July 2024

রাঙাপানির ট্রেন দুর্ঘটনায় দুর্গত যাত্রীদের পাশে আনন্দমার্গ রিলিফ টীম

গত ১৭ই জুন এন.জে.পি থেকে ছেড়ে আসা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস রাঙাপানি স্টেশন ছেড়ে আসার পর একই লাইনে আসা একটি মালগাড়ি কাঞ্চনজঙ্ঘার পেছনে সজোরে ধাক্কা মারে৷ রেলের খবর অনুযায়ী ১১জন নিহত ও বহু মানুষ আহত হয়েছে এই দুর্ঘটনায়৷ দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় নির্মলজোত গ্রামের মানুষ ঈদের উৎসব ছেড়ে উদ্ধার কার্যে হাত লাগায়৷

জীবের আধার পঞ্চকোষ

জীবের আধার প্রয়োজন৷ আধার ছাড়া হ’লে সে ব্রহ্ম–সমুদ্রে মিশে যায়৷ যেমন পুকুরে একবাটি জল, যতক্ষণ বাটি আছে ততক্ষণ বাটির জলও আছে, কিন্তু বাটি সরিয়ে নিলে বাটির জল পুকুরের জলেই মিশে যায়৷ যে জলের আধার ছিল বাটি, সেই আধার সরিয়ে নেবার পর তার জল পুকুরের জলের সঙ্গে এক হয়ে যায়৷ এইরূপ আধার হীন হ’লে জীবও ব্রহ্মে মিশে যায়৷

গণ উন্নয়ন প্রকল্পের কয়েকটি দিক

(এর আগে ‘অর্থনৈতিক ‘গণতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠার অ৷ হিসেবে স্থানীয় জনসাধারণের সার্বিক কর্মসংস্থান, সার্বিক শিল্প বিকাশ, বহির্পণ্যের আমদানী এড়িয়ে চলা ও যোগাযোগের প্রাথমিক মাধ্যম হিসেবে স্থানীয় ভাষার ব্যবহার নিয়ে প্রবক্তার বক্তব্য প্রকাশ করা হয়েছেঙ্গ এখন স্থানীয় ভাষাকে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ ও স্থানীয় সামাজিক–র্থনৈতিক দাবী সম্পর্কে প্রবক্তার কিছু বক্তব্য তুলে ধরা হ’লঙ্গ        – সম্পাদক)

স্থানীয় ভাষাকে শিক্ষার মাধ্যম রূপে গ্রহণ ঃ

শাসককে সাবধান বাণী

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

গত দুটি লোকসভা নির্বাচনের পর কেন্দ্র আবার মিলিজুলি সরকার৷ যদিও গত দুটি লোকসভায় এন.ডি.এ জোট সরকার ছিল, কিন্তু সেখানে প্রধান শরিক বিজেপির একক গরিষ্ঠতা ছিল৷ কিন্তু গত দশবছরে প্রধান শরিকের দাম্ভিক আচরণ, ঔদ্ধত্য মানুষ পছন্দ করেনি৷ তারই প্রতিফলন ঘটেছে এবার নির্বাচনী ফলে৷ যদিও সরকার পরিবর্তন হয়নি, কিন্তু এককভাবে নয়, বিজেপিকে শরিক দলের উপর নির্ভর করে সরকার গড়তে হয়েছে৷

প্রকৃত জনগণতন্ত্রের শাসন চাই

প্রভাত খাঁ

আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে এমন কোন রাষ্ট্র সৃষ্টি হল না যাকে দেখে অন্য রাষ্ট্রগুলি উন্নয়নের পথে ও আদর্শের পথে চলবে৷ অনেকেই মনে করেছিল ভারতবর্ষের ধ্যান–ধারণা ও মুনি–ঋষিদের মহান মুক্তির বাণী হয়তো পৃথিবীর মানব সমাজকে এক নব দিগন্তের পথ দেখাবে৷ কিন্তু বাস্তবে তা হ’ল না৷ তার মূল্যায়নটি হ’ল যেসব দেশনেতা ও নেত্রীরা এদেশের রাষ্ট্রশাসনে এলেন তাঁদের মধ্যে সেই শৌর্য–বীর্যের বড়ই অভাব ছিল৷ তাঁরা সকলেই সেই সাম্রাজ্যবাদী ধনতন্ত্রের তল্পিবাহকদের পথ অন্ধভাবে অনুসরণ করে এদেশের মহান ভাবাদর্শকে অজ্ঞানতাবশতঃ পশ্চাতে ফেলেই চলেছেন৷ তাই ভারতে মহান আদর্শ বিশ্ব দরবারে উপস্থিত হওয়ার কোন সুযোগ পায়নি৷ কবির কথায় বলা যায়–আবার ভা

অভিনব ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ

বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়

 কথা দিয়ে কথা না রাখার ব্যাপারে রাজনীতিকদের জুড়ি মেলা ভার৷ এখনকার আমজনতা তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের কথা বা প্রতিশ্রুতি কে ততটা গুরুত্ব দেয়না৷ এমনকি সহজে কেউ বিশ্বাস ও করতে চায়না৷ এরকম একটা সময়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে ঘাটালের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী দীপক অধিকারী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় ঘোষণা করেন যত বোট vote) তিনি পাবেন তত গাছ তিনি লাগাবেন তাঁর সংসদীয় এলাকায় অর্থাৎ সাতটি বিধানসভা ক্ষেত্রে৷ এক্ষেত্রেও দীপক অধিকারীর প্রতিশ্রুতিকে তাঁর এলাকার বোটাররা voter) তেমন গুরুত্ব দেয়নি৷ অন্য আর পাঁচটা প্রতিশ্রুতির মতো এটাও বলে ধরে নেয় মানুষ৷ যাইহোক এবারের লোকসভা নির্বাচনেও তিনি জয়লাভ করে তৃতীয়বারের

