ধরণের ক্রমির মৃতদেহ কম থাকে৷ দধিতে (তো মিষ্ট দধিই হোক আর অম্ল দধিই হোক) লবণ সংযোগ করলে মৃত ক্রমির বিরুদ্ধাচারণ কিছুটা প্রতিহত হয়৷ তাই ‘‘দধি লবণেন সহ ভক্ষয়েৎ৷’’
পৃথিবীতে তরমুজের অনেক প্রজাতি রয়েছে৷ ভারতীয় তরমুজের ওপর–শাদা, ওপর–সবজে ও ওপর–কালচে–তিন প্রজাতিই রয়েছে৷ সাধারণতঃ ভারতীয় তরমুজের ভেতরটা ঘোর লাল অথবা ফিকে লাল হয়ে থাকে৷ গোয়ালন্দ, আমতা, তারকেশ্বর, ৰর্দ্ধমান, ভাগলপুর ও সাহারাণপুরের তরমুজেরও নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে৷ আকারে সবচেয়ে ৰড় হয়ে থাকে ভাগলপুরী তরমুজ৷ যার ভেতরটা হলদে৷ সেই চীনা তরমুজের আকার কিছুটা ছোট হয় কিন্তু মিষ্টত্ব খুবই বেশী৷ বর্ত্তমানে সাৰেকী জাপানী বর্গীয় তরমুজ দক্ষিণ ৰাংলায় সমুদ্র–ঘেঁষা অঞ্চলে ভালই জন্মাচ্ছে–এর স্থানিক নাম দেওয়া হয়েছে সাগরশ্রী৷ উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা ৰলেন তরমুজের আদি বাসস্থান নাকি আরব দেশে৷ অনুমিত হয় জলপথে এই তরমুজ কলিঙ্গ দ
জড়বাদী অহংকারী পাষণ্ডের দল
ছলবল করি’ কৌশল
নীতিবাদী মনগুলো স্তব্ধ করি’
দিতে চায় হত্যার তাণ্ডবে
তাই প্রতিবাদ, প্রতিরোধ আর
প্রতিবিধান করতে ভুলো না কখনো৷
হিমালয়ও চূর্ণ হয়ে যাবে–
যদি আঘাতে আঘাতে তারে
নাড়া দিয়ে চলো৷
ভয়ে ভীত কাপুরুষ ওরা, ওদের
সদাই ভয় হয়তো বা ধ্বংস
হয়ে যাবে৷ রজনীর অন্ধকার–
শেষ হয় নবীন সূর্যোদয়ে
প্রভাত আলোকে৷
আলোকের শিশু ওরা আলোকের
গান গেয়ে গেল৷
তমসার অন্ধকারে তাদের রক্তের
ঋণ শোধ দিতে ন্যায়দণ্ড হাতে
নেমে আসে দেখো ওই দণ্ডধারী
মহাসম্ভূতি আনন্দমূর্ত্তি
নিয়ে মহান ব্রত,
ধরায় এলে সবই দিলে
সবার মন মত৷
যোগ সাধনা কারো মানা
না রেখে আজ তুমি,
দিতেই সবার আনন্দে এবার
পায় তাঁর আত্মীক ভূমি৷
মুক্তি মোক্ষ পরিপক্ক
করতে মন্ত্রদিলে,
ভালবেসে মিষ্টি হেসে
ভক্তেরে কোলে নিলে৷
পাপী–তাপী বিশ্ব ব্যাপী
যে যেখানে ছিল,
তোমার চরণ করতে স্মরণ
তারাও উতরে গেল৷
দুষ্ট যারা তোমায় তারা
বুঝেও অবুজ হয়ে
তোমার সাথে মদ মত্তে
লড়ে যায় সব ক্ষণে৷
তোমার ইচ্ছায় নোতুন বর্তায়
মহান আদর্শে আজ
বাংলাদেশের খুলনা জেলার পূর্বনাম ছিল ‘নয়া আবাদ’৷ সুন্দরবনের ২,২৯৭ বর্গমাইল যশোর ও খুলনা জেলার অন্তর্গত৷ সুন্দর বনের এক তৃতীয়াংশ খুলনার অন্তর্ভুক্ত৷ সুন্দরবনের কাঠ ছিল তখনকার দিনে বাণিজ্যিক সম্পদ৷ ঐ কাঠ কাটতে লোকে সুন্দর বনে যেতো৷ বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও এই সুন্দরবনের পথ ছিল অপরিহার্য৷ কাঠ সংগ্রহই করুক আর বাণিজ্যই করুক নয়াবাদই ছিল অভিযাত্রীদের শেষ ঠেক৷ অর্থাৎ নয়াবাদের পরে আর কোন বসতি নেই৷ সন্ধ্যা হলে নয়াবাদেই সবাই নৌকা নোঙর করতো৷ রাতে সুন্দর বনের দিকে অগ্রসর হওয়া ছিল বিপজ্জনক৷ যদি কোন দুঃসাহসী যাত্রী নৌকা খুলে এগোতে চেষ্টা করতো, বনের মধ্য থেকে তখনি বন-দেবতার নিষেধাত্মক বাণী শোণা যেত---‘