August 2024

সংসদীয় গণতন্ত্রে শাসক - পুঁজিপতির তোষক জনগণের শোষক

প্রভাত খাঁ

ভারতযুক্ত রাষ্ট্র বিরাট জনবহুল দেশ৷ তাছাড়া এই মাটিতে বেশ কয়েক শতাব্দী ধরে বাহিরের আক্রমণকারীরা এদেশকে লুঠ করে নিজের দেশে ফিরে যেত৷ আবার পরবর্ত্তী কারা তাঁরা ও নোতুন নোতুন আক্রমণকারী এসে এদেশের মানুষের সরলতা, ও নানা দুর্বলতার সুযোগে নানাভাবে আধিপত্য বিস্তার করে৷ শেষে এদেশের শাসকদের মধ্যে নানা ধরণের ঝগড়া ও বিরোধের সুযোগ নিয়ে স্থায়ীভাবে শাসনক্ষমতা কায়েম করে স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে যায়৷ তাই বিশ্বকবি রবীন্দ্র লিখেছেন ‘‘মেলাবে মিলিবে পশ্চিম আজ খুলিয়াছে দ্বার৷ নিয়ে আসে সবে নানা উপহার৷’’ দেবে আর নেবে যাবে না ফিরে৷ এই ভারতের মহা মানবের সাগরতীরের৷ মূলতঃ এই ত্রিভূজাকৃতি বিশাল দেশের জনগণ অতি অন্তরমুখী৷ তাই

অর্থনৈতিক মন্দার কবলে বিশ্বের সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক দেশ আমেরিকা

তাদের মুদ্রাই বিশ্ব অর্থনীতির চালিকাশক্তি৷ বিশ্বের নানা প্রান্তে কোথাও কোনও দেশ বিপদে পড়লে আমেরিকা অর্থসাহায্য করে থাকে৷ বিশ্বের সর্ববৃহৎ অর্থনীতি রয়েছে আমেরিকায়৷ তাদের মুদ্রাই বিশ্ব অর্থনীতির চালিকাশক্তি৷ বিশ্বের নানা প্রান্তে কোথাও কোনও দেশ বিপদে পড়লে আমেরিকা অর্থসাহায্য করে থাকে৷ কিন্তু বিশ্ব অর্থনীতির এই ‘বটগাছ’ ও নাকি বিপন্ন৷ আমেরিকার আকাশে দেখা দিয়েছে মন্দার কালো মেঘ৷ দেশের অভ্যন্তরীণ বেশ কিছু সমস্যা অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের চিন্তায় ফেলেছে৷ বিশেষজ্ঞদের দাবি, একের পর এক অর্থনীতি সংক্রান্ত জট মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে আমেরিকায়৷ সরকার অর্থনীতি সামলাতে কিছুটা হলেও হোঁচট খাচ্ছে৷ এতে খুব শীঘ্র বিপদের

শহরে দিন দিন বাড়ছে সাইবার প্রতারণা

অচেনা নম্বর থেকে ফোন৷ অপর প্রান্ত থেকে ভারী গলায় কেউ বলল, ‘‘কাস্টমস অফিসে আপনার নামে একটি পার্সেল ধরা পড়েছে৷ তাতে রয়েছে নিষিদ্ধ বস্তু৷ দু’ঘণ্টার মধ্যে আপনার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হবে৷’’ তা হলে উপায়?

কাঞ্চনজঙ্ঘা দুর্ঘটনার দায় রেলের

গত ১৭ই জুন উত্তরবঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় ১০জন যাত্রীর মৃত্যুর পর রেল বোর্ডের চেয়ার পার্সন জয়া ভার্র্ম সিন্‌হা দুর্ঘটনার দায় চাপিয়ে দিয়েছিলেন মাল গাড়ীর মৃত চালকের উপর৷ দুর্ঘটনার একমাস পর তদন্তের প্রতিবেদন জমা দিল কমিশন অব রেলওয়ে সেফটি (সি.আর.এস)৷

মেদিনীপুরে অনুষ্ঠিত হল গল্প বলা প্রতিযোগিতা

মেদিনীপুর শহরে অবস্থিত বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ শিশু বিভাগে অনুষ্ঠিত হল ৫ম বর্ষ গল্প বলা প্রতিযোগিতা ৬ই জুলাই, শনিবার৷ সকাল ৮টায় শুরু হয় প্রতিযোগিতা৷ সংস্থার সম্পাদক শিক্ষার্থীদের গল্প বলা,পাঠ করা ও শোনার উপর জোর দিতে বলেন৷ এতে তাদের কল্পনা শক্তি বাড়ার পাশাপাশি নতুন নতুন বিষয় সম্বন্ধেও তারা জানতে পারবে৷ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর ৩২ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়৷ শ্রী প্রভাত রঞ্জন সরকার এর ‘অনুনাসিকতা’ গল্পটি সুন্দর ভাবে তারা উপস্থাপিত করে৷ প্রতিযোগিতা শেষে অন্যতম বিচারক সুতপা দে পড়িয়া মহাশয়া গল্প টি নিজে বলে শোনান শিক্ষার্থীদের৷ সফল সেরা পাঁচ প্রতিযোগী হল--সুকৃতি বেরা, প্রীতম মাজী, সেক