এক শিরদাঁড়া যুক্ত বাঙালী, মৃত্যুর পর যাঁর দেহ দাঁড় করিয়ে দাহ করা হয়েছিল

পত্রিকা প্রিতিনিধি

 এক স্বনামধন্য কবি একদা লিখেছিলেন- ‘‘তুমিও মানুষ, আমিও মানুষ, তফাৎ শুধু শিরদাঁড়ায়’’৷ তার এই বাণী (!) গত দেড় দশক যাবৎ এখনও পর্যন্ত অনেকেরই কথায় কথায় উঠে আসে৷ যদিও সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে তিনি নিজেই তা বিশ্বাস করেননি অথবা আস্থা রাখেননি৷

তবে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলা কবির এই উক্তির অন্তত একশ বছর আগে এক বাঙালি যা বলেছিলেন, জীবনের শেষ দিনে তাঁর সেই ইচ্ছা পূরণ করেছিলেন সহযোদ্ধারা৷

‘‘জীবিতাবস্থায় আমি যে শির কাহারও নিকট অবনত করি নাই, মৃত্যুর পরও যেন আমার সেই শির অবনমিত না করা হয়’’ কথাগুলো জানিয়ে উইল করে গিয়েছিলেন তিনি, তাঁকে যেন দণ্ডায়মান অবস্থায় সৎকার করা হয়৷

একটি গাছ একটি প্রাণ এটিই মানেন কলকাতার সত্যবাবু ওরফে ‘গাছকাকু’

তিনি একাই পারলে কলকাতাটাকে সবুজে মুড়ে ফেলতে পারতেন৷ পারেননি কারণ, গত ৩২ বছর ধরে তিনি যত গাছ লাগিয়েছেন অন্যরা তার থেকে কেটেছে অনেক বেশি৷ ফলে কলকাতা যেমন ধূসর ছিল তেমনই রয়ে গিয়েছে৷ তবে সত্যরঞ্জন দোলুই অক্লান্ত৷ পরিশ্রমী৷ স্বপ্ণ দেখা ছাড়েন না৷ ফলে এখনও যেখানে ফাঁকা জমির খোঁজ পান সেখানে গিয়ে গাছ লাগিয়ে আসেন৷ কোথাও গাছ কাটা হচ্ছে খবর পেলে ছুটেও যান৷ সাধ্যমতো প্রতিবাদ করেন৷ দেখতে দেখতে এভাবে কেটে গেল জীবনের ৫৪টা বর্ষা৷ বর্ষণকালে সত্যরঞ্জনের কাজ বাড়ে৷ তখন গাছ বসালে সেগুলি শুকিয়ে যায় না৷

দেশে কর্মসংস্থানের বেহাল দশা

দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রেও নতুন কর্মপ্রার্থীদের নিয়োগও ধাক্কা খেয়েছে৷ তলানিতে নেমেছে ফ্রেশার্স নিয়োগ৷ একটি সংস্থার সমীক্ষায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে৷ এইচআর সংস্থা এক্সফেনোর তথ্য অনুসারে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ভারতের সফটওয়্যার সংক্রান্ত সংস্থাগুলি মাত্র ৬০ থেকে ৭০ হাজার ‘ফ্রেশার্স’ নিয়োগ করেছে৷ যা গত দু’দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম৷ বিশ্বজুড়ে আর্থিক বৃদ্ধি শ্লথ হওয়ার প্রভাব ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে পড়েছে বলে জানানো হয়েছে৷ করোনা মহামারীর আগে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে প্রত্যেক বছর ২ লক্ষের কাছাকাছি ফ্রেশার্স নিয়োগ করা হত৷ কিন্তু সেই সংখ্যা এখন নিম্নমুখী৷ গত আর্থিক বছরে দেশের প্রথমসারির পাঁচটি তথ্যপ্রযুক্

দহনজ্বালা থেকে স্বস্তি দিতে বর্ষা ঢুকছে রাজ্যে

আগামী শনিবারের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের কিছু অংশে বর্ষা ঢুকবে বলে আশা করছেন আবহাওয়াবিদরা৷ তবে তখনও বর্ষা দুর্বল থাকবে৷ আপাতত কিছুদিন দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ভারী বৃষ্টির কোনও আশা নেই৷ তবে বৃষ্টির মাত্রা আজ মঙ্গলবার থেকে কিছুটা বাড়তে পারে৷ কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর সোমবার যে পূর্বাভাস জারি করেছে সেখানে চারদিনের মধ্যে উত্তরবঙ্গের বাকি অংশে ও দক্ষিণবঙ্গের কিছু অংশে মৌসুমি বায়ু ঢোকার কথা বলা হয়েছে৷ উত্তরবঙ্গের হিমালয় সংলগ্ণ পাঁচ জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি শুক্রবার পর্যন্ত চলবে বলে আপাতত জানানো হয়েছে৷