আনন্দমার্গের বৈপ্লবিক বিবাহ

১৫ই জুলাই’২৪ রাঁচি হিনো নিবাসী শ্রীমতী জয়ন্তী ও ডক্টর রঞ্জিত কুমার দত্তের প্রথম পুত্র সন্তান ডক্টর মনোজিতের সহিত রাঁচি ঋষভ নিবাসী শ্রীমতী কৃষ্ণা ও শ্রী যমুনা কান্ত মাইতির একমাত্র কন্যা ডক্টর জয়শ্রীর শুভবিবাহ অনুষ্ঠিত হয় আনন্দমার্গে চর্যাচর্য বিধি অনুযায়ী রাঁচি সেফরন রিসর্টে৷ প্রভাত-সঙ্গীত, বাবা নাম কেবলম কীর্ত্তন, ঈশ্বর-প্রণিধান, বর্ণার্ঘ্যদান ও স্বাধ্যায়ের মাধ্যমে এক আধ্যাত্মিক পরিমণ্ডলে অনুষ্ঠান সুসম্পন্ন হয়৷ বিবাহের পূর্বে আনন্দমার্গ বিবাহের বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে ব্যাখ্যা করা হয়৷ পাত্রপক্ষে পৌরহিত্য করেন আচার্য গুরুদত্তানন্দ অবধূত ও পাত্রীপক্ষে পৌরহিত্য করেন অবধূতিকা আনন্দ সুমিতা আচার্যা৷

শুক্তো

ৰাঙ্গালীর ঘরে প্রথম পাতে অন্যতম ব্যঞ্জন হিসেবে আমরা যে শুক্তো খেয়ে থাকি তারও উদ্ভূতি ভিন্ন মত অনুসারে ‘সূক্ত’ বা ‘সূক্তা’ শব্দ থেকে৷ ‘সূক্ত’ শব্দের অর্থ হ’ল ভাল কথা যা ৰলা হয়েছে৷ প্রথম পাতে তেঁতো খেলে (শুক্তোয় তেঁতো থাকা স্বাভাবিক) মুখ থেকে তেতো বেরোয় না, মিষ্টি (কথা) বেরয়–এই ধারণা প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে৷ তাই মানুষ তেঁতো (শুক্তোয়) দিত তার মুখ থেকে মধুর আলাপ পাবার আশায়৷

বেঁচে থাকো ট্রাম

কৌশিক খাটুয়া

টিকি বাঁধা গাড়ি করে

 ফিরতাম বাড়ি,

সরকারি বদান্যতায়

তারা গুটায় পাততাড়ি!

দূষণ বিহীন গাড়ি

 চলে ধীরে ধীরে,

তার পথ অবরুদ্ধ

 যানজট ভীড়ে৷

নাগরিক জনপদ বলে

 বেঁচে থাকো ট্রাম,

ট্রামের অস্তিত্ব রক্ষায়

 শুরু হোক সংগাম৷

বয়সে বৃদ্ধ অপাপবিদ্ধ যান

 মুখে ধোঁয়া নাই তার

রাখে ভদ্রলোকের মান!

20

প্রীতিমোহনা

আচার্য গুরুদত্তানন্দ অবধূত

অপার সুখের মাধুর্যেতে

পূর্ণ জগতখানি,

কোথায় ছিলুম কেন এলুম

কেবা আনল টানি?

অরুণালোক জাগায় প্রাণে

দৃঢ়চেতা

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

বেশি দিনের কথা নয়৷ তখন আমাদের দেশ ব্রিটিশ শাসনে শাসিত৷

স্থানটার নাম সুজাম্বুটা৷ সেট্‌লমেন্টের এক বাঙালী অফিসার বদলি হলেন এই জায়গায়৷ নতুন কাজে হাত দিয়েই তাঁর চক্ষু স্থির৷ তিনি দেখলেন, সেট্‌লমেন্টের অন্যান্য অফিসাররা জমির জরীপ সংক্রান্ত ব্যাপারে অন্যায়ভাবে বেশী খাজনা আদায় করছেন৷

ক্ষুব্ধচিত্তে বাঙালী অফিসারটি এই অসৎ কাজের বিরুদ্ধে হাতিয়ার ধরলেন৷ বেআইনীভাবে বেশী খাজনা আদায় করা তিনি আইনের সাহায্যে বন্ধ করে দিলেন৷

ফলে জেলার সাহেব-অফিসাররা তাঁর ওপর গেলেন ভীষণ ক্ষেপে৷ নিরুপায় হবে তাঁরা গিয়ে আপীল করলেন জজের কাছে৷